রণক্ষেত্র চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
০১ জুন ২০২৩, ১১:০২ পিএম | আপডেট: ০১ জুন ২০২৩, ১১:০২ পিএম
ছাত্রলীগের দুই গ্রæপের মধ্যে রাতে-দিনে দফায় দফায় সংঘর্ষে রণক্ষেত্রে পরিণত হয় চট্টগ্রাম বিশ^বিদ্যালয়। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত এবং আগের দিন গভীর রাতে দুই পক্ষের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে পুলিশ পরিদর্শকসহ উভয় পক্ষের ২৫ জন আহত হয়েছে। সংঘর্ষ চলাকালে দু’পক্ষই রামদা, কিরিচ, লোহার রড, লাঠিসহ দেশি অস্ত্র ব্যবহার করে। কর্মীদের অনেকের মাথায় ছিল হেলমেট পরা। ভাঙচুর করা হয় আবাসিক হলের অসংখ্য কক্ষ। টানা সংঘর্ষের মধ্যেও নীরব দর্শকের ভ‚মিকায় ছিল বিশ^বিদ্যালয় প্রশাসন ও পুলিশ। সংঘর্ষে জড়িত কাউকেই গ্রেফতার করেনি পুলিশ।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে গেলে বিকেলে ক্যাম্পাসে র্যাব তলব করা হয়। বিপুল সংখ্যক র্যাব সদস্য গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। তবে রাতে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বিশ^বিদ্যালয়ে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছিল। দু’পক্ষের কর্মীরা দেশি অস্ত্র হাতে ক্যাম্পাসে অবস্থান করছিল। যেকোন মুহূর্তে ফের সংঘাতের আশঙ্কায় ক্যাম্পাসের বাসিন্দারা শঙ্কিত হয়ে পড়ে। সাধারণ ছাত্রদের অনেকেই সন্ধ্যার মধ্যে হল ছেড়ে নিরাপদে সরে যায়।
বুধবার রাতে খাবার টেবিলে বসা নিয়ে বাগ্বিতÐার জের ধরে ছাত্রলীগের শাটল ট্রেনের বগিভিত্তিক সিএফসি ও সিক্সটি নাইন উপ-গ্রæপের মধ্যে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। রাতে কয়েক ঘণ্টা সংঘর্ষের পর সকাল থেকে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করে। গতকাল বেলা ১টার দিকে দু’পক্ষ ফের সংঘর্ষে জড়ায়। সংঘর্ষে বিশ^বিদ্যালয় পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক মিজানুর রহমানসহ অনেকে আহত হন।
বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের রাজনীতি অনেক দিন ধরেই দুটি পক্ষ বিভক্ত। একটি পক্ষ শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল ও আরেকটি সাবেক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের অনুসারী। এ দুটি পক্ষের আবার ১১টি উপগ্রæপ রয়েছে। এর মধ্যে আ জ ম নাছির উদ্দীনের নয়টি ও মহিবুল হাসানের দুটি করে উপগ্রæপ রয়েছে। ক্যাম্পাস সূত্র জানায়, এক পক্ষ শাহ আমানত হল এলাকায় এবং অপর পক্ষ শাহজালাল হল এলাকায় অবস্থান নিয়ে সংঘর্ষে জড়ায়। একে অপরের প্রতি ইট-পাটকেল ছুঁড়তে থাকে।
সংঘর্ষের একপর্যায়ে সিএফসির অনুসারী রমজান হোসাইন নামে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগে ২০১৫-১৬ বর্ষের শিক্ষার্থীকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে সিক্সটি নাইন গ্রæপের কর্মীরা। ইট-পাটকেলের আঘাতে অনেকের মাথা ফেটে যায়। আহতদের বেশ কয়েকজনকে চমেক হাসপাতালে আনা হয়েছে। বাকিদের বিশ^বিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়। সাধারণ শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, শাসক দলের দুই গ্রæপের লড়াইয়ে বুধবার রাত থেকে ক্যাম্পাস অশান্ত হলেও তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়নি বিশ^বিদ্যালয় ও পুলিশ প্রশাসন। পরে র্যাব এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
ইন্দোনেশিয়ার নতুন কোচ ক্লাইভার্ট
কোপ দেলরের শেষ ষোলোতে কে কার মুখোমুখি
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানালেন গাপটিল
পরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় ভোগান্তি লাখো মানুষের
ভোগান্তিতে সেবা নিতে আসা জনসাধারণ
আদমদীঘিতে ফসলি জমিতে ফের কোল্ড স্টোর নির্মাণ
পদ্মার চরে শিকারিদের কবলে অতিথি পাখি
বাগেরহাটে বিএনপির দুই গ্রুপে সংঘর্ষ ৮ বাড়িতে অগ্নিসংযোগ, আহত ২০
গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজি সোসাইটির নতুন কমিটি গঠন
বিপন্ন প্রজাতির হনুমান পাচারকালে ২ জনের কারাদ-
মিরপুরে তুরাগ নদী এলাকায় উচ্ছেদ অভিযান
৪৮ ঘণ্টা পরও লাশ ফেরত দেয়নি বিএসএফ
ঢাকা বিমানবন্দরে পাখির আঘাতের হার বৈশ্বিক গড়ের চেয়ে বেশি
ভারত আইনের শাসন মানে না : রিজভী
ভয়াবহ দাবানলে ছাড়খাড় লস অ্যাঞ্জেলেস
সরকারের সঙ্গে আলোচনার নির্দেশনা ইমরান খানের
‘উন্নয়ন চাইলেও গণতন্ত্র দরকার সংস্কার চাইলেও গণতন্ত্র দরকার’ : বিএনপি শীর্ষ নেতা নজরুল ইসলাম খান
ডিএনসিসির জনসংযোগ কর্মকর্তাকে ছুরিকাঘাত
সচিবালয়ের সামনে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া
আওয়ামী সরকারের অসহযোগীতায় ব্রাজিল থেকে গরুর গোশত আমদানি করা সম্ভব হয়নি : রাষ্ট্রদূত