সরকারকে বার্তা দেবে বিএনপি
২৭ জুলাই ২০২৩, ১১:৩৫ পিএম | আপডেট: ২৮ জুলাই ২০২৩, ১২:০১ এএম
জনগণের ভোটের অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবি আদায়ে রাজধানীতে বিরোধী দল ঘোষিত মহাসমাবেশকে ঘিরে বিগত দুই দিন নানা নাটকীয়তা, উত্তেজনা, পুলিশের মহড়া, গ্রেফতারের ঘটনা ঘটেছে। ১০ ডিসেম্বরের মতো এবারও সমাবেশের স্থান নিয়ে জটিলতা, অনিশ্চয়তার পর অবশেষে নয়াপল্টনেই হচ্ছে রাজপথের প্রধান বিরোধী দলের মহাসমাবেশটি। এর আগে ২৭ জুলাই এই কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিলেও পছন্দের স্থান নয়াপল্টন কিংবা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের কোনোটিতেই অনুমতি দেয়নি ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। বরং এবারও ১০ ডিসেম্বরের মতো গোলাপবাগ মাঠে মহাসমাবেশ করার পরামর্শ দেয় ডিএমপি। বিএনপি সেই প্রস্তাবে রাজি না হয়ে কর্মসূচি একদিন পিছিয়ে শুক্রবার করার ঘোষণা দেয়। পরে ২৩টি শর্তে নয়াপল্টনেই মহাসমাবেশ করার অনুমতি দেয় পুলিশ। এদিকে মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে ইতোমধ্যেই রাজনৈতিক অঙ্গনে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। বিএনপির সঙ্গে তালমিলিয়ে একই দিনে রাজধানীর বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেইটে সমাবেশ করবে আওয়ামী লীগের তিন সহযোগী সংগঠন যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগ। অন্যদিকে এক দফা দাবিতে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে সমাবেশ করবে বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনে থাকা ৩৫টি রাজনৈতিক দল। মহাসমাবেশে মানুষের ঢল নামাতে সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিয়েছে বিএনপি। ইতোমধ্যে সারাদেশ থেকে লাখো নেতাকর্মী উপস্থিত হয়েছেন ঢাকায়। ফলে আজ রাজধানী ঢাকা যেমন পরিণত হবে সমাবেশের নগরীতে অন্যদিকে এই সমাবেশ নিয়ে রয়েছে উত্তেজনাও।
বিএনপি সূত্রে জানা যায়, নয়াপল্টনের মহাসমাবেশ থেকে বিএনপি সরকারকে বার্তা দেবে। আসতে পারে পদত্যাগের আল্টিমেটাম কিংবা সচিবালয় ঘেরাওয়ের কর্মসূচি। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আবদুস সালাম বলেন, এই সমাবেশের মধ্য দিয়ে জনগণ এ সরকারকে সিগন্যাল দেবে ক্ষমতা ছাড়। এনাফ ইজ এনাফ। জনগণ এই সরকারকে আর চায় না।
সরকারের পদত্যাগ ও নির্বাচনকালীন নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের এক দফা দাবিতে রাজপথে চূড়ান্ত পর্যায়ের আন্দোলনে বিএনপি নেতৃত্বাধীন সরকারবিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো। গত ১২ জুলাই থেকে এক দফা ঘোষণার পর থেকে ধারাবাহিকভাবে একের পর এক কর্মসূচি নিয়ে মাঠে রয়েছে বিএনপি। দাবি আদায়ে ইতোমধ্যে গত ১৮ ও ১৯ জুলাই রাজধানীসহ সারাদেশের জেলা ও বিভাগীয় শহরে দিনব্যাপী পদযাত্রা করেছে। প্রতিটি কর্মসূচিতেই ঢল নেমেছিল মানুষের। যদিও কর্মসূচিতে বিএনপির ওপর হামলা, মামলা ও গ্রেফতারের ঘটনায় ঘটেছে। হামলায় নিহত হয়েছেন বিএনপির দুইজন কর্মীও। এরপরই ২২ জুলাই সোহরাওয়ার্দী উদ্যান থেকে ২৭ জুলাই ঢাকায় মহাসমাবেশের ঘোষণা দেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। মহাসমাবেশে নেতাকর্মীদের পাশাপাশি বিপুল সংখ্যক মানুষের উপস্থিতি বাড়াতে ব্যাপক প্রস্তুতি নেয় দলটির নেতাকর্মীরা। বিএনপিসহ অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের নিয়ে দফায় দফায় বৈঠক করেছেন শীর্ষ নেতারা। রাজধানীজুড়ে বিতরণ করা হয়েছে লিফলেট। সমাবেশে অংশ নিতে গত মঙ্গলবার থেকেই সারাদেশ থেকে রাজধানীতে আসতে থাকেন বিএনপি নেতাকর্মীরা।
সমাবেশের জন্য নয়াপল্টন কিংবা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের যেকোনো একটিতে অনুমতি চায় বিএনপি। তবে পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয় কর্মদিবসে জনসাধারণের ভোগান্তির কথা বিবেচনা করে নয়াপল্টনে অনুমতি দেয়া যাবে না এবং উচ্চ আদালতের আপত্তির কারণে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানেও অনুমতি দেয়া যাবে না। তবে সায়েদাবাদের পাশে গোলাপবাগ মাঠে মহাসমাবেশ করতে বিএনপিকে পরামর্শ দেয়া হয়। বিএনপি এই প্রস্তাব গ্রহণ না করে গত বুধবার রাতে ঘোষণা করে কর্মসূচিটি একদিন পিছিয়ে দিয়ে ছুটির দিন শুক্রবার করার এবং নির্ধারিত স্থান নয়াপল্টনেই। গতকাল বিকেলে ডিএমপির এক সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক বলেন, ২৩টি শর্তে দুই দলকে সমাবেশের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, বিএনপি কাকরাইলের নাইটিঙ্গেল মোড় থেকে রাজারবাগ মোড় পর্যন্ত সমাবেশ করতে পারবে। এই সীমানার মধ্যেই মাইক স্থাপন করতে পারবে তারা। সমাবেশে ব্যাগ ও লাঠিসোঁটা নিয়ে আসা যাবে না।
এদিকে বিএনপির মহাসমাবেশে অংশগ্রহণ করার জন্য দলের নেতাকর্মীরা সারাদেশ থেকে ঢাকায় প্রবেশ করেছেন। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে নেতাকর্মীরা বাসে, ট্রেনে, লঞ্চে, প্রাইভেট গাড়িতে করে ঢাকায় আসেন। যদিও সমাবেশকে কেন্দ্র করে ঢাকার প্রবেশ পথে চেক পোস্ট, বিভিন্ন হোটেলে এবং সারাদেশে নেতাকর্মীদের বাড়িতে বাড়িতে তল্লাশি করা হয় বলে অভিযোগ করে বিএনপি। এর মধ্যে গত বুধবার রাতে রাজধানীর বিভিন্ন আবাসিক হোটেল, নেতাকর্মীদের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ৫ শতাধিক নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, সারাদেশে পাঁচ শতাধিক (গতকাল দুপুর পর্যন্ত) নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে সরকারের অনুগত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। আমাদের নেতাকর্মীদের হাত পা ভেঙে দেওয়া হচ্ছে। হাতের কব্জি কেটে নেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন জেলায় অনেক নেতা-কর্মীকে ক্ষমতাসীনরা সশস্ত্র আক্রমণ চালিয়ে হত্যা করেছে। তবুও আমরা শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করে আসছি। কোনো ধরনের সহিংসতা আমরা বিশ্বাস করি না। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে বলবোÑ দমননীতি পরিহার করে বিএনপির মহাসমাবেশ কর্মসূচি সফলে সহযোগিতা করবেন।
রিজভী প্রশ্ন রেখে বলেন, নেতাকর্মীরা সমাবেশে অংশ নিতে এসে হোটেলে উঠেছেন, সেখানে রাতের আধারে অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করা হয়েছে। তারা কি কোন অপরাধী, তারা কি এদেশের নাগরিক নয়? তারা কি রাজধানীতে আসতে পারবেন না? নাকি এটা অন্য দেশের রাজধানী, অবৈধভাবে তারা এসেছেন? একটি স্বাধীন দেশের নাগরিক হিসেবে নিজ দেশের রাজধানীতে তারা এসেছেন একটি রাজনৈতিক কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করতে। তাহলে কেন তাদের গ্রেফতার করা হচ্ছে?
তিনি বলেন, বিনা কারণে শুধু ভয় ও আতংক ছড়াতে সরকার আমাদের নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করছে। এটা হলো সরকারের ব্যর্থ প্রচেষ্টা। নেতাকর্মীদের যত গ্রেফতার করবে ততই কিন্তু আন্দোলন বেগবান হবে।
বিএনপি সূত্রে জানা যায়, সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে ঢাকার মহাসমাবেশ থেকে সরকারকে পদত্যাগের আলটিমেটাম দিতে পারে বিএনপি। সেখান থেকে সরকারকে পদত্যাগের জন্য ৪৮ ঘণ্টা সময় বেধে দেয়া হবে। এরপরও পদত্যাগ না করলে সচিবালয় কিংবা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ঘেরাও কর্মসূচি দেয়া হতে পারে। তবে চূড়ান্ত আন্দোলনের কেন্দ্রবিন্দু থাকছে ঢাকা। ঢাকাকে ঘিরেই কর্মসূচি নিয়ে মাঠে থাকবেন দলটির নেতাকর্মীর। প্রতিটি কর্মসূচিই শান্তিপূর্ণভাবে পালনের নির্দেশনা দিয়েছে দলের হাইকমান্ড। কিন্তু যদি সরকার যদি হার্ডলাইনে যায় তাহলে পরিস্থিতি বুঝে ভিন্ন কর্মসূচিতে যাবে বিএনপি। সাম্প্রতিক সময়ে প্রতিটি কর্মসূচি ঘোষণার ক্ষেত্রে কঠোর সতর্কতা ও গোপনীয়তা অবলম্বন করছেন দলটির নেতারা। সকলের সঙ্গে আলোচনার পর শেষ মুহূর্তে জানানো হচ্ছে পরবর্তী কর্মসূচি।
এদিকে ঢাকায় বিএনপির মহাসমাবেশ ঘিরে ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছেন দলটির নেতাকর্মীরা। বিএনপি নেতারা বলছেন, শুক্রবার তারা স্মরণকালের সবচেয়ে বেশি লোকসমাগম ঘটাবেন। শান্তিপূর্ণভাবে মহাসমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। সরকার শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে বাধা সৃষ্টি করলে নেতাকর্মীরা বসে থাকবে না।
জানা গেছে , মহাসমাবেশ সফল করতে ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। দফায় দফায় নয়াপল্টন ও গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে বৈঠক করেন দায়িত্বশীল নেতারা। বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের শীর্ষ নেতারা পৃথকভাবে বিভিন্ন ইউনিটের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করছেন। কারা কোথায় দায়িত্ব পালন করবেন সেই তালিকাও সম্পন্ন হয়েছে। একইসঙ্গে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে আহ্বায়ক ও সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীকে সদস্য সচিব করে মহাসমাবেশের উপ-প্রস্তুতি কমিটি করেছে বিএনপি। সেখানে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপি’র আহ্বায়কদের রাখা হয়েছে। মির্জা আব্বাসের বাসায় ঢাকার বিভিন্ন এলাকার নেতাকর্মীদের নিয়ে প্রস্তুতি সভা হয়েছে। নেতাকর্মীদের নিয়ে আগেভাগেই মহাসমাবেশ স্থলে আসার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা না হওয়া পর্যন্ত স্থান ত্যাগ না করতে নির্দেশনা আসে প্রস্তুতি সভায়। কর্মসূচির বিষয়ে এরইমধ্যে দলীয় প্রধান খালেদা জিয়াকে অবহিত করেছেন মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
মহাসমাবেশে ৫ লাখ লোকের সমাগম ঘটাতে চায় বিএনপি। এজন্য ঢাকা মহানগরকে সর্বোচ্চ সংখ্যক উপস্থিতি নিশ্চিত করতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। কর্মসূচিতে যেন সাধারণ মানুষও স্বত:স্ফূর্তভাবে অংশ নেন এজন্য প্রচারপত্র বিলি, লিফলেট বিতরণ, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারণাও চালানো হয়েছে। এছাড়া ঢাকার বাইরের বিভিন্ন জেলাগুলো থেকেও নেতাকর্মীদের ঢাকার মহাসমাবেশে যোগ দিতে বলা হয়েছে। নির্দেশনা পেয়ে গতকাল বুধবারের মধ্যেই ঢাকার বাইরের বেশিরভাগ নেতাকর্মী ঢাকায় পৌঁছে গেছেন। তবে পথে পথে নেতাকর্মীদের হয়রানি, পুলিশের তল্লাশি ও জিজ্ঞাসার মুখে পড়তে হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন একাধিক নেতা।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, শুক্রবার বন্ধের দিন জুম্মার নামাজের পরে বেলা ২ টায় নয়াপল্টনে মহাসমাবেশ হবে। আমরা মহাসমাবেশকে সাফল্যমন্ডিত করার জন্য ইতোমধ্যে সার্বিক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছি। দলের নেতাকর্মীরা অত্যন্ত উৎসাহ ও উদ্দীপনা সহকারে শান্তিপূর্ণ এই মহাসমাবেশে দলে দলে যোগ দেবেন।
ঢাকার বিভিন্ন মোড়ে চেকপোস্ট বসিয়ে এবং নেতাকর্মীদের বাড়ি ও হোটেলে পুলিশ তল্লাশি এবং আটক করছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, দলের পক্ষ থেকে বারবার শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির কথা বলে হলেও আমাদের প্রায় ৫০০ শতাধিক নেতাকর্মীকে দুই দিনে গ্রেফতার করা হয়েছে। আমি মনে করি সরকারের এই সিদ্ধান্ত অগণতান্ত্রিক এবং নিপীড়নমূলক। তিনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, আটককৃত সকল নেতাকর্মীদের মুক্তি দিন। নয়াপল্টনস্থ বিএনপি’র মহাসমাবেশের নিরাপত্তা বিধানে যথাযথ সহযোগিতা করবেন। আমি আশা করি সমাবেশে আসার পথে জনগণ ও বিএনপি’র নেতাকর্মীদেরকে কোন প্রকার বাধা প্রদান করা হবে না।
দিনভর নয়াপল্টন অবরুদ্ধ-রাতেই উপস্থিত বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী : মহাসমাবেশের স্থান নিয়ে নাটকীয়তার কারণে গত বুধবার সন্ধ্যা থেকেই নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের পাশে মোতায়েন করা হয় বিপুল সংখ্যক পুলিশ। দুই পাশেই রাখায় সাজোয়া যান। গতকাল দিনভরও ছিল একই দৃশ্য।
সরেজমিনে দেখা যায়, কার্যালয়ের প্রবেশ পথের দুই পাশেই পুলিশ অবস্থান নিয়ে ছিলেন। সেখানে কাউকেই জড়ো হতে দেননি। কার্যালয়ে প্রবেশে অনেককেই বাধা দেয়ারও অভিযোগ পাওয়া যায়। গণমাধ্যমকর্মীদের কেউ কেউ ভিডিও করতে গেলে মোবাইল কেড়ে নেয়ার অভিযোগ করেন একাধিক গণমাধ্যমকর্মী। তবে বিকেলে নয়াপল্টনে সমাবেশের অনুমতি দেয়ার পর কিছুটা শিথিল হয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোরতা।
সন্ধ্যার পর থেকেই নয়াপল্টনে আসতে থাকেন বিএনপি নেতাকর্মীরা। রাত ৯ টার দিকে দেখা যায় কেন্দ্রীয় কার্যালয় ঘিরে কয়েক হাজার নেতাকর্মী জমায়েত হন।
যুগপতে থাকা রাজনৈতিক দলগুলোর সমাবেশ: বিএনপির সঙ্গে এক দফার যুগপৎ আন্দোলনে থাকা অন্যান্য ৩৫টি রাজনৈতিক দলও আজ রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে সমাবেশ, বিক্ষোভ করবে। এর মধ্যেÑ লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি-এলডিপি পূর্বপান্থপথস্থ এফডিসি সংলগ্ন এলডিপি কার্যালয়ের সামনে বিকেল ৩ টায়, গণতন্ত্র মঞ্চ মৎস্য ভবনের সামনে বেলা ৩ টায়, ১২ দলীয় জোট বিজয়নগর পানির ট্যাংকির সামনে ৩ টায়, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট বিজয়নগর আলরাজী কমপ্লেক্সের সামনে সকাল ১১ টায়, বাংলাদেশ পার্টি (এবি পার্টি), বাংলাদেশ লেবার পার্টি বিজনয়নগর পানির ট্যাংকির সামনে সাড়ে ৩ টায়, গণঅধিকার পরিষদের একটি অংশ বিজয়নগর কালভার্ট রোডে ও অন্যটি জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে, গণফোরাম ও পিপলস পার্টি মতিঝিলে নটরডেম কলেজের উল্টোদিকে, গণতান্ত্রিক বাম ঐক্য সকাল সাড়ে ১০ টায় প্রেসক্লাবের সামনে, এনডিএম মালিবাগ হোসাফ টাওয়ারের পাশে, সমমনা পেশাজীবী গণতান্ত্রিক জোট জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এবং বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ শাহবাগ মোড়ে মহাসমাবেশ করবে।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
গাবতলীতে আরাফাত রহমান কোকো ফুটবল টুর্নামেন্ট ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সাবেক এমপি লালু
যমুনার ভাঙনের মুখে আলোকদিয়াবাসীর বসতবাড়ি ও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা
নোবিপ্রবির সঙ্গে নেদারল্যান্ডের ইউট্রিচ বিশ্ববিদ্যালয়ের চুক্তি স্বাক্ষর
৯ দফা দাবীতে নওগাঁয় পুলিশ সুপারের কার্যালরে সামনে শিক্ষার্থীদের অবস্থান
এলজিইডির এক প্রকল্পে ৪০ কোটি ডলার ঋণ দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক
আবাসিক হোটেলের নামে মাদকের আড্ডা
নোয়াখালীতে মসজিদের ইমাম ও খতিবকে বিদায়ী সংবর্ধনা
খুলনাকে বিদায় করে ফাইনালে মেট্রো
কালিয়াকৈরে চাঁদাবাজের হামলায় চাঁদাবাজ কালামের মৃত্যু
বিরল উপজেলা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত
সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত- ১
কামালপুর সড়কের ব্রিজ ভেঙ্গে মরণফাঁদ চরম দুর্ভোগে পথচারীরা
মেয়েদের ক্রিকেটে যুক্ত হলো যেসব সুযোগ-সুবিধা
বাড়ছে শীতের প্রকোপ, সাধারণের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় করণীয়
জকিগঞ্জে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে হামলার অভিযোগে যুবলীগ নেতা গ্রেফতার
খালিশপুরে শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন
যুব এশিয়া কাপজয়ীরা পাচ্ছেন আর্থিক পুরস্কার
আদমদিঘীতে বিএনপি কার্যালয় উদ্বোধন
রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ নিয়ে যা জানালেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
গোপালগঞ্জে বিএনপির বহিস্কৃত ও আ. লীগ কর্মীদের নিয়ে বিএনপির ২ জেলা কার্যালয়