রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে বিএনপি অংশ নিবে না বরাবরের মতোই বলে আসছেন নেতাকর্মীরা। কিন্তু কাউন্সিলর ও মহিলা কাউন্সিলর পদে দু’ডজনের বেশি মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন। এবং প্রচারণায় রয়েছেন। এদের মধ্যে বর্তমান কাউন্সিলর রয়েছেন বেশ কয়েকজন। এদের বেশিরভাগ পনের বিশ বছর ধরে কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়ে আসছেন। এদের জনপ্রিয়তাও ব্যাপক। এরা ফের জিতবেন এমনটা মোটামুটি বলা যায় আবার বিগত নির্বাচনে বিএনপির যে কাউন্সিলর প্রার্থী পরাজিত হয় এবার তাদের কেউ কেউ আবারো প্রার্থী। সংরক্ষিত দশ আসনের মধ্যে চারজন রয়েছেন। তারাও প্রার্থী হয়েছে। বর্তমানে বিএনপির যে কাউন্সিলররা আছে তারা প্রতিকূল অবস্থার মধ্যেও বেশ খাপ খাইয়ে নিয়েছেন। তারা এবারো জিতবেন এমন প্রত্যাশা রয়েছে।

বর্তমান কাউন্সিলর ও বিএনপির অন্য প্রার্থীরা বলছেন কাউন্সিলর পদে দলীয়ভাবে নির্বাচন হচ্ছেনা। এখানে বিএনপির ধানের শীষ থাকবেনা। লটারির মাধ্যমে যে কোন প্রতীক ভাগ্যে জুটবে। দল না চাইলেও এলাকার মানুষ চায় আমরা প্রার্থী হিসেবে থাকি। এলাকার মানুষের প্রতি সম্মান রেখে প্রার্থী হয়েছি। দলীয় ব্যানারে কাউন্সিলর হওয়ার সুযোগ নেই। আশাকরি হাইকমান্ড বিষয়টা বিবেচনায় রাখবে। তবে দল চাইলে যে কোন সিদ্ধান্ত নিতে পারে। বিএনপির নগর আহবায়ক অ্যাড. এরশাদ আলী ঈশা বলেন, এ সরকারের অধীনে কোন নির্বাচনের ধারে কাছে নেই। শুনছি কেউ কেউ প্রার্থী হচ্ছেন। প্রার্থীর চূড়ান্ত তালিকা কি হয় দেখা যাক। আমরাতো ভোটে দাঁড়ানো দূরে থাক ভোট দিতেও যাবনা। এদিকে মেয়র পদে সাবেক ছাত্রনেতা বিশিষ্ট ব্যবসায়ী সাহিদ হাসান ভোট করার কথা বললেও এখন পিছু হটেছেন। বলছেন হাইকমান্ডের নির্দেশ বিএনপি ভোটে যাবেনা। আমিও ভোট করবনা।