ঢাকা   শুক্রবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৩ | ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩০
বিবৃতিতে মির্জা ফখরুল

মার্কিন ভিসা নীতিতে গণতন্ত্রপ্রিয় জনগণের দাবির প্রতিফলন

Daily Inqilab স্টাফ রিপোর্টার

২৬ মে ২০২৩, ১১:২৭ পিএম | আপডেট: ২৭ মে ২০২৩, ১২:০০ এএম

মানুষের ভোটাধিকার নিশ্চিত করার জন্য বিএনপিসহ বাংলাদেশের গণতন্ত্রপ্রিয় জনগণ দীর্ঘদিন যাবৎ যে দাবি জানিয়ে আসছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতিতে তার সুস্পষ্ট প্রতিফলন ঘটেছে বলে মনে করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, বাংলাদেশের আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক ও গ্রহণযোগ্যভাবে আয়োজন করার সকল প্রক্রিয়া নিশ্চিত করার জন্য এবং একই সাথে ভোট কারচুপি, ভোটারদের ভয় দেখানো, জনগণের শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করার স্বাধীনতা ও অধিকার চর্চাকে সহিংসভাবে দমনের যে কোনো নীতির বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র সরকার যে অবস্থান নিয়েছে তা বাংলাদেশের মানুষের দীর্ঘদিনের দাবী, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবীরই সুস্পষ্ট প্রতিধ্বনি। গতকাল শুক্রবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।

বিবৃতিতে মির্জা ফখরুল বলেন, বাংলাদেশী নাগরিকদের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসা নীতি যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করেছে। যা মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের পক্ষ থেকে গত ৩ মে বাংলাদেশের ক্ষমতাসীন কর্তৃত্ববাদী সরকারকে আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়েছিল।

এ বিষয়ে তিনি বলেন, বিএনপি বিশ্বাস করে, বর্তমান ফ্যাসিবাদি সরকারের অধীনে কোনোভাবেই অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব হবে না। কেবলমাত্র একটি নির্দলীয় ও নিরপেক্ষ নির্বাচনকালীন কেয়ারটেকার সরকারের অধিনেই তা সম্ভব। আর সে কারণেই, বিএনপি দেশের সকল গণতান্ত্রিক দল ও শক্তিকে সাথে নিয়ে নির্দলীয় ও নিরপেক্ষ নির্বাচনকালীন কেয়ারটেকার সরকার আদায়ের লক্ষ্যে নিয়মতান্ত্রিক ও শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করে চলছে।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমরা অত্যন্ত গভীরভাবে লক্ষ্য করছি যে, এই পরিবর্তিত মার্কিন ভিসা নীতিতে শুধু পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকেই আওতাভুক্ত করা হয়নি, সুনির্দিষ্টভাবে বিচার বিভাগ, প্রশাসন, নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট সরকারি জনবল, সাবেক ও বর্তমান সরকারি কর্মকর্তা এবং রাজনৈতিক নেতৃত্বসহ, যে বা যারা, প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে, নির্বাচন ব্যবস্থাকে ব্যহত করতে চেষ্টা করবে তাদের এবং তাদের পরিবারবর্গকে আওতাভুক্ত করা হয়েছে।

তিনি বলেন, আমরা আবারো দাবী করি, অনির্বাচিত এই ফ্যাসিবাদী সরকার দেশে এবং বিদেশে তার প্রত্যাখাত অবস্থাকে অনুধাবন করে অবিলম্বে পদত্যাগ করবে এবং ভোটারবিহীন জাতীয় সংসদ বাতিল ঘোষণা করবে। নির্বাচনকালীন নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার প্রতিষ্ঠা করে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা করাই দেশবাসী ও আন্তর্জাতিক সকল মহলের দাবী ও প্রত্যাশা। চলমান রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক তথা জাতীয় সংকট থেকে মুক্তিলাভের এটাই একমাত্র পথ।

বিএনপি মহাসচিব লাগাতারভাবে বিএনপিকে সমর্থন দেবার জন্য ধন্যবাদ জানানোর পাশাপাশি দেশবাসীকে এই দাবি আদায়ে অনড় ও অবিচল থাকার জন্য আহ্বান জানান।

হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরেছেন মির্জা ফখরুল
হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে বাসায় ফিরেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে তিন দিন হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি। করোনা পরীক্ষার ফল নেগেটিভ আসায় বৃহস্পতিবার রাতে গুলশানের বাসায় ফিরেন বিএনপি মহাসচিব। গতকাল শুক্রবার দুপুরে বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান জানান, চিকিৎসকদের পরামর্শে বৃহস্পতিবার রাতে বিএনপি মহাসচিব বাসায় ফিরেছেন।

তিনি বলেন, করোনামুক্ত হয়ে বাসায় ফিরলেও বিএনপি মহাসচিবকে চিকিৎসকদের পরামর্শে আরও কিছু দিন বিশ্রামে থাকতে হবে। তাই আগামী কয়েকদিন তাকে সরাসরি রাজনৈতিক কার্যক্রম থেকে বিরত থাকতে হচ্ছে। গত ২৩ মে তৃতীয়বারের মতো করোনায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন ফখরুল।


বিভাগ : জাতীয়


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

এই বিভাগের আরও

কারখানায় কোনো শ্রমিক আগুন দেয় না : নজরুল ইসলাম খান
পুরো দেশ নিয়ে বাজি ধরেছে সরকার: জোনায়েদ সাকি
বিরোধী দলের অনুপস্থিতিতে অনেক দেশেই নির্বাচন হয়
প্রাথমিকের সহকারি শিক্ষক ও ব্যাংকের পরীক্ষা একই সময়ে, বিপাকে পরীক্ষার্থীরা
কারো বাধায় নির্বাচনের ট্রেন আর থামবে না: ওবায়দুল কাদের
আরও

আরও পড়ুন

যশোরের প্রতিটি আসনেই স্বতন্ত্র প্রার্থীর মোড়কে আওয়ামী লীগের নেতারা

যশোরের প্রতিটি আসনেই স্বতন্ত্র প্রার্থীর মোড়কে আওয়ামী লীগের নেতারা

২টি বিলাসবহুল গাড়ি ফেরত দিলেন পাকিস্তানের প্রধান বিচারপতি

২টি বিলাসবহুল গাড়ি ফেরত দিলেন পাকিস্তানের প্রধান বিচারপতি

জার্মানিতে ‘নিরামিষ’ মাংস নিয়ে বিতর্ক

জার্মানিতে ‘নিরামিষ’ মাংস নিয়ে বিতর্ক

ওপেক প্লাসে যোগদানের আমন্ত্রণ ব্রাজিলকে

ওপেক প্লাসে যোগদানের আমন্ত্রণ ব্রাজিলকে

উত্তর কোরিয়ার ৮ ব্যক্তির বিরুদ্ধে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা

উত্তর কোরিয়ার ৮ ব্যক্তির বিরুদ্ধে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা

প্যারিসে সম্পন্ন হলো ৪৯১ কোটি টাকার ‘শতাব্দীর সেরা বিবাহ’

প্যারিসে সম্পন্ন হলো ৪৯১ কোটি টাকার ‘শতাব্দীর সেরা বিবাহ’

সাবেক এমপি শাহ শহীদ সারোয়ারকে বিএনপি থেকে বহিস্কার

সাবেক এমপি শাহ শহীদ সারোয়ারকে বিএনপি থেকে বহিস্কার

জয়পুরহাটে বৃদ্ধাকে গলায় ও বিভিন্ন স্থানে জখম করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা

জয়পুরহাটে বৃদ্ধাকে গলায় ও বিভিন্ন স্থানে জখম করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা

নোয়াখালীর সুবর্ণচরে সিএনজি-ট্রাক মুখোমুখি সংঘর্ষে মা-মেয়ের মৃত্যু, আহত-৩

নোয়াখালীর সুবর্ণচরে সিএনজি-ট্রাক মুখোমুখি সংঘর্ষে মা-মেয়ের মৃত্যু, আহত-৩

৭/৮টি করে সন্তান নেয়ার আহ্বান জানালেন পুতিন

৭/৮টি করে সন্তান নেয়ার আহ্বান জানালেন পুতিন

গ্রেপ্তার এড়াতে ৩০ বছর তিনি পরিচয় পাল্টে পলাতক ছিলেন

গ্রেপ্তার এড়াতে ৩০ বছর তিনি পরিচয় পাল্টে পলাতক ছিলেন

শুরু হল কক্সবাজার-ঢাকা ট্রেন চলাচল, ৭৮০ যাত্রী নিয়ে প্রথম ট্রেন

শুরু হল কক্সবাজার-ঢাকা ট্রেন চলাচল, ৭৮০ যাত্রী নিয়ে প্রথম ট্রেন

গভীর সমুদ্র থেকে পাইপলাইনে তেল খালাস শুরু

গভীর সমুদ্র থেকে পাইপলাইনে তেল খালাস শুরু

কারখানায় কোনো শ্রমিক আগুন দেয় না : নজরুল ইসলাম খান

কারখানায় কোনো শ্রমিক আগুন দেয় না : নজরুল ইসলাম খান

গাজায় ফের ইসরায়েলি হামলা, নিহত অন্তত ৮ ফিলিস্তিনি

গাজায় ফের ইসরায়েলি হামলা, নিহত অন্তত ৮ ফিলিস্তিনি

পুরো দেশ নিয়ে বাজি ধরেছে সরকার: জোনায়েদ সাকি

পুরো দেশ নিয়ে বাজি ধরেছে সরকার: জোনায়েদ সাকি

চা বিরতির আগেই ৩ উইকেট নেই নিউজিল্যান্ডের

চা বিরতির আগেই ৩ উইকেট নেই নিউজিল্যান্ডের

সদ্য মুক্তিপ্রাপ্ত ফিলিস্তিনী তরুণীর বর্ণনায় ইসরাইলি কারাগারের নির্মম চিত্র

সদ্য মুক্তিপ্রাপ্ত ফিলিস্তিনী তরুণীর বর্ণনায় ইসরাইলি কারাগারের নির্মম চিত্র

বিরোধী দলের অনুপস্থিতিতে অনেক দেশেই নির্বাচন হয়

বিরোধী দলের অনুপস্থিতিতে অনেক দেশেই নির্বাচন হয়

সমুদ্রের মধ্যে হঠাৎ আবিষ্কার হল উঁচু পর্বতের, উচ্চতায় বুর্জ খলিফার দ্বিগুণ

সমুদ্রের মধ্যে হঠাৎ আবিষ্কার হল উঁচু পর্বতের, উচ্চতায় বুর্জ খলিফার দ্বিগুণ