ঢাকা   বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ৪ আশ্বিন ১৪৩১
পানিবন্দি ৬ লাখ মানুষ : উদ্ধার ও ত্রাণ তৎপরতায় সেনাবাহিনী

দক্ষিণ চট্টগ্রামে ভয়াল বন্যা

Daily Inqilab শফিউল আলম

০৮ আগস্ট ২০২৩, ১১:০৩ পিএম | আপডেট: ০৯ আগস্ট ২০২৩, ১২:০১ এএম

চট্টগ্রাম-কক্সবাজার-বান্দরবান সড়কে ঢেউ বইছে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন : ডুবে গেছে হাজার হাজার বসতঘর দোকানপাট ফল-ফসল : পাহাড়ি পথে পথে ভ‚মিধস : চুলা জ্বলেনি অনেকেরই ঘরে শুকনো খাবারের সঙ্কট : নদ-নদী-খাল বিপদসীমার ঊর্ধ্বে ফুসছে : বন্দরনগরীতে কাদাপানি-আবর্জনায় জনদুর্ভোগ : অচল জনজীবন : চট্টগ্রামসহ ৪ জেলায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ আজ ও কাল : দুর্গম এলাকায় ত্রাণকাজে বিমান বাহিনীর হেলিকপ্টার
স্মরণকালের ভয়াল বন্যায় ভাসছে দক্ষিণ চট্টগ্রাম-বান্দরবান-কক্সবাজার। টানা অতিবৃষ্টির সাথে পাহাড়ি ঢলের তোড়ে আকস্মিক বন্যা কবলিত হয়েছে বিস্তীর্ণ অঞ্চল। ভারী বর্ষণ ও ঢল-বানের তোড়ে বৃহত্তর চট্টগ্রাম অঞ্চল, কক্সবাজার, তিনটি পার্বত্য জেলা বান্দরবান, রাঙ্গামাটি ও খাগড়াছড়িতে পাহাড়-টিলার পথে পথে অসংখ্য ভূমিধস সৃষ্টি হয়েছে। চট্টগ্রাম-কক্সবাজার-বান্দরবান মহাসড়কের বিভিন্ন জায়গায় ৫ থেকে ১০ ফুট উঁচু ভয়াবহ বন্যার পানির তীব্র স্রোত বয়ে যাচ্ছে। এসব এলাকায় বন্যা ও ভ‚মিধসে সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। দু’দিন ধরে বিদ্যুৎবিহীন ঘোর অন্ধকার ভ‚তুরে অবস্থা বিরাজ করছে সর্বত্র। চরম দুর্দশায় দিনাতিপাত করছে পানিবন্দি অন্তত ৬ লাখ মানুষ। অনেকেই ঠাঁই নিয়েছে নিরাপদ স্থানে অথবা আশ্রয়কেন্দ্রে। নারী-শিশু-বৃদ্ধদের কষ্ট অবর্ণনীয়।

দ্রæতবেগে ঢল-বানের পানিতে চোখের পলকে বাড়িঘর ডুবে যাবার সময় অনেকেই চাল-ডাল, কাপড়-চোপড়সহ জরুরি সামগ্রী হাতে করে নিয়ে আসতে পারেননি। তখন থেকেই খাবার জোটেনি বন্যার্ত অনেকেরই। বানের পানিতে ডুবে গেছে হাজার হাজার বসতঘর, দোকানপাট, স্কুল-মাদরাসা, কলেজ, মসজিদ, রাস্তাঘাট, হাট-বাজার, সরকারি বেসরকারি অফিস-আদালত। হাজার হাজার হেক্টর ধানসহ ফল-ফসলি জমি, সবজি ক্ষেত ডুবে আছে। ভেসে গেছে অসংখ্য পুকুর ও মাছের খামার। সর্বত্র জনজীবন প্রায় অচল। বন্যা, ভূমিধস ও পানিবদ্ধতায় সৃষ্ট দুর্যোগ পরিস্থিতিতে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, বান্দরবান ও খাগড়াছড়ি এই চারটি জেলার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আজ বুধবার ও আগামীকাল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

দুর্যোগপূর্ণ পরিস্থিতি মোকাবিলায় ভ‚মিধস ও বন্যার্ত জনসাধারণকে উদ্ধার ও জরুরি ত্রাণ তৎপরতায় সেনাবাহিনী নামানো হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার সকালে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)-এর বিজ্ঞপ্তিতে চট্টগ্রাম ও বান্দরবানে বন্যা-ভ‚মিধস পরিস্থিতি মোকাবিলায় সেনাবাহিনী মোতায়েনের বিষয়টি জানানো হয়। সেনাবাহিনীর সহায়তায় অতিদ্রæত বন্যা-ভ‚মিধস কবলিত জনসাধারণকে উদ্ধার, জানমাল রক্ষা ও জরুরি ত্রাণ তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। চৌকস সেনাসদস্যগণ ভ‚মিধসে অচল সড়ক রাস্তাঘাটের মাটি-জঞ্জাল, বিধ্বস্ত গাছপালা, কাদাপানি সরিয়ে যোগাযোগ ব্যবস্থা পুনঃচালু করতে সক্রিয় দেখা গেছে।

তাছাড়া বন্যার্ত ও আটকে পড়া লোকজনকে উদ্ধার, নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়া ও শুকনো খাবার, ওষুধ-পথ্যসহ জরুরি ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করছে সেনাবাহিনী। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সিভিল প্রশাসনকে নানাবিধ সহযোগিতাও করছেন সেনাসদস্যরা। বিমান বাহিনীর হেলিকপ্টারযোগে প্রত্যন্ত দূর্গম এলাকায় এবং নৌকাযোগে বানভাসিদের মাঝে জরুরী খাদ্যসহ ত্রাণসামগ্রী পৌঁছে দেয়া হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানায়, সেনাবাহিনীর এই মানবিক সহায়তা অব্যাহত থাকবে।

অতিবৃষ্টি ও ঢলে ফুঁসছে নদী-খাল-ছরা : পুরো মে-জুন-জুলাই মাসজুড়ে স্বাভাবিকের চেয়ে খুবই কম বৃষ্টিপাত হয় চট্টগ্রামসহ সারা দেশে। হঠাৎ আগস্টের শুরুতেই ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ নামে। সোমবার পর্যন্ত মাসের প্রথম সপ্তাহে চট্টগ্রামে ৬৬৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়। যার বেশিরভাগই বর্ষণ হয়েছে দক্ষিণ চট্টগ্রাম ও মূল শহর এলাকায়। অথচ আগস্ট মাসের জলবায়ুর হিসাবে চট্টগ্রামে স্বাভাবিক বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ধরা হয় ৫৩০ থেকে ৫৭০ মি.মি.। অর্থাৎ আগস্টের প্রথম সপ্তাহেই পুরো মাসের চেয়েও বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে। যা ৩৮ বছরের সর্বোচ্চ রেকর্ড।

এহেন অস্বাভাবিক ভারী বর্ষণে চট্টগ্রামের পার্বত্য খরস্রোতা নদ-নদী-খাল-ছরা-বিল একযোগে ফুলে ফুঁসে ওঠে। বন্দরনগরী চট্টগ্রাম তলিয়ে যায়। অতিবৃষ্টি হয় বান্দরবানেও। এর জের না যেতেই স্মরণকালের ভয়াল বন্যার পানিতে সোমবার বিকেল থেকেই দ্রæত ডুবে যেতে থাকে পার্বত্য জেলা বান্দরবান ও সংলগ্ন সাতকানিয়া, কক্সবাজার লোহাগাড়া, চন্দনাইশ, বাঁশখালী উপজেলাসহ সমগ্র দক্ষিণ চট্টগ্রাম। গত চার-পাঁচ দিনের টানা বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে বৃহত্তর চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, বান্দরবান, রাঙ্গামাটি ও খাগড়াছড়ি জেলার অনেক স্থানে ব্যাপক ভ‚মিধসে ইতোমধ্যে যোগাযোগ ব্যবস্থা বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।

পাউবো’র বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র সূত্রে গতকাল বিকেলে সর্বশেষ নদ-নদীর প্রবাহ পরিস্থিতিতে জানা গেছে, দক্ষিণ চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও বান্দরবানে সবক’টি নদ-নদী-খাল বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এরমধ্যে সাঙ্গু নদী বান্দরবানে বিপদসীমার ৩৬৩ ও দোহাজারীতে ৫৪ সেন্টিমিটার ঊর্ধ্বে এবং মাতামুহুরী নদী লামায় ১৯৯ সেমি ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত প্রকৌশলী মেহেদী হাসান জানান, আজ বুধবার থেকে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও বান্দরবানে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে। বৃষ্টিপাত হ্রাস পাওয়ায় এসব এলাকায় নদ-নদীর পানি বিপদসীমায় থাকলেও ক্রমেই নিচের দিকে নামছে।

সেনাবাহিনীর সহায়তা অব্যাহত : অবনতিশীল বন্যা পরিস্থিতি ও ভূমিধস মোকাবিলায় বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা প্রদানের উদ্দেশ্যে চট্টগ্রাম ও বান্দরবান জেলায় সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। গতকাল বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ২৪ পদাতিক ডিভিশন চট্টগ্রামের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সূত্র একথা জানায়। সূত্র আরও জানায়, বান্দরবানে অতি বর্ষণ পাহাড়ি ঢল, ভূমিধস, বন্যা কবলিত এলাকায় সর্বসাধারণের সাহায্যার্থে জরুরি ভিত্তিতে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর হেলিকপ্টারের মাধ্যমে ত্রাণ সামগ্রী পাঠানো হয়েছে। তাতে প্রাথমিকভাবে বিশুদ্ধ পানি, শুকনো খাবার, চিড়া-মুড়ি-গুঁড়, খেজুর, জীবনরক্ষাকারী ওষুধ, খাবার স্যালাইন, পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট ইত্যাদি জরুরি ভিত্তিতে পাঠানো হয়েছে।

এছাড়া চট্টগ্রাম শহরের সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলা, চট্টগ্রামের সাথে কক্সবাজার ও বান্দরবানের যোগাযোগ পুনঃ:স্থাপন, বিভিন্ন স্থানে গাছপালা, বিদ্যুতের খুঁটি পড়ে বন্ধ হয়ে যাওয়া রাস্তাঘাট সড়কে যোগাযোগ ব্যবস্থা পুনঃস্থাপন, চিকিৎসাসেবায় মেডিকেল টিম,অ্যাম্বুুলেন্স প্রস্তুত রাখা হয়েছে। বন্যা পরিস্থিতির সার্বিক উন্নতি, পাহাড়মধস ও পাহাড়ি ঢল কবলিত মানুষের সহায়তায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর এ সাহায্য তৎপরতা অব্যাহত থাকবে।

সাতকানিয়া, লোহাগাড়া, চন্দনাইশ, বাঁশখালীসহ সমগ্র দক্ষিণ চট্টগ্রামে অতিবৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে গতকাল পর্যন্ত বন্যা পরিস্থিতির অবনতি এবং স্মরণকালের ভয়াল রূপ নেয়। হাজার হাজার বসতঘর ডুবে থাকায় অসংখ্য বানভাসি মানুষ নিরাপদ স্থানে, আশ্রয়কেন্দ্রে ঠাঁই নিয়েছে। গত দুই রাত তারা নির্ঘুম অতিবাহিত করে। শত শত গবাদিপশু নিয়ে গোখাদ্য সঙ্কটে অনেকেই বিপাকে পড়েছে। বানের পানির তোড়ে বিশুদ্ধ পানির অভাব তীব্র্রতর হয়ে উঠেছে। কয়েক লাথ মানুষ এখনও পানিবন্দী। তাদের খাদ্য সঙ্কট তৈরি হয়েছে।

ত্রাণ সামগ্রী অপ্রতুল ও ত্রাণ তৎপরতা খুবই সীমিত। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে যৎসামান্য ত্রাণ সামগ্রী দেয়া হয়েছে। সাতকানিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিল্টন বিশ্বাস বলেন, সাতকানিয়ায় ১৭টি ইউনিয়ন ও একটি পৌর এলাকার অধিকাংশই বন্যায় প্লাবিত হয়েছে। সোমবার থেকে বন্ধ বিদ্যুৎ। বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি না হলে বিদ্যুৎ সচল করা সম্ভব নয় বলে জানায় কর্তৃপক্ষ।

চট্টগ্রাম মহানগরী, শহরতলী ও আশপাশ এলাকায় এবং জেলার অনেক জায়গায় বর্ষণ ও জোয়ারের পানি এখনও পুরোপুরি নামেনি। রাস্তাঘাট সড়ক কাদাপানি, ময়লা-আবর্জনায় সয়লাব। ভেঙেচুরে বেহাল। উৎকট দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়ছে ঢল-বানের পানির সাথে। গতকালও নগরীর অনেক জায়গায় মানুষজন ব্যস্ত থাকে বসতঘর, দোকানপাটের কাদা-মাটি-বালু, আবর্জনা সরানোর কাজে। নিচু এলাকায় কাদা-পানি আটকে থাকায় রান্নাবান্না নিয়ে বিপাকে স্থানীয় লোকজন।

রাঙামাটিতে ১৯৮ স্পটে ভাঙ্গন : ৫ ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত
স্টাফ রিপোর্টার, রাঙামাটি থেকে জানান, জেলায় বৃহস্পতিবার পর থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত টানা ৬ দিনের ভারি বর্ষণে জেলার ১৯৭টি স্থানে ছোট-বড় ভাঙন ও পাহাড় ধসে পড়েছে। পাহাড় ধসের কারণে জেলায় মোট ৩৮১টি বসতঘর ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। এর মধ্যে আশ্রয়ণেরও ঘর রয়েছে ১৩টি। ১০ জন আহত হয়েছেন। এসব তথ্য জানিয়েছেন, রাঙ্গামাটি উপজেলা ও জেলা প্রশাসন। ১৪টি ব্রিজ-কালভার্ট, ১৬টি বিদ্যুতের খুঁটি এবং জেলার ৬৮৩ একর জমির ফসল ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।

এছাড়া রাঙ্গামাটি-চট্টগ্রাম জাতীয় মহাসড়কসহ জেলার ৭৫টি সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে সাময়িকভাবে ৯টি স্থানে যানবাহন চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। পাহাড়ি ঢলের কারণে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে ১২৪টি ঘর ও ৫টি হাটবাজার পানিতে ডুবে আছে। জেলার বিলাইছড়ি উপজেলার ফারুয়া ইউনিয়ন ও জুরাছড়ির চারটি ইউনিয়নেরই নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। তীব্র ¯্রােতের কারণে বন্ধ রয়েছে রাঙ্গামাটি-বান্দরবান সড়ক পথে চলাচলের চন্দ্রঘোনা ফেরি। জেলায় সোমবার পর্যন্ত মোট ২৩৪টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এসব আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান করছেন ১ হাজার ৭২৭ জন মানুষ।

রাঙামাটি সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সবুজ চাকমা জানান, আমরা সড়কে পাহাড় ধসে যেসব স্থানে মাটি ও গাছ পড়েছে তা দ্রæত সরাতে ব্যবস্থা নিচ্ছি। রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান বলেন, উপজেলা ও জেলার সাথে যোগাযোগ ব্যবস্থা অব্যাহত রাখতে আমারা সর্বাত্মক কাজ করে যাচ্ছি।

কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ : পানিবন্দী লাখ লাখ মানুষ
কক্সবাজার ব্যুরো জানায়, কয়েকদিনের টানা বর্ষণ আর পাহাড়ি ঢলে কক্সবাজারসহ গোটা চট্টগ্রাম অঞ্চল পানির নিচে তলিয়ে গেছে। বানের তোড়ে ডুবে গেছে হাজারো বাড়িঘর, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, বীজতলা ও চাষের জমি। ভেঙে গেছে বেড়ীবাঁধ এবং তলিয়ে গেছে চট্টগ্রাম থেকে টেকনাফ পর্যন্ত বিস্তীর্ণ জনপদ। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে লাখ লাখ মানুষ। একই সাথে পানিতে তলিয়ে গেছে কক্সবাজার চট্টগ্রাম মহাসড়কের কয়েক স্থান। এতে করে কক্সবাজার চট্টগ্রামের সাথে সরাসরি যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।

এ প্রসঙ্গে সৌদিয়া পরিবহণ সংস্থার কক্সবাজার অঞ্চলের পরিচালক নিরুপম পাল নিরু বলেন, কয়েকদিনের টানা বর্ষণে পাহাড়ী ঢলে কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কয়েক স্থান পানির নচে তলিয়ে গেছে। বিশেষ করে দোহাজারী এলাকার কশাই পাড়ায় সড়ক ডুবে গেছে। এখানে ঢলের পানি বিপদ সীমা অতিক্রম করেছে। দুই পাশে শত শত যানবাহন আটকা পড়ে আছে। জানা গেছে, কশাই পাড়া ছারাও, কেরানী হাট রাস্তার মাথা, মৌলবীর দোকান এলাকায় ও ডুবে গেছে সড়ক। ভোগান্তিতে পড়েছেন পর্যটকসহ স্থানীয় জন সাধারাণ।

কশাই পাড়ায় সড়কের এপার ওপারে আটকা পড়া কয়েজন যাত্রী জানান, গতকাল ভোর রাত থেকে সড়কের ওপর দিয়ে প্রবল স্রোতে ৫/৬ ফুট পানি অতিক্রম করছে। এতে করে যানবাহন পারাপার বন্ধ রয়েছে। অনেকে নৌকা আর ভ্যানে পারাপার করলেও খুবই রিস্কি। দুই পাশে শত শত যান বাহনের হাজারো যাত্রী আটকা পড়ে আছে। আটকে পড়া যাত্রীরা অবর্ণনীয় সম্মুখীন হচ্ছে। কবে নাগাদ এই সমস্যার সমাধান হতে পারে তাও কারো জানা নেই।

টেকনাফে ৫ হাজার মানুষ পানিবন্দি, পাহাড়ে বসবাসকারীদের সরে যেতে মাইকিং
মুহাম্মদ ছিদ্দিকুর রহমান টেকনাফ (কক্সবাজার) থেকে জানান, টেকনাফে ৫ হাজারের বেশি মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। পানিতে তলিয়ে গেছে কয়েকটি গ্রাম, ফসলি জমি-চিংড়ি ঘেরও। প্রাণহানি রোধে পাহাড়ের পাদদেশে বসবাসকারীদের সরে যেতে মাইকিং করছে স্থানীয় প্রশাসন। টেকনাফ উপজেলায় পাহাড়ের পাদদেশে বসবাসকারীদের অন্যত্র সরে যেতে বলা হচ্ছে।

উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের রঙ্গিখালী লামার পাড়া, মৌলভী বাজার, ওয়াব্রাং, চৌধুরী পাড়া, জালিয়া পাড়া, সাবরাং ইউনিয়নের ফতেহআলী পাড়া, বাহারছাড়া, কুড়াবুইজ্জ্যা পাড়া, মুন্ডার ডেইল গ্রামের বসবাসকারী আড়াই হাজার পরিবারের ৫ হাজারের বেশি মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। পাশাপাশি টেকনাফ পৌরসভার ১২টি ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড় ধসের আশঙ্কা রয়েছে ২০ হাজার মানুষ। ভারী বৃষ্টিতে পাহাড়ধসে এসব মানুষের নতুন করে প্রাণহানির আশঙ্কা করা হচ্ছে। পুরান পল্লানপাড়া পাহাড়ের নিচে বসবাসকারী মো. হাশেম বলেন, ‘টানা বৃষ্টির কারণে ভয়ে আছি। এ সময়ে নির্ঘুম রাত কাটে। অন্য সময় তেমন একটা ভয় কাজ করে না। তাছাড়া এখান থেকে সরে যেতে মাইকিং করা হচ্ছে।’

টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. কামরুজ্জামান বলেন, ‘ভারী বর্ষণে বেশ কয়েকটি গ্রামের মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। আমরা তাদের খোঁজ-খবর নিচ্ছি। পাশাপাশি অতি বৃষ্টির কারণে পাহাড় ধসের সম্ভবনা রয়েছে। তাই সকাল থেকে ঝুঁকিপূর্ণ বসবাকারীদের অন্যত্রে সরে যেতে মাইকিং করে বলা হচ্ছে।

ফেনীতে ২ দিনের ১৫ গ্রাম প্লাবিত
ফেনী জেলা ও ছাগলনাইয়া সংবাদদাতা জানান, ফেনীর মুহুরী নদীর ফুলগাজী-পরশুরামের তিনটি স্থানে বাঁধ ভেঙে গেছে। গতকাল বিকেল পর্যন্ত নতুন এলাকাসহ অন্তত ২০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। মানুষের ঘরবাড়িতে পানি উঠে যায়, ফসলি জমিতে আমনের বীজতলা, শতশত পুকুর, সবজি খেত ও রাস্তাঘাট বন্যার পানিতে তলিয়ে যায়। বর্তমানে মুহুরী নদীতে পানি ২৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে বলে ফেনী পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়।

এলাকাবাসী জানান, গত সোমবার ভোরে মুহুরী নদীর বাঁধের অংশে ভাঙন দেখা দিলে গাছ কেটে ও মাটি দিয়ে ভাঙন রোধের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন তারা। পানির তীব্র স্রোতে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করে ফুলগাজী উপজেলার উত্তর বরইয়া, উত্তর দৌলতপুর, বনিক পাড়া, বিজয়পুর, কিসমত ঘনিয়ামোড়া, বসন্তপুর, জগতপুর এবং পরশুরামের পশ্চিম অলকা, পূর্ব অলকা, নোয়াপুর, অনন্তপুর, চিথলিয়া, ধনীকুন্ডা, রামপুর, রতনপুর, দূর্গাপুর, জয়পুর, ঘনিয়ামোডা, সাতকুচিয়াসহ বেশকিছু গ্রামে বন্যার পানি ঢুকে পড়ে। ফলে এসব গ্রামের প্রায় ১ হাজার পরিবারের মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়ে এবং মানবেতর দিন যাপন করছেন। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বন্যায় দুর্গত এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে শুকনো খাবার, প্রয়োজনীয় ঔষধ ও বিশুদ্ধ পানি বিতরণ করা হয়েছে।

ফুলগাজী সদর ইউনিয়নের উত্তর বরইয়া গ্রামের এনামুল হক বলেন, একদিন আগেই জমিতে দুই একর জমিতে আমন ধানের চারা রোপণ শেষ করেছিলাম। আজ সব পানির নিচে। এখানে আশপাশের ৩০-৪০টি পুকুর, ফসলি জমি, মসজিদ, ঘরাবাড়ি পানিতে ডুবে আছে।

এমন দুর্দশার জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডের গাফেলতিকে দায়ী করে স্থানীয় এনামুল হক বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের সেচ প্রকল্পের পাইপ বাঁধের নিচ দিয়ে নেওয়ার সময় ভালো করে মাটি চাপ দেওয়া হয়নি। বাঁধ সংলগ্ন স্থানে বালু উত্তোলন, বড় ইঁদুরের গর্ত তৈরির কারণে বাঁধ ভেঙে যায়।

জানতে চাইলে ফেনীস্থ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রাশেদ শাহরিয়ার বলেন, মাটির বাঁধ এমনিতেই ঝুঁকিপূর্ণ। এরপর ইঁদুরসহ বিভিন্ন প্রাণী ফুটো করে ফেলে। আর ওই ফুটো পানির চাপে ভাঙন কবলিত হয়। এছাড়া নদীর ধারণ ক্ষমতাও কম। নদীর কয়েকটি স্থানে আছে ৯০ ডিগ্রির মতো বাঁক। নতুন প্রকল্পের মাধ্যমে টেকসই বাঁধ নির্মাণের পরিকল্পনা প্রক্রিয়াধীন। বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন ফেনী -১ আসনের সংসদ সদস্য শিরীন আখতার ও জেলা প্রশাসক মুছাম্মৎ শাহীনা আক্তার।

কাঁঠালিয়ায় ১১ গ্রাম প্লাবিত
ঝালকাঠি জেলা সংবাদদাতা জানান, ঝালকাঠির কাঁঠালিয়া উপজেলার শৌলজালিয়া ইউনিয়নের ডালির খালের বাঁধ ভেঙে নতুন করে ১১টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে গত পাঁচ দিন ধরে টানা বৃষ্টি আর জেয়ারের পানিতে জেলার অন্তত ২০টি গ্রাম তলিয়ে গেছে। অস্বাভাবিক জোয়ারে পানির ¯্রােতে আর ঢেউয়ের আঘাতে ভেঙে পরছে কাঁচা রাস্তাঘাট। বৃষ্টিতে বাড়ি ঘর ও রাস্তাঘাটের বিভিন্ন স্থানে পানি জমে সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতা। পানিবন্দি হয়ে দুর্ভোগে পড়েছেন শত শত মানুষ।

এদিকে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় কয়েকদিনের টানা ভারি বর্ষণে শহরের জলাবদ্ধতা সৃষ্টি ও নিন্মাঞ্চল প্লাবিত হওয়ায় জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত সোমবার রাতে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক ও জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি সভাপতি ফারাহ্ গুল নিঝুম। এসময় অন্যানের মধ্যে বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আফরুজুল হক টুটুল।

টানা বৃষ্টিতে বগুড়া শহর পানিতে সয়লাব
বগুড়া ব্যুরো জানায়, বগুড়ায় গত ২৪ ঘণ্টায় বর্ষণে বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়েছে। সোমবার সকাল ৬টা থেকে গতকাল সকাল ৬টা পর্যন্ত এ বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়। টানা বৃষ্টিপাতের ফলে ভোগান্তিতে পড়েছে শহর ও শহরতলীতে বসবাসকারী জনগোষ্ঠী। বগুড়া আবহাওয়া অফিসের রেকর্ড মোতাবেক সোমবার সকাল ৬টা থেকে গতকাল মঙ্গলবার সকাল ৬টা পর্যন্ত এ বৃষ্টি রেকর্ড করা বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ২১৩ মিলিমিটার। যা চলতি মৌসুমে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত। মৌসুমী বায়ুর প্রভাব এবং বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপের প্রভাবেই এই বৃষ্টি বলে জানায় আবহাওয়া অফিস ।
গত কয়েকদিন আগে বগুড়ায় প্রচÐ তাপদাহের পর গত ২৪ ঘণ্টায় ভারী বৃষ্টিপাত হওয়ায় বগুড়া সরকারি আজিজুল হক কলেজ, সরকারি শাহ সুলতান কলেজ, শহরের সাতমাথা, স্টেশন রোড, শেরপুর রোড, বাদুরতলা, খান্দার, মালতি নগর সহ বিভিন্ন এলাকার রাস্তায় এবং বাসায় পানি প্রবেশ করেছে। ফলে বিপাকে পড়েছে শহরবাসী। বিশেষ করে রিকশা, মোটরসাইকেলচালক থেকে শুরু করে সাধারণ খেটে খাওয়া কর্মজীবীদের দুর্ভোগ চরমে। টানা ভারি বৃষ্টিতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছে শিক্ষার্থীরা।

বগুড়া সরকারি আজিজুল হক কলেজের শিক্ষক শফি মাহমুদ জানান, কলেজে মূলভবন, হোস্টেলের সামনে এবং গোটা ক্যাম্পাস পানিতে থৈ থৈ করছে। মালতি নগরের ব্যবসায়ী রফিক খান জানান, তার বাসায় পানি ঢুকে খাটের অর্ধেকেরও বেশি ডুবে গেছে। শিক্ষার্থীর অভিভাবক বলেন, স্কুলে পরীক্ষা চলছে। তাই বাধ্য হয়েই মেয়েকে নিয়ে বের হয়েছি।

শস্যভান্ডার গুমাইবিলে অথৈ পানি
নুরুল আবছার চৌধুরী রাঙ্গুনিয়া (চট্টগ্রাম) থেকে জানান, রাঙ্গুনিয়া উপজেলার তৃণমূলে প্রবল বর্ষণে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বাংলাদেশের ২য় শস্যভান্ডার গুমাইবিলের সাড়ে তিন হেক্টর জমি এখন পানি নীচে ভাসছে। অথৈ পানি আর পানি। চলমান মৌসুমে এবারে গুমাইবিলে প্রায় দুই হাজারের বেশি হেক্টর জমিতে আমন রোপন করা হয়েছে। ৬/৭ দিন আমন ধানের চারা ডুবে আছে। এতে ব্যাপক ক্ষতিগ্রহস্থ হওয়ার আশঙ্কায় আছেন কৃষকেরা। একটানা বৃষ্টিতে পুকুর ও মৎস্য প্রকল্পের শতকোটি টাকার মাছ ভেসে গেছে বলে ক্ষতিগ্রস্তরা জানান। সরেজমিনে জানা যায়, কাপ্তাই চট্টগ্রাম সড়কের বিভিন্ন স্থানে গাছ পড়ে ঘন্টার পর ঘন্টা যানচলাচলের বিঘœ সৃষ্টি হচ্ছে। স্থানীয় ফায়ার সার্ভিস, সওজ বিভাগ ও উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে সড়ক থেকে গাছ সরিয়ে নেয়ার দায়িত্ব নিয়োজিত আছেন। এ-কারণে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।

বেতাগী চেয়ারম্যান শফিউল আলম জানান, বেতাগী গ্রামের পশ্চিম পাড়ায় পানির স্রোতে একটি কালর্ভাট ভেঙে গেলে চলাচলের হাজার হাজার মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। এ বিষয়ে উপজেলা ঊর্ধ্বতন মহলকে জানানো হয়েছে। উপজেলার রাজানগরসহ অধিকাংশ ইউনিয়নে বাড়ীতে পাহাড় ভেঙে পড়েছে। ইসলামপুর, দক্ষিণ রাজানগর, পারুয়া, হোসেনাবাদ, সরফভাটা, বেতাগী, পদুয়া, চন্দ্রঘোনা ও পৌরসভাসহ বিভিন্ন স্থানে পাহাড় ধসের ঘটনা হয়েছে বলে জানা যায়।

ফরিদগঞ্জে টানা বৃষ্টিতে গুরুত্বপূর্ণ সড়কের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি
ফরিদগঞ্জ (চাঁদপুর) সংবাদদাতা জানান, ফরিদগে জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ সড়কসহ গ্রামীণ সড়কগুলো ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। এতে করে জনগণ ও যান চলাচলে দূর্ভোগে বেড়েছে। লোকজন জলাবদ্ধতা ও সড়ক ধসে পড়ায় এসব এলাকায় যোগাযোগ ব্যবস্থা বাধাগ্রস্থ হয়ে পড়েছে। এসব এলাকা দ্রæত জলবদ্ধতা নিস্কাশন ও সংস্কার না হলে দূর্ভোগ আরো বাড়বে বলে জানান স্থানীয়রা।

সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, গুপ্টি পশ্চিম ইউনিয়নের খাজুরিয়া আদশা সড়ক ভেঙে যায়, রূপসা উত্তর ইউনিয়নের রূপসা বাজারের পশ্চিম পাশে সড়কটি ভেঙে যায়, ফরিদগঞ্জ দক্ষিণ ইউনিয়নের কাটাখালী থেকে পশ্চিম পোঁয়া হয়ে কালির বাজারের সড়কটি প্রায় অচল হয়ে পড়েছে। এছাড়াও পৌর এলাকার আংশিক অংশসহ উপজেলার গ্রামগঞ্জের বিভিন্নœ সড়কের অংশ উপড়ে যায়।

মীরসরাইয়ে ৫ শতাধিক পরিবারের মাঝে শুকনো খাবার বিতরণ
মীরসরাই (চট্টগ্রাম) উপজেলা সংবাদদাতা : মীরসরাইয়ে ক্ষতিগ্রস্থ ৫ শতাধিক পরিবারের মাঝে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শুকনো খাবার বিতরণ করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহফুজা জেরিন। গতকাল বিকালে মীরসরাই সদর ইউনিয়নে পাহাড়ে বসবাস করা ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠি, খৈয়াছরা ও ইছাখালী ইউনিয়ন পরিষদের বাসিন্দাদের এসব খাবার বিতরণ করা হয়।

এই সময় ইছাখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল মোস্তফা, খৈয়াছরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহফুজুল হক জুনু, আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান মীরসরাই উপজেলা শাখার সভাপতি নয়ন কান্তি ধুম ও উপজেলা ছাত্রলীগের আহবায়ক মাসুদ করিম রানা উপস্থিত ছিলেন।

 


বিভাগ : জাতীয়


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

আরও পড়ুন

ইত্তিহাদেই সিটিকে রুখে দিল ইন্টার

ইত্তিহাদেই সিটিকে রুখে দিল ইন্টার

রোনালদোদের নতুন কোচ পিওলি

রোনালদোদের নতুন কোচ পিওলি

দক্ষিণ আফ্রিকাকে গুড়িয়ে আফগানদের ঐতিহাসিক জয়

দক্ষিণ আফ্রিকাকে গুড়িয়ে আফগানদের ঐতিহাসিক জয়

যেই গৌরব কেবল শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামের

যেই গৌরব কেবল শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামের

রিট করে ‘খেলাপি ঋণ স্থগিত’ বন্ধ চান ব্যাংক-মালিকরা

রিট করে ‘খেলাপি ঋণ স্থগিত’ বন্ধ চান ব্যাংক-মালিকরা

বিদেশি ঋণ ফের ১০০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে

বিদেশি ঋণ ফের ১০০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে

টাকা উদ্ধারের নামে ‘ঘুষ’ চাওয়ার অভিযোগ জিএম শাহজাহান চৌধুরীর’র বিরুদ্ধে

টাকা উদ্ধারের নামে ‘ঘুষ’ চাওয়ার অভিযোগ জিএম শাহজাহান চৌধুরীর’র বিরুদ্ধে

জাতীয় ঐক্য বিনষ্টকারী কর্মকান্ড থেকে বিরত থাকতে হবে

জাতীয় ঐক্য বিনষ্টকারী কর্মকান্ড থেকে বিরত থাকতে হবে

৬০ হাজার টন ইউরিয়া সার কিনবে সরকার, ব্যয় ২৩৬ কোটি টাকা

৬০ হাজার টন ইউরিয়া সার কিনবে সরকার, ব্যয় ২৩৬ কোটি টাকা

আইকনিক লিডার তারেক রহমান ও বাংলাদেশের রাজনীতি

আইকনিক লিডার তারেক রহমান ও বাংলাদেশের রাজনীতি

পতিত স্বৈরাচার ও ভারতের চক্রান্ত চলছেই

পতিত স্বৈরাচার ও ভারতের চক্রান্ত চলছেই

তারেক রহমানের রাষ্ট্রনায়কোচিত বক্তব্য ও দিকনির্দেশনা

তারেক রহমানের রাষ্ট্রনায়কোচিত বক্তব্য ও দিকনির্দেশনা

ইসরাইলের দখলদারিত্ব বন্ধের প্রস্তাব বিবেচনা জাতিসংঘের

ইসরাইলের দখলদারিত্ব বন্ধের প্রস্তাব বিবেচনা জাতিসংঘের

উত্তপ্ত মণিপুরে অত্যাধুনিক অস্ত্র দিয়ে নতুন করে গোলাগুলি

উত্তপ্ত মণিপুরে অত্যাধুনিক অস্ত্র দিয়ে নতুন করে গোলাগুলি

২৭ দেশে ছড়িয়ে পড়েছে করোনার নতুন ভ্যারিয়্যান্ট

২৭ দেশে ছড়িয়ে পড়েছে করোনার নতুন ভ্যারিয়্যান্ট

২০০ হাতি নিধনের সিদ্ধান্ত জিম্বাবুয়ের

২০০ হাতি নিধনের সিদ্ধান্ত জিম্বাবুয়ের

কলেরাসহ মারাত্মক রোগের ঝুঁকিতে সুদানের ৩৪ লাখ শিশু

কলেরাসহ মারাত্মক রোগের ঝুঁকিতে সুদানের ৩৪ লাখ শিশু

১১ হাজার ফিলিস্তিনি শিক্ষার্থীর প্রাণ গেছে

১১ হাজার ফিলিস্তিনি শিক্ষার্থীর প্রাণ গেছে

বেলারুশে হামলা হলে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হবে : লুকাশেঙ্কো

বেলারুশে হামলা হলে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হবে : লুকাশেঙ্কো

তাইওয়ান প্রণালীতে চীনের যুদ্ধবিমান

তাইওয়ান প্রণালীতে চীনের যুদ্ধবিমান