তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোগান বলেছেন, চলমান ইসরাইল-ফিলিস্তিন সংঘর্ষ বন্ধে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনা কমাতে তুর্কি তার ভূমিকা পালন করতে প্রস্তুত। তিনি রোববার সেন্ট এফ্রেম সিরিয়াক প্রাচীন অর্থোডক্স চার্চ যা তুর্কির শতাব্দী দীর্ঘ ইতিহাসে নির্মিত প্রথম গির্জার উদ্বোধনকালে ১৯৬৭ সীমানার ওপর ভিত্তি ও পূর্ব জেরুজালেমকে রাজধানী করে ভৌগোলিকভাবে সমন্বিত একটি স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানান।
এর আগে গত শনিবার রাজধানী আঙ্কারায় প্রেসিডেন্ট এরদোগান বলেছেন, ‘আজ সকালে ইসরাইলের ঘটনাবলীর আলোকে আমরা দলগুলোকে সংযমের সঙ্গে কাজ করতে এবং উত্তেজনা বাড়াতে পারে এমন আবেগপ্রবণ পদক্ষেপ থেকে দূরে থাকার আহ্বান জানাচ্ছি’। তিনি আরো বলেন ‘তুর্কি আল-আকসা মসজিদের বিরুদ্ধে যে কোনো প্রচেষ্টার বিরোধিতা অব্যাহত রাখবে।’
এদিকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, ‘তুর্কি ইসরাইল ও ফিলিস্তিনের সহিংসতা নিয়ে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন, এ অঞ্চলে শান্তি পুনঃপ্রতিষ্ঠা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’ উভয় পক্ষকে শক্তির ব্যবহার ত্যাগ করার এবং আর বিলম্ব না করে শান্তির স্থায়ী সমাধানে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রণালয় আরো বলেছে যে, ‘তুর্কি ইসরাইল এবং ফিলিস্তিনের পরিস্থিতি আরো বাড়তে না পারে তা নিশ্চিত করতে অবদান রাখতে প্রস্তুত।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদান আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক প্রতিপক্ষের সঙ্গে চলমান উত্তেজনা নিয়ে আলোচনা করেছেন। তিনি তার কাতারি প্রতিপক্ষ শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুল রহমান আল-থানি, সউদী আরবের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফয়সাল বিন ফারহান আল-ফুরহান আল-সউদ, মিসরীয় প্রতিপক্ষ সামেহ শুকরি, ফিলিস্তিনের প্রতিপক্ষ রিয়াদ আল-মালিকি এবং ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির-আব্দুল্লাহিয়ানের সাথে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছেন।
কূটনৈতিক সূত্রে জানা যায়, চলমান ঘটনাবলীর বিষয়ে আলোচনা করতে তিনি মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন। ইসরাইলের সাথে সাম্প্রতিক সম্পর্ক থাকা সত্ত্বেও তুর্কি কর্মকর্তারা ফিলিস্তিনিদের লক্ষ্য করে ইসরাইলের নীতির সমালোচনা করে চলেছে, যার মধ্যে রয়েছে অধিকৃত পশ্চিম তীর এবং পূর্ব জেরুজালেমে অবৈধ বসতি স্থাপন এবং গাজার মানবিক পরিস্থিতি। তুর্কি বলেছে, ইসরাইলের সাথে স্বাভাবিককরণের প্রচেষ্টা সত্ত্বেও ফিলিস্তিনিদের প্রতি আঙ্কারার অবস্থানে কোনো পরিবর্তন হবে না। সূত্র : ডেইলি সাবাহ।