কাঁচা মরিচের বিশ্ব রেকর্ড
০১ জুলাই ২০২৩, ১১:০৮ পিএম | আপডেট: ০২ জুলাই ২০২৩, ১২:০০ এএম
ক্রেতারা কাঁচা মরিচ কেনেন ঝাঁঝ দেখে। যে মরিচের ঝাঁঝ বেশি ক্রেতাদের কাছে সেই মরিচের কদর বেশি। তবে মরিচে ঝাঁঝ নয়, কাঁচা মরিচের ঝাঁঝ সবকিছুকে ছাড়িয়ে গেছে। সারাদেশের এলাকা ভেদে কাঁচা মরিচ ৬শ থেকে ৮শ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। কোথাও কোথাও মরিচের দাম হাজার টাকাও উঠেছে বলে গণমাধ্যমে খবর বের হয়েছে। কাঁচা মরিচের আতুর ঘর খ্যাত পাবনায় প্রতি কেজি মরিচ ৭শ থেকে ৮শ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। বরিশালে এই মরিচের কেজি ৬শ টাকার বেশি। ঝিনাইদহে এই দাম হাজার টাকায় উঠেছে। ক্রেতাদের কেউ কেউ বলছেন, কাঁচা মরিচ দামে বিশ্ব রেকর্ড করেছে। কাঁচা মরিচের দাম নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে নেটিজেনরা নানা মন্তব্য করছেন। কেউ কেউ লিখেছেন গত ৫০ বছরে কাঁচা মরিচের দাম এতো বেশি হয়নি। এই মরিচ দামে বিশ্ব রেকর্ড গড়েছে। কেউ লিখেছেন কাঁচা মরিচের বদলে তরকারিতে কি দিতে হবে তা নেতাদের মুখে শোনার জন্য অপেক্ষা করছেন।
বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন মো. আল-আমিন। ঈদে ছুটি না পাওয়ায় ঢাকাতেই রয়ে গেছেন। নিজে রান্না করে খাওয়ার জন্য ভ্যান থেকে একশ’ গ্রাম কাঁচামরিচ কিনেছেন ৫০ টাকা দিয়ে। তবে একই মরিচ পাশের বাজারের দোকানে বিক্রি হচ্ছে ৬০০ টাকা কেজি দরে। ১০ দিনের ব্যবধানে কাঁচামরিচের দাম কয়েক গুণ বৃদ্ধি নিয়ে আক্ষেপ করে তিনি ফেসবুকে একটি পোস্টও দিয়েছেন। আল-আমীনের মতো অনেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কাঁচামরিচের এই অস্বাভাবিক দাম বৃদ্ধি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন। একইসঙ্গে প্রশ্ন তুলেছেন- নিত্যপ্রয়োজনীয় এই পণ্যের দামে লাগাম পরবে কবে। ভোক্তারা বলছেন, কয়েক দিন আগে সরকারের তরফ থেকে কাঁচামরিচ আমদানির কথা বলা হয়। আমদানির অনুমতি দেয়ার সেই খবরে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে আশ্বাস দেয়া হয় যে দ্রুতই কাঁচামরিচের কেজি ৬০ থেকে ৮০ টাকায় নেমে আসবে। তাহলে কখন এই পণ্য আমদানি হবে আর দামই বা কমবে কবে।
ভোক্তা আল-আমীন বলেন, ‘ঢাকা উদ্যান বাজারে দোকানে ৬০০ টাকা কেজি কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে। আগুন দামের কারণে অনেকেই ১০০ গ্রামের বেশি কিনছেন না। কেউ কেউ আরও কম নেয়ার চেষ্টা করছেন। আবার বিক্রেতারা ১০০ গ্রামের কম বিক্রি করতে নারাজ। ‘তবে বাজার থেকে বের হয়ে মাত্র ২০ গজ দূরেই ভ্যানে ৪০০ টাকা কেজি কাঁচামরিচ বিক্রি করছেন এক সবজি বিক্রেতা। ৪০ টাকায় প্রতি ১০০ গ্রাম বিক্রি করছেন তিনি।’ দোকানিদের বরাতে তিনি বলেন, ‘বাজারে কাঁচামরিচ নেই। যা আছে সেগুলোর কেনা দাম অনেক বেশি। খুচরা বিক্রেতাদের বেশি দামে কিনে আনতে হচ্ছে। আগে ১০ টাকায় যে মরিচ পাওয়া যেত বর্তমানে সেটুকু মরিচের দাম এখন ৬০ টাকা।’
মোহাম্মদপুর বসিলা বাজারের সবজি বিক্রেতা মো. সালাউদ্দিন বলেন, ‘কেরানীগঞ্জের কলাতিয়া থেকে ২ হাজার ২০০ টাকা দিয়ে এক পাল্লা (পাঁচ কেজি) মরিচ কিনেছি। পাইকারি বাজারে দুই হাজার থেকে ২ হাজার ৩০০ টাকা দামের মোট চার ধরনের কাঁচামরিচ পাওয়া যায়। আমি বিক্রি করছি ৫২০ টাকা কেজি।’
একই বাজারের সবজি বিক্রেতা সজিব সরকার বলেন, ‘সকালে কারওয়ান বাজারে গিয়ে প্রথমে কাঁচামরিচের দাম শুনলাম ২ হাজার ৫০০ টাকা পাল্লা। পরে অনেকে ২ হাজার ২০০ টাকা পাল্লা বিক্রি করেছে। একদিন আগের মরিচ বিক্রি হয়েছে ১ হাজার ৮০০ থেকে ২ হাজার টাকা পাল্লা। তাছাড়া চাহিদার উপরে দাম আকাশ-পাতাল হয়ে যায়। বৃষ্টির কারণে মরিচ গাছ মরে যায়। বর্ষায় মরিচের আমদানি কম। চাহিদা বেশি। তাই দাম বেড়েছে।’ তিনি বলেন, ‘আমার কাছে ঈদের আগে কেনা কাঁচামরিচ আছে। ৮০ টাকা, ১০০ টাকা পোয়া দিলেই বিক্রি করে ফেলছি। আবার নতুন মরিচ বিক্রি করতেছি ৬০০ টাকা কেজি দরে। ভ্যানে অনেকে সময় কিছুটা কম বিক্রি করে। তাছাড়া ঢাকার অনেক জায়গায় ৭০০ টাকা কেজি দরেও কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে।’
এই বাজারে মরিচ কিনতে আসা মো. জুবায়ের বলেন, ‘ঈদের সময় এখন। বাসায় মেহমান। রান্না বেশি করতে কাঁচামরিচ বেশি লাগছে। এদিকে কাঁচামরিচ আড়াইশ’ গ্রামের দাম ১৪০ টাকা। আরেক দোকানে চাইলো ১৩০ টাকা। কয়েক দিনের ব্যবধানে এভাবে কয়েক গুণ দাম বেড়ে যাওয়ায় বিপদে আছি। অথচ কাঁচামরিচ ছাড়া তো চলে না।’
আরেক ক্রেতা রবিউল ইসলাম বলেন, ‘এক সপ্তাহ আগে কারওয়ান বাজারের খুচরা মার্কেট থেকে হাফ কেজি কাঁচামরিচ কিনেছিলাম ৮০ টাকা দিয়ে। এলাকায় তখন ছিল ২০০ টাকা কেজি। আজকে কিনলাম ৫৬০ টাকা দরে।’
সবজির দামেও প্রভাব : শুধু কাঁচামরিচ নয়, সবজির দামও চড়া। বসিলা বাজারে পটল ৫০, করোলা ১০০, কাকরোল ৮০, পেঁপে ৫০, ঢেঁড়স ৫০, লাউ ৫০, টমেটো ১৮০, ঝিঙ্গা ৫০, চিচিঙ্গা ৫০, শশা ৫০ ও বরবটি ৮০ কেজি বিক্রি হচ্ছে। এর বাইরে ভর মৌসুমেও লেবুর হালি হঠাৎ করে ২০ টাকা হয়ে গেছে।
বিক্রেতারা বলছেন, ঈদের কারণে বাজারে সবজির সরবরাহ কম। এজন্য দাম বেড়েছে। তবে দুই-একদিনের মধ্যেই সরবরাহ স্বাভাবিক হলে দামও কিছুটা কমে আসবে।
প্রতিকেজি কাঁচা মরিচ সিলেটে ১০০০, বরিশালে ৮০০, মানিকগঞ্জে ৬০০, গফরগাঁওয়ে ৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে
সিলেট ব্যুরো জানায়, সিলেটের খুচরা বাজারে কাঁচা মরিচের কেজি ১০০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে পাইকারি বাজারে কেজিতে ৬০০-৭০০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে কাঁচা মরিচ। হঠাৎ কাঁচা মরিচের দাম বেড়ে যাওয়ায় ক্ষুব্ধ ক্রেতারা।
সিলেটের বিভিন্ন বাজার ঘুরে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সপ্তাহখানেক ধরে কাঁচা মরিচের দাম বাড়ছে। এর মধ্যে ঈদেও আগের দিন থেকে খুচরা বাজারে কাঁচা মরিচের কেজি ১ হাজার টাকায় পৌঁছায়। ১০ দিন আগেও ১২০ থেকে ১৫০ টাকায় কাঁচা মরিচের কেজি বিক্রি হয়েছিল। এরপর দাম বাড়তে শুরু করে। এ কারণে ক্রেতারা কাঁচা মরিচ কেনা কমিয়ে দিয়েছেন। আগে যেখানে ক্রেতারা কেজি পরিমাণে কিনতেন, সেখানে ২০০ গ্রাম কিংবা ১০০ গ্রাম কিনছেন এখন। এ ছাড়া ভাসমান সবজির ব্যবসায়ীরা ৫০ গ্রাম থেকে ২০ গ্রাম করেও কাঁচা মরিচ বিক্রি করছেন।
নগরীর জল্লারপাড় এলাকায় ভাসমান সবজি ব্যবসায়ী কয়েছ মিয়া বলেন, পাইকারি বাজার থেকে এনে তারা বিভিন্ন পাড়া-মহল্লা ও ফুটপাতে সবজি বিক্রি করেন। কাঁচা মরিচের কেজি তিনি ১০০০ টাকায় বিক্রি করছেন। এতে আগে ক্রেতারা আধা কেজি পরিমাণে কিনলেও এখন কেউ ১০-২০ গ্রাম আবার কেউ ১০০ গ্রাম কিনছেন।
বাজারে কাঁচা মরিচ কিনতে গিয়ে দাম শুনে হতভম্ব হয়েছেন জানিয়ে ভাতালিয়া এলাকার বাসিন্দা মিজানুর রহমান বলেন, এক সপ্তাহ আগেও এক কেজি কাঁচা মরিচ তিনি নিয়ে গেছেন ১৫০ টাকায়। কিন্তু এখন হঠাৎ অস্বাভাবিকভাবে দাম বেড়ে যাওয়ায় ২০০ গ্রাম কিনেছেন।
তিনি বলেন, মনে হচ্ছে, কোরবানির বাজারকে টার্গেট করে ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করছেন। প্রতিবছর রোজার ঈদে কাঁচা মরিচসহ অন্যান্য সবজির দাম বাড়ে। কিন্তু এবার বেড়েছে কোরবানির ঈদে।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, কাঁচা মরিচ সিলেটে চাষাবাদ হয় না। এখানকার বাজারে যে কাঁচা মরিচ পাওয়া যায়, সবই সিলেটের বাইরে থেকে আড়তে নিয়ে আসা হয়। বেশির ভাগ মরিচ আসে বগুড়া থেকে। বর্তমানে সেখানে দাম বেড়ে যাওয়ায় প্রভাব পড়েছে সিলেটের বাজারে।
বরিশাল ব্যুরো জানায়, বরিশালের বাজারে কাঁচা মরিচ এখন সোনার হরিণ। গতকাল শনিবার এক কেজি কাঁচা মরিচ বিক্রি হয়েছে ৮শ’ টাকা কেজিতে। ঈদের আগের দিনও এ কৃষি পণ্য ৪শ’ থেকে সাড়ে ৪শ’ টাকা কেজিতে বিক্রি হতে দেখা গেলেও ঈদের ছুটির পাশাপাশি চাহিদা বৃদ্ধির কারণে যেসব ব্যবসায়ীর কাছে বাঙালী খাবারের অন্যতম এ অনুষঙ্গ মজুত ছিল, তারা এর ফয়দা লুটছেন ষোল আনা।
গতকাল শনিবার সকালে নগরীর নবগ্রাম রোড-চৌমহনী কাঁচা বাজারের বিক্রেতারা ৮শ’ টাকা কেজিতে কাঁচা মরিচ বিক্রি করেছেন।
খুচরা বিক্রেতাদের মতে, বৃষ্টির অভাবের পরে দেশের পশ্চিমাঞ্চলের কয়েকটি এলাকায় আকষ্মিক অতি বর্ষণে এবার মরিচের আবাদ ও উৎপাদন হ্রাসের ফলে বাজারে এ কৃষিপণ্যের ঘাটতি ছিল। ফলে দামও বেড়েছে। তবে তা কোনো মতেই ১শ টাকার বেশি হবার কথা নয় বলে দাবি পাইকারী ও খুচরা ব্যবসায়ীদের।
কিন্তু ঈদের সপ্তাহখানেক আগে থেকেই বরিশালসহ দক্ষিণাঞ্চলে কাঁচা মরিচের ঝাঁজ শতের গন্ডি পেরিয়ে ক্রমশ ওপরে উঠতে শুরু করে। সর্বশেষে ঈদের আগেরদিন পর্যন্ত তা ৪শ’-সাড়ে ৪শ’ টাকায় থামলেও গতকাল শনিবারে তা ৮শ’ টা ছুতে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ ছিল সব বর্ণনার বাইরে।
তবে শনিবার খুচরা বাজারে কাঁচা মরিচ কিনতে এসে হতাশ ও বিরক্ত অনেকে এমন কথাও বলেছেন যে, ‘এ দেশে অনেক অসম্ভবও সম্ভব’। আবার অনেকে এমন মন্তব্যও করেছেন যে, ‘কাঁচা মরিচ না খেলে তো আর মারা যাব না, তাই আপতত কিনছি না’।
মানিকগঞ্জ জেলা সংবাদদাতা জানান, ঈদ শেষে হঠাৎ করে মানিকগঞ্জের বিভিন্ন হাট-বাজারে কাঁচামরিচের দাম আকাশচুম্বী হয়ে পড়েছে। গত তিন চারদিন আগে বাজারে যে কাঁচা মরিচ বিক্রি হয়েছে প্রতি কেজি ২শ’ থেকে ৩শ’ টাকায়। ঈদের আগের দিন ৪শ’ টাকায় বিক্রি হলেও সেটি একলাফে বেড়ে ৬শ’ টাকা কেজি দামে বিক্রি হচ্ছে। এতে করে বিপাকে পড়েছে নিম্ন আয়ের মানুষেরা।
গতকাল শনিবার সিংগাইর পৌর বাজারসহ বিভিন্ন হাট-বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতিকেজি কাঁচা মরিচ সাড়ে ৪শ’ থেকে ৬শ’ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মানুষ উপায়ান্ত না পেয়ে পরিমাণের চেয়েও কম ক্রয় করছেন। এছাড়া কেউ মূল্য বেশি হওয়ায় ২৫০ গ্রাম মরিচ ১৫০ টাকা দামে ক্রয় করছে। এ সময় দামের ঊর্ধ্বগতি নিয়ে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে তর্ক-বির্তক করতে দেখা গেছে।
জানা গেছে, বর্ষা মৌসুমে কাঁচা মরিচ আবাদ করা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। সাধারণত এ সময়টা আবহাওয়ার বিরূপ আচরণ সৃষ্টি হয়। গত সপ্তাহের আগ পর্যন্ত মরিচের উৎপাদন ভালোই ছিল। হঠাৎ করে পানি বৃদ্ধিসহ খড়া ও বৃষ্টির কারণে মরিচ ক্ষেত নষ্ট হওয়ায় মরিচের আমদানি কম। এছাড়াও বাহির থেকে মরিচ না আসায় এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ীরা দাম বাড়িয়ে দেয়। গত দুই সপ্তাহ আগে যার ফলে বাজারে চাহিদা কম থাকায় ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি দরে কাঁচা মরিচ বিক্রি করছিল।
কিন্তু সম্প্রতি অতি খরা ও মাঝে মধ্যে অতিবর্ষণ হচ্ছে। বিদ্যমান পরিস্থিতিতে মরিচের গাছ শুকিয়ে কমে যাচ্ছে উৎপাদন ক্ষমতা। যার কারণে হাটবাজারে কাঁচা মরিচের আমদানি কম থাকায় এর চাহিদা বেড়েছে অনেকটাই। ফলে মরিচের কেজির বদলে গ্রামে বিক্রি হচ্ছে। ২৫০ গ্রাম মরিচ ১৫০ টায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি মরিচের দাম এখন ৬শ’ টাকা।
সিংগাইর পৌর বাজারে আসা আমেনা বেগম জানান, মরিচ কিনতে গিয়ে দেখি ৬শ’ টাকা কেজি, দাম অনেক বেশি তাই কিনতে পারলাম না।
ব্যবসায়ী পিয়ার আলী বলেন, আড়তে বেশি দাম দিয়ে কাঁচা মরিচ কিনতে হচ্ছে। তাছাড়া ঈদে মোকাম বন্ধ মরিচ পঁচে যায়, এ জন্য খুচরা বাজারে এর প্রভাব পড়েছে।
বাজারে মরিচ কিনতে আসা আতাউর রহমান ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, একদিকে কমেছে আয়-রোজগার। অন্যদিকে কাঁচা মরিচসহ বেড়েছে নিত্যপণ্যের দাম।
গফরগাঁও (ময়মনসিংহ) উপজেলা সংবাদদাতা জানান, ময়মনসিংহের গফরগাঁও পৌর শহরের প্রধানহাট সালটিয়া নতুন বাজারে কাঁচা মরিচ ব্যবসায়ীরা এখন চড়া দামে বিক্রি করছে। গতকাল শনিবার নতুন বাজারে দিনভর প্রতিকেজি কাঁচা মরিচ এখন ৭শত টাকা থেকে ৮শত দামে বিক্রি হয়েছে।
জানা গেছে, এক শ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ীরা ক্রেতাদেরকে জিম্মি করে হঠাৎ কাঁচা মরিচের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। যেখানে গত সাতদিন আগেও উপজেলা সদরসহ ১৫টি ইউনিয়নের হাট বাজারে প্রতিকেজি বিক্রি হয়েছিল ১শত টাকা থেকে ৯০টাকা। পাইকারিভাবে প্রতিকেজি কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৬শত টাকা থেকে ৭শত টাকা।
গফরগাঁও মধ্য বাজারে পাট মহলের মোড়ের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মো. ইন্তু মহাজন জানান , গত কয়েক বছরের মধ্যে কাঁচা মরিচের দাম এভাবে বাড়েনি। নিম্ন শ্রেণীর ক্রেতারা কাঁচা মরিচ ক্রয় সাহস করছে না। অনেকেই মনে করেন অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া দরকার। তাহলেই কাঁচা মরিচের দাম নিয়ন্ত্রণে চলে আসতে পারে। প্রশাসনের সহযোগিতা বাজার মনিটরিং করা দরকার।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
যমুনার ভাঙনের মুখে আলোকদিয়াবাসীর বসতবাড়ি ও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা
কুষ্টিয়া চিনিকলসহ দেশের ৬ চিনিকল চালু হওয়ায় ভারতের দম্ভ খতম!
নোবিপ্রবির সঙ্গে নেদারল্যান্ডের ইউট্রিচ বিশ্ববিদ্যালয়ের চুক্তি স্বাক্ষর
৯ দফা দাবীতে নওগাঁয় পুলিশ সুপারের কার্যালরে সামনে শিক্ষার্থীদের অবস্থান
এলজিইডির এক প্রকল্পে ৪০ কোটি ডলার ঋণ দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক
আবাসিক হোটেলের নামে মাদকের আড্ডা
নোয়াখালীতে মসজিদের ইমাম ও খতিবকে বিদায়ী সংবর্ধনা
খুলনাকে বিদায় করে ফাইনালে মেট্রো
কালিয়াকৈরে চাঁদাবাজের হামলায় চাঁদাবাজ কালামের মৃত্যু
বিরল উপজেলা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত
সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত- ১
কামালপুর সড়কের ব্রিজ ভেঙ্গে মরণফাঁদ চরম দুর্ভোগে পথচারীরা
মেয়েদের ক্রিকেটে যুক্ত হলো যেসব সুযোগ-সুবিধা
বাড়ছে শীতের প্রকোপ, সাধারণের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় করণীয়
জকিগঞ্জে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে হামলার অভিযোগে যুবলীগ নেতা গ্রেফতার
খালিশপুরে শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন
যুব এশিয়া কাপজয়ীরা পাচ্ছেন আর্থিক পুরস্কার
আদমদিঘীতে বিএনপি কার্যালয় উদ্বোধন
রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ নিয়ে যা জানালেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
গোপালগঞ্জে বিএনপির বহিস্কৃত ও আ. লীগ কর্মীদের নিয়ে বিএনপির ২ জেলা কার্যালয়