ড্রাকুলা ছিলেন নিরামিষাশী

ইনকিলাব ডেস্ক :

১১ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১২:০৩ এএম | আপডেট: ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১২:০৫ এএম

উপন্যাসে বিখ্যাত চরিত্র ড্রাকুলা বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে, তিনি মাংসাশী ছিলেন না, বরং ছিলেন সম্পূর্ণ শাকাহারি ও ফলভক্ষক।
বিদেশী মিডিয়া সাইট ‘ডেইলি মেইল’ অনুসারে, পঞ্চদশ শতাব্দীতে রোমানিয়ান দুর্গে বসবাসকারী অত্যাচারী রাজা ভøাদ দ্য ইম্পালারের আসল এবং পুরো নাম ছিল ‘ভøাদ দ্য ইম্পালার’, যা ড্রাকুলা নামেও পরিচিত। অত্যাচার ও রক্ত পানের জন্য পরিচিত ড্রাকুলা তিন তিনবার তার রাজ্যের রাজা ছিলেন।
রাজা ভøাদ দ্য ইম্প্যালার দুর্গে একটি বিশেষ নির্যাতনের কক্ষও ছিল যেখানে তিনি তার বিরোধীদের নির্যাতন করতেন। মিডিয়া রিপোর্ট অনুসারে, ড্রাকুলার এ দুর্গটি আজও বিদ্যমান, যেখানে প্রচুর সংখ্যক পর্যটক বিনোদনের উদ্দেশ্যে আসেন।

ব্রাম স্টোকার নামে একজন লেখক ভøাদি ইমপালারকে নিয়ে একটি উপন্যাস লিখেছিলেন, যেখানে লেখক রাজাকে একজন রক্তপানকারী হিসাবে বর্ণনা করেন এবং তার নামকরণ করেছিলেন ‘ড্রাকুলা’।
প-িতরা এখন ভøাদ দ্য ইমপালারের কিছু চিঠি অধ্যয়ন করেছেন, যা তিনি নিজেই লিখেছিলেন ১৪৪৮ এবং ১৪৭৭ সালে তার মৃত্যুর মাঝামাঝি সময়ে। ইতালির ক্যাটানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞরা এখন ড্রাকুলার চিঠি থেকে ঘাম, রক্ত, আঙুলের ছাপ এবং অন্যান্য তথ্য সংগ্রহ করেছেন, যা এই বছরের মে মাসে গবেষণাটি সম্পন্ন হয়েছিল।
গবেষণার ফলাফল বেরিয়ে আসার পর, বিশেষজ্ঞরা দাবি করেছেন যে, ঐতিহাসিক চরিত্র এবং আসল রাজা, ভøাদ দ্য ইম্পালার ওরফে ড্রাকুলা আসলে একজন নিরামিষাশীও ছিলেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ড্রাকুলার অনেক চিঠিতে ড্রাকুলার রক্তের চিহ্ন পাওয়া গেছে, যা তার যোদ্ধা প্রকৃতির ইঙ্গিত দেয়।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ড্রাকুলার রক্তের বিশ্লেষণে দেখা গেছে, প্রাণীদের মধ্যে পাওয়া গুরুত্বপূর্ণ প্রোটিন ড্রাকুলার রক্তে নেই, অন্যদিকে নিরামিষাশীদের রক্তে পাওয়া প্রোটিন ড্রাকুলার রক্তে রয়েছে। সূত্র : জং নিউজ।

বিভাগ : জাতীয়