বাড়ছে না প্রবাসী আয়
০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১২:০২ এএম | আপডেট: ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১২:০২ এএম
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রায় সোয়া কোটি বাংলাদেশি কর্মী কঠোর পরিশ্রম করে অর্থনীতির চাকাকে সচল রাখছেন। হুন্ডির প্রভাবে প্রবাসী আয় আশানুরূপ বাড়ছে না। ব্যাংকিং চ্যানেলের সার্ভিস ঘাটতি, বৈধভাবে অর্থ প্রেরণের অতিরিক্ত খরচ এবং ডলারের বিনিময় হারের পার্থক্যের কারণেই প্রবাসী আয় বাড়ছে না। মধ্যপ্রাচ্যসহ বিভিন্ন দেশে কর্মরত অনেক প্রবাসী কর্মীই ব্যাংকিং চ্যানেলের চেয়ে হুন্ডির মাধ্যমে রেমিট্যান্স দেশে পাঠাতে লাভবান হচ্ছে। হুন্ডি পরিহার করে বৈধ চ্যানেলের রেমিট্যান্স দেশে পাঠাতে আরো ব্যাপক উদ্যোগ নেয়া জরুরি হয়ে পড়েছে। অভিজ্ঞ মহল এ অভিমত ব্যক্ত করেছেন। সউদী, সংযুক্ত আরব আমিরাতের পর জনশক্তি রফতানির অন্যতম শ্রমবাজার হচ্ছে মালয়েশিয়া।
বিএমইটির সূত্র জানায়, মালয়েশিয়ায় ইতোমধ্যে তিন লাখ দশ হাজার বাংলাদেশি কর্মী চাকরি লাভ করেছে। নতুন সমঝোতা স্মারকের আওতায় কর্মী গমনের সংখ্যা বাড়লেও দেশটি থেকে বৈধ চ্যানেলে (ব্যাংকিং চ্যানেল) রেমিট্যান্স আয়ে গতি বাড়ছে না। হুন্ডির ব্যবসায়ী চক্র দেশটি কর্মরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগের মাধ্যমে হুন্ডিতে দেশে টাকা পাঠাতে উদ্বুদ্ধ করছে। হুন্ডির মাধ্যমে দেশটি থেকে প্রচুর রেমিট্যান্স আসছে। মূলত হুন্ডির মাধ্যমে দেশে অর্থ পাঠানোর কারণে মালয়েশিয়া থেকে আনুষ্ঠানিক চ্যানেলে রেমিট্যান্স প্রবাহে ভাটা পড়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। এক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংক ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের সক্রিয় ভূমিকা পালনের দাবিও জানিয়েছেন তারা। গত বছরের জুলাইয়ের তুলনায় এ বছর প্রবাসী আয় কমেছে ৫.৮৮ শতাংশ। আগস্টে রেমিট্যান্স প্রবাহ আরো নিচে নেমেছে। সেপ্টেম্বরেও বৈদেশিক আয় কমার শঙ্কা রয়েছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে এ বছর অন্যান্য বছরের তুলনায় ফরেন রেমিট্যান্স কমে যেতে পারে। এর প্রধান কারণ হুন্ডি ও অর্থ পাচার। গতকাল একটি সেমিনারে এ তথ্য উঠে আসে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মালয়েশিয়ায় ৮ লক্ষাধিক বাংলাদেশি কর্মী কঠোর পরিশ্রম করে প্রচুর রেমিট্যান্স দেশে পাঠাচ্ছে। এক শ্রেণির প্রবাসী বাংলাদেশি হুন্ডি সিন্ডিকেট চক্র দেশটির বিভিন্ন সেক্টরে গিয়ে প্রবাসী কর্মীদের বেশি লাভের আশা দেখিয়ে হুন্ডির মাধ্যমে রেমিট্যান্স পাঠাতো প্রলুব্ধ করছে। হুন্ডির মাধ্যমে রেমিট্যান্স পাঠাতে এক হাজার রিঙ্গিতে বাংলাদেশি টাকায় এক হাজার টাকা বেশি পাচ্ছে। মালয়েশিয়ার আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো চলতি বছর বেশ কয়েকবার হুন্ডি ও অর্থ পাচারকারী চক্রের বিরুদ্ধে বড় ধরনের অভিযান চালিয়েছে। এর মধ্যে গত এপ্রিলে প্রবাসীদের রেমিট্যান্স হুন্ডির মাধ্যমে পাচার করার অভিযোগে ১২ বাংলাদেশীসহ ২৯ জন অভিবাসীকে গ্রেফতার করে দেশটির অভিবাসন বিভাগ। কুয়ালালামপুর ও সেলাঙ্গরে বিশেষ অভিযান চালিয়ে এসব হুন্ডি কারবারিকে গ্রেফতার করা হয়। অভিবাসন মহাপরিচালক দাতুক রুসলিন জুসোহ সে সময় জানিয়েছিলেন, ভারত, ইন্দোনেশিয়া ও বাংলাদেশী তিনজন অভিবাসী লাইসেন্সবিহীন হুন্ডি ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে এমন খবর পেয়ে ১০টি স্থানে অভিযান চালানো হয়। হুন্ডি কারবারিরা কর্তৃপক্ষের নজর ফাঁকি দিতে রেস্তোরাঁ, মুদি দোকান, কসমেটিকস আউটলেট ও ইলেকট্রনিক পণ্যের দোকানি পরিচয়ের আড়ালে প্রবাসীদের দেশে অর্থ পাঠানোর কাজে সক্রিয় ছিল। অভিযানে নগদ হুন্ডির জন্য রাখা ৩ লাখ ৫২৭ রিঙ্গিত, মোবাইল ফোন, রেকর্ড বই এবং বাংলাদেশ ও ইন্দোনেশিয়ার রেমিট্যান্সের নথিপত্র জব্দ করা হয়।
কুয়ালালামপুর থেকে নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, সর্বশেষ গত জুলাইয়েও দেশটিতে অর্থ পাচারবিরোধী একটি অভিযান চালানো হয়। ওই অভিযানে ৩ কোটি ৮০ লাখ মালয়েশিয়ান রিঙ্গিত, ২০০ কেজি স্বর্ণ এবং ১৭টি বিলাসবহুল গাড়ি জব্দ করা হয়। মালয়েশিয়ার দুর্নীতিবিরোধী কমিশনের (এমএসিসি) নেতৃত্বে ছয়টি সংস্থার সমন্বয়ে গঠিত একটি টাস্কফোর্স অভিযানটি চালায়। এ অভিযানে মালিক গ্রুপ অব কোম্পানিজের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যানকে আটক করা হয়। অর্থ পাচার, সন্ত্রাসবাদে অর্থায়ন ও বেআইনি কর্মকা-বিরোধী আইনে তাকে আটক করা হয়। যদিও তিনি পরে আদালতের আদেশে জামিন পান। তিনি মালয়েশিয়ায় ‘দাতো মালিক’ হিসেবে ব্যাপকভাবে পরিচিত। তিনি মালয়েশিয়ায় কর্মী নেয়ার ক্ষেত্রে কথিত সিন্ডিকেটের হোতা বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত মালয়েশিয়ান নাগরিক দাতো শ্রী আমিনের প্রধান সহযোগী। তার মাধ্যমেই দাতো শ্রী আমিন মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানো বিভিন্ন কোম্পানির অনুমোদন নিয়েছে। মালয়েশিয়ায় কর্মী নিয়োগে যেসব অঘোষিত মোটা অঙ্কের অর্থ সিন্ডিকেটের মাধ্যমে পাঠাতে হয় তা’ও বৈদেশিক মুদ্রায় পাঠাতে হয়।
বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যান বলছে, ২০২২ সালের জুলাই-সেপ্টেম্বর মালয়েশিয়া থেকে রেমিট্যান্স আসে ৩২ কোটি ৪৮ লাখ ডলার। ২০২২ সালের অক্টোবর-ডিসেম্বর সময়ে দেশটিতে কর্মী যায় ৪৪ হাজার ৭২৯ জন এবং এ সময়ে রেমিট্যান্স আসে ২১ কোটি ৮৭ লাখ ডলার। চলতি বছরের জানুয়ারি-মার্চ প্রান্তিকে মালয়েশিয়ায় ৮২ হাজার ৮৯৩ কর্মী রফতানির বিপরীতে দেশটি থেকে রেমিট্যান্স এসেছে ২৮ কোটি ৭৬ লাখ ডলার। সর্বশেষ এ বছরের এপ্রিল-জুন প্রান্তিকে ৯৫ হাজার ১৯৩ কর্মী গেছেন এবং এ সময়ে রেমিট্যান্স এসেছে ২৯ কোটি ৪৮ লাখ ডলার।
মালয়েশিয়ায় জনশক্তি রফতানির সংখ্যা ও রেমিট্যান্স আহরণের চিত্র পর্যালোচনায় দেখা যায়, ২০২২ সালের জুলাই-সেপ্টেম্বর প্রান্তিকের তুলনায় এর পরের অক্টোবর-ডিসেম্বর প্রান্তিকে জনশক্তি রফতানি সাড়ে আট গুণ বাড়লেও এ সময়ে রেমিট্যান্সের পরিমাণ প্রায় ৩৩ শতাংশ কমে। এর পরের প্রান্তিকগুলোয়ও দেশটিতে যে হারে জনশক্তি রফতানি বেড়েছে সে হারে রেমিট্যান্স বাড়েনি। মালয়েশিয়ার বাংলাদেশি প্রবাসী কর্মীরা জানিয়েছেন, সেখানকার পাম বাগানে অনেক বাংলাদেশি কাজ করেন। হুন্ডি ব্যবসায়ীরা পাম বাগানে কর্মরত এসব কর্মীদের মধ্যে কাউকে কাউকে তাদের এজেন্ট হিসেবে নিয়োগ দেয়। এসব এজেন্ট কর্মীদের কাছ থেকে বেতনের অর্থ সংগ্রহ করে বাংলাদেশে থাকা চক্রের সদস্যের মাধ্যমে কর্মীদের পরিবারের কাছে টাকা পাঠিয়ে দেয়। অন্যদিকে মালয়েশিয়ায় কর্মীদের কাছ থেকে সংগ্রহ করা বৈদেশিক মুদ্রা চলে যায় দেশটিতে সেকেন্ড হোম প্রকল্পসহ অর্থ পাচারের সঙ্গে জড়িতদের কাছে। এভাবেই সেখানে হুন্ডির একটি বিশাল শৃঙ্খল গড়ে উঠেছে।
এদিকে, প্রবাসী আয়ের গতিশীলতা বৃদ্ধিতে করণীয় শীর্ষক সেমিনারে গতকাল নেতৃবৃন্দ হুন্ডি ও অর্থ পাচারের দরুণ প্রবাসী আয়ের গতি বৃদ্ধি না পাওয়ায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছেন। ঢাকায় অনুষ্ঠিত সেমিনারে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান ও অভিবাবন বিশ্লেষক হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ বলেন, গত বছরের জুলাইয়ের তুলনায় এ বছর প্রবাসী আয় কমেছে ৫.৮৮ শতাংশ। আগস্টে রেমিট্যান্স প্রবাহ আরো নিচে নেমেছে। সেপ্টেম্বরেও বৈদেশিক আয় কমার শঙ্কা রয়েছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে এ বছর অন্যান্য বছরের তুলনায় ফরেন রেমিট্যান্স কমে যেতে পারে। এর প্রধান কারণ হুন্ডি ও অর্থ পাচার। একই সাথে ব্যাংকিং চ্যানেলের সার্ভিস ঘাটতি, বৈধভাবে অর্থ প্রেরণের অতিরিক্ত খরচ এবং ডলারের বিনিময় হারের পার্থক্যের কারণেই প্রবাসী আয় বাড়ছে না। তিনি বলেন, সর্বশেষ বাজেট প্রস্তাবের সময় আমরা দাবি করেছিলাম ফরেন রেমিট্যান্সের উপর প্রণোদনা ২.৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৫ শতাংশে উন্নীত করা এবং ব্যাংকিং চ্যানেলে টাকা প্রেরণ করলে কোন বাড়তি খরচ না নেওয়া। অথচ তা করা হয়নি। একজন প্রবাসী কর্মী বৈধ চ্যানেলে ব্যাংকের মাধ্যমে দেশে অর্থ প্রেরণ করলে ১০০ টাকা পাঠালে প্রণোদনাসহ ১০২ টাকা ৫০ পয়সা পাবেন। আর প্রবাসী কর্মীদের বৈধ চ্যানেলে ব্যাংকের মাধ্যমে দেশে টাকা পাঠাতে শতকরা ৩ টাকা বেশি ব্যয় হয়। সেই হিসেবে বৈধভাবে অর্থ পাঠালে শতকরা ৫০ পয়সা কমে যায়। যারা হুন্ডির মাধ্যমে কর্মীদের কাছ থেকে টাকা সংগ্রহ করে দেশে পাঠালে তারা শতকরা ৩ থেকে ৪ টাকা বেশি পায়। এছাড়া যারা হুন্ডিতে টাকা প্রেরণ করে তারা কর্মীর কর্মস্থল থেকে অর্থ সংগ্রহ করে দেশে তার পরিবার পরিজনের কাছে বাড়ি বাড়ি গিয়ে অর্থ পৌছে দেয়। এতে কর্মীর কষ্ট করে দূরে গিয়ে ব্যাংকের মাধ্যমে অর্থ প্রেরণ করা লাগেনা এবং কর্ম ঘন্টাও নষ্ট হয় না। তাহলে কেন কর্মীরা কষ্ট করে লস দিয়ে বৈধ পথে অর্থ প্রেরণ করবে। মূল প্রবন্ধে তিনি আরও উল্লেখ করেন প্রতি বছর অর্থ প্রেরণকারী সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স যোদ্ধাকে সরকারি স্বীকৃতি প্রদান করে প্রয়োজনে পুরস্কারের ব্যবস্থা করা গেলে কর্মীরা বৈধপথে টাকা প্রেরণ করতে উৎসাহিত হবে। এই ক্ষেত্রে বিভিন্ন দেশে কর্মরত কর্মীদের মধ্যে থেকে শ্রেষ্ঠ ১০ থেকে ১৫ জন রেমিট্যান্স প্রেরণকারীকে আর্থিক পুরস্কার ঘোষণা করা যেতে পারে। সর্বোচ্চ অর্থ প্রেরণকারী এইসব রেমিট্যান্স যোদ্ধাদেরকে অর্থ পুরস্কার প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের কল্যাণ ফান্ডে গচ্ছিত অর্থ থেকে দেওয়ার উদ্যোগ নিতে পারে সরকার। তাহলে রেমিট্যান্স প্রবাহের গতি আরো বাড়ানো সম্ভব হবে।
এতে আরো বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সিজ (বায়রা) এর সভাপতি মোহাম্মদ আবুল বাসার, বায়রার সাবেক মহাসচিব মোহাম্মদ রুহুল আমিন। বায়রার সভাপতি মোহাম্মদ আবুল বাসার বলেন, ফরেন রেমিট্যান্সের গতিশীলতা বৃদ্ধিতে বিদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশ দূতাবাস, অর্থ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক, প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়সহ বায়রাকে সাথে নিয়ে সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ করা উচিত। একই সাথে আমাদের কর্মীদের বৈধ পথে অর্থপ্রেরণের সুফল সম্পর্কে অবগত করতে হবে। প্রবাসী কর্মীদের দূতাবাসের সেবা বাড়িয়ে বাংকের মাধ্যমে অর্থ প্রেরণের সময় অযথা নানা রকম ফরম পূরণ থেকে বিরত থাকতে হবে। বায়রার সাবেক মহাসচিব মোহাম্মদ রুহুল আমিন বলেন, ব্যাংকগুলোকে তাদের সার্ভিস কর্মীদের দোরগোড়ায় পৌছানোর উদ্যোগ নিতে হবে। যাতে সংশ্লিস্ট দেশের বন্ধের দিনেও কর্মীরা বৈধভাবে ব্যাংকের মাধ্যমে দেশে অর্থ প্রেরণ করতে পারবে। প্রবাসী আয়ের গতিশীলতা বৃদ্ধি শুধুমাত্র কর্মীর সদিচ্ছার উপরে নির্ভর করে না। যত সহজে কর্মী বাজারমূল্যে ডলারের বিনিময় হারে অর্থ প্রেরণ করতে পারবে, তত বেশি তারা বৈধ পথে দেশে অর্থ পাঠাবে। ভারতের মত বাংলাদেশের কর্মীরাও যাতে মোবাইল অ্যাপসের মাধ্যমে পৃথিবীর যে কোন দেশ থেকে বাংলাদেশে তার উপার্জিত অর্থ নিমিষে পাঠাতে পারে তার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকসহ সরকারকে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।
বায়রার যুগ্ম মহাসচিব এম টিপু সুলতান গতকাল শনিবার ইনকিলাবকে বলেন, গড়ে প্রতি মাসে প্রায় এক লাখ করে জনশক্তি বিদেশে যাচ্ছে। সাম্প্রতিক সময়ে মালয়েশিয়ায় বেশ বড় সংখ্যক প্রবাসী গেছেন। জনশক্তি রফতানি বাড়লেও সে অনুপাতে রেমিট্যান্স না আসার অন্যতম একটি কারণ হচ্ছে যারা বিদেশে যাচ্ছেন ভিসা বাণিজ্যের কারণে তাদের বিদেশী মুদ্রায় একটি ব্যয় রয়েছে। আনুষ্ঠানিক মাধ্যমের তুলনায় হুন্ডির মতো অনানুষ্ঠানিক চ্যানেলে ডলারের দাম বেশি পাওয়ার কারণে প্রবাসীরা এ মাধ্যমেই দেশে টাকা পাঠাচ্ছেন। তিনি বলেন, হুন্ডির অবৈধ লেনদেন নিরুৎসাহিত করতে রেমিট্যান্স আয়ের আড়াই শতাংশ প্রণোদনা বাড়িয়ে ৫ শতাংশ করতে হবে। তিনি বলেন, গ্রামগঞ্জের নিকটবর্তী স্থান থেকে যাতে প্রবাসী পরিবার সহজে রেমিট্যান্স আনতে পারেন তা’র সুব্যবস্থা করতে হবে। রাতে কুয়ালালামপুর থেকে প্রবাসী সাংবাদিক এম এ আবির জানান, ব্যাংকের মাধ্যমে টাকা পাঠালে বেশির ভাগ সময় পরিবারের সদস্যদের হয়রানির শিকার হতে হয়। বেশিরভাগ ব্যাংকেই এনআইডি কার্ড সহ বিভিন্ন কাগজপত্র চেয়ে বসে এবং ঘন্টার পর ঘন্টা ব্যাংকে বসিয়ে রাখে। কারো কারো পরিবারের বৃদ্ধ পিতামাতা ছাড়া অন্য কোন সদস্য না থাকায় বৃদ্ধ পিতামাতাকে ব্যাংক থেকে টাকা উওোলন করতে হয়। গ্রামের সহজ সরল বৃদ্ধ পিতামাতা হয়রানি শিকারের ভয়ে ব্যাংকে যেতে অনিহা প্রকাশ করে। অপর দিকে গতকাল শনিবার হোন্ডির রেইট ছিল মালয়েশিয়া ১ হাজার রিঙ্গিত এর বিপরীতে ২৫ হাজার টাকা। আর ব্যাংকের রেইট ছিল ২৪ হাজার টাকা। আবির বলেন, হুন্ডি বা বিকাশে টাকা যেমন বেশি পাচ্ছে আবার হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে না। তাই বাধ্য হয়েই ব্যাংকের পরিবর্তে হুন্ডি বা বিকাশের মাধ্যমে টাকা পেরন করে। সরকার যদি এই বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করে এবং সবসময় মনিটরিং করে তাহলে হুন্ডি বা বিকাশ থেকে টাকা না পাঠিয়ে ব্যাংক থেকে টাকা পাঠাবে সবাই।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
৯১ শিশু খেলোয়াড়সহ ৬৪৪ ক্রীড়াবিদকে হত্যা করেছে ইসরায়েল
ইইউভুক্ত দেশে গ্যাস সরবরাহ বন্ধের হুমকি কাতারের
দক্ষিণ কোরিয়ার সৌন্দর্যের পেছনে ছুটে বিপদের ফাঁদে পর্যটকরা
ঢাকার বাতাস আজ ‘ঝুঁকিপূর্ণ’
২৮ ডিসেম্বর দেশে ফিরছেন সাবেক মন্ত্রী কায়কোবাদ
হিরো নয় কারিনার ছেলের চরিত্রে অভিনয় করতে পারি
রাওয়ার নেতৃত্বে আবদুল হক ও ইরশাদ সাঈদ
স্লোভাক প্রধানমন্ত্রীর মস্কোতে পুতিনের সঙ্গে বৈঠক
কুমিল্লায় মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ৩ কিশোর নিহত
গাজীপুরে কারখানা থেকে দগ্ধ আরও এক লাশ উদ্ধার
সিরিয়ার আকাশে নিষিদ্ধ হলো ইরানের বিমান
বিমানে ‘ঘুমিয়ে’ ছিলেন বাইডেন : সেনাদের লাশ পেতে অপেক্ষায় স্বজনরা
ভারতে পণ আইন নিয়ে বিতর্ক, এক ব্যক্তির আত্মহত্যা ঘিরে আলোড়ন
ভারত সীমান্তের শূন্যরেখায় পড়ে ছিল বাংলাদেশির গুলিবিদ্ধ লাশ
এক্সপ্রেসওয়েতে কভার্ডভ্যান ও প্রাইভেটকার সংঘর্ষে নারী নিহত, আহত ৫
ব্রাজিলে বাড়ির ওপর বিমান বিধ্বস্ত, সব যাত্রী নিহত
চুয়াডাঙ্গার রামদিয়ায় জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধে একজনকে হত্যা, আহত ৫
চীনের নতুন বাঁধ প্রকল্পে তিব্বতিদের প্রতিবাদ, দমন-পীড়ন ও গ্রেফতার
গাজীপুরে চাঁদা তোলাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় যুবকের মৃত্যু
সউদীতে এক সপ্তাহে ২০ হাজারের বেশি প্রবাসী গ্রেপ্তার