যুক্তরাষ্ট্রকে একহাত নিলেন ১৪ দলীয় জোটের শরীক ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন। তিনি বলেছেন, বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে মার্কিন দূতাবাসের তৎপরতায় মনে হচ্ছে এই দূতাবাস যেন কোনো রাজনৈতিক দলের অফিস। যুক্তরাষ্ট্র এমন ভাব করছে, মনে হচ্ছে তারা যেন একেবারেই পবিত্র। সেখান থেকেই মনে হয় নির্দেশনা আসে কোথায় কী করবে। আমাদের উপরে স্যাংশন দেওয়া হয়েছে এবং ভিসানীতি প্রয়োগ করা হয়েছে। সুতরাং প্রগতিশীল শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে মোকাবিলা করতে হবে, আমরা মোকাবিলা করবো। গতকাল শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে গণতন্ত্রী পার্টি আয়োজিত ‘মুক্তিযুদ্ধের কাঙ্খিত বাংলাদেশ নির্মাণে ঐক্যবদ্ধ প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক শক্তির ভূমিকা’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন।

রাশেদ খান মেনন বলেন, বিদেশি শক্তির যে তৎপরতা তা পত্রিকায় দেখা যাচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র তাদের নিজের দেশের নির্বাচন নিয়ে হিমশিম খাচ্ছে। ফ্রান্সের নির্বাচন নিয়ে একজন সাবেক প্রেসিডেন্টকে মামলার দারস্থ করছে। বর্তমান প্রেসিডেনট্ট জো বাইডেনের এক ছেলেকে দুর্নীতির দায়ে জিজ্ঞাসাবাদের শিকার হতে হয়েছে। অথচ আমাদের দেশে নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র এমন ভাব করছে, মনে হচ্ছে তারা যেন একেবারেই পবিত্র।

ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি বলেন, বর্তমানে দেশে গণতন্ত্রের যে ধারা তাতে অবশ্যই কিছু ত্রুটি রয়েছে। কিছু ভুল ভ্রান্তি রয়েছে। বৈষম্য ও অনাচার রয়েছে। তারপরও আমি বলবো, আমাদের সব গণতান্ত্রিক শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ থেকে সামনে এগিয়ে যেতে হবে।

গণতন্ত্রী পার্টির নির্বাহী সভাপতি এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রো-ভিসি অধ্যাপক ডা. মো. শহীদুল্লাহ সিকদারের সভাপতিত্বে সেমিনারে আরো উপস্থিত ছিলেন বাসদের আহ্বায়ক রেজাউল করিম খান, গণতন্ত্রী পার্টির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট ভূপেন্দ্র ভৌমিক দোলন, অ্যাডভোকেট ফুয়াদ হোসেন, জাতীয় পার্টির (জেপি) মহাসচিব শেখ শহীদুল ইসলাম, ট্রেড ইউনিয়ন সেন্টারের সাধারণ সম্পাদক ডা. ওয়াজেদুল ইসলাম খান প্রমূখ।

উল্লেখ রাশেদ খান মেনন জাতীয় সংসদের অভিযোগ করেছিলেন যে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সেন্টমার্টিন দ্বীপ দখল করতে চায়। তার বক্তব্যের পর যুক্তরাষ্ট্র জানায়, বাংলাদেশের সেন্টমার্টিন দ্বীপ তারা কখনো চায়নি। ##