চবিতে ফের ছাত্রলীগের দুই গ্রুপে সংঘর্ষ আহত ১৫
০৭ অক্টোবর ২০২৩, ১২:০১ এএম | আপডেট: ০৭ অক্টোবর ২০২৩, ১২:০১ এএম
খাবারের দোকানে কথা কাটাকাটির জেরে গতকাল শুক্রবার চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) শাখা ছাত্রলীগের দুই গ্রুপ ফের সংঘর্ষে জড়িয়েছে। এতে দুই পক্ষের অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। তবে আহতদের নাম-পরিচয় তাৎক্ষনিক জানা যায়নি। বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহজালাল হল ও সোহরাওয়ার্দী হলের সামনে সংঘর্ষে জড়ায় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। প্রায় এক ঘণ্টা ধরে চলা সংঘর্ষের পর প্রক্টরিয়াল বডি ও পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়। সংঘর্ষে জড়ানো ছাত্রলীগের দুটি পক্ষ হলো শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীর অনুসারী হিসেবে পরিচিত ‘বিজয়’ আর সাবেক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের অনুসারী হিসেবে পরিচিত ‘সিক্সটি নাইন’। গত বছর ৩১ জুলাই শাখা ছাত্রলীগের কমিটি পূর্ণাঙ্গ হওয়ার পর থেকে বিজয় উপপক্ষটি দুটি ভাগে বিভক্ত হয়েছে। একটি পক্ষের নেতৃত্ব দেন সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইলিয়াছ, আরেকটি পক্ষের নেতৃত্ব দেন সাবেক সহসভাপতি নজরুল ইসলাম, আবু বকর ও ‘পদবঞ্চিত’ শাখাওয়াত হোসেন। শেষের পক্ষটি সংঘর্ষে জড়িয়েছে। অন্যদিকে ক্যাম্পাসে আগে সিক্সটি নাইন উপপক্ষের নেতৃত্ব দিতেন সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন। বর্তমানে এ উপপক্ষের নেতৃত্ব দেন সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাইদুল ইসলাম।
ক্যাম্পাস সূত্র জানায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহ আমানত হলসংলগ্ন একটি হোটেলে দুপুরের খাবার খেতে গিয়েছিলেন সিক্সটি নাইন উপপক্ষের কর্মী পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী আজমির হোসেন আর বিজয় উপপক্ষের কর্মী আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষার্থী মাহির চৌধুরী। মাহির যে টেবিলে খাচ্ছিলেন, সে টেবিলের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় আজমিরের মাহিরের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এতে দুজনের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। এরপর তা হাতাহাতিতে রূপ নেয়।
এ ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর সিক্সটি নাইনের নেতাকর্মীরা শাহজালাল হল থেকে লাঠিসোঁটা, রামদা, রড ও ইটপাটকেল নিয়ে বের হন। আর বিজয়ের নেতাকর্মীরা সোহরাওয়ার্দী হল থেকে একই ধরনের দেশীয় অস্ত্র নিয়ে বের হন। পরে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। প্রায় ঘণ্টাব্যাপী এ সংঘর্ষ চলার পর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন পুলিশ নিয়ে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. নূরুল আজিম সিকদার সাংবাদিকদের বলেন, খাবারের দোকানে কথা কাটাকাটিকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ হয়। এরপর গ্রুপ দুইটি সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। আমরা পরিস্থিতি শান্ত করে দিয়েছি। অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। মকু গ্রুপের নেতা সাখাওয়াত হোসাইন বলেন, ঝামেলা হওয়ার পর আমাদের ছেলেদের হলে ঢুকিয়ে দেই। পরে তারা অতর্কিত হামলা করে। সিক্সটি নাইনের নেতা ও শাখা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সাইদুল ইসলাম সাইদ বলেন, আমাদের এক কর্মী খেতে গেলে সোহরাওয়ার্দী হলে বিজয়ের কর্মীরা তার গায়ে হাত তোলে। এ ঘটনায় উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। পরে পরিস্থিতি শান্ত হয়েছে।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
৩১ দফা রাষ্ট্র কাঠামোর বার্তা মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে হবে: আমিনুল হক
পিরোজপুর প্রেসক্লাব নির্বাচন শামীম সভাপতি ও তানভীর সম্পাদক
বিরক্তিকর সময়কে গুডবাই বলুন! এন্টি ডোট হিসেবে সেরা অ্যাপ (পর্ব-১)
দেশের বিরাজমান সংকট উত্তরণে জাতির আস্থা তারেক রহমান : মীর হেলাল
টোল প্লাজায় দুর্ঘটনা: বাসের ব্রেকে সমস্যা ছিল, চালক নেশা করতেন
পাবনার আমিনপুরে মুক্তিযোদ্ধার বাড়িতে আগুন, শঙ্কিত পরিবার
দেশে এলো ভিভোর নতুন ফ্ল্যাগশিপ এক্স২০০
বিএনপির দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থী কাজে লিপ্ত হলে কাউকে ছাড় নয়: শাহ সুলতান খোকন
সচিবালয়ে অস্থায়ী প্রবেশ পাসের জন্য বিশেষ সেল গঠন
যুদ্ধের দামামা, তালেবানের পাল্টা হামলায় ১৯ পাকিস্তানি সেনা নিহত
ফিরে দেখা ২০২৪: ফুটবলে ঘটনাবহুল বছর
বড় চমক অ্যাপলের, জ্বর ও হার্ট অ্যাটাকের আগেই সতর্ক করবে ইয়ারবাডস
রাস্তাটি সংস্কার করুন
থার্টি ফাস্ট নাইট এবং প্রাসঙ্গিক কথা
ইসলামী শক্তির সম্ভাবনা কতটা
কিশোরগঞ্জে দুই নারীর রহস্যজনক মৃত্যু, গ্রেফতার-১
সাধারণ মানুষের স্বস্তি নিশ্চিত করা জরুরি
দেশের পরিস্থিতি ঠিক না হলে সবাই ক্ষতিগ্রস্ত হবে: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
অনুপ্রবেশকারীদের টার্গেট নরসিংপুর সীমান্ত!
রাউজানে বিএনপিপন্থী পরিবারের ওপর হামলা