সিলেট সীমান্তে শক্তিশালী চোরাকারবারী সিন্ডিকেট
১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১১:০৩ পিএম | আপডেট: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১২:০৬ এএম
সীমান্তের চোরাইপথে আনা ভারতীয় চিনিতে সয়লাব সিলেট। অবস্থা দৃষ্টে মনে হচ্ছে সক্রিয় রয়েছে শক্তিশালী চোরাকারবারী সিন্ডিকেট। ফলে দেশিয় চিনির ধ্বস নেমেছে সিলেটের বাজারে। অথচ সীমান্তে রয়েছে রক্ষী, সিলেটের সড়ক-মহাসড়কে রয়েছে দায়িত্বরত পুলিশবাহিনী। কিন্তু প্রায় অভিযানে চোরাইপথে আসা চিনির চালান ধরা পড়ে। সীমান্ত পারাপারকালে নয়, বরং ধরা পড়ে সিলেটের ভেতরে নগরী বা কোন উপজেলার অভ্যন্তরে। তাহলে প্রশ্ন হলো, সীমান্ত বা সড়কে-মহাসড়কে কী কাজ করছে দায়িত্বরত বিভিন্ন বাহিনী? কারো মতে, চোরাকারবারীদের সাথে সখ্য, নয়তো ভাগবাটোয়ারার সন্ধি। যদি তা না হয়, তাহলে চিনিসহ চেরাই পণ্য সীমান্ত পাড়ি দিয়ে সিলেটের অভ্যন্তরে প্রবেশের চিন্তা কেউ মাথায় আনতো না।
দেশে চিনি উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান সিটি গ্রুপের ডিলার হাবিবুর রহমান জানান, ভারতীয় চিনিতে সিলেটের বাজার সয়লাব হয়ে যাওয়ায় দেশি নামকরা প্রতিষ্ঠাগুলোতে উৎপাদিত চিনি হারাচ্ছে বাজার। সিলেটে চিনিকা-ে ব্যাপকভাবে বিতর্কিত হয়েছিলেন সীমান্তবর্তী জৈন্তাপুর থানার ওসি ওমর ফারুক। পুলিশ নিয়মিত বদলি বললেও চিনি ও গরু চোরাচালান কা-ে একমাত্র কপাল পুড়েছিল ওসি ওমর ফারুকের। অন্যরা বহাল রয়েছেন। ওসি ওমর ফারুককে সরিয়ে সেখানে পাঠানো হয় ওসি তাজুল ইসলামকে। কিন্তু ওসি বদল হলেও জৈন্তাপুরের চোরাচালানের দৃশ্যপট বদলায়নি। স্থানীয়দের দাবি, আরো দ্বিগুণ গতিতে জৈন্তাপুরে চোরাচালান হচ্ছে। শুধু চিনি নয়, একদিন পরপরই জৈন্তাপুর সীমান্তে অন্তত ১০টি পয়েন্ট দিয়ে ৫০০ থেকে ১ হাজার গরু-মহিষ নামছে। কারণ চোরাকারবারীরা সংঘবদ্ধ ও প্রভাবশালী। নেতৃত্বে রয়েছে সরকার দলের স্থানীয় ছাত্র সংগঠনের মূল কা-ারীরা। ঘটনা ওপেন সিক্রেট। তাই চোরাই চিনির পথ বন্ধের ক্ষমতা নেই কারো। নেপথ্যে নিরবিচ্ছিন্ন ম্যানেজ সিন্ডিকেট। সেই সিন্ডিকেটের দাপটে বাগবাটোয়ারায় নিরব সংশ্লিষ্টরা।
একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে, ছাত্রলীগ চিনিকা-ে প্রকাশ্যে দৃশ্যপটে বদনামি হলেও তাদের মাথার ওপর রয়েছে সরকারি দল আওয়ামী লীগের একাধিক প্রভাশালী নেতা। সে কারণে অবৈধ পথে আসা ভারতীয় চিনিতে সয়লাব সিলেটের বাজার। পরিস্থিতিতে মাথায় হাত দেশিয় চিনি ব্যবসায়ীদের। নগরীর বনেদি কালিঘাটের একাধিক ব্যবসায়ী জানান, দেশি চিনি বাজারে ধস নেমেছে। চোরাইপথে আসা ভারতীয় চিনির দখলে বাজার। আগে ট্রাকের পর ট্রাক দেশি চিনি এসে ঢুকতো সিলেটের কালিঘাটে। এখন চিনি ব্যবসায়ীরা হাত গুটিয়ে বসে আছেন। কারণ চোরাইকারবারীরা কেবল চিনি নিয়ে বাজারে আসে না, তাদের ক্ষমতা ও রক্তচক্ষুতে ভীত স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন ও সিসিকের নবনির্বাচিত মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীর কাছেও অভিযোগ জানান ব্যবসায়ীরা। অভিযোগে বলা হয়, ভারতীয় চিনিকে কেন্দ্র করে কতিপয় সন্ত্রাসীরা টাকা ভাগাভাগি ও আধিপত্য কায়েম করতে বিভিন্ন সময় সিলেট বিভাগের অন্যতম পাইকারি মালামাল বিক্রয় কেন্দ্র কালীঘাট এলাকায় সন্ত্রাসী কর্মকা- চালাচ্ছে। কিন্তু তাদের পরিচয় প্রকাশে ব্যবসায়ীরা সাহস না দেখালেও সেই সাহস করে দেন ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় সদস্য ও বর্তমান জেলা জজকোর্টের এপিপি প্রবাল চৌধুরী পুজন। তার ফেসবুক আইডিতে চিনির বিষয়টি তুলে এতে সিলেট ছাত্রলীগের বর্তমান নেতাদের সমালোচনা করেন। একই সঙ্গে সিলেটের দুই উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটি নিয়েও তিনি প্রশ্ন তোলেন। তার এ স্ট্যাটাস নিয়ে তোলপাড় শুরু হলে সিনিয়র নেতাদের নির্দেশে সেটি মুছে দেন। এরপরও ওই স্ট্যাটাস কাল হয়ে দাঁড়ায় অ্যাড. পুজনের জন্য। গত ১০ আগস্ট রাতে ছাত্রলীগের মিছিল থেকে তার ওপর গুলি ছোঁড়া এবং পরপর কয়েকটি ককটেল নিক্ষেপ করা হয়। এতে তিনি পায়ে গুলিবিদ্ধ হন। ঘটনার পর সিলেট ছাত্রলীগের এ কর্মকা-টি আমলে নেন ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় সংসদ। ছাত্রলীগের তরফ থেকে গত ১১ আগস্ট ৪ সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। এর মধ্যে গত ১৩ আগস্ট হামলার ঘটনায় সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নাজমুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক রাহেল সিরাজসহ ৫৫ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন অ্যাড. প্রবাল চৌধুরী। সেইসঙ্গে মামলায় আরো ২০০ থেকে ২৫০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়। গত ১৩ আগস্ট দুপুরে এসএমপির কোতোয়ালি থানা পুলিশকে অভিযোগটি মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করার নির্দেশ দেয় সিলেট মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট-১ম আদালতের বিচারক সাইফুর রহমান ভূঁইয়া।
অপরদিকে, ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সংসদের গঠিত তদন্ত কমিটির নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে ধোঁয়াশা। এখন পর্যন্ত তদন্ত টিম হামলার শিকার অ্যাড. প্রবাল চৌধুরীর সাথে কোনো ধরনের যোগাযোগ করেনি। এ প্রসঙ্গে তিনি জানান, তদন্ত কমিটি এখনো কোনো যোগাযোগ করেনি। তাদের কার্যক্রম নিয়ে কোনো পদক্ষেপ পরিলক্ষিত হয়নি।
ওদিকে, তদন্তের অগ্রগতি প্রসঙ্গে ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় সংসদের উপ-দফতর সম্পাদক সাদি মোহাম্মদ আকাশ জানান, তদন্ত টিম কার্যক্রমে রয়েছে। কিন্তু কখন বা কোন দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে হবে তার নির্দিষ্ট কোনো সময়সীমা নেই। হয়তো সে কারণে সময় নিয়েই তদন্ত কার্যক্রম চালাচ্ছে সংশ্লিষ্টরা।
এদিকে, সীমান্ত দিয়ে চোরাইকারবারীরা চিনি নিয়ে আসে সিলেট নগরীর কালিঘাটে। আর এসব চিনির চালান কতিপয় ব্যবসায়ী কেনেন। স্থানীয় আম্বরখানা, টিলাগড়, শিবগঞ্জসহ একাধিক এলাকার ব্যবসায়ীরা জানান, রমজান মাসে কয়েকটি চিনির ট্রাক রাতের আঁধারে লোপাট হতে দেখেছেন তারা। এসব চালান ছাত্রলীগের বিভিন্ন গ্রুপের কর্মীরা ট্রাক থামিয়ে নিয়ে যায়। তবে রমজানের পর থেকে নিরাপদে চালান আসছিল। লুটপাটকারী ওই কর্মীরা ম্যানেজ হয়ে টনের পর টন চিনি এবং চোরাকারবারীকে আটকের পরও কোনোভাবেই বন্ধ করা যাচ্ছে না চিনির চোরাচালান।
সিলেটের পাইকারি বাজার কালীঘাটেই প্রতিদিন প্রায় দেড় কোটি টাকার চোরাই চিনি কেনা-বেচা হয় বলে জানান ব্যবসায়ীরা। পাশাপাশি দেশিয় বিশেষ করে তীর, ফ্রেস কোম্পানীর স্টিকারযুক্ত বস্তায় ভরে এসব চিনি পাঠানো হয় দেশের বিভিন্ন এলাকায়। সীমান্ত এলাকার বাসিন্দা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সূত্রে জানা যায়, জেলার জৈন্তাপুর, জকিগঞ্জ, কানাইঘাট, গোয়াইনঘাট, কোম্পানীগঞ্জ এবং বিয়ানীবাজার উপজেলার সীমান্তবর্তী শতাধিক স্থান দিয়ে চোরাই পণ্য প্রবেশ করে সিলেটে। সীমান্ত এলাকার অন্তত এক হাজার চোরাকারবারী এ কাজে জড়িত। প্রায়ই চোরাই চিনি আটকের খবর পাওয়া গেলেও পাচারের পরিমাণের তুলনায় তা খুবই কম বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। বিভিন্ন সূত্রের দাবি, কখনো বিজিবির চোখ ফাঁকি দিয়ে, কখনো বা বিশেষ ব্যবস্থায় চোরাই পণ্য প্রবেশ করে। আর এ বিশেষ ব্যবস্থা হচ্ছে ম্যানেজ সিস্টেম। এর সাথে একটি রাজনৈতিক ছাত্রসংগঠনের নেতাকর্মী এবং প্রতিটি থানা এলাকায় সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীলদের মোটা অঙ্কের ‘বখরা’ দিয়ে চোরাকারবারীরা তাদের বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানান স্থানীয় বিভিন্ন সূত্র।
ওদিকে, শুধু চিনি নয়, সীমান্ত দিয়ে আসা গরু-মহিষ থেকে স্থানীয় এজেন্টরা প্রতিদিন লাখ লাখ টাকা চাঁদাবাজি করে। তাদের পরিসংখ্যান বলছে, এক জোড়া মহিষ থেকে বিজিবির নামে ৬ হাজার টাকা ও গরু থেকে ৪ হাজার টাকা করে গ্রহণ করা হয়। এছাড়া পুলিশের নামে প্রতি গরু থেকে ১ হাজার টাকা হারে এবং ডিবি পুলিশের নামে ৫০০ টাকা নেয়া হচ্ছে। এ টাকার হেরফের হলেই ঘটে বিপত্তি। অভিযানে আটক করা হয় গরু। এরপর চলে গ্রেফতার ও মামলা। এমন ঘটনায় ক্ষুব্ধ জৈন্তাপুরসহ সীমান্তবর্তী কানাইঘাট, গোয়াইনঘাটের বাসিন্দারা।
চোরাকারবারীরাও বহু ভাগে বিভক্ত। পুলিশ ও বিজিবির লাইনম্যানদের মধ্যে একাধিক গ্রুপ। এ নিয়ে অতীতে সংঘর্ষ, মারামারির ঘটনাও ঘটেছে। সম্প্রতি ওসি তাজুল ইসলাম জৈন্তাপুরে যোগদান করে স্থানীয় সাংবাদিক, ১৭ পরগণার মুরুব্বি ও রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে পৃথক পৃথক বৈঠক করেন। এসব বৈঠকে চোরাচালান বন্ধে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি। বৈঠকে অংশ নেয়া পরগণার মুরব্বিরা জানান, ওসি চোরাচালান বন্ধের কথা বললেও আমরা এতে সন্তুষ্ট হতে পারিনি। কারণ অতীতে সব ওসি একই কথা বলেছিলেন। কিন্তু কেউ কোনো কথা রাখেননি বরং তারা নিজেরাও জড়িয়ে যান চোরাচালানীদের সঙ্গে।
এখন জৈন্তাপুরে গরু ও মহিষ চোরাচালানের হিড়িক পড়েছে। বিশেষ করে জৈন্তাপুরের আসামপাড়া, শ্রীপুরসহ তামাবিল রুটের ৫টি পয়েন্ট দিয়ে একদিন পরপর প্রতি রাতে ৫০০ থেকে ১ হাজার গরু-মহিষ নামছে। চোরাচালানের পশু মানুষের ঘরবাড়ি, ক্ষেতের জমি সবকিছু নষ্ট করে দিচ্ছে। পাশাপাশি উপজেলার লালাখাল এলাকার ৫টি পয়েন্ট দিয়েও নামানো হচ্ছে গরু-মহিষ। এসব এলাকায় কোনো করিডোর না থাকার কারণে রাস্তাঘাট, ফসলি জমির ওপর দিয়ে গরু-মহিষ নিয়ে আসার কারণে মানুষ ত্যক্ত-বিরক্ত হচ্ছে। ভয়ে কেউ প্রকাশ্যে প্রতিবাদ করার সাহস পান না। যারা প্রতিবাদ করে তারা মামলায় আক্রান্ত হয়।
বছরখানেক আগে জৈন্তাপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা এ ব্যাপারে পুলিশসহ বিভিন্ন দফতরে অভিযোগ দিয়েছিলেন। সেই অভিযোগের ব্যাপারে প্রশাসন নীরব ভূমিকা পালন করেছে। উল্টো যারা অভিযোগ করেছিলো তাদের নানাভাবে হেনস্থা করা হয় বলে জানিয়েছে ওই এলাকার ক্ষুব্ধ জনতা।
জৈন্তাপুরের স্থানীয় সাংবাদিকদের মতে, চোরাচালান জৈন্তাপুরকে গ্রাস করে ফেলছে। সীমান্ত দিয়ে গরু-মহিষ আসার পর সেগুলো সীমান্তবর্তী বাংলাবাজার, আনন্দবাজার, মঞ্জিলতলা, ঠাকুনখাই বাজারে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে রাতে নৌকাযোগে সেগুলো নিয়ে যাওয়া হয় হরিপুর বাজারে। এর বাইরে লালাখালের ৫টি পয়েন্ট দিয়ে নামা গরু-মহিষ ভিত্রিখেল, চারিকাটা এলাকা দিয়ে নেয়া হয় দরবস্ত বাজারে। ওখান থেকে সিট দিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে এসব পশু বিক্রি করা হয়।
চিনিকা- দিয়ে এতো নাটকীয়তার পরও বন্ধ হয়নি চিনি চোরাচালান। তবে আগের মতো ছাত্রলীগ আর চিনিকা-ে নেই। তবে একাধিক সূত্র বলছে, ছাত্রলীগ প্রকাশ্যে না থাকলেও যেসব চিনি সীমান্ত দিয়ে আসছে সেগুলো স্থানীয় বাজার হয়ে চলে আসে সিলেটে। সিলেট জেলা পুলিশের মিডিয়া শাখার তথ্য অনুযায়ী, চোরাচালানের ঘটনায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে গত আগস্ট মাসে ৫১টি মামলা হয়েছে। গ্রেফতার করা হয়েছে ৮১ জনকে। এর মধ্যে পুলিশ ৪৯ মামলা দায়ের করে এবং গ্রেফতার করে ৭৮ জনকে। উদ্ধারকৃত মালামালের মধ্যে রয়েছে ভারতীয় চিনি ৯১ হাজার কেজি, ভারতীয় শেখ নাসির বিড়ি প্রায় ৪ লাখ পিস, ভারতীয় চা ১৬শ’ কেজি, ভারতীয় গরু ৪০টি, ভারতীয় মহিষ ৪৮টি, বিভিন্ন প্রকার কাপড় ১ হাজার ৮১০ পিসসহ অন্যান্য মালামাল।
সিলেট জেলা পুলিশের মিডিয়া ফোকাল কর্মকর্তা ও সহকারী পুলিশ সুপার মো. সম্রাট তালুকদার জানান, চোরাচালানের ঘটনায় প্রতিনিয়ত অভিযান হচ্ছে। পুলিশ চোরাচালান রোধে সক্রিয় রয়েছে। এসএমপির উপকমিশনার (উত্তর) আজবাহার আলী শেখ বলেন, নগর পুলিশের হিসেবে চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে ১৫ আগস্ট পর্যন্ত অবৈধ পথে আসা ১৪৪ মেট্রিক টন চিনি জব্দ করা হয়। এ সময়ে ৫০টি মামলা এবং ৮২ চোরাকারবারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। জেলার জকিগঞ্জ, কানাইঘাট, গোয়াইনঘাট, কোম্পানীগঞ্জ, জৈন্তাপুর, এবং বিয়ানীবাজার উপজেলার সীমান্তবর্তী শতাধিক স্থান দিয়ে চোরাই পণ্য সিলেটে প্রবেশ করে বলে জানান এসএমপির উপকমিশনার।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
বঙ্গবন্ধু রেলসেতুর নাম বদলে হলো ‘যমুনা রেলসেতু’
মানিকগঞ্জ-২ আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণের দাবি হরিরামপুর-শিবালয়বাসীর
গোয়ালন্দে সুইট হাট জাতের মিষ্টি কুমড়া চাষে আগ্রহ বেড়েছে কৃষকদের
হঠাৎ কেন দোয়া চাইলেন অভিনেত্রী নুসরাত ফারিয়া!
শিক্ষক নিয়োগে অনিয়ম পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে পঙ্গু করে ফেলছে : শিক্ষা উপদেষ্টা
এবার ৯৭ বলে অপরাজিত ২০১ রিজভির
উপদেষ্টা হাসান আরিফের মৃত্যুতে সোমবার রাষ্ট্রীয় শোক
বাংলাদেশী রোগী পেতে সীমান্ত পর্যন্ত মেট্রো চালু করবে ভারত, সমালোচনার ঝড়
ফ্রান্সের নতুন প্রধানমন্ত্রী ফ্রাঁসোয়া বাইরুকে নিয়ে জনগণের অসন্তোষ
ইসরায়েলে হামলার জবাবে এবার ইয়েমেনে বিমান হামলা চালাল যুক্তরাষ্ট্র
কাপ্তাই লেকে জেগে ওঠা ভাসামান তীরে সবুজ ফসলের সমারোহ
বেনাপোলে ভারতগামী পাসপোর্ট যাত্রীর টাকা ছিনতাই, ৩ দালাল আটক
ভাতা বৃদ্ধির দাবিতে শাহবাগ অবরোধ করলেন বিএসএমএমইউয়ের চিকিৎসকরা
বাধা না থাকলেও গণহত্যাকারী ফ্যাসিবাদকে মানুষ নির্বাচনে আসতে দেবে না : আখতার হোসেন
সালথায় প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে চলছে ডাকাতির নাটক, বিব্রত পুলিশ!
শিল্পকলায় শুরু হয়েছে মাসব্যাপী ভাস্কর্য প্রদর্শনী
এনআইডির তথ্য বেহাত, কম্পিউটার কাউন্সিলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করলো ইসি
সোনারগাঁও বুরুমদী উচ্চ বিদ্যালয়ের হীরক জয়ন্তী উদযাপন
ঈশ্বরগঞ্জ পৌরসভার পাওনা টাকা পরিশোধ না করলে মামলা- পৌর প্রশাসক ইকবাল হোসাইন
সাদপন্থী তাবলীগের মুখপাত্র মুয়াজের ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর