গ্রামীণ সড়ক উন্নয়ন বন্দি
২১ মে ২০২৩, ১০:৫৬ পিএম | আপডেট: ২২ মে ২০২৩, ১২:০০ এএম
দেশের গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়নের পাশাপাশি শহর ও নগর অঞ্চলেও ভৌত অবকাঠামো উন্নয়নে প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে শুরু করে শহরের সীমানায় রয়েছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)। বিগত শতকের আশির দশকে প্রতিষ্ঠিত হওয়া এই এলজিইডি’র অধীনে সারাদেশে পাকা সড়ক ৩ লাখ ৩৮ হাজার কিলোমিটার। এর মধ্যে পাকা সড়ক ১ লাখ ৫০ হাজার কিলোমিটার। বাকিটা কাঁচা সড়ক। এর সঙ্গে নতুন আরো ১ লাখ কিলোমিটার গ্রামীণ রাস্তা নতুন নিয়ম ডিজিটিল পদ্ধতির ‘রোডে আইডি’র কারণে উন্নয়ন ও সংস্কার কাজ করতে পারছে না সংস্থাটি। স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে ৩৫ জেলার রোর্ডের আইডি’র অনুমোদন না দেয়ার কারণে গ্রামীণ রাস্তা মেরামত ও সংস্কার করতে পারছে না। রোড আইডি’র অনুমোদন দেয়া হলে ১ লাখ কিলোমিটার নতুন রাস্তা যোগ হবে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলজিইডি’র একজন অতিরিক্ত প্রকৌশলী ইনকিলাবকে জানান, প্রতিদিনের দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে জনপ্রতিনিধিরা আসছেন তাদের নির্বাচনী এলাকার রাস্তার উন্নয়ন ও সংস্কার করার প্রস্তাব নিয়ে। কিন্তু ডিজিটাল পদ্ধতির রাস্তার ‘আইডি কোড’ অনুমোদন না থাকার কারণে কাজ হচ্ছে না। অনেক জনপ্রতিনিধি আবার বরাদ্দর জন্য আবেদনপত্র জমা নিয়ে যাচ্ছেন।
জানতে চাইলে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম ইনকিলাবকে বলেন, এলজিইডি থেকে ৩৫ জেলার নতুন রাস্তার জন্য রোর্ডের আইডি’র অনুমোদনের জন্য প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। সেগুলো আমার দ্রুত অনুমোদন দিয়েছে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছি। পরিকল্পনা কমিশন থেকে আসার পরে নতুন আমরা গেজেট আকারে প্রকাশ করব। গ্রামীণ রাস্তাগুলো হালকা যানবাহন চলাচলের উপযোগী করে তৈরি করা হয়। কিন্তু পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে এ রাস্তাগুলো দিয়ে ভারী যানবাহনও চলাচল করায় সেগুলো দ্রুত খারাপ হচ্ছে। এ জন্য ভার বহনের ক্ষমতার বিষয়টি বিবেচনায় রেখে রাস্তার কাঠামোগত নকশা নতুনভাবে করার পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে।
এ বিষয়ে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী সেখ মোহাম্মদ মহসিনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বক্তব্য দিতে রাজি হননি।
জানা গেছে, স্থানীয় সরকার বিভাগে পাঠানো ৩৫ জেলার উন্নয়ন রোড আইডিতে যেসব জেলা হচ্ছে, পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও, দিনাজপুর, নীলফামারী, কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, বগুড়া, নাটোর, জয়পুরহাট, রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, ঢাকা, গাজীপুর, জামালপুর, নরসিংদী, মানিকগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ, শেরপুর, মেহেরপুর, নেত্রকোনা, রাজবাড়ী, শরীয়তপুর, সুরনামগঞ্জ, ঝিনাইদহ, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, মাগুড়া, বরগুনা, ভোলা, কুমিল্লা, রাঙ্গামাটি, কক্সবাজার, খাগড়াছড়ি এবং বান্দরবান। এসব জেলার ১ লাখ কিলোমিটার নতুন রাস্তা ডিজিটাল পদ্ধতির নতুন রোড আইডির অপেক্ষায় রয়েছে। গ্রামীণ রাস্তা মেরামতের জন্য প্রতিবছর ৯ হাজার কোটি থেকে ১০ হাজার কোটি টাকার প্রয়োজন পড়ে। অথচ এ বিপরীতে বরাদ্দ দেয়া হচ্ছে মাত্র ৩ থেকে ৪ হাজার কোটি টাকা। এলজিইডি ২০২২-২৩ অর্থবছরে এই খাতে ৩ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ রেখেছে। বিগত তিন অর্থবছরে সড়ক রক্ষণাবেক্ষণে রাজস্ব খাত থেকে সংস্থাটি ব্যয় করেছে প্রায় ৬ হাজার ৫২৮ কোটি টাকা।
স্থানীয় সরকার বিভাগের রাস্তাঘাট বেহালের কারণে স্থানীয় জনগণের গালমন্দ শুনতে হচ্ছে জনপ্রতিনিধিদের। যদিও এই ভাঙা রাস্তা মেরামতের কাজে কোনোভাবেই এমপিরা সম্পৃক্ত নন। এটা দেখভালের পুরো এবং একক দায়িত্ব স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি)। কিন্তু জনপ্রতিনিধি হওয়ায় এসব ভাঙা রাস্তার জন্য এমপিদেরই জবাবদিহি করতে হচ্ছে কারণ তাদের তালিকা ছাড়া কাজ করতে পারছে না এলজিইডি। রাস্তাঘাট বেহালের কারণে কেউ কেউ এলাকায় যেতে বিব্রতবোধ করছেন।
এলজিইডি থেকে সংসদীয় কমিটিকে জানানো হয়, গ্রামীণ রাস্তা মেরামতের জন্য যে চাহিদা, তাতে ৯ হাজার কোটি টাকা প্রয়োজন। পাওয়া গেছে ৪ হাজার কোটি টাকার মতো। অগ্রাধিকার ভিত্তিতে প্রথমে উপজেলা সড়ক এবং পরবর্তী সময়ে গ্রামীণ গুরুত্বপূর্ণ সড়ক মেরামতের কার্যাদেশ দেয়া হয়। এসব কাজের ৭৫ শতাংশ বাস্তবায়নের পর নির্মাণসামগ্রীর দাম বাড়ার কারণে কাজের গতি মন্থর হয়। তবে এখন কাজ চলছে। আর নতুন রাস্তা গুলো আইডি’র কোর্ডের অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে।
জানা গেছে, বিগত পাকিস্তান আমলের ষাটের দশ থেকে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে শুরু করে শহরের সীমানায় বিশাল কর্মযজ্ঞ। গ্রামাঞ্চলের সড়ক যোগাযোগ এবং হাট-বাজার ও গ্রোথ সেন্টার উন্নয়নের মাধ্যমে গ্রামীণ অর্থনীতিকে গতিশীল করতে অবদান রেখেছে তা আজ দৃশ্যমান। দেশের ক্রমবর্ধমান প্রবৃদ্ধি অর্জনে এসব অবকাঠামোর অবদান অপরিসীম। প্রত্যন্ত গ্রামের মানুষ আজ সর্বোচ্চ দুই কিলোমিটারের মধ্যে পাকা সড়ক ব্যবহারের সুবিধা পাচ্ছে। মানুষের জীবনমান উন্নয়ন ও দারিদ্র্য বিমোচনে পল্লীর এসব অবকাঠামো ব্যাপক ভূমিকা রাখছে। গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়নের পাশাপাশি এলজিইডি শহর ও নগর অঞ্চলেও ভৌত অবকাঠামো উন্নয়নে ভূমিকা রাখছে। নগর স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান, পৌরসভা ও সিটি কর্পোরেশন, কারিগরি সহায়তা প্রদান ও এসব প্রতিষ্ঠানের পরিচালন ব্যবস্থা ও দক্ষতা উন্নয়নেও সম্পৃক্ত। এছাড়া দেশের কৃষি ও মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধি-সারাদেশে ক্ষুদ্রাকার পানিসম্পদ উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের প্রকল্পে স্থানীয় অংশীজনদের অংশগ্রহণে প্রকল্প প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন এবং পরিচালন ও রক্ষণাবেক্ষণের ফলে নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য সল্প ও দীর্ঘমেয়াদি কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হচ্ছে। স্থানীয় পর্যায়ে গ্রামীণ ও নগর অবকাঠামো উন্নয়নের পাশাপাশি এসব অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ এবং স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানসমূহকে বিভিন্ন বিষয়ে কারিগরি সহায়তা প্রদান করছে। একইসঙ্গে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে প্রয়োজনীয় কারিগরি সহায়তা দিয়ে আসছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) দেশের অন্যতম বৃহৎ প্রকৌশল সংস্থা।
কার্যবিবরণীতে বলার, দেশে এলজিইডির আওতাধীন মোট পাকা সড়ক ৩ লাখ ৩৮ হাজার কিলোমিটার। এর মধ্যে পাকা সড়ক ১ লাখ ৫০ হাজার কিলোমিটার। বাকিটা কাঁচা সড়ক। এলজিইডির প্রধান প্রকৌশলী বিগত অর্থবছরে মেরামত বা সংস্কারকাজে ৩ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ পাওয়ার কথা উল্লেখ করে বলেন, ওই টাকায় অগ্রাধিকার ভিত্তিতে প্রথমে উপজেলা সড়ক এবং পরবর্তী সময়ে গ্রামীণ গুরুত্বপূর্ণ সড়ক মেরামত বা সংস্কারের কার্যাদেশ দেওয়া হয়েছিল। এসব কাজের ৭৫ শতাংশ বাস্তবায়নের পর নির্মাণসামগ্রীর মূল্য বাড়ায় কাজের গতি মন্থর হয়। নির্মাণসামগ্রীর বর্তমান বাজার অনুযায়ী মূল্য পুনর্নিধারণ হওয়ায় ওই কাজগুলো চলমান রয়েছে।
বাংলাদেশের গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর এক বিশাল অংশ এখন নগরমুখী। দ্রুত নগরায়নের ফলে জাতীয় উন্নয়নে শহর ও নগরের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে এবং বহুমুখী চাহিদার ব্যাপ্তি বৃদ্ধি পাচ্ছে। বর্তমানে নগর জনগোষ্ঠী দেশের মোট জনসংখ্যার শতকরা ২৮ ভাগ হলেও জাতীয় উৎপাদনের নগর ও শহরের অবদান শতকরা ৬০ ভাগের বেশি। অপরিকল্পিত নগরায়ন সামাজিক ও প্রাকৃতিক পরিবেশের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলছে। বর্ধিত জনগোষ্ঠীর জন্য আবাসন, পানি ও পয়ঃনিষ্কাশন, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, শিক্ষা, চিকিৎসা, যোগাযোগ সুবিধা ইত্যাদি পরিসেবা নিশ্চিত করা একটি বড় চ্যালেঞ্জ। এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় এলজিইডি পৌরসভা ও সিটি কর্পোরেশনে বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে নগর পরিসেবা বৃদ্ধিতে সহযোগিতা প্রদান করছে। শহর এলাকার ভৌত অবকাঠামো উন্নয়নের পাশাপাশি পরিকল্পিত নগরায়নের জন্য পৌরসভার মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়ন, পরিচালন ব্যবস্থার উন্নয়ন ও দক্ষতা বৃদ্ধি ইত্যাদি কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে।
জানা গেছে, গত বছরের বন্যায় রংপুর, ঢাকা, সিলেট এবং ময়মনসিংহ বিভাগের জেলাগুলোয় এলজিইডির সড়ক বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এলজিইডির সুনামগঞ্জের নির্বাহী প্রকৌশলীর কার্যালয় সূত্র জানায়, জেলায় সংস্থাটির অধীন সড়ক আছে ৪ হাজার ৫৭১ কিলোমিটার। বন্যায় সুনামগঞ্জের ১২টি উপজেলায় দেড় হাজার কিলোমিটার সড়কের ক্ষতি হয়।
বন্যায় নেত্রকোনায় প্রায় চার হাজার কিলোমিটার সড়ক পানিতে তলিয়ে গিয়েছিল বলে এলজিইডির জেলা নির্বাহী প্রকৌশলীর কার্যালয় থেকে বলা হয়, বন্যায় পানির স্রোতে জেলার কোনো কোনো সড়ক স্থানে স্থানে ভেঙে যায়। কোথাও কোথাও বড় গর্ত তৈরি হয়। এলজিইডির কর্মকর্তারা বলছেন, প্রতিবছর সংস্থার বাজেটে সড়ক ও সেতু রক্ষণাবেক্ষণ বাবদ নির্দিষ্ট টাকা বরাদ্দ থাকে। অনেক সময় বন্যা ও ঘূর্ণিঝড়ে একাধিক জেলার সড়ক বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়, যা নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণের বরাদ্দ থেকে সংস্কার করা সম্ভব হয় না। এমন পরিস্থিতিতে ক্ষতিগ্রস্ত সড়কের জন্য আলাদা প্রকল্প নেয়া হয়। গত বছরের বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত সড়কের জন্যও একটি আলাদা প্রকল্প নেয়া হয়েছে।
এলজিইডির রক্ষণাবেক্ষণ শাখার নির্বাহী প্রকৌশলী এ এস এম মহসীন ইনকিলাবকে বলেন, নতুন নতুন রাস্তার আবেদন অনেক। সেগুলো আইডির অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। তারপরও প্রতিবছর যে পরিমাণ সড়ক রক্ষণাবেক্ষণ করা হয়, চাহিদা থাকে তার দ্বিগুণ। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) পল্লী অবকাঠামো উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা ইউনিট এবং অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. নূর হোসেন হাওলাদার ইনকিলাবকে বলেন, আমরা আশা করছিÑ জুনের আগে নতুন রাস্তাগুলোর আইডি অনুমোদন পাব। এর পাশাপাশি বরাদ্দ পাওয়া যাবে।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
কে হবেন বর্ষসেরা উদীয়মান ক্রিকেটার?
বোলারদের নৈপুণ্যে অল্প টার্গেটেও স্বপ্ন দেখছে পাকিস্তান
৩১ দফা রাষ্ট্র কাঠামোর বার্তা মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে হবে: আমিনুল হক
পিরোজপুর প্রেসক্লাব নির্বাচন শামীম সভাপতি ও তানভীর সম্পাদক
বিরক্তিকর সময়কে গুডবাই বলুন! এন্টি ডোট হিসেবে সেরা অ্যাপ (পর্ব-১)
দেশের বিরাজমান সংকট উত্তরণে জাতির আস্থা তারেক রহমান : মীর হেলাল
টোল প্লাজায় দুর্ঘটনা: বাসের ব্রেকে সমস্যা ছিল, চালক নেশা করতেন
পাবনার আমিনপুরে মুক্তিযোদ্ধার বাড়িতে আগুন, শঙ্কিত পরিবার
দেশে এলো ভিভোর নতুন ফ্ল্যাগশিপ এক্স২০০
বিএনপির দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থী কাজে লিপ্ত হলে কাউকে ছাড় নয়: শাহ সুলতান খোকন
সচিবালয়ে অস্থায়ী প্রবেশ পাসের জন্য বিশেষ সেল গঠন
যুদ্ধের দামামা, তালেবানের পাল্টা হামলায় ১৯ পাকিস্তানি সেনা নিহত
ফিরে দেখা ২০২৪: ফুটবলে ঘটনাবহুল বছর
বড় চমক অ্যাপলের, জ্বর ও হার্ট অ্যাটাকের আগেই সতর্ক করবে ইয়ারবাডস
রাস্তাটি সংস্কার করুন
থার্টি ফাস্ট নাইট এবং প্রাসঙ্গিক কথা
ইসলামী শক্তির সম্ভাবনা কতটা
কিশোরগঞ্জে দুই নারীর রহস্যজনক মৃত্যু, গ্রেফতার-১
সাধারণ মানুষের স্বস্তি নিশ্চিত করা জরুরি
দেশের পরিস্থিতি ঠিক না হলে সবাই ক্ষতিগ্রস্ত হবে: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা