সড়কে বসে পড়ার মতো কর্মসূচি আসছে না
২৩ অক্টোবর ২০২৩, ১২:০২ এএম | আপডেট: ২৩ অক্টোবর ২০২৩, ১২:০২ এএম
সরকার পতনের এক দফা দাবিতে ২৮ অক্টোবরের সমাবেশকে কেন্দ্র করে দলের নেতা-কর্মীদের ঢাকায় এসে বসে পড়তে বলা হয়নি বলে জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, আমরা বলেছি, ২৮ তারিখে কর্মসূচির পরে যে যার জায়গায় চলে যাবে এবং পরবর্তী কর্মসূচির জন্য তারা অপেক্ষা করবে।
গতকাল রোববার নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে যৌথসভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। আগামী ২৮ অক্টোবর ‘মহাসমাবেশ’ সফল করতে দলের অঙ্গসংগঠন এবং ঢাকার আশপাশের জেলাগুলোর নেতাদের নিয়ে এই যৌথ সভা হয়। আগামী শনিবারের সেই সমাবেশে বিএনপির নেতা-কর্মীরা ‘রাস্তায় বসে পড়বে’ বলে ক্ষমতাসীনরা অপপ্রচার চালাচ্ছে বলে অভিযোগ করে মির্জা ফখরুল বলেন, এটা সম্পূর্ণ ভুল কথা। নো নো, এটা একেবারেই একটা অপপ্রচার। আমরা আমাদের দলের কোনো নেতা-কর্মীকে ঢাকায় এসে বসে পড়তে বলিইনি। আমরা বলেছি, ২৮ তারিখের কর্মসূচির পরে যে যার জায়গায় চলে যাবে এবং পরবর্তী কর্মসূচির জন্য তারা অপেক্ষা করবে। ইট ইজ ক্লিয়ার? আমরা ২৮ তারিখে এমন কোনো কর্মসূচি দেব না যে, তারা ঢাকায় বসে থাকবে।
তিনি বলেন, সরকার এবার আর পালাবার কোনো পথ পাবে না। তাদের সময় শেষ। এই পার্লামেন্ট শেষ অধিবেশন, আসলে শেষ অধিবেশন।
বিএনপি শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করবে জানিয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আমরা নিশ্চয়তা দিতে চাই, ২৮ অক্টোবরে আমাদের সমাবেশ শান্তিপূর্ণভাবে সমাপ্ত হবে। এর নিরাপত্তার জন্য আমাদের পক্ষ থেকে নিজস্ব সিকিউরিটি ব্যবস্থা যেটা প্রয়োজন, সেগুলো আমরা নিয়েছি।
২৮ অক্টোবরের সমাবেশে ‘সড়কে বসে পড়তে’ সারা দেশ থেকে নেতাকর্মীদের ঢাকায় আনা হচ্ছে বলে ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের বক্তব্যের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, উনাদের কথায় কান দিয়েন না। কথা হচ্ছে যে, উনাদের তো আসলে কোনো উপায় নেই, চিৎকার-চেচামেচি করে, ভয়-টয় দেখিয়ে যে কোনো উপায়ে ঠেকানো যায়, সেই চেষ্টা করছে।
২৮ অক্টোবরের সমাবেশের পরিণতি ১০ ডিসেম্বরের মতো হবে বলে ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্যের জবাবে বিএনপি মহাসচিব বলেন, এটাতেই বুঝা যায় যে, সরকারের উদ্দেশ্য খুব খারাপ। আপনাদের মনে আছে নিশ্চয়, ১০ ডিসেম্বরের আগে ৭ ডিসেম্বর ‘বিনা প্ররোচনায়’, ‘বিনা উসকানিতে’ আমাদের অফিসে আক্রমণ করেছে, আমাদের ওপর হামলা চালিয়েছে, আমাদের ৪৫০-৫০০ নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করে নিয়ে গেছে। এগুলো তারা করেছে আমাদের সমাবেশকে প- করে দেয়ার জন্য। কিন্তু সেটা তারা করতে পারেনি। আমরা ১০ ডিসেম্বর আমাদের সমাবেশ করেছি। এখানে না হলেও অন্য জায়গায় করেছি, শান্তিপূর্ণভাবে করেছি। এবারও আমরা আমাদের সমাবেশ পার্টি অফিসের সামনেই চেয়েছি। নিয়মের মধ্য দিয়ে আমরা চিঠি দিয়েছি, বিষয়টি ডিএমপিকে আমরা অবগত করেছি। আমি মনে করি অবগত করা হচ্ছে সবচেয়ে উৎকৃষ্ট উপায়, আইনসঙ্গতভাবে সেটা আমরা করেছি।
সরকার ও পুলিশ কোনো ধরনের বাধা দেবে না আশা করে মির্জা ফখরুল বলেন, আপনারা কোথাও অহেতুক প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করবেন না, মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার হরণ করবেন না। আমরা অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবিতে আমাদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করছি। সারা দেশ থেকে আমাদের শান্তিপ্রিয় মানুষ আসবেন। তারা এসে এখানে তাদের দাবি সোচ্চার কণ্ঠে দিয়ে যাবেন, সেজন্য আমাদের অনুরোধ থাকবে সবাই সহযোগিতা করবেন।ৃ এখন পর্যন্ত কোথাও অশান্তি আমাদের দ্বারা সৃষ্টি হয়নি। যা কিছু করছে এই সরকার, তার পেটুয়া বাহিনী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
দেশ অস্থিতিশীল হলে দায় সরকারের মন্তব্য করে বিএনপির অন্যতম এই শীর্ষ নেতা বলেন, দেশপ্রেম থাকলে, দেশের মানুষকে ভালোবাসলে, গণতন্ত্রের প্রতি যদি ন্যূনতম শ্রদ্ধাবোধ থাকে, তাহলে আমি আহ্বান জানাব আওয়ামী লীগকে যে, তারা পার্লামেন্টের এই অধিবেশনে এই ব্যবস্থাটা (তত্ত্বাবধায়ক সরকার) সংবিধানে সন্নিবেশিত করে একটা নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের ব্যবস্থা করবেন।
বিরোধী দল নির্বাচনে আসুক-এটা সরকার চায় না অভিযোগ করে তিনি বলেন, কারণ, তারা তো পরিষ্কার করে জানে যে, জনগণ যদি একবার সুষ্ঠু নির্বাচনে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে এই যে ১৫ বছর ধরে যে দুঃশাসন চালিয়েছে, এখানে তাদেরকে চলে যেতে হবে।
প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য বিচার বিভাগে হস্তক্ষেপ অভিযোগ করে মির্জা ফখরুল বলেন, বার কাউন্সিল ভবন উদ্বোধন করতে গিয়ে শনিবার প্রধানমন্ত্রী যে বক্তব্য রেখেছেন, তা তিনি পারেন না। সরাসরি তিনি (প্রধানমন্ত্রী) আদালতকে নির্দেশ দিয়েছেন, হস্তক্ষেপ করছেন যে, সব মামলায় সাক্ষী আনতে হবে, সব মামলায় সাজা দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। তার বক্তব্যে এটা সম্পূর্ণভাবে পরিষ্কারভাবে প্রমাণিত হয়ে গেছে যে, সরকার আদেশ দিয়ে বিচার বিভাগকে তারা প্রভাবিত করছে এবং সেইভাবে ফরমায়েশি রায় দিচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আবদুস সালাম, লিটন মাহমুদ, ইউনুস মৃধা, উত্তরের আবদুল হালিম ডোনার, যুগ্ম মহাসচিব মাহবুব উদ্দিন খোকন, সাংগঠনিক আবদুস সালাম আজাদ, মাহবুবে রহমান শামীম, শামা ওবায়েদ, স্বেচ্ছাসেবক দলের এসএম জিলানী, যুব দলের শফিকুল ইসলাম মিল্টন, শ্রমিক দলের আনোয়ার হোসাইন, মুক্তিযোদ্ধা দলের ইশতিয়াক আজিজ উলফাত, সাদেক আহমেদ খান, মহিলা দলের সুলতানা আহমেদ, মৎস্যজীবী দলের রফিকুল ইসলাম মাহতাব, আবদুর রহিম, উলামা দলের নজরুল ইসলাম তালুকদার, তাঁতী দলের মজিবুর রহমান, জাসাসের জাকির হোসেন রোকন, ছাত্র দলের সাইফ মাহমুদ জুয়েলও উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকার আশ-পাশের জেলাসমূহের মধ্যে মানিকগঞ্জের আফরোজা খানম রীতা, নরসিংদীর খায়রুল কবির খোকন, মুন্সীগঞ্জের কামুরুজ্জামান রতন, ঢাকার আবু আশফাক খন্দকার, গাজীপুরের ফজলুল হক মিলন, শাহ রিয়াজুল হান্নান, নারায়নগঞ্জের গিয়াস উদ্দিন, শাখাওয়াত হোসেন খান, আবু আল ই্উসুফ খান টিপু, ও টাঙ্গাইলে ফরহাদ ইকবাল যৌথ সভায় অংশ নেন।#
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
ইয়ামালের মাইলফলকের রাতে হারের তেতো স্বাদ বার্সার
আর্সেনালের স্বস্তির ড্র,অ্যাটলেটিকোর দারুণ জয়
হেডের বিধংসী শতকে লন্ডভন্ড ইংল্যান্ড
পয়েন্ট হারিয়েও শীর্ষে আর্জেন্টিনা,অবনতি বাংলাদেশের
বিদেশে সাবেক ভুমিমন্ত্রীর আট হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি
ইউনূস গুড উইলের প্রতিফলন দেখতে চায় জনগণ: রিজভী
সময় থাকতে হাসিনাকে ফেরত পাঠান : ভারতকে দুদু
রুশ সেনা কুরস্কের দুটি শহরের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে
বিমানবন্দর এলাকা হবে শব্দদূষণ মুক্ত
যাত্রাবাড়ী থানার সাবেক ওসি আবুল হাসান ৭ দিনের রিমান্ডে
বিচার শুরু হলে হাসিনাকে ফেরত চাওয়া হবে : আইন উপদেষ্টা
লোহাগড়ায় দিনে-দুপুরে বসতবাড়ি পুড়ে ছাই
রাষ্ট্রীয় কল্যাণে অবদান রাখার সুযোগ দিন আলেমদেরকে
দুই মেডিকেল টেকনোলজিস্টের ওপর হামলার ঘটনায় বিএমটিএর নিন্দা
জিএম কাদের ও মজিবুল হক চুন্নুকে অবিলম্বে আটক করতে হবে : আবু হানিফ
উপদেষ্টাদের আয় ও সম্পদ বিবরণী প্রকাশের নীতিমালা অনুমোদন
সাবেক মন্ত্রী শ ম রেজাউল-এমপি হেনরিসহ ৩ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
পটুয়াখালী মেডিক্যাল কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতিকে একবছর ,সাধারন সম্পাদককে দুই বছর একাডেমীক কার্যক্রম থেকে বহিস্কারসহ উভয়কে হোস্টেল থেকে আজীবন বহিস্কার।
ঢাবিতে যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে ৫ শিক্ষার্থী গ্রেফতার
রাজউক চেয়ারম্যানের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিল