দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ভারত ও মায়ানমার জেলেরা
২৩ জুন ২০২৩, ১০:২৮ পিএম | আপডেট: ২৪ জুন ২০২৩, ১২:০১ এএম
সাগরে বাংলাদেশিদের জন্য নিষেধাজ্ঞা থাকলেও সাগরে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ভারত ও মায়ানমারের জেলেরা। কর্মহীন বাংলাদেশের মৎস্যজীবিরা। তাই সামুদ্রিক মাছের প্রজনন বৃদ্ধির লক্ষ্যে সরকারের দেয়া নিষেধাজ্ঞা কোন কাজেই আসছেনা বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এদিকে একেরপর এক নিষেধাজ্ঞায় দিশেহারা বাংলাদেশের জেলেরা। কর্মহীন জেলে পরিবারগুলোতে চলছে হাহাকার। বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞার কারণে বছরের ৩৬৫ দিনের মধ্যে ১৪৭ দিন ঘাটে নোঙর করে থাকতে হয় উপকূলে জেলেদের। এসময় বেকার কাটাতে হয় তাদের। যার কারণে ঋণের বোঝা পিছু ছাড়ছেনা জেলেদের।
মা ইলিশ ধরায় ২২ দিন, ১ নভেম্বর থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত জাটকা সংরক্ষণে ৮ মাস, মার্চ-এপ্রিল দুই মাস অভয়াশ্রমে এবং সাগরে ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞাসহ বছরে ১৪৭ দিন সাগর ও নদীতে নিষেধাজ্ঞা থাকে।
সমুদ্রে মাছ শিকারের ওপর ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা চলছে। তাই ঘাটে বসে আছেন দেশের জেলেরা। কিন্তু বঙ্গোপসাগরে মাছ শিকার করছেন পাশ্ববর্তী দেশের জেলেরা। জেলেদের অভিযোগ, প্রতিবারই বাংলাদেশে নিষেধাজ্ঞার সুযোগে সমুদ্রে রাজত্ব করে বেড়ায় ভারত ও মায়ানমারের জেলেরা। মাছ ধরা বন্ধ থাকায় কর্মহীন বাংলাদেশি জেলেরা খেয়ে না খেয়ে দিন পার করলেও সমুদ্র থেকে মাছ ধরে নিয়ে যাচ্ছেন অন্যরা। তাই শুরু থেকেই এ নিষেধাজ্ঞার বিরোধীতা করে আসছেন জেলে ও মৎস্যজীবিরা।
কোড়ালীয়া মৎস্য পল্লী থেকে, মৎস্য ব্যবসায়ী নাসির মৃধা, ইনকিলাবকে জানান, সরকার অবরোধ দিলেই আমরা সাগর থেকে চলে আসি মাছের প্রজনন বৃদ্ধির জন্য। যখন অবরোধ শেষ হয় আমরা বুক ভরা আশা নিয়ে নদীতে মাছ শিকারে যাই। যখন সাগরে জাল ফেলানো হয় জালে আর মাছ ধরা পরে নাহ। কেমনে পড়বে মাছ ভারত ও মায়ানমারের জেলেরা আগেই ধরে নিয়ে গেছে। আমাদের বুকভরা কান্না ছাড়া আর কিছুই থাকে নাহ।
বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, একই সাগরে দুই নিয়ম চলতে পারেনা। পাশ্ববর্তী অন্য দেশের জেলেরা মাছ ধরায়, বঙ্গোপসাগর জালমুক্ত থাকছেনা। তাই এই নিষেধাজ্ঞার উপকারীতা দেখছেননা তারা। সামুদ্রিক মাছের নিরাপদ প্রজননের জন্য সমুদ্র জালমুক্ত রাখতে পাশ্ববর্তী দেশগুলোর সাথে সমন্বয় করে নিষেধাজ্ঞার সময়সীমা নির্ধারণের পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের। এছাড়াও সামুদ্রিক মাছের প্রজননের সঠিক সময় চিহ্নিত করতে নতুন করে গবেষণা করা দরকার বলেও জানান মৎস্য বিশেষজ্ঞরা।
মৎস্য জীববিজ্ঞান এবং জেনেটিক্স বিভাগ, চেয়ারম্যান ড. আরিফুল আলম বলেন, যারা নীতি নির্ধারক আছে এ বিষয়টা গুরুত্ব দিয়ে আন্তদেশীয় ভারত এবং বাংলাদেশের সাথে যৌথ আলোচনা সাপেক্ষে একই সময়ে অবরোধ দিতে পারে। তাহলে বাংলাদেশ ও ভারত দুই দেশের জেলেই উপকৃত হবে।
মো. কামরুল ইসলাম, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বলেন, এবিষয় নিয়ে মৎস্য প্রাণী সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাথে সমন্বয়ের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। হয়তোবা অদূর ভবিষ্যতে আমরা বাংলাদেশ এবং ভারতের সাথে একই সময়ে নিষেধাজ্ঞা আসতে পারে।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
লক্ষ্মীপুরে সরকারি রাস্তা কেটে যুবলীগ নেতার চাষাবাদ, প্রতিবাদে মানববন্ধন
কলাপাড়ায় গরু চুরি করে পালানোর সময় জনতার হাতে আটক চোর
এবার পানামা খাল নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার হুমকি ট্রাম্পের
মাগুরায় গ্রামবাসির সংঘর্ষে নিহত যুবদল নেতা শরিফুলের বাড়িতে বিএনপি নেতারা
সিমকার্ডের আড়ালে সীমান্তে বেড়েছে চোরাচালান
কিশোরগঞ্জের আব্দুল কাহার আকন্দ কোথায়? কেউ জানে না!
হাসিনাকে গ্রেপ্তারে ইন্টারপোলে রেড নোটিশ জারি
যুক্তরাষ্ট্র ও লন্ডনে ৩শ’ কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে হাসিনা-জয়ের বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান শুরু
রাজশাহী মহানগরীতে ঘন কুয়াশা
আবারও ভানুয়াতুতে দ্বীপপুঞ্জে ৬.২ মাত্রার ভূমিকম্প
হাজীগঞ্জে ভরাট মিঠানিয়া খালের মুখ, হুমকিতে ফসলি জমি
রাহাতের সুরের মুর্ছনায় বিমোহিত দর্শক, বাংলায় বললেন 'আমরা তোমাদের ভালোবাসি'
‘প্রশাসন ক্যাডার নিয়ে ষড়যন্ত্র চলছে’
যুক্তরাজ্যে ট্রাম্পের বিশেষ দূত হিসেবে মার্ক বার্নেট নিযুক্ত
ফাইনালে ভারতের কাছে বাংলাদেশের হার
ফ্রেন্ডলি ফায়ার দুর্ঘটনায় লোহিত সাগরে মার্কিন যুদ্ধবিমান ধ্বংস
ইরানে যাত্রীবাহী বাস খাদে পড়ে নিহত ১০
বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে ধনী নারী কে, জানেন?
বাংলাদেশি রোগী পেতে সীমান্ত পর্যন্ত মেট্রো চালু করবে ভারত
হাত ফসকে আইফোন পড়ে গেল মন্দিরের দানবাক্সে, ফেরত দিতে অস্বীকৃতি