বিলাসিতা করে তোপের মুখে পাকিস্তানের তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রী
০২ অক্টোবর ২০২৩, ১২:০৩ এএম | আপডেট: ০২ অক্টোবর ২০২৩, ১২:০৩ এএম
অর্থনৈতিক সঙ্কটের মধ্যে খরচ বাঁচাতে পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বিমানে সাধারণ যাত্রীদের সঙ্গে ভ্রমণ করতেন, সেখানে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অন্তর্র্বর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রী আনোয়ারুল হক কাকার উল্টো বিলাসিতার পথে হাঁটছেন।
সম্প্রতি তিনি নিউইয়র্কে যাওয়ার সময় প্যারিসে তার পরিবারের সাথে আইফেল টাওয়ার পরিদর্শন করেন। যখন পাকিস্তানিদের আমদানি বাঁচাতে কম চা পান করার আহ্বান জানানো হচ্ছে, তাদের প্রধানমন্ত্রী আইফেল টাওয়ারের ওপরে একটি রেস্তোরাঁয় আহার সেরেছেন। এক্সে (সাবেক টুইটার) সিনিয়র পাকিস্তানি সাংবাদিক জাহেদ হোসেন বলেছেন, ‘বিশেষ ফ্লাইটটি ঘুরিয়ে দেয়া হয় এবং তিনি সেখানে স্ত্রী এবং দুই সন্তানের সাথে ডিনার করেন। দূতাবাস থেকে বিল পরিশোধ করা হয়, যা ছিল জনপ্রতি ৩০০ ইউরো’।
সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলোতে পাকিস্তানের জনসাধারণের অসংখ্য প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে, যারা কাকারকে ‘করদাতাদের অর্থ উপভোগ করার’ এবং ‘একটি বাচ্চার মতো আচরণ করছেন যে তার পিতামাতা কীভাবে অর্থ উপার্জন করে তার কোন ধারণা নেই’ বলে অভিযোগ করছে। লেখিকা আয়েশা সিদ্দিকাও অন্তর্র্বর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রীর পদক্ষেপ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন, ‘প্রশ্নটি এই নয় যে, অর্থ অপচয় হয়নি, তবে কেন তারা তাকে এটি করতে দিল?’
কাকারের এ ঘটনা প্রকাশ্যে আসে যখন পাকিস্তান বছরের পর বছর ধরে অর্থনৈতিক সঙ্কটের সাথে লড়াই করছে। কম বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের কারণে জুলাই মাসে আইএমএফ তাদেরকে ৩০০ কোটি ডলার ঋণ দিয়েছে। সরকারি সূত্র ডনকে নিশ্চিত করেছে যে, নিউইয়র্ক সিটিতে অনুষ্ঠিত জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ দিতে যাওয়ার পথে কাকার প্যারিসে থেমেছিলেন।
আইফেল টাওয়ারে পারিবারিক নৈশভোজটি ভ্রমণের হাইলাইট বলে মনে হচ্ছে। জাতিসংঘে তার সফরের ফাঁকে বিশ্ব নেতাদের সাথে দেখা করার কথা ছিল কাকারের, কারো সাথে দেখা হয়নি বলে জানা গেছে। তার সময়সূচিতে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোগান এবং একটি সরকারি মার্কিন প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক অন্তর্ভুক্ত ছিল। কোনো বৈঠকই হয়নি, তবে তিনি লন্ডনে যাওয়ার আগে নিউইয়র্ক সিটিতে পাঁচ দিন অবস্থানকালে একটি সুন্দর তুর্কি ডিনার উপভোগ করেন বলে জানা গেছে, যেখানে তিনি গোপনে সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের সঙ্গে দেখা করে থাকতে পারেন।
মিডিয়া রিপোর্ট অনুসারে, অন্তর্র্বর্তী সরকার ১ হাজার ১০০ কোটি ডলারের ঋণের মেয়াদ বাড়ানোর জন্য সউদী আরব এবং চীনের সাথে আলোচনায় নিযুক্ত রয়েছে। ইসলামাবাদ বর্তমানে এ ঋণ পরিশোধ করতে অক্ষম।
কাকার পাকিস্তানি নেতাদের পদাঙ্ক অনুসরণ করছেন যারা ব্যয়বহুল বিদেশ সফর উপভোগ করেন। দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন রিপোর্ট করেছে, ২০০৮ থেকে ২০১৩ সালের মধ্যে পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট হিসাবে দায়িত্ব পালনকালে আসিফ আলি জারদারি একবার নিউইয়র্ক সফরের জন্য রাষ্ট্রীয় কোষাগারে ১১ লাখ ডলার বিল করেছিলেন। তার মেয়াদে, জারদারি প্রায় ৩ হাজার ২২৭ জন লোক নিয়ে ১৩৪টি বিদেশ সফর করেন। তিনি মোট ২৫৭ দিন বিদেশে কাটিয়েছিলেন। নওয়াজের চার বছরের মেয়াদেও তাকে বিদেশে ২৬২ দিন কাটাতে দেখা গেছে। ২০১৬ সালে নওয়াজ তার নিউইয়র্ক সফরে ৯ লাখ ডলারের বেশি খরচ করেছিলেন। ২০২২ সালের এপ্রিল থেকে ২০২৩ সালের জানুয়ারির মধ্যে শাহবাজ শরিফের জোট সরকারের প্রথম নয় মাসে পাকিস্তান সরকার বিদেশ সফরে ২ লাখ ডলারের বেশি ব্যয় করেছে। সূত্র : দ্য প্রিন্ট।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
পরলোকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং :ভারতে ৭ দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা
কালীগঞ্জে রাঙ্গামাটিয়া ধর্মপল্লীর সংবাদ সম্মেলন
গ্রাম আদালত সম্পর্কে জনসচেতনতা তৈরিতে সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত
মিসরে প্রেসিডেন্ট সিসির বিরুদ্ধে ব্যাপক বিক্ষোভ
কুর্দি যোদ্ধাদের ভয়ঙ্কর হুঁশিয়ারি এরদোগানের
৩৫শ’ এজেন্টের অধিকাংশই গুজরাটের পাচারকারী
৫ সাংবাদিককে হত্যা করল ইসরাইল বিমান
তুষারপাতে অচল হিমাচল দুই শতাধিক রাস্তা বন্ধ
ক্রিপ্টো রিজার্ভ গড়বেন ট্রাম্প?
মোজাম্বিকে কারাদাঙ্গায় নিহত ৩৩, পলাতক ১৫০০ কয়েদি
গাজায় যুদ্ধবিরতি বিলম্বে পাল্টাপাল্টি দোষারোপ হামাস-ইসরাইলের
পাকিস্তানে সড়ক অবরোধে শতাধিক শিশুর প্রাণহানি
আফগানিস্তানে ৭১ সন্ত্রাসীকে হত্যা করেছে পাকিস্তান
শুধু নারীদের জন্য
নিথর দেহ
আত্মহননে
জকিগঞ্জে প্রাক্সিসের ৭ দিনব্যাপী ইংলিশ স্পিকিং চ্যালেঞ্জ কম্পিটিশনের পুরস্কার বিতরণী
মাদ্রাসার ছাদ থেকে পাইপ বেয়ে নামার সময় পড়ে গিয়ে শিশুর মৃত্যু
গাজীপুরে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতাকে ছাড়িয়ে আনতে থানায় বিএনপি নেতাদের ভিড়
শুধু নামেই জিমনেসিয়াম