ভারতে বেড়েছে বিজেপির মুসলিমবিরোধী সহিংসতা ও আর্থ-সামাজিক নিষেধাজ্ঞা
২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১১:৪০ পিএম | আপডেট: ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১২:০১ এএম
ভারতে আসন্ন নির্বাচনকে সামনে রেখে ২০২৩ সালের প্রথমার্ধে মুসলিম-বিদ্বেষী ঘৃণামূলক বক্তব্যের ঘটনা গড়ে প্রতিদিন একটির বেশি ঘটেছে বলে জানিয়েছে সংখ্যালঘুদের ওপর আক্রমণ পর্যবেক্ষণকারী ওয়াশিংটন-ভিত্তিক সংস্থা ‘হিন্দুত্ব ওয়াচ’।
জাতিসংঘের ঘৃণাত্মক বক্তব্যের সংজ্ঞা ব্যবহার করে তৈরি হিন্দুত্ব ওয়াচ এর সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদন বলেছে, ‘২০২৩ সালের প্রথমার্ধে মুসলমানদের লক্ষ্য করে ঘৃণাত্মক বক্তৃতা সমাবেশের ২শ’ ৫৫টি নথিভুক্ত হয়েছে’। সোমবার প্রকাশিত প্রতিবেদনটিতে আরো বলা হয়েছে, প্রায় ৭০ শতাংশ ঘটনা ঘটেছে ২০২৩ এবং ২০২৪ সালে নির্বাচন হওয়ার জন্য নির্ধারিত রাজ্যগুলোতে এবং ঘৃণামূলক বক্তব্যের ৮০ শতাংশ ঘটনা ঘটেছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির হিন্দু জাতীয়তাবাদী ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) শাসিত রাজ্যগুলোতে।
প্রতিবেদনে দেখা গেছে, মহারাষ্ট্র, কর্ণাটক, মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান এবং গুজরাট রাজ্যে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক ঘৃণাত্মক বক্তৃতার জমায়েত হয়েছে এবং এই ধরনের ঘটনার ২৯ শতাংশের জন্য মহারাষ্ট্র দায়ী। বেশিরভাগ ঘৃণাত্মক বক্তব্যের ঘটনা মুসলমানদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র তত্ত্বের উল্লেখ করেছে এবং মুসলমানদের উপর সহিংসতা আহ্বান এবং আর্থ-সামাজিক নিষেধাজ্ঞার আহ্বান জানিয়েছে।
মুম্বাইয়ের মুসলিম বিধায়ক আবু আসিম আজমি বলেছে যে, ভারতীয় পার্লামেন্টের ভেতরেও ঘৃণামূলক বক্তব্য দেওয়া হচ্ছে। তিনি গত সপ্তাহের ঘটনার উল্লেখ করেন, যখন বিজেপির একজন সংসদ সদস্য বিতর্কের সময় একজন মুসলিম এমপির বিরুদ্ধে ইসলাম বিদ্বেষী এবং বর্ণবাদী মন্তব্য করেন। আজমি বলেন, ‹ঘৃণামূলক বক্তব্যের বিষয়ে সুপ্রিম কোর্ট ইতিমধ্যেই কড়া পর্যবেক্ষণ দিয়েছে। দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে ৭০ শতাংশ ঘৃণামূলক বক্তব্যের কারণে।
মানবাধিকার অধিকার গোষ্ঠীগুলি মোদির অধীনে মুসলমানদের সাথে দুর্ব্যবহারের অভিযোগও করেছে। তারা ২০১৯ সালে মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ কাশ্মীরের আধা-স্বায়ত্তশাসর মর্যাদা প্রত্যাহার এবং মুসলিম অভিবাসীদের বাদ দেওয়ার জন্য জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয় দ্বারা ‘মৌলিকভাবে বৈষম্যমূলক’ হিসাবে বর্ণিত ‘২০১৯ নাগরিকত্ব আইন’ এর দিকে ইঙ্গিত করেছে, যা সাংবিধানিকভাবে সুরক্ষিত বিশ্বাসের স্বাধীনতার অধিকার ও ধর্মান্তরকে চ্যালেঞ্জকারী ধর্মান্তর বিরোধী আইন।
কর্ণাটকে যখন বিজেপি ক্ষমতায় ছিল তখন বেআইনি নির্মাণ অপসারণের নামে মুসলিম সম্পত্তি ভেঙে ফেলা হয়েছে এবং ক্লাসরুমে হিজাব পরার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। আন্দোলনকর্মী ও সাংবাদিক তিস্তা সেতালভাদ বলেন, ‹ভারতে শীর্ষ থেকে ঘৃণা প্রবাহিত হয়। ঘৃণা একটি রাষ্ট্রীয় নীতি এবং রাজনৈতিক সংহতির জন্য ব্যবহৃত হয়।’
সেতালভাদ বলেছেন যে, ভারতের সাংবিধানিক পদে নির্বাচিত কর্মকর্তারা দেশটির সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে, প্রধানত মুসলমানদের বিরুদ্ধে নিন্দা, কলঙ্ক এবং নিপিড়ন করেছেন। তিনি বলেন, ‹এটা হল দুষ্কর্মের প্রতি নীরবতা। এই নীরবতা এবং ঘৃণার অপরাধে অপরাধীদের উপভোগ করা দায়মুক্তি ভারতীয় সংখ্যালঘুদের দৈনন্দিন জীবনকে তুচ্ছ ও অরক্ষিত করে তুলেছে।’ সূত্র: আল জাজিরা
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
কুমিল্লায় শিক্ষার্থীদের ওপর হামলাকারী ও হত্যা মামলার প্রধান আসামি আটক
কালীগঞ্জে মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা দিলো বিএনপি
আলবেনিয়ায় ভুয়া ভিসার নামে ২৫ লাখ টাকা নিয়ে উধাও
ধামরাই পৌরসভার সাবেক মেয়র গোলাম কবিরের ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর
ঢাকা মহানগর মিশুক চালক ও শ্রমিক ইউনিয়নের নির্বাচনী সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত
খুলনায় সন্ত্রাসীদের গুলিতে যুবক আহত
কুমিল্লা জজকোর্টের ৩ পিপি-এপিপিকে সংবর্ধনা
চুয়াডাঙ্গার রেলস্টেশন এলাকা থেকে ১৪টি অবৈধ স্বর্ণেরবার উদ্ধার, আটক ৩
জাহাজে ৭ খুনের ঘটনার দ্রুত সুরাহা হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
‘ছাত্র-জনতা সংস্কারের মাধ্যমে মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় জীবন দিয়েছে’
পঞ্চগড়ে ঐতিহ্যবাহী গ্রামীণ খেলা অনুষ্ঠিত
সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বন্ধনকে মজবুত করতে হবে: পীর সাহেব চরমোনাই
‘ট্রানজিটের নামে দিল্লিকে দেয়া করিডর জনগণ মেনে নেয়নি’
বদলির ৩ মাস পরই পূর্বের কর্মস্থলে ফিরলেন শরীয়তপুরে সদর হাসপাতালের ক্যাশিয়ার বজলুর রশিদ
বগুড়ায় যথাযথ মর্যাদায় বড়দিন পালন
শ্রীপুরে ভুয়া মেজর আটক
সাবেক দুদক কমিশনার জহরুল হকের পাসপোর্ট বাতিল, দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের প্রশংসা করলেন রাহাত, জানালেন নিজ অনুভূতি
রাতের আধারে অসহায় ব্যাক্তিদের বাড়ির দরজায় গিয়ে কম্বল দিলেন ইউএনও
আমাদের সংস্কৃতির অংশ হলো সব ধর্মের মাঝে সম্প্রীতি ও সহাবস্থান: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা