রাজধানীর সড়ক শিক্ষার্থীদের হাঁটার অনুপযোগী
২৬ মে ২০২৩, ১১:১১ পিএম | আপডেট: ২৭ মে ২০২৩, ১২:০০ এএম

রাজধানী ঢাকায় পথচারীদের নির্বিঘেœ হাঁটাচলার সুবিধা নিশ্চিত করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যানজটপূর্ণ ঢাকা শহরে সড়কগুলোতে পর্যাপ্ত সুবিধার অভাব পথচারীদের জন্য নিরাপত্তা ঝুঁকি তৈরি করে। শিক্ষার্থীদের বেশিরভাগই হেঁটে যাতায়াত করে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এলাকায় যানবাহনের গতিসীমা নির্ধারিত না থাকা, অপর্যাপ্ত গতিরোধক, জেব্রাক্রসিং ও হেঁটে চলাচলের উপযোগী ফুটপাত না থাকাই এসব দুর্ঘটনার প্রধান কারণ।
গতকাল শুক্রবার সেন্টার ফর ল’ অ্যান্ড পলিসি অ্যাফেয়ার্সের (সিএলপি) উদ্যোগে গ্লোবাল অ্যালায়েন্স অব এনজিও’স ফর রোড সেফটি-এর সহযোগিতায় ঢাকার মোহাম্মদপুরের বেঙ্গল মিডিয়াম হাই স্কুল ও আজিজ খান রোডে অবস্থিত ঢাকা আইডিয়াল ক্যাডেট স্কুলের সড়কে পথচারীদের নিরাপদে চলাচলের বিষয়ে একটি সচেতনতামূলক কার্যক্রমে বক্তার এ কথা বলেন। ওই কার্যক্রমে দুই স্কুলের প্রায় ১০০ শিক্ষার্থী ও শিক্ষক উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় সভাপতির বক্তব্যে সিএলপিএ-এর প্রোগ্রাম অ্যাডভাইজার আমিনুল ইসলাম বকুল পথচারী নিরাপত্তা খসড়া প্রবিধানমালা, ২০২১ দ্রুত বাস্তাবায়নের উপর গুরুত্ব আরোপ করেন। বেঙ্গল মিডিয়াম হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক নারায়ন চন্দ্র দাস বলেন, ছাত্র-ছাত্রীদের নিরাপদে হেঁটে স্কুলে আসা-যাওয়ার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা হলো স্কুলের আশেপাশে ফুটপাতগুলোতে ময়লা আবর্জনা ও বিভিন্নভাবে দখল হয়ে যাওয়া। সড়কে পথচারীদের নিরাপদ করতে হলে অবশ্যই এ বিষয়গুলোর উপর গুরুত্ব দেয়ার পাশাপাশি নিজেদেরও সচেতন হতে আহ্বান জানান তিনি।
ঢাকা আইডিয়াল ক্যাডেট স্কুলের প্রধান শিক্ষক এম এ মান্নান মনির বলেন, ফুটপাথগুলোতে দোকানের সরঞ্জামাদি রাখার কারণে ছাত্র-শিক্ষক ও অবিভাবকরা নির্বিঘেœ হাঁটাচলা করতে পারছেন না। তাছাড়া ফুটপাথগুলো মেইন রাস্তা থেকে তুলনামুলক উঁচু হওয়ায় বয়স্ক, প্রতিবন্ধী ও সাধারণ মানুষের চলাচলে সমস্যা তৈরি হয়েছে। তাছাড়া ট্রাফিক সিগন্যালও এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে বলেন জানান তিনি।
শিক্ষার্থীরা জানায়, নিরাপদে সড়কে হেঁটে চলাচলের ক্ষেত্রে তারা প্রতিনিয়ত সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে। সড়কে পর্যাপ্ত জেব্রা ক্রসিং ও স্পিড ব্রেকার না থাকা তারা নিজেদের অনিরাপদ মনে করে। রাস্তায় যে ফুটপাথ রয়েছে তা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই হেঁটে চলাচলের অনুপযোগী। অনেক ফুটপাথে ভাঙ্গাচোরা জিনিস, ময়লা-আবর্জনা ও প্রাইভেট গাড়ি পার্কিং এবং বিভিন্ন দোকান-পাটের কারনে দখল হয়ে যাওয়ায় তারা হাঁটতে সাচ্ছন্ন বোধ করে না। অনেক রাস্তায় ট্রাফিক থাকে না। ফুটপাথের পাশাপাশি রাস্তাও ময়লা আবর্জনায় নোংরা হয়ে থাকে। নিরাপদে হেঁটে স্কুলে আসতে তারা এ সকল বিষয়ের ওপর গুরুত্বারোপ করে।
সিএলপিএ-এর পলিসি অ্যানালিস্ট আসরার হাবিব নিপু বলেন, সড়কে প্রায় ৯৫ শতাংশ পথচারী। সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণে সড়ক ব্যবস্থাপনার সংশ্লিষ্ট প্রসাশন ও সড়ক ব্যাবহারকারী দুই পক্ষকেই দ্বায়িত্ব নিতে হবে। সড়কে চলাচলে যে আইন রয়েছে, সবাইকে সে অনুযায়ী নিয়ম মেনে রাস্তা ব্যবহার করতে হবে।
সিএলপিএ-এর পলিসি অ্যানালিস্ট কামরুন্নিছা মুন্না বলেন, রাস্তায় হেঁটে চলাচলে অবকাঠামোগত সুবিধাগুলো যেমন নিশ্চিত করা প্রয়োজন, পাশাপাশি রাস্তায় যারা হেঁটে চলাচল করেন, তাদেরও সচেতন হতে হবে। রাস্তায় চলাচলে আমাদের অবশ্যই রাস্তার বাম পাশ দিয়ে হেঁটে চলাচল করতে হবে এবং জেব্রা ক্রসিং ব্যবহার করতে হবে।
সচেতনতামূলক কার্যক্রমের বক্তরা প্রসাশনের কাছে রাস্তায় ফুটপাথে গাড়ি পার্কিং, ময়লা আবর্জনা ও দোকানপাট দ্বারা দখলমুক্ত রাখতে অভিযান, ফুটপাথ উঁচু না রাখা, রাস্তায় পর্যাপ্ত জেব্রা ক্রসিং ও স্পিড ব্রেকারের ব্যাবস্থা করার সুপারিশ করেন। পাশাপাশি সকলকে সড়কে নিয়ম মেনে চলাচলের আহবান জানান।###
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও





আরও পড়ুন

চার স্বামীসহ ১২ জনকে খুন করেছেন যে নারী সিরিয়াল কিলার

ভিসা-মুক্ত নীতির অধীনে প্রথমবার চীনা পর্যটকদের স্বাগত জানাল থাইল্যান্ড

বিজিএমইএ : যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রফতানি কমেছে এক তৃতীয়াংশ, ইউরোপে ১৪.৫ শতাংশ

নভেম্বরের শুরুতে তফসিল, জানুয়ারিতে ভোট : ইসি
৬ ওভারেই নেই ৩ উইকেট

বিএনপির খুলনার রোডমার্চ উপলক্ষে মাগুরায় সমাবেশ রোডমার্চ এখন যশোরের পথে

জাকিরের বিবর্ণ অভিষেক, ফিরলেন তানজিদও

যে দোকানে ১০ টাকায় পাবেন গরুর মাংস, ৪৫ টাকায় ইলিশ!

পদোন্নতি ও বৈষম্য সমাধানের দাবি বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতি কুমিল্লা ইউনিটের

নোয়াখালীতে ডিটারজেন্ট-কলমের মেশিনসহ বিপুল পরিমাণ নকল পণ্য জব্দ, মালিক পলাতক

কোরআন শরীফ পোড়ানোয় বন্দীকে মারধর, ছেলের জন্য গর্বিত কাদিরভ

কারাবাখে অভিযান চালাতে আজারবাইজান ‘বাধ্য’ হয়েছে: এরদোগান

লন্ডন পুলিশে ‘বিদ্রোহ’, সংঘাতের আশঙ্কায় তৈরি সেনাবাহিনী

২ শিক্ষার্থী খুন! ভাইরাল ছবি ঘিরে ফের উত্তপ্ত মণিপুরে

কুখ্যাত নাৎসিকে পার্লামেন্টে সম্মান! এবার রাশিয়ার রোষের মুখে কানাডা

বরগুনায় চাঞ্চল্যকর হৃদয় হত্যা মামলার রায়: ১২ জনের ১০ বছর, ৪ জনের ৭ বছর সাজা: ৩ জনের বেকসুর খালাস

পোল্যান্ডের সেনা আধুনিকীকরণে ঋণ দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

ইরানে অনিয়ন্ত্রিত সিম কার্ড পাবেন বিদেশি পর্যটকরা

হ্যাঙজুতে ইতিহাস গড়ে খুশি ইরানি নারী সাইক্লিস্ট পারতোজার

বৃদ্ধদের বয়সীরা আক্রান্ত হচ্ছে আলজাইমার রোগে