সিঙ্গাপুরের ৪১তম ধনী বাংলাদেশের আজিজ খান
০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১২:০৪ এএম | আপডেট: ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১২:০৪ এএম
সিঙ্গাপুরের শীর্ষ ৫০ ধনীর তালিকায় আবারও স্থান পেয়েছেন বাংলাদেশের মুহাম্মদ আজিজ খান। তিনি সামিট গ্রæপের চেয়ারম্যান। গত বুধবার মার্কিন সাময়িকী ‘ফোর্বস’ সিঙ্গাপুরের শীর্ষ ৫০ ধনীর যে তালিকা প্রকাশ করেছে, সেই তালিকায় আজিজ খানের অবস্থান ৪১তম। যখন এ তালিকা প্রকাশিত হয়, তখন আজিজ খানের মোট সম্পদের পরিমাণ ছিল ১১২ কোটি ডলার। ‘ফোর্বস’ সাময়িকীর তথ্যানুসারে, গতকাল আজিজ খানের সম্পদের পরিমাণ ১১০ কোটি ডলার, অর্থাৎ দুই কোটি ডলার কমেছে।
‘ফোর্বস’-এর ২০২২ সালের সিঙ্গাপুরের শীর্ষ ধনীর তালিকায় আজিজ খানের অবস্থান ছিল ৪২ নম্বরে। সেবার তাঁর সম্পদের পরিমাণ দেখানো হয় ১০০ কোটি মার্কিন ডলার। সেই হিসাবে চলতি বছর ধনীদের তালিকায় আজিজ খান এক ধাপ এগিয়েছেন এবং তাঁর সম্পদ বেড়েছে ১২ কোটি ডলার। সিঙ্গাপুরের জন্য করা তালিকায় মুহাম্মদ আজিজ খানের অবস্থান ৪১তম হলেও ‘ফোর্বস’-এর করা বিশ্বের শতকোটিপতিদের তালিকায় তাঁর স্থান দেখানো হয়েছে ২ হাজার ৫৪০তম। এ অবস্থানে তিনি অবশ্য আরও বেশ কয়েকজনের সঙ্গে আছেন।
২০২১ সালে আজিজ খানের সম্পদের পরিমাণ ছিল ৯৯ কোটি মার্কিন ডলার। ২০১৯ সাল থেকে তাঁর সম্পদের পরিমাণ ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে। এরপর ২০২২ সালে তাঁর সম্পদের পরিমাণ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয়। ফলে তিনি ‘ফোর্বস’-এর বিলিয়নিয়ার বা শতকোটিপতিদের তালিকায়ও স্থান পান।
‘ফোর্বস’ জানিয়েছে, ২০১৯ সালে মুহাম্মদ আজিজ খান জাপানি প্রতিষ্ঠান জেরার কাছে সামিট পাওয়ার ইন্টারন্যাশনালের ২২ শতাংশ শেয়ার ৩৩ কোটি মার্কিন ডলারে বিক্রি করে দেন। সেই বিক্রয়মূল্যের ওপর ভিত্তি করে তখন সামিট পাওয়ারের বাজারমূল্য নির্ধারণ করা হয়েছিল ১৫০ কোটি মার্কিন ডলার।
বাংলাদেশের নাগরিক ৬৮ বছর বয়সী আজিজ খান এক যুগের বেশি সময় ধরে সিঙ্গাপুরের স্থায়ী বাসিন্দা। বিদ্যুৎ, বন্দর, ফাইবার অপটিকস ও আবাসন খাতের ব্যবসা আছে সামিট গ্রæপের এবং তাদের সব সম্পদ বাংলাদেশেই রয়েছে।
সামিটের অধীন বাংলাদেশে বিদ্যুৎ খাতের যত ব্যবসা বা প্রতিষ্ঠান আছে, সেগুলোর হোল্ডিং কোম্পানি সামিট পাওয়ার ইন্টারন্যাশনাল। সামিট পাওয়ার ইন্টারন্যাশনাল সিঙ্গাপুরে নিবন্ধিত। সে জন্য বাংলাদেশে ব্যবসা করলেও এ কোম্পানির সম্পদের হিসাব করা হয় সিঙ্গাপুরে। ‘ফোর্বস’ জানাচ্ছে, মুহাম্মদ আজিজ খানের কন্যা আয়েশা খান বর্তমানে সামিট পাওয়ার ইন্টারন্যাশনাল পরিচালনা করেন।
মার্কিন এ সাময়িকীর তালিকায় আজিজ খানের যে পরিচিতি দেওয়া হয়েছে, তাতে বলা হয়েছে, তিনি তিন সন্তানের পিতা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ব্যবসায় প্রশাসনে তিনি মাস্টার্স করেছেন।
জানা যায়, সামিটের যাত্রা শুরু হয় ট্রেডিং কোম্পানি হিসেবে। পরে বেসরকারি খাতে বিদ্যুৎ উৎপাদনের ব্যবসায় এসে ভালো করে প্রতিষ্ঠানটি। বিদ্যুৎ খাতের ব্যবসায় তাদের দ্রæত অগ্রগতি হয়। ১৯৯৮ সালে সামিটের প্রথম বিদ্যুৎকেন্দ্রটি উৎপাদনে যায়।###
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
জুলাই বিপ্লবে আহত ১৪ জনকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানো হচ্ছে : পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
আইএমএফসহ আন্তর্জাতিক সংস্থার শীর্ষ পদে এখনো ভারতীয়রা
ভারতে নির্যাতনের ভিডিও বাংলাদেশের সা¤প্রতিক ঘটনা হিসেবে প্রচার
দাদাবাড়ি বেড়াতে এসে খুন হলো শিশু সাফওয়ান, আটক ২
নরসিংদীতে ভ্রাম্যমাণ আদালতকে লক্ষ্য করে বালুদস্যুদের গুলিবর্ষণ
নরসিংদীতে রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির মানববন্ধন
রাঙামাটিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ
আখাউড়ায় মর্টার সেল উদ্ধার
রাজবাড়ীতে আ.লীগ দুই নেতা কারাগারে
কমলগঞ্জে ৮২ শতক সরকারি খাস জমি উদ্ধার
প্রিমিয়ার ভার্সিটি ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান হলেন চসিক মেয়র
কুষ্টিয়ায় প্লাইউড বোর্ড কারখানায় আগুন
বিএনপি নেতা কায়কোবাদের দারুল উলূম হাটহাজারীসহ বিভিন্ন মাদরাসা পরিদর্শন
মাদারীপুরে পদ্মা-আড়িয়াল খাঁ নদীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন অব্যাহত
গফরগাঁও সাবেক এমপি বাবেল গোলন্দাজ দম্পতির বিরুদ্ধে দুদকের ২ মামলা
ময়মনসিংহে পুলিশ রেঞ্জ কমান্ড অ্যান্ড কন্ট্রোল সেন্টারের উদ্বোধন
নওফেল পরিবারের ২৫টি ব্যাংক হিসাব ফ্রিজ
নিজ বাড়িতে ক্ষতিগ্রস্ত বন্ধুদের থাকার ব্যবস্থা করেছেন অ্যাঞ্জেলিনা জোলি
যুবদল নেতার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচারের অভিযোগ
ট্রাভেল ব্যান্ড হ্যালির ধুমকেতুর দুই গান