দেশে গণতন্ত্রের সর্বশেষ চিহ্নকে মুছে ফেলা হয়েছে
২৫ জুন ২০২৩, ১১:৪৬ পিএম | আপডেট: ২৬ জুন ২০২৩, ১২:০১ এএম
জুলুম-নির্যাতনের ধারাবহিকতায় দেশ থেকে গণতন্ত্রের সর্বশেষ চিহ্নকেও মুছে ফেলা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী, মানবাধিকার কর্মী, রাজনৈতিক বিশ্লেষক যারা গণতন্ত্রের পক্ষে সোচ্চার তারা সরকারী জুলুমের শিকার হয়ে কেউ গুম হচ্ছেন, পঙ্গু হচ্ছেন, অথবা পুলিশী হেফাজতে নির্যাতনের শিকার অথবা মৃত্যুবরণ করছেন। বাংলাদেশে আমরা এখন এক গভীর তমি¯্রার মধ্যে বাস করছি। জাতির সকল অর্জন ও এগিয়ে যাওয়া এখন অন্ধকারে হারিয়ে যেতে বসেছে। জুলুম-নির্যাতনের ধারাবাহিকতায় গণতন্ত্রের সর্বশেষ চিহ্নকে মুছে ফেলা হয়েছে। নির্যাতিতদের সমর্থনে জাতিসংঘ ঘোষিত আন্তর্জাতিক দিবস উপলক্ষে গতকাল রোববার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বাণীতে তিনি এসব কথা বলেন।
নির্যাতিতদের সমর্থনে জাতিসংঘ ঘোষিত আন্তর্জাতিক দিবসে বাংলাদেশসহ সারাবিশ্বের নির্যাতিত ব্যক্তি, জাতি, গোষ্ঠী, বর্ণ ও ভাষাগত সম্প্রদায়ের প্রতি গভীর সমবেদনা ও সহমর্মিতা জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, যুগে যুগে মানুষ বিভিন্ন দেশের স্বৈরশাসক, নিষ্ঠুর একনায়ক এবং একদলীয় শাসনের দ্বারা মানুষ নির্যাতিত হয়েছে এবং এখনও হচ্ছে। এখনও বিশ্বব্যাপী কোন না কোন অঞ্চলে ভাষা, বর্ণ, জাতি ও সম্প্রদায় নিয়ে চলছে হিংসা-যুদ্ধ। বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে সংখ্যাগুরুরা সংখ্যালঘুদের ওপর চালাচ্ছে অমানবিক নির্যাতন। রাজনৈতিক ভিন্ন মতের মানুষদের নিশ্চিহ্ন করতে অসহিষ্ণু স্বৈরশাসক কিংবা হিংসাকাতর অগণতান্ত্রিক দল চালাচ্ছে নির্দয় অত্যাচার।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করে অবৈধ শাসকগোষ্ঠী জনগণের ওপর এখন ফ্যাসিবাদী জুলুম চালাচ্ছে। আর এক্ষেত্রে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের কারণে গুম, কথিত বন্দুক যুদ্ধে হত্যা, শারীরিক নির্যাতনে মৃত্যুর শিকার হচ্ছে অসংখ্য মানুষ। যেহেতু জনগণের নিকট সরকারের কোন জবাবদিহিতা নেই, সেহেতু গণতান্ত্রিক সকল প্রতিষ্ঠানকে হাতের মুঠোয় নিয়ে একদলীয় অপশাসনের জগদ্দল পাথর জনগণের বুকের ওপর চাপিয়ে দেয়া হয়েছে। গণমাধ্যমকে হুমকি ও ভয় দেখিয়ে এবং নির্যাতন করে কব্জা করার অপচেষ্টা চলছে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘গণতন্ত্রের মা’ বিএনপি চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে সম্পূর্ণ অসত্য ও বানোয়াট মামলায় প্রতিহিংসামূলক সাজা দিয়ে বন্দী অবস্থায় রাখা হয়েছে। কারাবন্দী অবস্থায় সুচিকিৎসার অভাবে তাঁর জীবনকে সংকটাপন্ন করে তোলা হয়েছে। বিদ্যমান নৈরাজ্যের অমানিশা আমাদের দুরীভূত করতেই হবে। আমি নির্যাতিতদের সমর্থনে জাতিসংঘ ঘোষিত আন্তর্জাতিক দিবসে দেশের গণতন্ত্রকামী জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সকল নির্যাতনের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহবান জানাচ্ছি। হেফাজতে নির্যাতন ও মৃত্যু বন্ধ করতে হবে। ভুক্তভোগী পরিবারের জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে হবে, তাদের নিরাপত্তার সুরক্ষা দিতে হবে। বিদ্যমান দায়হীনতা ও বিচারহীনতার অপসংস্কৃতি বন্ধ করতে হবে। ###
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
গবিসাসের নতুন সভাপতি সানজিদা, সম্পাদক ইভা
গাজীপুরের শ্রীপুরে কারখানার গুদামে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৭ ইউনিট
খুবির উৎকর্ষ সাধনে পাশে থাকবে ইরান
বঙ্গবন্ধু রেলসেতুর নাম বদলে হলো ‘যমুনা রেলসেতু’
মানিকগঞ্জ-২ আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণের দাবি হরিরামপুর-শিবালয়বাসীর
গোয়ালন্দে সুইট হাট জাতের মিষ্টি কুমড়া চাষে আগ্রহ বেড়েছে কৃষকদের
হঠাৎ কেন দোয়া চাইলেন অভিনেত্রী নুসরাত ফারিয়া!
শিক্ষক নিয়োগে অনিয়ম পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে পঙ্গু করে ফেলছে : শিক্ষা উপদেষ্টা
এবার ৯৭ বলে অপরাজিত ২০১ রিজভির
উপদেষ্টা হাসান আরিফের মৃত্যুতে সোমবার রাষ্ট্রীয় শোক
বাংলাদেশী রোগী পেতে সীমান্ত পর্যন্ত মেট্রো চালু করবে ভারত, সমালোচনার ঝড়
ফ্রান্সের নতুন প্রধানমন্ত্রী ফ্রাঁসোয়া বাইরুকে নিয়ে জনগণের অসন্তোষ
ইসরায়েলে হামলার জবাবে এবার ইয়েমেনে বিমান হামলা চালাল যুক্তরাষ্ট্র
কাপ্তাই লেকে জেগে ওঠা ভাসামান তীরে সবুজ ফসলের সমারোহ
বেনাপোলে ভারতগামী পাসপোর্ট যাত্রীর টাকা ছিনতাই, ৩ দালাল আটক
ভাতা বৃদ্ধির দাবিতে শাহবাগ অবরোধ করলেন বিএসএমএমইউয়ের চিকিৎসকরা
বাধা না থাকলেও গণহত্যাকারী ফ্যাসিবাদকে মানুষ নির্বাচনে আসতে দেবে না : আখতার হোসেন
সালথায় প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে চলছে ডাকাতির নাটক, বিব্রত পুলিশ!
শিল্পকলায় শুরু হয়েছে মাসব্যাপী ভাস্কর্য প্রদর্শনী
এনআইডির তথ্য বেহাত, কম্পিউটার কাউন্সিলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করলো ইসি