ঢাকা   বুধবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৪ | ২৯ কার্তিক ১৪৩১

নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন চায় ঢাবি সাদা দল

Daily Inqilab বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার

০৫ জুন ২০২৩, ১০:৫৫ পিএম | আপডেট: ০৬ জুন ২০২৩, ১২:০৪ এএম

নির্দলীয় ও নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের দাবি জানিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) বিএনপি-জামায়াতপন্থি শিক্ষকদের সংগঠন সাদা দল। গতকাল সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে আয়োজিত এক মানববন্ধন থেকে এ দাবি জানায় দলটি। পাশাপাশি নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের অসহনীয় মূল্য বৃদ্ধি, হামলা-মামলার মাধ্যমে বিরোধী রাজনৈতিক মতানুসারীদের দমন-নিপীড়নের প্রতিবাদ জানান তারা।
এ সময় নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন চেয়ে শিক্ষকদের এ কর্মসূচির সামনে প্ল্যাকার্ড এর মাধ্যমে বিএনপি-জামাত জোট সরকারের আমলে গণমাধ্যমে প্রকাশিত ভোট কারচুপির বিভিন্ন সংবাদ তুলে ধরেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
মানববন্ধন থেকে ঢাবি সাদা দলের যুগ্ম-আহ্বায়ক প্রফেসর ড. সিদ্দিকুর রহমান খান বলেন, বাংলাদেশে এখন যে পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে সেটা নজিরবিহীন। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, লোডশেডিংয়ের কারণে জনজীবন বিপর্যস্ত। মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে।
এ সময় ছাত্রলীগের অবস্থানের নিন্দা জানিয়ে তিনি বলেন, দেশে অগণতান্ত্রিক যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তারই প্রমাণস্বরূপ আজকের শিক্ষকদের কর্মসূচির সামনে শিক্ষার্থীদের এই অবস্থান, যা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে নজিরবিহীন। বাংলাদেশে যে একদলীয় স্বৈরশাসন প্রতিষ্ঠা করার অপচেষ্টা করা হচ্ছে আমরা তার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। বিদ্যুৎ খাতের সীমাহীন লুটপাট, মূল্যস্ফীতিতে জনজীবনে যখন নাভিশ্বাস উঠেছে তখন আমরা এর প্রতিবাদও করতে পারব না। আমাদের ওপর মানসিক চাপ সৃষ্টি করার অপচেষ্টা এখানে চালানো হচ্ছে। গণতান্ত্রিক দেশে আজকে শিক্ষকদের কর্মসূচির সামনে শিক্ষার্থীদের এমন অবস্থান নজিরবিহীন। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।
প্রফেসর সিদ্দিকুর রহমান খান বলেন, কয়েকদিন আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির এক কর্মসূচি থেকে আমাদের এক সহকর্মী ভোটার বিহীন এই সরকারকে নির্বাচন ছাড়াই আরো পাঁচ বছর থাকার একটি অগণতান্ত্রিক প্রস্তাব দিয়েছিলেন। তার এই প্রস্তাব আমাদের গোটা শিক্ষক সমাজকে কলঙ্কিত ও অপমানিত করে।
মার্কিন ভিসানীতির ব্যাপারে তিনি বলেন, আমেরিকার ভিসানীতির মাধ্যমে বাংলাদেশকে উগান্ডা-নাইজেরিয়ার সমপর্যায়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বৈশ্বিক পর্যায়ে অপমানের ষোলকলা পূর্ণ হয়েছে। ৩০ লক্ষ শহীদের বিনিময়ে যে দেশ স্বাধীনতা অর্জন করেছে, আজকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার একক দাবীদার সরকারের আমলে বাংলাদেশকে বিশ্ব দরবারে অপমানের চূড়ান্ত পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
দলটির সাবেক আহ্বায়ক প্রফেসর ড. আকতার হোসেন খান বলেন, যাদের হাত ধরে আমরা গণতন্ত্র পেয়েছিলাম, আমাদের স্বাধীনতা পেয়েছিলাম তাদেরই হাত ধরে আজ গণতন্ত্রের মৃত্যু হয়েছে। আজকে আমরা সেই গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য দাঁড়িয়েছি। একটি নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে যারাই ক্ষমতায় আসুক আমরা তাদেরকে সাধুবাদ জানাই। এসময় বিএনপি জামায়াতের সময়ে দেড় কোটি ভুয়া ভোটারের বিষয়ে তিনি বলেন, সে সময় একই ব্যক্তি বিভিন্ন জায়গায় ভোটার হওয়ার কারণে মোট ভোটারের সংখ্যা বেড়ে যায়। যা কোনো ভোট কারচুপি ছিল না। যা আমরা অনেকেই জানি না, আবার অনেকে জেনেও না জানার ভান করেন।
সংগঠনটি আহ্বায়ক প্রফেসর লুৎফর রহমান বলেন, জাতির ক্রান্তিলগ্নে আমরা আজ তিনটি দাবি নিয়ে এখানে দাঁড়িয়েছি। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির পেছনে দায়ীদের চিহ্নিত করতে হবে। দ্বিতীয়তঃ বিরোধী দলের উপর নিপীডণ বন্ধ করতে হবে। এবং একটি নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে আগামী দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে হবে। প্রফেসর লুৎফর রহমান বলেন, আজকে আমাদের গণতান্ত্রিক কর্মসূচির সামনে ছাত্রলীগের এই অবস্থানই আমাদের এসব দাবির যৌক্তিকতা প্রমাণ করে। তিনি বলেন, এই সরকারের আমলে বাংলাদেশে বিগত কয়েকটি নির্বাচন মানুষকে বুঝাতে সক্ষম হয়েছে যে ভবিষ্যতে দলীয় সরকারের অধীনে কোন সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়।###


বিভাগ : জাতীয়


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

এই বিভাগের আরও

খালাস পেলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সাবেক এপিএস অপু
আমদানি বিল পরিশোধের পর রিজার্ভ কমে ১৮.৪৬ বিলিয়ন ডলার
অফিস-আদালতসহ সর্বত্রই দুঃশাসনের চিহ্ন রাখা উচিত নয় : রিজভী
বেসরকারি অপারেটর দিয়ে পরিচালিত ২৪ ট্রেনের ইজারা বাতিল
তাপস ও তার স্ত্রীর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
আরও

আরও পড়ুন

শম্ভুর ধরা পড়ায় এলাকায় আনন্দের বন্যা

শম্ভুর ধরা পড়ায় এলাকায় আনন্দের বন্যা

রাজবাড়ীতে সাবেক ছাত্রলীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা

রাজবাড়ীতে সাবেক ছাত্রলীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা

লিসান্দ্রো মার্তিনেজকে বিশ্বকাপ বাছাইয়ে পাচ্ছেনা আর্জেন্টিনা

লিসান্দ্রো মার্তিনেজকে বিশ্বকাপ বাছাইয়ে পাচ্ছেনা আর্জেন্টিনা

খালাস পেলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সাবেক এপিএস অপু

খালাস পেলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সাবেক এপিএস অপু

পশ্চিমবঙ্গ ও ঝাড়খণ্ডে ব্যাপক তল্লাশি

পশ্চিমবঙ্গ ও ঝাড়খণ্ডে ব্যাপক তল্লাশি

আমদানি বিল পরিশোধের পর রিজার্ভ কমে ১৮.৪৬ বিলিয়ন ডলার

আমদানি বিল পরিশোধের পর রিজার্ভ কমে ১৮.৪৬ বিলিয়ন ডলার

অফিস-আদালতসহ সর্বত্রই দুঃশাসনের চিহ্ন রাখা উচিত নয় : রিজভী

অফিস-আদালতসহ সর্বত্রই দুঃশাসনের চিহ্ন রাখা উচিত নয় : রিজভী

পার্লামেন্টে ক্ষমা

পার্লামেন্টে ক্ষমা

ক্ষেপণাস্ত্র হামলা

ক্ষেপণাস্ত্র হামলা

ডোনাল্ড ট্রাম্পের নিরাপত্তায় নতুন প্রহরী: রোবট কুকুর!

ডোনাল্ড ট্রাম্পের নিরাপত্তায় নতুন প্রহরী: রোবট কুকুর!

লুকিয়ে প্রেমিকের সঙ্গে দেখা করায় মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতা থেকে বহিস্কার

লুকিয়ে প্রেমিকের সঙ্গে দেখা করায় মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতা থেকে বহিস্কার

মাকে হত্যা করে লাশ ডিপ ফ্রিজে রাখা ছেলে গ্রেফতার

মাকে হত্যা করে লাশ ডিপ ফ্রিজে রাখা ছেলে গ্রেফতার

সীমান্তে ৪ বাংলাদেশী নারী আটক

সীমান্তে ৪ বাংলাদেশী নারী আটক

গুলি বর্ষণকারী ৭৪৭ পুলিশ শনাক্ত গ্রেফতারের উদ্যোগ নেই

গুলি বর্ষণকারী ৭৪৭ পুলিশ শনাক্ত গ্রেফতারের উদ্যোগ নেই

সিলেটে মতবিনিময় সভা করলো নেজামে ইসলাম পার্টির

সিলেটে মতবিনিময় সভা করলো নেজামে ইসলাম পার্টির

স্বামী স্ত্রীকে শর্ত লাগিয়ে তালাক দেওয়ার পর শর্ত উঠিয়ে নেওয়া প্রসঙ্গে।

স্বামী স্ত্রীকে শর্ত লাগিয়ে তালাক দেওয়ার পর শর্ত উঠিয়ে নেওয়া প্রসঙ্গে।

আন্তঃনগর ট্রেনের সময় পরিবর্তন করুন

আন্তঃনগর ট্রেনের সময় পরিবর্তন করুন

জনপ্রশাসনে মেধাশূন্যতা : কারণ ও প্রতিকার

জনপ্রশাসনে মেধাশূন্যতা : কারণ ও প্রতিকার

ভারতীয় হেজিমনি ও আওয়ামী লীগের আত্মঘাতী রাজনীতি

ভারতীয় হেজিমনি ও আওয়ামী লীগের আত্মঘাতী রাজনীতি

বিতর্ক পরিহার করতে হবে

বিতর্ক পরিহার করতে হবে