৪০ কোটি টাকা আত্মসাত মামলা অধিকতর তদন্তের নির্দেশ
৩০ আগস্ট ২০২৩, ১০:৫৮ পিএম | আপডেট: ৩১ আগস্ট ২০২৩, ১২:০১ এএম
এজাহারভুক্ত আসামিকে বাদ দিয়ে চার্জশিট দাখিল করেছিলো দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আসামিদের বিরুদ্ধে পরষ্পর যোগসাজশে ব্যাংক ঋণের নামে ৪০ কোটি টাকা আত্মসাতের মামলা ছিলো। কিন্তু ঋণের সমস্ত দায় বেতনভুক্ত হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তার ঘাড়ে চাপিয়ে দিয়ে দায়মুক্তি দেয়া হয় তিন আসামিকে। বিষয়টি নিয়ে গত ২৫ জুন প্রতিবেদন প্রকাশ করে দৈনিক ইনকিলাব। ‘রানা বিল্ডার্সের ৪০ কোটি টাকা আত্মসাতের মামলা : ৮ কোটি টাকা লেনদেনের অভিযোগ : প্রধান আসামিকে বাদ দিয়ে চার্জশিটের সুপারিশ’ শীর্ষক প্রতিবেদনে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক)র তদন্তের গুণগত মান, কর্মকর্তা বিশেষের দুর্নীতির বিষয়ে আলোকপাত করা হয়। প্রতিবেদনটি দুদকেও ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করে। তবে বিষয়বস্তুর প্রতি ভ্রুক্ষেপ না করে কমিশন যথারীতি আদালতে চার্জশিট দাখিল করে। চট্টগ্রাম মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ বেগম জেবুন্নেছা চার্জশিটের গ্রহণযোগ্যতার ওপর শুনানি নিয়ে সম্প্রতি বিষয়টি অধিকতর তদন্তের জন্য দুদকে ফেরত পাঠায়।
আদালত তার আদেশে বলেন, সার্বিক অবস্থা পর্যালোচনা করে দেখা যায় যে, তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদকের প্রধান কার্যালয়, ঢাকা’র উপ-পরিচালক জনাব মোহাম্মদ সিরাজুল হক কর্তৃক দাখিলী তদন্ত প্রতিবেদনে ঘটনার মূল রহস্য উদ্ঘাটিত হয়নি এবং তদন্ত পরিচালনার ক্ষেত্রে তার অভিজ্ঞতা ও পেশাদারিত্বের যথেষ্ট ঘাটতি ছিলো মর্মে প্রতীয়মান হয়। এমতাবস্থায় তদন্তকারী কর্মকর্তার তদন্ত রিপোর্ট অগ্রাহ্য করা হলো। অত্র মামলায় আনীত অভিযোগটি উল্লিখিত পর্যালোচনার আলোকে অধিকতর তদন্ত (ফারদার ইনভেস্টিগেশন) প্রতিবেদন প্রেরণের জন্য দুদকের প্রধান কার্যালয়কে নির্দেশ দেয়া হলো। আগামি ৯ অক্টোবর তদন্ত প্রতিবেদন প্রাপ্তি সাপেক্ষে পরবর্তী আদেশের দিন ধার্য করেন আদালত।
এজাহারে উল্লেখিত তথ্য মতে, সিটি করপোরেশনের প্রকল্প অসমাপ্ত অবস্থায় ফেলে রেখে সরকারের ৪০ কোটি টাকারও বেশি অর্থ আত্মসাৎ করে ‘মেসার্স রানা বিল্ডার্স লিমিটেড’ নামক একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। এ ঘটনার ২০২২ সালের ১০ মে পৃথক দু’টি মামলা করে দুদক। সংস্থার উপ-পরিচালক মো. আনোয়ারুল হক বাদী হয়ে মামলা ২টি রুজু করেন। একটি এজাহারে আসামি করা হয় প্রতিষ্ঠানটির মালিক মো. আলমসহ ৮ জনকে। অন্য আসামিরা হলেন, ‘মেসার্স রানা বিল্ডার্স প্রা: লি:’-এর আমমোক্তারপ্রাপ্ত মো. জাকির হোসেন, সালেহ আহাম্মদ, ইউসিবিএল ব্যাংকের কুমিল্লা শাখার তৎকালীন শাখা ব্যবস্থাপক মো. সারোয়ার আলম, ব্যাংকটির একই শাখার তৎকালীন এভিপি মো. আনিসুজ্জামান, একই শাখার তৎকালীন ক্রেডিট ইনচার্জ ছাইফুল আলম মজুমদার, একই শাখার নির্বাহী কর্মকর্তা ও রিলেশনশিপ অফিসার মকামে মাহমুদুল ইসলাম আরেফিন, ইউসিবিএল কুমিল্লা শাখার সাবেক রিলেশনশিপ অফিসার দেবু বোশ। আরেকটি মামলায় আসামি করা হয় অভিন্ন ব্যক্তিদের। তবে এ মামলায় আসামি হিসেবে সালেহ আহমদের নাম ছিলো না।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
বিএনপি সকল ধর্ম -বর্ণ-গোত্রের দল : প্রিন্স
বিএনপি সকল ধর্ম -বর্ণ-গোত্রের দল : প্রিন্স
বিয়ের করার সময় যে সমস্ত খেয়াল রাখা প্রসঙ্গে।
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সূচি প্রকাশ, বাংলাদেশের প্রথম প্রতিপক্ষ ভারত
ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা
`আগামী নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন করতে হবে'
সাবেক প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য ও তার স্ত্রী তন্দ্রা ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
‘বিক্ষোভ আর কালো পতাকায়’ রূপসী বাংলা এক্সপ্রেস বরণ!
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরলেন ২৬ নারী-পুরুষ ও শিশু
লৌহজং উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি ফরহাদ হোসেন ইমন গ্রেফতার
আয়কর রিটার্ন দাখিলের সময় আরও এক মাস বাড়ল
দূর্নীতিগ্রস্ত লুটেরা মাফিয়াদল যাতে বাংলাদেশে আর ফেরত না আসতে পারে: মেজর হাফিজ
শতভাগ দলীয়করণে ক্রীড়াঙ্গন আজ তলানিতে : আমিনুল হক
দৌলতদিয়ায় বড়দের আদলে ছোটদের জমজমাট নির্বাচন
বাজারে সিন্ডিকেট এখনও সক্রিয় রয়েছে: নূর
খতমে নবুওয়তের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আল্লামা সাজিদুর, নির্বাহী সভাপতি মাওলানা জুনায়েদ
প্রকৃত তথ্য দিয়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির সংবাদ করুন: প্রেস সচিব
কুষ্টিয়ায় ভেড়ামারায় দুই প্রতিষ্ঠানে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে জরিমানা ও কারাদন্ড
‘চাঁদাবাজ দখলবাজরা জুলাই অভ্যূত্থানের চেতনাকে ভূলুণ্ঠিত করছে’
মানিকগঞ্জে আগামীকাল তিনদিন ব্যাপী বিশ্ব ইজতেমা উপলক্ষে পুলিশের কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ