মানুষকে অর্ধাহারে রেখে যুক্তরাষ্ট্রে আনন্দ-ফুর্তি করছেন শেখ হাসিনা: রিজভী

স্টাফ রিপোর্টার

২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১২:০১ এএম | আপডেট: ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১২:০৩ এএম

দেশে ভয়ংকর দুর্ভিক্ষ অবস্থা বিরাজ করছে আর অবৈধ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৬৭ জন ঘনিষ্ঠ লোক নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আনন্দ-ফুর্তি করছেন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, মানুষকে ক্ষুধায় রেখে, অনাহারে-অর্ধহারে রেখে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বৃদ্ধি করে উনি ১৬৭ জন ঘনিষ্ঠ লোক নিয়ে তার একেবারে প্রিয়ভাজনদের নিয়ে ১৮ দিনের সফরে আমেরিকা গেছেন। উনার (প্রধানমন্ত্রীর) কাজ মাত্র এক ঘন্টার। জাতিসংঘের অধিবেশনে একটি বক্তৃতা দেয়া। কোন সূত্র থেকেই জানা যায়নি সেখানে তার অন্য কোন কাজ আছে কিনা। অথচ ১৮ দিন থাকবেন ১৬৭ জন তার ঘনিষ্ঠ লোকজন নিয়ে। কি মজায় আছেন প্রধানমন্ত্রী! কি আনন্দ, কি ফুর্তি। আর এদিকে মানুষ খাবার কিনতে পারেনা, অনাহারে অর্ধাহারে দিন কাটাচ্ছে।
গতকাল মঙ্গলবার নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের উদ্যোগে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশে উন্নত চিকিৎসা দেয়ার দাবিতে লিফলেট বিতরণ কর্মসূচির উদ্বোধনকালে তিনি এসব কথা বলেন।
বেগম খালেদা জিয়াকে পৃথিবী থেকে সরাতে চান শেখ হাসিনা এমন অভিযোগ করে রুহুল কবির রিজভী বলেন, শেখ হাসিনা কারাবন্দি থাকাকালীন সময়ে যখন অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন তিনি বিদেশে চিকিৎসা নেওয়ার জন্য গিয়েছিলেন। আওয়ামী লীগের নেতা নাসিম সাহেব, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, হাজী সেলিম বিদেশে চিকিৎসা নিতে গেছেন। কিন্তু বেগম খালেদা জিয়া যেতে পারেন না। আইনমন্ত্রী আইন দেখান। এই আইন তো নৌকা মার্কা আইন। দেশে তো এখন নৌকা মার্কা আইন চলছে এটা জনগণের আইন না। এই আইন হচ্ছে বাকশালী আইন। দেশের প্রচলিত আইনে মঈনুদ্দিন-ফখরুদ্দিনের সময় শেখ হাসিনা চিকিৎসার জন্য বিদেশেগেছেন না? আর বেগম খালেদা জিয়ার জন্য আইন লাগে! উদ্দেশ্য একটাই বেগম খালেদা জিয়াকে পৃথিবী থেকে সরাতে চান শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, আজকে সারাদেশে ভয়ংকর দুর্ভিক্ষ অবস্থা বিরাজ করছে। মানুষ দাবি করতে ভয় পায়। জ্বালানি তেল, সারের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। অবৈধ প্রধানমন্ত্রী বলছেন আন্তর্জাতিক চাপ আছে। কিন্তু সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য যখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, গণতন্ত্রকামী দেশ বলে তখন তিনি বলেন বাহিরের চাপের কাছে মাথা নত করব না।
বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা অবনতিশীল জানিয়ে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, আমি সোমবার তাকে দেখতে গিয়েছিলাম যার অদম্য সাহস আমাদেরকে তরুন বয়সে ছাত্র জীবনে প্রেরণা দিয়েছে। স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে আন্দোলন সংগ্রামে যার ভূমিকা সবচেয়ে বেশি। তাকে আজকে রাষ্ট্রীয় কষাঘাতে কোন চিকিৎসা না দিয়ে তিলে তিলে নিঃশেষ করার জন্য ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। বেগম জিয়ার উন্নত চিকিৎসা দরকার। তার চিকিৎসকরা দাবি করছে কিন্তু এই সরকারের কানের মধ্যে পাথর ঢুকে গেছে। সরকার চিকিৎসকদের দাবি জনগণের দাবি শুনতে পায়না। কারণ তাদের একটি অশুভ উদ্দেশ্য আছে কিভাবে বেগম জিয়াকে নিঃশেষ করা যায়।
জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ইশতিয়াক আজিজ উলফাতের সভাপতিত্বে লিফলেট বিতরণকালে বিএনপির মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক জয়নুল আবেদিন, মুক্তিযোদ্ধা দলের সাধারণ সম্পাদক সাদেক আহমেদ খান, সাংগঠনিক সম্পাদক লায়ন মিয়া মোহাম্মদ আনোয়ার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।###

বিভাগ : জাতীয়