ইসলাম ও পশ্চিমের মধ্যে সমস্যা কোথায়?
১১ জুন ২০২৩, ১১:৩৫ পিএম | আপডেট: ১২ জুন ২০২৩, ১২:০০ এএম
১৯৮৯ সালে ¯œায়ূযুদ্ধের অবসান ঘটে এবং নতুন বিশ^শাসনের প্রতিষ্ঠা ঘটে। এটি ছিল মার্কিন নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিকতাবাদের আদর্শ, যা দেশগুলির মধ্যে একাত্বতা, সহযোগিতা এবং আন্ত:সংযোগের উপর জোর দিয়েছিল। মার্কিন আন্তর্জাতিকতাবাদ এই ধারণা প্রচার করেছিল যে, দেশগুলির নিজস্ব সংকীর্ণ জাতীয় স্বার্থ এবং পরিচয়কে একপাশে রেখে একসাথে কাজ করা উচিত। অন্য কথায়, বিশ্¦ের প্রতিটি জাতিকে পশ্চিমের স্বার্থে এবং এর নেতা যুক্তরাষ্ট্রের জন্য কাজ করা উচিত। এটিকে কার্যকর করতে গত ত্রিশ বছরে বিশ^জুড়ে বিভিন্ন যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছে।
ঘটনাক্রমে, এই যুদ্ধগুলির বেশিরভাগই ইসলামী বিশ্বের সীমানায় সংঘটিত হয়েছে, যা একটি অস্বস্তিকর প্রশ্নের উদ্রেক করে:ইসলাম এবং পশ্চিমের মধ্যে সমস্যা কোথায়? ইসলামী বিশ্ব বহু শতাব্দীর এক গৌরবময় অতীত ধারণ করছে। দুটি বিখ্যাত মুসলিম সাম্রাজ্য ভারতের মুঘল সা¤্রাজ্যের এবং মধ্যপ্রাচ্য, আফ্রিকা ও ইউরোপের কিছু অংশে উসমানীয় সা¤্রাজ্য ১৯ এবং ২০ শতকের প্রথম দিকে পতন ঘটে। তবে, মুসলিম সাম্রাজ্যের পতন ঘটলেও তাদের শতাব্দী প্রাচীন পরিচয় এত দ্রুত বা এত সহজে মুছে ফেলা যাবে না। এই পরিচয়গুলি পশ্চিমা শক্তিগুলির আন্তর্জাতিকতাবাদের কথিত অনুশীলন তথা আগ্রাসনের বিরুদ্বতা প্রকাশ করে চলেছে।
বর্তমান সভ্যতা গণতন্ত্র, মুক্ত বাজার এবং ব্যবসা-বাণিজ্যের অবাধ প্রবাহের প্রতিনিধিত্ব করে। মুনাফা অর্জনের জন্য কম উৎপাদন খরচ, শিল্পের জন্য সস্তা শ্রম, ব্যবসা-বাণিজ্যে প্রশিক্ষিত লোকের প্রয়োজন অপরিহার্য। অতএব, কর্মক্ষেত্রে নারীদের অংশগ্রহনও প্রয়োজন, এবং পুরুষদের পাশাপাশি তাদের শিক্ষিত হওয়া দরকার। ইসলাম নারীদের পর্দা পালন করতে নির্দেশ দেয়, কিন্তু ইসলাম বা ইসলামী সংস্কৃতি অবশ্যই নারীর স্বাধীনতা, তাদের শিক্ষা ও কাজের ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করে না, যা পশ্চিমারা ইসলাম হিসেবে প্রচার করে থাকে।
ইসলামিক দেশ ইরান ও পাকিস্তানের সমস্যা হল, এরা নিজ নিজ আদর্শগত সংকীর্ণতায় আবদ্ধ। পাকিস্তান ইরানের চেয়ে বেশি সমস্যা কবলিত। এটি একটি অত্যন্ত শক্তিশালী সেনাবাহিনী সহ একটি পারমাণবিক শক্তি সম্পন্ন দেশ। তারওপর, পাকিস্তানের রাজনৈতিক ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধর্মীয় উগ্র বক্তৃতা এবং কট্টর নেতাদের হাতে বিভিন্ন ধরনের অস্ত্র, এটিকে আন্তর্জাতিকভাবে আরও বেশি বিপজ্জনক করে তুলেছে। পশ্চিমারা এটিকে ইসলাম বলে মনে করে। কিন্তু আফগানিস্তানের মতো কট্টর ইসলামপন্থী দেশও যদি অর্থনীতিতে ও কর্মক্ষেত্রে নারীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে পারে, তাহলে পশ্চিমাদের তাদের নামাজ, রোজা বা ইবাদত নিয়ে কোনও সমস্যা থাকা উচিত নয়।
ইসলমিক রাষ্ট্র সউদী আরব নিশ্চিত করছে যে, তাদের ধর্ম বা সংস্কৃতি বিশ্বের অর্থনৈতিক ব্যবস্থার পথে বাধা নয়। এখন দেশটির নারীরা গাড়ি চালাতে পারেন, উন্মুক্ত পরিবেশে কাজ করতে পারেন এবং নিজেরাই যাতায়াত ও ভ্রমণ করতে পারেন এবং সবকিছুই ভালোভাবে ঘটছে। সউদী আরব একটি রাজতন্ত্র দ্বারা শাসিত, যা দেখিয়েছে যে, ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক স্বাধীনতার জন্য গণতন্ত্রের খুব একটা প্রয়োজন হয় না। অন্য কথায়, পশ্চিমাদের ইসলাম নিয়ে সমস্যা থাকা উচিত নয়, যদি তা তাদের স্বার্থহানি না ঘটে। সূত্র: দ্য ফ্রাইডে টাইম্স।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
সিলেট সীমান্ত দিয়ে ৪ জনকে পালাতে সহায়তা করছিলেন আ. লীগ নেতা!
শান্ত আশুলিয়া শিল্পাঞ্চল, কাজে ফিরেছে শ্রমিকরা
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে ইতালির প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎ (ভিডিওসহ)
শিক্ষার্থী হত্যা মামলা, ‘রূপান্তর’র নির্মাতা রিংকু কারাগারে
শ্রীলঙ্কার সংসদ ভেঙে প্রেসিডেন্ট : চিন্তার ভাজ ভারতীয়দের কপালে
বসতঘরে মাদকের দোকান, যৌথবাহিনী মাদকসহ আটক করলো যুবককে
শাবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সজিব গ্রেপ্তার
পটুয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের ৬৮ জনকে আসামী করে আজকের প্রভাতের জেলা প্রতিনিধির মামলা
বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপ, পায়রা বন্দরে ০৩ নম্বর সতর্ক সংকেত
বন্দরে ব্যাটারী কারখানার দূষণের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভে হামলায় আহত ৪০
জার্মানিতে উত্থান হচ্ছে রাশিয়াপন্থি শক্তির
কাপ্তাই পাল্পউড বাগান বিভাগে ১০একর জায়গা উদ্ধার ও অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ
যুক্তরাষ্ট্র আরও ১৯৯ মিলিয়ন ডলার সহায়তা দেবে রোহিঙ্গাদের জন্য
বিল ক্লিনটনকে ‘দ্য আর্ট অব ট্রায়াম্ফ’ উপহার দিলেন ড. ইউনূস
দ্রুত রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে ড. ইউনূসের তিন প্রস্তাব
জাতিসংঘের সদস্যপদ লাভের ৫০তম বার্ষিকীর সংবর্ধনায় প্রধান উপদেষ্টা
কোয়াড থেকে চীনকে কড়া বার্তা মোদির, মুক্তির আশায় তিব্বত?
রোহিঙ্গা সংকট : জাতিসংঘে ড. ইউনূসের সঙ্গে উচ্চ-পর্যায়ের কর্মকর্তাদের বৈঠক
ইউনূস-বাইডেন বৈঠক নিয়ে হোয়াইট হাউস যা বললো
শেরপুর জেল পলাতক ধর্ষণ মামলার ৩০ বছরের সাজাপ্রাপ্ত আহাম্মদ আলী আটক