সউদী গমনেচ্ছু সকল কর্মীরা বিনা অভিবাসন ব্যয়ে যাবে
২৬ মে ২০২৩, ১১:১৫ পিএম | আপডেট: ২৭ মে ২০২৩, ১২:০০ এএম

বাংলাদেশে নিযুক্ত সউদী আরবের রাষ্ট্রদূত ঈসা ইউসুফ ঈসা আল দুহাইলান বলেছেন, ভিসা কেনাবেচা বলে তেমন কিছুই নেই। সউদী কোম্পানি কিংবা নিয়োগকর্তা নিয়োগ প্রক্রিয়ার সব ফি বহন করেন। সুতরাং কোনও কর্মীর কাছ থেকে কোনও প্রকার ফি নেওয়া হয় না। সউদী আরবে এখন ‘ফ্রি ভিসা’ বলে কিছু নেই। প্রত্যেকটি কর্মী নির্দিষ্ট পেশায় সউদী আরব যাচ্ছেন। তবে সেখানে যাওয়ার পর কাজ না করা এবং নিয়োগকর্তার কাছ থেকে পালিয়ে যাওয়ায় সমস্যা তৈরি হচ্ছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে বেটার বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন আয়োজিত বাংলাদেশে রেমিট্যান্স প্রবাহের সম্ভাবনা, চ্যালেঞ্জ ও সমাধান শীর্ষক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।
সউদী রাষ্ট্রদূত বলেন, আমরা দিনে ৫ হাজারের বেশি ভিসা ইস্যু করি। আমাদের এখানে বাংলাদেশি ভাইদের সুবিধার্থে অনেক কঠোর পরিশ্রম করছি। এখানে ভিসা কেনাবেচা নিয়ে আলাপ হচ্ছে। আসলে ভিসা কেনাবেচা বলে তেমন কিছুই নেই। সউদী কোম্পানি কিংবা নিয়োগকর্তা নিয়োগ প্রক্রিয়ার সব ফি বহন করেন। সুতরাং কোনও কর্মীর কাছ থেকে কোনও প্রকার ফি নেওয়া হয় না। ২ হাজার রিয়ালের মধ্যে বিমান টিকেট, মেডিকেলসহ পুলিশ রিপোর্ট, বায়োমেট্রিকের সমস্ত খরচ অন্তর্ভুক্ত থাকে। এ সমস্ত খরচ নিয়োগকর্তা বহন করেন। কিন্তু সবচেয়ে বড় প্রতিবন্ধকতা আর সমস্যা হচ্ছে মধ্যসত্ত্বভোগী বা দালাল। তারা কর্মীদের ভুল বোঝাচ্ছে। দালালরা কর্মীদের বলছে, আমাদেরকে টাকা দাও ভিসার জন্য। সউদী আরবের কোনও নিয়োগকর্তা কর্মী থেকে অর্থ নেয় না। প্রতিটি কর্মী ফ্রিতে যাবে। আসলে আমাদের কর্মীদের সচেতন করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, সউদী আরবের উন্নয়নের বাংলাদেশি কর্মীরা বিরাট অবদান রাখছেন। তাদের কঠোর পরিশ্রম নতুন কর্মসংস্থান, রেমিট্যান্স এবং সামাজিক উন্নয়নে প্রভাব ফেলছে। সউদী প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স বাংলাদেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। রাষ্ট্রদূত বলেন, এখানকার দালাল এবং রিক্রুটিং এজেন্সি সেখানে উচ্চ বেতনের আশা দেখিয়ে লোক পাঠায়, কিন্তু তারা গিয়ে দেখছে ভিন্ন চিত্র। যার ফলে তারা চুক্তি অনুযায়ী কাজ করতে অনীহা দেখায় এবং পালিয়ে যায়। এরপর তারা বলছে সেখানে কাজ নেই। কাজ আছে কিন্তু তারা চুক্তি অনুযায়ী কাজ করছে না। প্রতি দুই বছর পর চুক্তি নবায়ন হয় এবং সেই ফি নিয়োগকর্তাকে বহন করতে হয়। প্রত্যেক কর্মীর চুক্তি দুই বছরের জন্য হয়ে থাকে, সেটা নবায়ন করা কর্মীর দায়িত্ব। এখন নিয়োগকর্তার থেকে কর্মীর অধিকার বেশি সউদী আরবে। বাংলাদেশের রেমিট্যান্স আরও বাড়ানো সম্ভব যদি সউদী আরবের স্বাস্থ্য খাতে কর্মী পাঠানো যায়। সউদীর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য কর্মীর চাহিদা আছে। যদি বাংলাদেশ থেকে চিকিৎসক, নার্স সে দেশে যেতে চায় আমরা অবশ্যই তাদের স্বাগত জানাবো। এ সময় তিনি সউদী আরবে চলমান বিভিন্ন মেগা প্রকল্পে বাংলাদেশ থেকে দক্ষ কর্মী পাঠানোরও আহ্বান জানান।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও






আরও পড়ুন

গুলির নির্দেশদাতা হাসিনা! উদ্ভট স্ট্যাটাসের মাধ্যমে জয়ের হাস্যকর কাণ্ড!

টেক্সাসে বন্যায় নিহত বেড়ে ১২৮, পরিদর্শনে ট্রাম্প

দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়ায় অভিবাসী গ্রেফতারে আদালতের নিষেধাজ্ঞা

ইসরায়েলে যাওয়া ইমামরা ‘মুসলিমদের প্রতিনিধি নয়’ : আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়

অজিত ডোভালের ‘সফল হিট’ দাবির তীব্র নিন্দা জানালো পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

পোল্যান্ডের প্রতিরক্ষা জোরদারে দক্ষিণ কোরিয়ার ঐতিহাসিক অস্ত্র চুক্তি

তিতাসে সড়কের পাশে অজ্ঞাত যুবকের গলাকাটা লাশ

ঠাকুরগাঁও সীমান্তে যুবককে গুলি করে মারলো বিএসএফ

যুদ্ধবিরতি বজায় থাকলেও পরাজয় মেনে নিতে কষ্ট হচ্ছে ভারতের: ইসহাক দার

চূড়ান্ত সমঝোতা ছাড়াই শেষ যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ শুল্ক আলোচনা

মিটফোর্ডে খুন হওয়া ব্যবসায়ী সোহাগের দাফন বরগুনায় সম্পন্ন

মিটফোর্ডের নারকীয় হত্যাকাণ্ডের দ্রুত বিচারে সরকার বদ্ধপরিকর: আইন উপদেষ্টা

চাঁদাবাজি-সন্ত্রাসের মাধ্যমে দেশকে আবার অস্থিতিশীল করার অপপ্রয়াস চলছে : এবি পার্টি

তিউনিশিয়ার প্রেসিডেন্টকে টিভিতে দেখতে অস্বীকৃতি জানানোয় ছয় মাসের কারাদণ্ড

আশুলিয়ায় সেফটি ট্যাংকির ভিতর থেকে ৮ বছরের শিশুর মরদেহ উদ্ধার

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ১৩০০ কর্মী চাকরি হারাচ্ছেন

চীন সফরে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী, লক্ষ্য বাণিজ্য সম্পর্ক জোরদার

‘চাঁদাবাজের পক্ষে তদবির করলে গ্রেপ্তার’, মিরপুরের এডিসি

আটক বাংলাদেশিদের বিষয়ে তদন্তে একসঙ্গে কাজ করবে ঢাকা-কুয়ালালামপুর

মিটফোর্ডের নির্মমতায় ভাষা হারিয়ে ফেলেছি : ডা. শফিক