বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশে পাঠানোর বিষয়ে কিছুই করার নেই সরকারের
২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১১:৩১ পিএম | আপডেট: ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১২:০৫ এএম
গুরুতর অসুস্থ বেগম খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর বিষয়ে আইনগতভাবে সরকারের কিছুই করার নেই-মর্মে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক।
গতকাল সোমবার মন্ত্রণালয়স্থ নিজ দফতরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান। মন্ত্রী বলেন, ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১ ধারা অনুযায়ী বিএনপি’র চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার কারাদ- শর্তযুক্তভাবে স্থগিত করা হয়েছিল। তাই তাকে বিদেশে পাঠানোর ব্যাপারে আইনের অবস্থান থেকে সরকারের আর কিছুই করার নেই। শর্তের পরিবর্তন করতে হলে প্রথমে বেগম খালেদা জিয়ার শর্তযুক্ত মুক্তি বাতিল করে সহাবস্থানে আনতে হবে। পরে আবার অন্য বিবেচনা করা যাবে।
বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশে চিকিৎসা দেয়ার বিষয়ে ইতিপূর্বে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল যে বক্তব্য দিয়েছেন আনিসুল হকের কাছে সেই প্রসঙ্গ তুলে ধরা হয়। এ বিষয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, আবেদনটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে করতে হয়। পরে সেই আবেদন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়ে দেয়। বিষয়টি আইন মন্ত্রণালয়ের মতামতের ওপর নির্ভর করে। আমি আগেও বলেছি, এখনো বলছি। ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১ ধারার উপধারা ১ এর ক্ষমতাবলে শর্তযুক্তভাবে খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিত হয়েছে। মুক্তি দেয়া হয়েছে। সেটি মাননীয় প্র্রধানমন্ত্রীর মহানুভবতা। এখন আইনের যে পরিস্থিতি তাতে যদি কোনো পরিবর্তন আনতে হয় তাহলে খালেদা জিয়ার যে আগের শর্তযুক্ত মুক্তি, সেটিকে বাতিল করতে হবে। বাতিল করে সহাবস্থানে যাওয়ার পর আবার অন্য বিবেচনা করা যাবে। এ ইস্যুতে স্বরাষ্ট্র এবং আইন মন্ত্রণালয়ের মধ্যে এক ধরনের পাল্টাপাল্টি বক্তব্য লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি বলেন, আমাদের মধ্যে কোনো ঠেলাঠেলি নেই। আমি পরিষ্কার করেছি, যদি কোনো আবেদন আসে সে আবেদন সরাসরি আইন মন্ত্রণালয়ে করা যায় না। এটিই আইন। আইন মোতাবেক সেটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে করতে হবে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আইনি মতামতের জন্য আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠাবে। এর মধ্যে ঠেলাঠেলির কী দেখলেন আপনারা?’
বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল একটি কথা বলেছেন। ১৯৯০ সালের ১৪ ডিসেম্বরের জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনের একটি ঘোষণা আছে। সেখানে বলা আছে, যদি কোনো সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে যেতে হয় তখন সে দেশের সরকারের দায়িত্ব তাকে বিদেশে পাঠানো। এ বিষয়ে জানতে চাইলে আনিসুল হক বলেন, আরও একটা কথা জাতিসংঘে বলা আছে। সেটি হচ্ছে আমাদের দেশের আইন অগ্রাধিখার পাবে এবং সেক্ষেত্রে আমাদের দেশের আইনে যে অবস্থানে তাকে ৪০১ ধারায় যে মুক্তি দেয়া হয়েছে। আমি বহুবার বলেছি, এই আইনের অবস্থায় এটার কোনো পরিবর্তন করা যাবে না।
সাংবাদিকদের অপর এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশে আইনের শাসন আছে। আমরা আদালতকে শ্রদ্ধা করি।
###
সাঈদ আহমেদ/৩৮১
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সবধরনের রাজনীতি নিষিদ্ধ ঘোষণা
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গণপিটুনিতে হত্যা মামলায় আরও একজনসহ গ্রেপ্তার ৬
সাধ্যের বাইরে গিয়ে মা-বাবার চাহিদা পূরণ করা প্রসঙ্গে?
আগামী ২৪ সেপ্টেম্বর প্রধান উপদেষ্টা প্রথম বিদেশ সফরে যুক্তরাষ্ট্র যাচ্ছেন
ইসলামি দেশগুলোর মধ্যে জ্ঞানীয় বিজ্ঞানে শীর্ষ দুয়ে ইরান
জাইসের লেন্সের জয়জয়কার, স্মার্টফোনেও দুর্দান্ত
সাগর-রুনি হত্যার বিচারের প্রাথমিক স্তর পরিষ্কার করা দরকার : শামসুজ্জামান দুদু
আন্দোলন সংগ্রামে থাকা নেতাকর্মীদের পিছনে রাখার সুযোগ নেই : আমিনুল হক
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টার সাথে বিশ্ব ব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্টের বৈঠক
যশোরে সাবেক এমপি, এসপিসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা
এস আলম গ্রুপের সম্পত্তি স্থানান্তরে নিষেধাজ্ঞা চাওয়া রিটের আদেশ আগামী রোববার
গণহত্যাকারী আ.লীগের সঙ্গে আলোচনা নয় : আসিফ নজরুল
ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে ডিএনসিসি’র সপ্তাহব্যাপী কর্মসূচি শুরু
প্রধান উপদেষ্টার ত্রাণ তহবিলে নোবিপ্রবি শিক্ষক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের একদিনের বেতন প্রদান
সিল্ক রোড উৎসবে ইরানের ‘মেলোডি’
বেনজির ও আজিজসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের
৬ ব্যাংকের এমডি নিয়োগ বাতিল
১৪৩ কোটি ডলার রেমিট্যান্স এলো সেপ্টেম্বরের ১৭ দিনে
ইউনূস গুড উইলের প্রতিফলন দেখতে চায় জনগণ: রিজভী
বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ প্রফেসর আমীর আলী চৌধুরীর ইন্তেকাল