দুধের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে স্ত্রী সন্তান হত্যা
১৪ জুন ২০২৩, ১০:৫১ পিএম | আপডেট: ১৫ জুন ২০২৩, ১২:০০ এএম
বাজার থেকে দুধ কিনে আনেন গৃহকর্তা এসএম সেলিম। সেই দুধের সঙ্গে ৩০টি ঘুমের ওষুধ মেশান। এর পর নিজেই সেই দুধ পান করান স্ত্রী এবং নিজের শিশু সন্তানকে। কিছুক্ষনের মধ্যেই স্ত্রী-সন্তান নিস্তেজ হয়ে পড়েন। নিজেকে নির্দোষ সাজাতে এরপর নিস্তেজ স্ত্রী-সন্তানকে নিয়ে যান হাসপাতালে। কিন্তু ততক্ষনে স্ত্রী সন্তান চলে গেছেন না ফেরার দেশে। পরিকল্পিত এ হত্যাকান্ডের শিকার গৃহবধূর নাম মাহমুদা আক্তার বৃষ্টি (৩৩) ও তার মেয়ে সানজা মারওয়া (১০)। গত মঙ্গলবার দিবাগত রাতে বাড্ডা থানাধীন মেরুল বাড্ডা এলাকার একটি বাসায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় মাহমুদার স্বামী সেলিমকে হাসপাতাল থেকে গ্রেফতার করেছে বাড্ডা থানা পুলিশ। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি পরিকল্পিতভাবে এ হত্যাকান্ড ঘটিয়েছেন বলে স্বীকার করেছেন। ময়না তদন্তের জন্য লাশ দু’টি ঢাকা মেডিকলে কলেজ মর্গে পাঠানো হয়েছে।
নিহতের পারিবারিক স‚ত্র জানায়, এস এম সেলিমের পৈতৃক বাড়ি মেরুল বাড্ডায়। সেখানেই নিজস্ব ভবনের ৮ তলায় মাহমুদা তাঁদের দুই সন্তান নিয়ে থাকতেন। সেলিম বর্তমানে বেকার। ফ্ল্যাটের ভাড়া তুলে সংসার চালাতেন। সানজা মেরুল বাড্ডায় একটি মাদ্রাসায় পড়ত। অপর সন্তানের বয়স ৮ মাস।
মাহমুদার মামা রাসেল সিকদার বলেন, গত মঙ্গলবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে ফোনে বৃষ্টির অসুস্থতার কথা জানতে পারেন। পরে তারা মেরুল বাড্ডায় মাহমুদার বাসায় গিয়ে তাঁকে ও তার মেয়ে সানজাকে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। মাহমুদার আট মাস বয়সী শিশুটি খাটে শুয়ে ছিল। পরে তিনি ও সেলিম মিলে বৃষ্টি ও সানজাকে অচেতন অবস্থায় স্থানীয় বেসরকারি ফরায়েজি হাসপাতালে নিয়ে যান। এরই মধ্যে খবর পেয়ে বাড্ডা থানার পুলিশ ওই হাসপাতালে যায়।
বাড্ডা থানার এসআই সাদেক মিয়া বলেন, চিকিৎসকেরা দ্রæত মা ও মেয়েকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলেন। মা ও মেয়েকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে গতকাল বুধবার সকাল সোয়া ছয়টার দিকে চিকিৎসক তাঁদের মৃত ঘোষণা করেন।
ওই ঘটনায় জিজ্ঞাসাদের জন্য হাসপাতাল থেকে মাহমুদার স্বামী সেলিমকে আটক করা হয়। সেলিমের দাবি, বৃষ্টি নিজে কিছু খেয়েছেন এবং পরে মেয়েকে কিছু খাইয়ে হত্যা করেছেন।
তবে মাহমুদার মামা রাসেল শিকদার অভিযোগ করেন, সেলিমের অন্য নারীর সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্ক আছে। এ নিয়ে ঝগড়াঝাঁটি হলে সেলিম বৃষ্টিকে মারধর করতেন। সেলিমই বৃষ্টিকে কিছু খাইয়ে অথবা শ্বাসরোধে হত্যা করেছেন। মেয়ে তা দেখে ফেলায় তাকেও হত্যা করেছেন।
এদিকে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গুলশান ডিভিশনের উপ-কমিশনার (ডিসি) মো. শহীদুল্লাহ বলেন, আটক সেলিমকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। পরিকল্পনা অনুযায়ী দুধের সঙ্গে ৩০টি ঘুমের ওষুধ খাইয়ে সেলিম তার স্ত্রী বৃষ্টি ও তাদের শিশু সন্তার সানজা মারওয়াকে হত্যা করেছে বলে সেলিম প্রাথমিকভাবে পুলিশের কাছে বিষয়টি স্বীকার করে। তিনি জানিয়েছেন, পরিকল্পনা অনুযায়ী গত মঙ্গলবার দিবাগত রাতে বাইরে থেকে দুধ কিনে আনে। সেই দুধে কেনা ত্রিশটি ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে তার স্ত্রী বৃষ্টি ও তার শিশুসন্তানকে খাইয়ে দেয়। তারপরেই তারা আস্তে আস্তে নিস্তেজ হয়ে যায়। পরে রাতে ওই অবস্থায় একপর্যায়ে বনশ্রী ফরাজী হাসপাতালে দুইজনকে নিয়ে যায়। সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেল।
বাড্ডা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ জানান, এ ঘটনায় সেলিমকে আসামি করে মামলা হয়েছে।
কোরবানির গরু নিয়ে প্রস্তুত সৈয়দপুরের খামারিরা
সৈয়দপুর (নিলফামারী) উপজেলা সংবাদদাতা
গরু মোটা তাজাকরণ করে কোরবানির জন্য প্রস্তত সৈয়দপুরের খামারিরা। ইতোমধ্যে জেলার বিভিন্ন হাটবাজারে কোরবানির গরু উঠতে শুরু করেছে। খামারিরা বলছেন, এ বছর গরুর দাম বেশি হওয়ায় কেনা-বেচা কম হচ্ছে। ফলে লাভও কম হবে। তবে শেষ মুহূর্তে ভারতীয় গরু না ঢুকলে বেচাকেনা ভালোই হবে।
জেলার সদর, ডোমার, ডিমলা, জলঢাকা, কিশোরগঞ্জ ও সৈয়দপুরের বিভিন্ন খামার ঘুরে দেখা গেছে, খামারিরা কৃত্রিম ও প্রাকৃতিক দুইভাবে গরু লালনপালন করেছেন। এসব গরু মাস দুই আগে বিভিন্ন হাটবাজার থেকে কেনা হয়। ক্রয়কৃত গরুকে সুষম খাবার দিয়ে মোটা তাজাকরণ করা হয়েছে। খাদ্যের দাম বেশির কারণে লালনপালনে গরু পালনেও খরচ হয়েছে বেশি। জেলাতে প্রতিবারের মতো এবারও চাহিদার চেয়ে বেশি গরু রয়েছে খামারিদের কাছে। প্রায় ১ লাখ ২০ হাজার গরু দেশের অন্যান্য জেলায় পাঠানো হবে।
খামারিরা জানান, সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে খুদের ভাত, আলু, খেসারি, মসুর, চিটাগুড়, লবণ, খড় ও ধানের গুঁড়া খাইয়ে গরু মোটা তাজাকরণ করা হয়েছে। সদরের একটি ফার্ম কোরবানির গরু মণ দরে বিক্রি শুরু করেছে। জেলার সৈয়দপুরের ইউসুফ ডেইরি ফার্ম কোরবানির গরু ক্রয় করে খামারে রাখার ব্যবস্থাসহ কোরবানির অফার দিয়ে গরু বেচাকেনা করছে।
জেলার ঢেলাপীর হাট, শাখামাঁচা হাট, মীরগঞ্জ হাট, বোড়াগাড়ি হাট, তারাগঞ্জ হাট ঘুরে দেখা গেছে, এসব হাটবাজারে কোরবানির গরু উঠতে শুরু করেছে। ঝামেলা এড়াতে অনেকে এসব হাটে কোরবানির গরু খুঁজে নিচ্ছেন। প্রতি বছরের চেয়ে এবার প্রতি গরুতে ১০ থেকে ২০ হাজার অতিরিক্ত গুণতে হচ্ছে ক্রেতাদের। জেলা পশুপালন কর্মকর্তা সূত্রে জানা গেছে, এবার জেলায় প্রায় ২ লাখ ৯৮৯টি গরু পালন করেছেন খামারিরা। এসব গরু পালনে তাদের কর্মীরা মাঠপর্যায়ে খামারিদের পরামর্শ দিয়েছেন। তারা খামারিদের নিয়ে নিয়মিত উঠান বৈঠক করেছেন।
জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. মোনাক্কা আলী ইনকিলাবকে জানান, কোরবানির ঈদে নিরাপদ গোশত যাতে মানুষ পায়, সে জন্য আমরা মাঠপর্যায়ে খামারিদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছি। নীলফামারী জেলায় প্রান্তিকসহ ছোট-বড় খামারি রয়েছেন ৩০ হাজার ৬৮৮ জন। অধিকাংশ প্রান্তিকসহ বড় খামারের পশুগুলো হৃষ্টপুষ্ট হয়ে বাজারে তোলার উপযুক্ত হয়ে উঠেছে ।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
ইয়ামালের মাইলফলকের রাতে হারের তেতো স্বাদ বার্সার
আর্সেনালের স্বস্তির ড্র,অ্যাটলেটিকোর দারুণ জয়
হেডের বিধংসী শতকে লন্ডভন্ড ইংল্যান্ড
পয়েন্ট হারিয়েও শীর্ষে আর্জেন্টিনা,অবনতি বাংলাদেশের
বিদেশে সাবেক ভুমিমন্ত্রীর আট হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি
ইউনূস গুড উইলের প্রতিফলন দেখতে চায় জনগণ: রিজভী
সময় থাকতে হাসিনাকে ফেরত পাঠান : ভারতকে দুদু
রুশ সেনা কুরস্কের দুটি শহরের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে
বিমানবন্দর এলাকা হবে শব্দদূষণ মুক্ত
যাত্রাবাড়ী থানার সাবেক ওসি আবুল হাসান ৭ দিনের রিমান্ডে
বিচার শুরু হলে হাসিনাকে ফেরত চাওয়া হবে : আইন উপদেষ্টা
লোহাগড়ায় দিনে-দুপুরে বসতবাড়ি পুড়ে ছাই
রাষ্ট্রীয় কল্যাণে অবদান রাখার সুযোগ দিন আলেমদেরকে
দুই মেডিকেল টেকনোলজিস্টের ওপর হামলার ঘটনায় বিএমটিএর নিন্দা
জিএম কাদের ও মজিবুল হক চুন্নুকে অবিলম্বে আটক করতে হবে : আবু হানিফ
উপদেষ্টাদের আয় ও সম্পদ বিবরণী প্রকাশের নীতিমালা অনুমোদন
সাবেক মন্ত্রী শ ম রেজাউল-এমপি হেনরিসহ ৩ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
পটুয়াখালী মেডিক্যাল কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতিকে একবছর ,সাধারন সম্পাদককে দুই বছর একাডেমীক কার্যক্রম থেকে বহিস্কারসহ উভয়কে হোস্টেল থেকে আজীবন বহিস্কার।
ঢাবিতে যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে ৫ শিক্ষার্থী গ্রেফতার
রাজউক চেয়ারম্যানের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিল