সহিংসতায় ভীত গুরুগ্রামের মুসলিম অভিবাসীরা
০২ আগস্ট ২০২৩, ১১:৫৩ পিএম | আপডেট: ০৩ আগস্ট ২০২৩, ১২:০১ এএম
সহিংসতায় ভীত হয়ে অটোরিকশাচালক রহমত আলী পশ্চিমবঙ্গে ফিরে যাওয়ার কথা ভাবছেন। ‘মঙ্গলবার রাতে কিছু লোক মোটরসাইকেলে এসে আমাদের হুমকি দিয়ে গেছে যে, আমরা না গেলে আমাদের বস্তিতে আগুন লাগিয়ে দেবে। রাত থেকে পুলিশ এখানে উপস্থিত রয়েছে, কিন্তু আমার পরিবার ভয় পাচ্ছে এবং আমরা শহর ছেড়ে চলে যাচ্ছি’ বলেছেন আলী, যিনি একটি বস্তিতে বসবাস করেন। তিনি যোগ করেন, ‘পরিস্থিতির উন্নতি হলে আমরা ফিরে আসতে পারি’।
গুরুগ্রামে সাম্প্রদায়িক সহিংসতার পর কিছু মুসলিম অভিবাসী অন্তত কিছু সময়ের জন্য শহর ছেড়ে যাওয়ার কথা ভাবছেন। গত দু’দিনে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের মিছিল এবং গুরুগ্রামে ছড়িয়ে পড়ার চেষ্টাকে কেন্দ্র করে নুহতে যে সংঘর্ষ শুরু হয় তাতে দুই হোম গার্ড এবং মসজিদের একজন ইমামসহ ছয়জন মারা গেছেন। আলীর মতো আরো অনেকে আছেন যারা মিলেনিয়াম সিটি ছেড়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যা সারা দেশ থেকে আসা অনেক অভিবাসী লোকের জীবিকা নির্বাহ করে।
পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা বামিশা খাতুন, যিনি সেখানকার একটি বস্তিতেও থাকেন, তিনি বলেন যে, তিনি তিন বছর আগে কাজের সন্ধানে গুরুগ্রামে এসেছিলেন। গৃহকর্মী হিসেবে কাজ করা খাতুন বলেন, আমি আমার জান-মালের জন্য ভয় পেয়ে নিজ শহরে চলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
আরেক অভিবাসী আহিলা বিবি বলেন, তিনি ঝুঁকি নিতে চান না এবং পরিস্থিতির উন্নতি হলে পরে ফিরে আসবেন। পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা খালিদ বলেন, শহর ছেড়ে যাওয়া ছাড়া তার আর কোনো উপায় নেই।
‘আমরা আমাদের জমির মালিকের সাথে কথা বলেছি যিনি স্পষ্টভাবে বলেছেন যে, সাম্প্রদায়িক উত্তেজনার পরিপ্রেক্ষিতে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার জন্য তিনি দায়ী থাকবেন না। তাই, আমরা আমাদের গ্রামে ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি’ বলেন খালিদ নামের একজন চিত্রশিল্পী।
পুলিশের মতে, বেশ কিছু লোক, যাদের অধিকাংশই মুসলিম সম্প্রদায়ের, ওয়াজিরাবাদ, ঘাটা গ্রাম, সেক্টর ৭০-এ এবং বাদশাহপুরের বস্তিতে বসবাস করেন, তাদের জন্মস্থানে ফিরে যাচ্ছেন।
একজন ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তা স্বীকার করেছেন যে, কিছু অভিবাসী শ্রমিক যারা ড্রাইভার, মালী, রাস্তার ফেরিওয়ালা এবং গৃহকর্মী হিসাবে কাজ করত তারা ভয়ের কারণে তাদের জন্মস্থানে ফিরে যাচ্ছে। তবে গুরুগ্রামে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে বলে জানান তিনি। ‘যেকোনো ধরনের পরিস্থিতি মোকাবেলায় পুরো জেলায় পুলিশ ও আরএএফ মোতায়েন রয়েছে। আমরা জনগণকে গুজব এড়াতে এবং ভয় না করার জন্য আবেদন করেছি’ -অফিসার যোগ করেছেন।
এদিকে, বুধবার প্রধান সবজি বাজারের কাছে গুরুদ্বার রোড থেকে এবং খন্ডসা মান্ডি থেকে অনেক ফলের হকার নিখোঁজ পাওয়া গেছে। গুরুগ্রামের জামে মসজিদের কাছের এলাকাটি সুনসান। ওই এলাকার গোশতের দোকানসহ অধিকাংশ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল। মঙ্গলবার গভীর রাতে একটি গোডাউন এবং একটি দোকানে আগুন দেওয়ার পরে অভিবাসী শ্রমিকরা শহর ছেড়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। ষূত্র : পিটিআই।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
ইত্তিহাদেই সিটিকে রুখে দিল ইন্টার
রোনালদোদের নতুন কোচ পিওলি
দক্ষিণ আফ্রিকাকে গুড়িয়ে আফগানদের ঐতিহাসিক জয়
যেই গৌরব কেবল শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামের
রিট করে ‘খেলাপি ঋণ স্থগিত’ বন্ধ চান ব্যাংক-মালিকরা
বিদেশি ঋণ ফের ১০০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে
টাকা উদ্ধারের নামে ‘ঘুষ’ চাওয়ার অভিযোগ জিএম শাহজাহান চৌধুরীর’র বিরুদ্ধে
জাতীয় ঐক্য বিনষ্টকারী কর্মকান্ড থেকে বিরত থাকতে হবে
৬০ হাজার টন ইউরিয়া সার কিনবে সরকার, ব্যয় ২৩৬ কোটি টাকা
আইকনিক লিডার তারেক রহমান ও বাংলাদেশের রাজনীতি
পতিত স্বৈরাচার ও ভারতের চক্রান্ত চলছেই
তারেক রহমানের রাষ্ট্রনায়কোচিত বক্তব্য ও দিকনির্দেশনা
ইসরাইলের দখলদারিত্ব বন্ধের প্রস্তাব বিবেচনা জাতিসংঘের
উত্তপ্ত মণিপুরে অত্যাধুনিক অস্ত্র দিয়ে নতুন করে গোলাগুলি
২৭ দেশে ছড়িয়ে পড়েছে করোনার নতুন ভ্যারিয়্যান্ট
২০০ হাতি নিধনের সিদ্ধান্ত জিম্বাবুয়ের
কলেরাসহ মারাত্মক রোগের ঝুঁকিতে সুদানের ৩৪ লাখ শিশু
১১ হাজার ফিলিস্তিনি শিক্ষার্থীর প্রাণ গেছে
বেলারুশে হামলা হলে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হবে : লুকাশেঙ্কো
তাইওয়ান প্রণালীতে চীনের যুদ্ধবিমান