গয়েশ্বর-টুকু-এ্যানিও আসামি
২৪ মে ২০২৩, ১১:২৪ পিএম | আপডেট: ২৫ মে ২০২৩, ১২:০৩ এএম
রাজধানীর সিটি কলেজ ও সায়েন্স ল্যাবরেটরি এলাকায় গত মঙ্গলবার পদযাত্রা কর্মসূচি পালনের সময় বিএনপির নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনায় পৃথক তিনটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। গত মঙ্গলবার দিবাগত রাতে ধানমন্ডি থানায় দুটি ও নিউমার্কেট থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। তিন মামলায় অন্তত ৬৩ জনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়সহ দলটির ৯৮ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলার আসামিদের মধ্যে আরও রয়েছেন-বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবুল খায়ের ভূঁইয়া, বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা মীর সরফত আলী সপু, কেন্দ্রীয় যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু প্রমুখ। মামলায় অজ্ঞাতপরিচয় আরও ৪০০ থেকে ৫০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। বিএনপি নেতাকর্মীদের হামলায় পুলিশবক্সের ১০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছেন মামলার বাদী।
পুলিশ সূত্র জানায়, নিউমার্কেট থানার মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়সহ ৪৬ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এ মামলায় ৪০০ থেকে ৫০০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে। ধানমন্ডি থানায় দায়ের করা দুই মামলায় বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য শেখ রবিউল আলমসহ ৫২ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এ ছাড়া কয়েক শ’ ব্যক্তিকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে মামলা করা হয়েছে। এ দুই মামলায় ২৭ জনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। ধানমন্ডি থানার দুটি মামলারই বাদী পুলিশ। একটি মামলায় পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগ আনা হয়েছে। অন্য মামলায় নাশকতার অভিযোগ আনা হয়েছে।
নিউমার্কেট অঞ্চলের এডিসি শাহেন শাহ বলেন, পুলিশের ওপর হামলা এবং গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় মামলা হয়েছে। এ মামলায় ৩৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গতকাল বুধবার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, বিএনপি ঘোষিত জনসমাবেশকে কেন্দ্র করে গত পাঁচ দিনে সারাদেশে ১৪৮টি মামলায় ৬৫০ জনের অধিক নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এসব মামলায় পাঁচ হাজারের অধিক নেতা-কর্মীকে আসামি করা হয়েছে। সংঘর্ষের সময় আহত হয়েছে বিএনপির অসংখ্য নেতাকর্মী।
ধানমন্ডি থানার ওসি ইকরাম আলী মিয়া ইনকিলাবকে বলেন, মঙ্গলবার বিএনপির পদযাত্রা থেকে পুলিশের ওপর হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে দুটি মামলা দায়ের করেছে। একটি পুলিশের ওপর হামলা ও আরেকটি নাশকতার মামলা। দুই মামলায় বিএনপির ৫২ জন নেতা-কর্মীর নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া অজ্ঞাত হিসেবে আরও অনেককে আসামি করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, দুই মামলায় এখন পর্যন্ত ২৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পুলিশের ওপর হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনায় গ্রেপ্তারদের তিন দিনের রিমান্ড চেয়ে বুধবার আদালতে পাঠানো হয়েছে। অন্য মামলায় পরবর্তী সময়ে রিমান্ড চাওয়া হবে।
নিউমার্কেট থানার ওসি মো. শফিকুল গনি সাবু বলেন, গত মঙ্গলবার বিএনপির পদযাত্রা থেকে পুলিশের ওপর হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে একটি মামলা করেছে। মামলায় বিএনপির ৪৬ নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া অজ্ঞাতপরিচয় হিসেবে আরও ৪০০ থেকে ৫০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। মামলার বাদী এসআই সবুজ মিয়া। এর আগে বিএনপির ঢাকা মহানগর দক্ষিণের কেন্দ্রীয় নেতা শেখ রবিউল আলমসহ ৫২ জনের নাম উল্লেখ করে ধানমন্ডি থানায় মামলা করে পুলিশ।
মঙ্গলবারের সংঘর্ষের ঘটনায় নিউমার্কেট থানায় গ্রেফতার আসামিরা হলেন- সবুজ মোল্লা, মো. মনিরুজ্জামান, সবুজ, ইরাক শেখ, রিপন, মকবুল হোসেন, আক্তার হোসেন, শাওন মিয়া ও রাইসুল ইসলাম।
এছাড়া মামলার এজাহারে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, গাজীপুর জেলা বিএনপির সভাপতি এ কে এম ফজলুল হক মিলন, কেন্দ্রীয় যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবুল খায়ের ভূঁইয়া, বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা মীর সরফত আলী সপু, বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার নাসির উদ্দীন অসীম, সাবেক ভারপ্রাপ্ত দপ্তর সম্পাদক আব্দুস সাত্তার পাটোয়ারী, জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদির ভূঁইয়া জুয়েল, যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক ইসহাক সরকার, যুবদলের সদস্য আবুল খায়ের লিটনসহ ৪৬ নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
সরকারের পদত্যাগসহ ১০ দফা দাবিতে গতকাল ঢাকা উত্তর, দক্ষিণসহ বিভিন্ন মহানগরে পদযাত্রার কর্মসূচি ছিল বিএনপির। ঢাকায় কর্মসূচি ছিল ধানমন্ডি ও গাবতলী এলাকায়। ধানমন্ডির শংকর এলাকায় বাংলাদেশ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সড়কে সমাবেশ শেষে মবেলা তিনটায় পদযাত্রা শুরু হয়। সেটি জিগাতলা, সিটি কলেজ হয়ে ল্যাবএইড হাসপাতাল পর্যন্ত গিয়ে শেষ হওয়ার কথা ছিল। পদযাত্রাটি সিটি কলেজ এলাকায় পৌঁছালে পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষ বাধে। এ সময় পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছোড়া হয়। পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের শেল ছুড়ে তাঁদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। বিআরটিসির একটি বাসে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটে।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
দেশসেরা ব্র্যান্ডগুলোকে পুরস্কৃত করলো বাংলাদেশ ব্র্যান্ড ফোরাম
হাড়িদিয়া যুব সমাজ ক্রিকেট টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলায় শরিফ একাদশ চ্যাম্পিয়ন
কালীগঞ্জে আড়ম্বরপূর্ণ জুবিলী উপলক্ষে দুইদিন ব্যাপী উৎসব
বেগমগঞ্জে জুমার নামাজ শেষে ফেরার পথে বিএনপি কর্মিকে গুলি ও জবাই করে হত্যা
নির্বাচিত সরকারের মাধ্যমেই দেশে পরিপূর্ণ সংস্কার হবে: আমিনুল হক
সাংবাদিক বশিরসহ জনবাণী’র সম্পাদকের উপর হামলার ঘটনায় ডিআরইউ-র্যাকের উদ্বেগ
রামগতিতে ভিক্ষুকের জমি রেজিস্ট্রি না দেয়ায় লাশ দাফনে বাঁধা
র্যাকের সভাপতি আলাউদ্দিন আরিফ, সাধারণ সম্পাদক তাবারুল
রাষ্ট্রদূত হলেন সেনাবাহিনীর ২ সিনিয়র কর্মকর্তা
ব্রাহ্মণপাড়ায় আলোচিত শফি উল্লাহ হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার ১
ফরিদপুরের ধলার মোড়ে ৮ম ঘুড়ি উৎসব অনুষ্ঠিত
খালেদ মুহিউদ্দীনকে কী পাঠ পড়ালেন ড. আলী রীয়াজ
জানুয়ারিতে আরও ৫০ মডেল মসজিদ উদ্বোধন করবেন প্রধান উপদেষ্টা
আটঘরিয়ায় বিএনপির সম্মেলনকে কেন্দ্র করে আলোচনা সভা ও মিছিল
আগে মানুষকে স্বস্তি দিতে হবে: ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য
মহাবিশ্বের সুদূর পারে মিলল অতিকায় মহাসাগরের সন্ধান
‘সচিবালয়ে আগুন প্রমাণ করে দুস্কৃতিকারীরা সক্রিয়, সরকারকে আরো সতর্ক হতে হবে’
নৌযান শ্রমিকদের অনির্দিষ্টকালের পণ্যবাহী ধর্মঘটে অচল আশুগঞ্জ নদী বন্দর
মাহমুদুর রহমান’কে হত্যাচেষ্টা মামলার অগ্রগতি শুন্য
সচিবালয়ে আগুন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে ব্যর্থ করার চক্রান্ত: ইউট্যাব