সরকারের সময় নির্ধারণের মির্জা ফখরুল কে
০৪ জুলাই ২০২৩, ১১:৪২ পিএম | আপডেট: ০৫ জুলাই ২০২৩, ১২:০০ এএম
সরকারের সময় শেষ বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের দেওয়া এমন বক্তব্য নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি প্রশ্ন রেখে বলেছেন, সরকারের সময় নির্ধারণ করে দেওয়ার তিনি (মির্জা ফখরুল) কে? গতকাল মঙ্গলবার দলের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিষ্টার বিপ্লব বড়–য়ার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এমন মন্তব্য করেন। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে ওই বিবৃতি পাঠানো হয়।
ওবায়দুল কাদের দাবি করে বলেন, ‘সময় আর নেই, সরকারের সময় শেষ’-এই শিরোনামে দেওয়া মির্জা ফখরুলের বক্তব্য শুধু অসাংবিধানিকই নয়, রাষ্ট্রদ্রোহিতামূলকও বটে।
বিএনপির সমালোচনা করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি ঐতিহ্যগতভাবে গণতন্ত্র বিরোধী ও ষড়যন্ত্র নির্ভর রাজনৈতিক দল। তারা অসাংবিধানিক পন্থায় ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে ক্ষমতা দখলের পাঁয়তারা চালায়।
ওবায়দুল কাদের বলেন, গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারের মেয়াদ বা সময়সীমা নির্ধারণের এখতিয়ার মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বা বিএনপির নেই। সরকারের সময় নির্ধারণ করে দেওয়ার তিনি কে?
তিনি আরো বলেন, জনগণ ভোট দিয়ে শেখ হাসিনার সরকারকে সংবিধান অনুযায়ী নির্দিষ্ট মেয়াদে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব প্রদান করেছে। সাংবিধানিক বিধান অনুযায়ী নির্ধারিত মেয়াদ শেষে গণতান্ত্রিক পন্থায় নির্বাচনের মধ্য দিয়ে সরকার পরিবর্তন হবে।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক দাবি করে বলেন, ক্ষমতা দখলে বেপোয়ারা বিএনপি বিদেশি প্রভুদের করুণা লাভের আশায় মিলিয়ন ডলার খরচ করে লবিস্ট ফার্ম নিয়োগ করেছে। তাদের বিদেশী প্রভুরা নির্বাচন নিয়ে কী বলবে সে দিকে তারা মুখিয়ে থাকে। ক্রমাগতভাবে জনগণ দ্বারা প্রত্যাখ্যাত হয়ে দেশের জনগণের উপর বিএনপি বিশ^াস হারিয়েছে। বিদেশি প্রভুদের দ্বারা মদদপুষ্ট হয়ে তারা তাদের রাজনৈতিক কর্মসূচী নির্ধারণ করছে। ফলে বিএনপি কখনোই জনকল্যাণের নীতি গ্রহণ করতে পারেনি এবং জনগণও তাদের আহ্বানে সাড়া দেয়নি।
বিএনপির আমলকে বাংলাদেশের অন্ধকারময় সময় উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি নেতাদের মুখে গণতন্ত্রের কথা শোভা পায় না। বিএনপি ক্ষমতায় এসে এদেশের গণতন্ত্রকে নস্যাৎ করেছিল, ভোট চুরির নিকৃষ্টতম উদাহরণ সৃষ্টি করেছিল। বিএনপি আমলে পরিচালিত অপশাসন ও দুর্নীতির কথা দেশবাসী ভুলে যায়নি। বাংলাদেশের জনগণ সেই অন্ধকারময় সময়ে ফিরে যেতে চায় না।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, দেশের জনগণ তাদের উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির জন্য বার বার জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বকে নিরাপদ মনে করেছে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পরিচালিত সরকার সর্বদা জনকল্যাণের নীতিকে প্রাধান্য দিয়ে সময়োপযোগী পদক্ষেপ গ্রহণ করে আসছে। উন্নয়ন অগ্রগতির এই ধারা অব্যাহত রাখতে আগামী নির্বাচনেও বাংলাদেশের জনগণ পুনরায় আওয়ামী লীগের পক্ষে রায় দেবে, ইনশাল্লাহ্।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
প্লটবঞ্চিত পূর্বাচলের আদিবাসিন্দাদের ৩শ’ ফুট সড়কে অবস্থান : বিক্ষোভ অব্যাহত
দেশে সংস্কার ও জবাবদিহি প্রতিষ্ঠার আহ্বান
ছাত্রলীগের হামলার শিকার শিক্ষার্থীদের মামলা করতে বললেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ
উম্মাহর কল্যাণে মুসলমানদের ঐক্যের বিকল্প নেই
বৈরুতে ইসরাইলি হামলায় হিজবুল্লাহর শীর্ষ কমান্ডারসহ নিহত ১৪
পুলিশের লুট হওয়া অস্ত্র অপরাধে ব্যবহারের আশঙ্কা
মস্কোয় হামলার উপযুক্ত ক্ষেপণাস্ত্র কিয়েভে পাঠাবে না জার্মানি
জিয়ার ভূমিকাকে অবহেলা করায় পাহাড়ে সমস্যা হচ্ছে : জামায়াত নেতা শাহজাহান চৌধুরী
মানুষের প্রত্যাশা পূরণ করতে ঐক্যবদ্ধ থাকার কোনো বিকল্প নেই: তারেক রহমান
বিচার বিভাগে দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা প্রধান বিচারপতির
একদিনে ৮৪৩ জনের ডেঙ্গু শনাক্ত, মৃত্যু ১
কুষ্টিয়ায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে সুগার মিলের নিরাপত্তা প্রহরীর মৃত্যু
সাজেক ভ্রমণে আটকা পড়েছেন ৮০০ পর্যটক
‘শুধু সংস্কারে থেমে থাকলেই চলবে না, অর্থনৈতিক মুক্তি অর্জন করতে হবে’ : তারেক রহমান
যে কোনো ষড়যন্ত্রের দাঁতভাঙা জবাব দিতে প্রস্তুত: বিএনপির স্থানীয় কমিটির সদস্য ডা. জাহিদ
ভোলায় ঝড়ের কবলে পড়ে ১০ ট্রলারডুবি, নিখোঁজ ১
ছাত্ররাজনীতিতে গুণগত সংস্কার প্রয়োজন : শিবির সেক্রেটারী
মতলবে ছেলের ইটের আঘাতে মায়ের মৃত্যু : আটক ছেলে
মব জাস্টিসের প্রতিবাদে চবিতে মানববন্ধন
গুলিবিদ্ধ ইলহামের জন্য তারেক রহমানের অনন্য উদ্যোগ