সঙ্কটের উৎসেই সমাধান
১৯ আগস্ট ২০২৩, ১১:৫৫ পিএম | আপডেট: ২০ আগস্ট ২০২৩, ১২:০১ এএম
চলছে সরকারবিরোধী আন্দোলন। আন্দোলনের দফা এখন একটি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগ। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন। সরকারবিরোধী ‘বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল’ (বিএনপি)ও এক দফার এই যুগপৎ আন্দোলনে রাজপথে আছে আরো ৩৫টি দল। আন্দোলনের গতি যতোই ক্ষিপ্রতা লাভ করছে-ততোই লক্ষ্যণীয় হয়ে উঠছে আন্দোলন দমন প্রচেষ্টা। গ্রেফতার, বাড়ি বাড়ি তল্লাশি, শত শত মামলা দায়ের, হাজার হাজার বিরোধী নেতা-কর্মীদের আসামি করা এবং পুরনো মামলা সচল, বিচারাধীন মামলার ঘন ঘন হাজিরার তারিখ দেয়া এবং বিচারাধীন মামলায় তড়িঘড়ি রায় প্রদানের মধ্য দিয়ে দমন প্রয়াস লক্ষ্যণীয় হয়ে উঠেছে। বিদ্যমান পরিস্থিতিতে সরকারবিরোধী রাজনৈতিক নেতৃত্ব এখন সরকারের দায়িত্বশীল মন্ত্রী, দলীয় নেতা-কর্মী, দলীয় পুলিশ, আমলাতন্ত্রের পাশাপাশি কথা বলতে শুরু করেছেন বিচার বিভাগ নিয়ে। সাম্প্রতিক কিছু রায়, সিদ্ধান্ত, বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তা এবং উচ্চ আদালতের বিচারপতিগণের বক্তব্য সমালোচনার ছিপি খুলে দিয়েছে। ফলে বিষয়টি এখন আর আইনাঙ্গনের মানুষদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নেই। হয়ে উঠেছে আন্দোলনমুখর রাজপথের বিষয়। অতীতেও বিচারাঙ্গনের বহু বিষয় রাজনীতির রাজপথে গড়িয়েছে। স্মরণ করা যেতে পারে, ২০০৪ সালের ১৬ মে সংবিধানের চতুর্দশ সংশোধনী এনে বিচারপতিদের অবসরের বয়সসীমা ৬৫ থেকে ৬৭ করা হয়। এ ইস্যুই পরবর্তীতে বিএনপি নেতৃত্বাধীন সরকারবিরোধী আন্দোলনে রূপান্তরিত হয়। তাই সরকারবিরোধীরা মনে করছেন, যে বিচারাঙ্গনে সঙ্কটের সৃষ্টি-সমাধানের আন্দোলনটাও বেগবান করতে হবে সেই বিচারাঙ্গনেই।
আদালত সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, বর্তমান সরকারের দেড় দশকের শাসন আমলের ভিত্তি রচিত হয়েছে বিচার বিভাগ থেকে। ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিল করে সংবিধান থেকে তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রথা বিলুপ্তির মধ্য দিয়ে নিরপেক্ষ নির্বাচন ব্যবস্থার মাটিচাপা দিয়েছেন অবসরে চলে যাওয়া প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হক। পরে সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বাতিলকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট বিশেষ পরিস্থিতিতে বিচারপতি এসকে সিনহাকে দেশছাড়া করা এবং এ সংশোধনীর মাধ্যমে উচ্চ আদালতের বিচারকদের অপসারণ ক্ষমতা সংসদের হাতে তুলে দেয়ার মধ্য দিয়ে ‘পৃথক’ বিচার বিভাগকে কার্যত নির্বাহী বিভাগের অধীনস্থ করা হয়েছে। এতে বিচার বিভাগে সঞ্চারিত হয়েছে ভয়ের সংস্কৃতি। যথেচ্ছভাবে দলীয়করণ করা হয়েছে বিচার বিভাগকে। এসব কারণে বিগত দেড় দশকের শাসনামলে সহায়ক শক্তির ভূমিকায় দেখা গেছে স্পর্শকাতর এই বিভাগটিকে। ফ্যাসিজমকে বৈধতা দেয়ার অভিযোগ থেকে দেশের বিচার বিভাগকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে মার্কিন ভিসা নীতিতে। যা জাতির জন্য অত্যন্ত গ্লানিকর। এরপর থেকে বিচাঙ্গনের ভূমিকার সমালোচনা মানুষের মুখে মুখে। তবে এই সমালোচনার উনুনে ঘি ঢেলেছে আপিল বিভাগের দুই বিচারপতির সাম্প্রতিক দুই বক্তব্য। গত ১৫ আগস্ট জাতীয় শোকদিবসের আলোচনায় অংশ নিয়ে আপিল বিভাগের বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম তার বক্তব্যে বিচারপতিদের ‘শপথবদ্ধ রাজনীতিবিদ’ বলে আখ্যা দেন। তিনি বলেন, এ সংবিধান হলো আমাদের সর্বোচ্চ রাজনৈতিক দলিল। বঙ্গবন্ধুর যে রাষ্ট্র-দর্শন, রাজনৈতিক দর্শন, সামাজিক দর্শন—সব দর্শনের প্রতিফলন ঘটেছে এই সংবিধানে।
ইদানীং সুষ্ঠু নির্বাচন, বিদেশী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূতদের এসব নিয়ে তোলপাড় হয়ে যাচ্ছে। বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, গণতন্ত্র চাই। বঙ্গবন্ধুর শোষিতের গণতন্ত্র কী ? শুধু ভোট দেয়াই একমাত্র গণতন্ত্র নয়। ভোট দিয়ে রাজা ও মন্ত্রীর পরিবর্তনই গণতন্ত্র নয়। যে গণতন্ত্র মানুষের ভাতের নিশ্চয়তা, বেকারের চাকরির সংস্থান ও দেশের মানুষের সার্বিক মুক্তি ঘটাতে না পারে, বঙ্গবন্ধু সেই গণতন্ত্রে বিশ্বাস করেন না।
বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম আরো বলেন, বাংলাদেশের রাষ্ট্রব্যবস্থা, বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা এমন হওয়া উচিৎ হবে না, যে ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে এ দেশের স্বাধীনতাবিরোধী শক্তির উন্মেষ ঘটে। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা এমন হবে না, শুধু ভোট দিয়েই এখানে জঙ্গিবাদের উত্থান হবে। সংবিধান রক্ষার যে শপথ নিয়েছি, সে অবস্থায় থেকে মুক্তিযুদ্ধের আবহ ও প্রেক্ষাপট, সংগ্রাম ও আত্মত্যাগ সবকিছু মাথায় নিয়ে বিচারিক দায়িত্ব পালন করতে হবে।
একই অনুষ্ঠানে আপিল বিভাগের বিচারপতি আবু জাফর সিদ্দিকী বলেন, ইদানীং সুষ্ঠু নির্বাচন, বিদেশী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত এসব নিয়ে তোলপাড় হয়ে যাচ্ছে... শুধু ভোট দেয়াই একমাত্র গণতন্ত্র নয়।’ তিনি আরও বলেন, সারা পৃথিবীতে নির্বাচন হয় কেউ তাকিয়েও দেখে না, নির্বাচন ঘিরে সব নজর বাংলাদেশের দিকে কেন?
এ বক্তব্যের পর দিন ১৬ আগস্ট হাইকোর্টের একটি ডিভিশন বেঞ্চ অবশ্য বলেন, শপথ নেয়ার পর বিচারপতিরা রাজনীতি করেন না। বিএনপি’র চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে নাইকো দুর্নীতি মামলায় শুনানি করতে গেলে তার আইনজীবী এজে মোহাম্মদ আলী আদালতকে তার শঙ্কার কথা জানান। আদালতের কাছে প্রশ্ন রেখে সিনিয়র এ আইনজীবী বলেন, বিচারপতিরা কি শপথবদ্ধ রাজনীতিবিদ? এক বিচারপতি এটা বলেছেন। বাজারে এ বক্তব্য এসেছে। এ কারণে আমরা শঙ্কিত। আদালত তখন বলেন, বিচারপতি হওয়ার আগে আমরা রাজনীতি করতে পারি। কিন্তু শপথ নেয়ার পর বিচারপতিরা রাজনীতি করেন না। রাজনীতি করতে পারেন না।
তখন হাইকোর্ট বলেন, বাইরে কে, কোন প্রসঙ্গে বলেছেন, সেই বক্তব্য আদালতে বলে আমাদের মিসগাইড করবেন না। আমাদের প্রতি অনাস্থা থাকলে বলুন। তখন আইনজীবী বলেন, আপনাদের প্রতি আমাদের আস্থা আছে। আদালত বলেন, আমরা (বিচারপতিরা) যদি প্রহসনের বিচার করি তাহলে আল্লাহ আমাদের বিচার করবেন। তেমনি আপনারা আদালতের কাছে মিথ্যা সাবমিশন করলে আল্লাহর কাছে দায়ী থাকবেন। আদালত বলেন, অনেক সময় প্রহসনের বিচার হয়। পৃথিবীতে যুগে যুগে প্রহসনের বিচার হয়েছে। সক্রেটিস, গ্যালিলিও, সাদ্দাম হোসেন, রাজা নন্দ কুমার প্রহসনের বিচারের শিকার হয়েছেন। রাজা নন্দ কুমার জনপ্রিয় রাজনীতিবিদ ছিলেন। ওয়ারেন হেস্টিং ও তার বিচারপতি মিলে রাজা নন্দ কুমারকে প্রহসনের বিচার করে হত্যা করেছিলেন।
পরবর্তীতে আপিল বিভাগের দুই বিচারপতি বক্তব্য সম্পর্কে ব্যাখ্যা দিয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিনউদ্দিন। তাতেও প্রশমিত হয়নি আইনজীবীদের ক্ষোভ। সরকারবিরোধী আন্দোলনকারী ‘জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম’ ১৭ আগস্ট সংবাদ সম্মেলন ডেকে আপিল বিভাগের দুই বিচারপতির পদত্যাগ দাবি করে। এ দাবির সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে ইউনাইটেট লইয়ার্স ফ্রন্ট (ইউএফএফ)। সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের যুগ্ম-আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী,সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট সৈয়দ মামুন মাহবুব উপস্থিত ছিলেন। সংবাদ সম্মেলনে আইনজীবী ফোরামের সভাপতি অ্যাডভোকেট এজে মোহাম্মদ আলী, ফোরাম নেতা অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন, সংগঠনের মহাসচিব ব্যারিস্টার কায়সার কামাল প্রমুখ বক্তৃতা করেন। ওই সম্মেলনে আজ (রোববার) সারাদেশের জেলা বারে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করছে। আপিল বিভাগের দুই বিচারপতির পদত্যাগ দাবির ইস্যুটিকে সরকারবিরোধী আইনজীবীরা অনেক দূর নিয়ে যেতে চাইছেন। এমন ইঙ্গিত দিয়েছেন ফোরামের সঙ্গে সংহতি প্রকাশকারী ইউনাইটেড ল’ইয়ার্স ফোরাম (ইউএলএফ) নেতৃবৃন্দ। সংগঠনের যুগ্ম-আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী গতকাল শনিবার ইনকিলাবকে বলেন, বিচারপতিগণ যদি রাজনীতি করতে চান তাহলে মাঠে এসে রাজনীতি করুন। বিচারপতি হিসেবে শপথ নেয়ার পর যদি দলীয় পরিচয়ে রাজনীতি করেন তাহলে মানুষ বিচার বিভাগের প্রতি আস্থা হারাবে। বিচারপতিগণ উচ্চ আদালতকে যদি রাজনীতির মঞ্চ বানান তাহলে নিম্ন আদালত হবে রাজনীতির ময়দান। সংবিধান রক্ষার শপথ নিয়ে বিচারপতিগণ নিজেরাই সংবিধান ভঙ্গ করেছেন। দেশীয় রাজনীতির পাশাপাশি বিদেশীদের নিয়েও কথা বলছেন। সংবেদনশীলতার জায়গাগুলোকে বিচারপতিগণ নিজেরাই অসহিষ্ণু করে তুলছেন। আইনজীবীরা মাঠে-ময়দানে অনেক কথা বলবেন। তাই বলে বিচারকতো রাজনীতিকের মতো কথা বলতে পারেন না।
সংগঠনের সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট সৈয়দ মামুন মাহবুব বলেন, আমাদের বক্তব্য পরিষ্কার। শেখ হাসিনার পদত্যাগের পাশাপাশি আমরা শপথবদ্ধ রাজনীতিকদের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন করবো। বিচার বিভাগ ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগের আজ্ঞাবহ প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। নিজেরাই নিজেদের পরিচয় তুলে ধরছেন। বিচারবিভাগের বর্তমান করুণ পরিণতির জন্য এইসব বিচারকরাই দায়ী। পরাধীন বিচার বিভাগ একটি দেশের সবচেয়ে বড় সঙ্কট। বিচার বিভাগ স্বাধীনভাবে কাজ করলে বিদেশীরা আমাদের দেশে নাক গলানোর সুযোগ পেতো না। নতজানু এ বিচার বিভাগকে সংবিধানসম্মত বিচার বিভাগে পরিণত করার এই আন্দোলন আমাদের চলবে। তিনি বলেন, আমরা মনে করি সংবিধানের ৯৪(২)ক,খ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী বিচারপতি নিয়োগের সুযোগ নেই। কারণ, সংবিধানে এ বিষয়ে আইন প্রণয়নের কথা বলা আছে। এই আইন প্রণয়ন ছাড়া বিচারপতি নিয়োগের কোনো সুযোগ নেই।
দুই বিচারপতির পদত্যাগ দাবির আন্দোলনের চূড়ান্ত লক্ষ্য কী- জানতে চাওয়া হলে বিএনপি’র ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মো: জয়নুল আবেদীন বলেন, আজকের (রোববার) কর্মসূচি পালনের পর আমরা পরবর্তী সিদ্ধান্তের কথা জানতে পারবেন।
এদিকে সরকারবিরোধী আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত কয়েকজন আইনজীবী নেতা নাম প্রকাশ না করে বলেন, সূচিত আন্দোলনকে এবার অনেক দূর নিয়ে যাওয়া হবে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘনিয়ে আসছে। শিঘ্রই প্রধান বিচারপতি এবং আপিল বিভাগে বিচারপতি নিয়োগের বিষয় রয়েছে। তাই বিচার বিভাগকেন্দ্রিক আন্দোলনের যুৎসই মুহূর্ত এটি। এছাড়া বাংলাদেশের বিচার বিভাগ এবং বিচারক মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার বিচেনায় রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের এই অবস্থান সরকারবিরোধী আইনজীবী সংগঠনগুলোকে সাহস ও ভরসার যোগান দিচ্ছে।
তাদের মতে, আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে সুষ্ঠু,অবাধ,নিরপেক্ষ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচনের পথে যারাই প্রতিবন্ধকতা হয়ে দাঁড়াবে সেই প্রতিষ্ঠান কিংবা ব্যক্তিকে যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞার আওতায় নিয়ে আসবে-মর্মে দেশটির ভিসানীতিতে ঘোষণা দিয়েছে। এ নিষেধাজ্ঞায় র্যাব-পুলিশ,আইন-শৃঙ্খলাবাহিনী, সামরিক ও বেসামরিক আমলাতন্ত্র,রাজনীতিকের পাশাপাশি প্রথমবারের বিচার বিভাগকেও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। ফলে সরকারবিরোধী আন্দোলনের সঙ্গে বিচার বিভাগ সংস্কারের আন্দোলন যুক্ত হলে প্রকারন্তে সেটি সরকার বিরোধী আন্দোলনে শক্তির যোগান দেবে। জাতীয় আন্দোলনকে পেশাজীবী আন্দোলনে কেন্দ্রীভুত করা গেলে আগামি জাতীয় নির্বাচনে সরকারের নির্ভরতার জায়গাটি চাপের মুখে পড়বে। এভাবে তারা সরকারবিরোধী আন্দোলনের ফসল ঘরে তুলতে চান ‘সঙ্কটের আঁতুরঘর’ বিচারাঙ্গন থেকেই।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
হলুদ রঙে সেজেছে ক্ষেত
গোপালগঞ্জে মোটর সাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুই স্কুল ছাত্র নিহত
অধিনায়কত্ব উপভোগ করছেন সোহান
ইসরায়েলের দখলকৃত সিরিয়ায় সাংবাদিক ও আইনজীবী নির্যাতনের অভিযোগ
উত্তরা থানা থেকে পালানো সাবেক ওসিকে ধরতে চলছে যৌথ অভিযান
মাস্কের সঙ্গে জার্মান ফার-রাইট নেত্রীর ৭৪ মিনিটের লাইভ চ্যাটে সাক্ষাৎকার
তারাকান্দায় হ্যান্ডট্রলী, সিএনজি ও অটোরিক্সার ত্রিমুখী সংঘর্ষে আহত-৫
ইসলামী ভাবধারা প্রচারের নামে মাহফিলে যারা রাজনীতি করছে ধরা খাবে
ভাইরাল পোস্টের প্রচেষ্টায় নিখোঁজ চীনা অভিনেতা উদ্ধার
শৈত্যপ্রবাহে কাঁপছে যে ১০ জেলা
লন্ডন যাওয়া হলো না বিতর্কিত নায়িকা নিপুনের, তাকে রেখে সিলেট ছাড়লো ফ্লাইট !
পাকিস্তানে খনিতে গ্যাস বিস্ফোরণে আটকে পড়েছে ১২ শ্রমিক, উদ্ধারকাজ চলছে
এবার রিপাবলিক বাংলাকে তুড়িতেই উড়িয়ে দিলেন বাংলাদেশের নরেন্দ্রনাথ
কার্টারকে শেষবারের মতো শ্রদ্ধা জানাতে একসঙ্গে পাঁচ মার্কিন প্রেসিডেন্ট
দেশের সেরা ব্র্যান্ড ওয়ালটনের এসি রপ্তানি হচ্ছে ক্যামেরুনে
রূপপুর প্রকল্পের ভবন থেকে আরো এক রুশ নাগরিকের লাশ উদ্ধার
লন্ডনে যাওয়ার সময় চিত্রনায়িকা নিপুণ আটক
গ্রেপ্তারি পরোয়ানা থাকা সত্ত্বেও নেতানিয়াহুকে আটক করবে না পোল্যান্ড !
মুঠোফোন গ্রাহকদের ওপর বাড়তি করের বোঝা না চাপানোর আহ্বান
শ্রীলঙ্কায় ইসলাম বিদ্বেষী বক্তব্যের অভিযোগে বৌদ্ধ ভিক্ষু গনানসারার কারাদণ্ড