ঢাকা   বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ৪ আশ্বিন ১৪৩১
অতিরঞ্জিত ও ভুল পূর্বাভাসে হাসাহাসি মানুষের আস্থা তলানিতে : ঘূর্ণিঝড়ের ‘মহাবিপদ সঙ্কেত’ সেই রাখাল বালক ও বাঘের গল্প মনে করিয়ে দেয় : দক্ষিণ চট্টগ্রামে ৪০ বছরের রেকর্ড বৃষ্টিতে ভয়াল ঢল-বন্যার পূর্বাভাসে শোচনীয় ব্যর্থতার দায় কার! ‘বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ এর প্রযুক্তি সুবিধা কাজে লাগিয়ে সারা দেশে ইউনিয়ন-ওয়ার্ড পর্যায়ে যথাসময়ে সঠিক পূর্বাভাস প্রদান সম্ভব’ : রুয়েট ভিসি প্রফেসর ড. জাহাঙ্গীর আলম

জনভাবনায় আবহাওয়া পূর্বাভাস

Daily Inqilab শফিউল আলম

২৬ অক্টোবর ২০২৩, ১২:১১ এএম | আপডেট: ২৬ অক্টোবর ২০২৩, ১২:১১ এএম

‘এক হাত বৌল্লা বারো হাত শিং, উড়ে যায় বৌল্লা ধা তিং তিং’। সাহিত্য-প-িত ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ রচিত ‘পল্লি­সাহিত্যে’ এই ধাঁধাটি উল্লেখ করা আছে। গ্রাম-জনপদের সাথে যাদের সংযোগ আছে তাদের জন্য ওই ধাঁধার জবাব খুবই সোজা। কিন্তু বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর (বিএমডি) সংস্থাটি কখন, কী পূর্বাভাস দিয়ে থাকে তা অনেক সময়েই মস্ত কঠিন ধাঁধা। কার উদ্দেশে পূর্বাভাস তাও চিন্তা-ভাবনার বিষয়। আবহাওয়া বিভাগের পূর্বাভাসে অনেক সময়েই ‘এক হাত বৌল্লার বারো হাত শিং’ গজিয়ে যায়। অর্থাৎ অঘটন ঘটন পটিয়সী। এরজন্য অনেকেই রসিকতা করে বলে থাকেন- ‘আবহাওয়া বিভাগ যদি বলে বৃষ্টি হবে, সেদিন ধরে নিতে হবে রোদ থাকবে। রোদ থাকবে বললে বৃষ্টি পড়বে। অর্থাৎ পূর্বাভাসের উল্টোটাই ঘটবে।

আবহাওয়া বিভাগের এক থেকে দশ নম্বর পর্যন্ত যেসব ধাপে ধাপে সঙ্কেত তার সঠিক মর্মার্থ জনগণের কাছে বোধগম্যই নয়। জনগণের কাছে সহজ করেই আবহাওয়া সতর্কতা সঙ্কেত ব্যবস্থা চালুর জন্য বিশেষজ্ঞরা দীর্ঘদিন তাগিদ দিয়ে আসছেন। কিন্তু অগ্রগতি নেই এখনও। জনগণই যদি বুঝতে সক্ষম না হন সেই ধরনের আবহাওয়া সঙ্কেত কেন বা কার জন্য? বিএমডি চলতি আধুনিক যুগোপযোগী প্রযুক্তি, যান্ত্রিক সাজ-সরঞ্জাম, জ্ঞান ও দক্ষতা-অভিজ্ঞতার ধারেকাছে কার্যত নেই। মান্ধাতা আমলের ধ্যান-ধারণা, কর্তাব্যক্তিদের সেকেলে মানসিকতার কারণে বিএমডি স্থবির প্রতিষ্ঠানে পরিণত হতে চলেছে। অন্তত কাজেকর্মে ফলাফলে তা-ই মনে হওয়ার যথেষ্ট যুক্তি রয়েছে। সঠিক ও সময়োচিত আবহাওয়া পূর্বাভাস প্রদানে পদে পদে ব্যর্থ হচ্ছে বিএমডি। পূর্বাভাসে গড়মিল ও অসঙ্গতি হচ্ছে প্রায়ই। অথচ আবহাওয়া বিভাগের পূর্বাভাস, সতর্ক সঙ্কেত কিংবা বিপদ সঙ্কেত নিয়ে জনভাবনা কি এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তাব্যক্তিদের ভাবার গরজ নেই!

আর সেই ব্যর্থতার খেসারত দিচ্ছেন দেশের সাধারণ জনগণ। এর ফলে কোটি কোটি টাকার অপচয় এবং ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে। বাড়ছে নানামুখী জনদুর্ভোগ। অনেক সময়েই অতিরঞ্জিত ও ভুল পূর্বাভাস নিয়ে মানুষের হাসাহাসি লক্ষ্য করা যায়। পূর্বাভাস নিয়ে জনমনে আস্থা নেমে গেছে তলানিতে। আবার ভুল ও অতিরঞ্জিত পূর্বাভাসের উপর নির্ভর করে অতিমাত্রায় তৎপর হয়ে উঠেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কিছু কর্তাব্যক্তি। তাদের মাধ্যমে দুর্যোগের বাবদ ফুলিয়ে-ফাঁপিয়ে বরাদ্দ, সাহায্যের বহর কাগজে-কলমে তৈরি হয়ে অধিকাংশ চলে যাচ্ছে সুযোগসন্ধানী ও সুবিধাভোগীদের হাতে। তাছাড়া কারণে অকারণে বিপদ সঙ্কেত কিংবা মহাবিদ সঙ্কেত ঘোষণার ফলে উপকূলবাসীকে নানামুখী হয়রানি পোহাতে হয়। বসতঘর অরক্ষিত ফেলে রেখে নিরাপদ আশ্রয়কেন্দ্রে ছুটতে হয়, যেখানে বাস্তবে ঘূর্ণিঝড়ের আঘাত আসার আশঙ্কা নেই। বিপদ সঙ্কেত তুলে নিলে মানুষ ফিরে যায়। শেষ পর্যন্ত সেই অঞ্চল দিয়ে ঘূর্ণিঝড় না গেলে মানুষের মাঝে ক্ষোভ-অসন্তোষ, আস্থাহীনতা তৈরি হয়। তখন সে ক্ষেত্রে প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়ে ‘মহাবিপদ সঙ্কেত’। উপকূলীয় জনগণের মাঝে আস্থায় ভাটা পড়ে। পরবর্তী কোন ঘূর্ণিঝড়ের কারণে বিপদ সঙ্কেত ঘোষণা হলেও উপকূলবাসী আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে অনীহা দেখায়।

এক রাখাল বালক বনের ধারে গরু চড়ানোর সময় একদিন চিৎকার করে ওঠে- ‘বাঘ এলো, বাঘ।’ তখনই গ্রামবাসী তাকে উদ্ধার করতে ছুটে আসে লাঠিসোঁটা, দা-কুড়াল হাতে নিয়ে। এসে দেখে রাখাল বালক দাঁড়িয়ে হাসছে। বাঘ আসলে আসেনি। সে মজা করছিল। আবারও কিছুদিন পরে চিৎকার করে উঠল- ‘বাঘ, বাঘ।’ গ্রামবাসী এগিয়ে গেল। তারা বনের ধারে দেখল রাখাল, মানুষকে বেকুব বানানোর আনন্দে রাখাল বালক হাসিতে কুটি কুটি।

আবারও লোকজন ফিরে গেল যার যার কাজে। আরও বেশ কিছুদিন পরে আবারও চিৎকার শোনা গেল সেই রাখাল বালকের। ‘বাঘ এলোরে, বাঘ, বাঘ’! তখন গ্রামবাসী কেউই আর এলো না। ভেবেছে ওই একই রকম দুষ্টুমি। কিন্তু সেবার সত্যি সত্যি আসল বাঘ এসে খেয়ে ফেলল রাখাল বালকটিকে। বাঁচানোর জন্য ছিল না কেউই! ঈশপের বহু প্রাচীন ও প্রচলিত সেই শিক্ষণীয় গল্পটির মতোই বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের (বিএমডি) দেওয়া আবহাওয়া পূর্বাভাস, সতর্ক সঙ্কেত কিংবা বিপদ সঙ্কেত, বৃষ্টিপাত, পাহাড়ি এলাকায় ভূমিধস কিংবা তাপমাত্রার পূর্বাভাস ইত্যাদির ক্ষেত্রে অসঙ্গতি ও গড়মিল অনেক সময়েই লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এমনকি পূর্বাভাসে অতিরঞ্জন হচ্ছে। আবার কোন কোন বড় দুর্যোগের ক্ষেত্রে মিলছে না সময়োচিত, সঠিক, যথাযথ ও সুনির্দিষ্ট পূর্বাভাস।

হামুনের ‘অতি প্রবল’ থেকে সাধারণ : ভারী বৃষ্টি ‘শূণ্য’
আবহাওয়া পূর্বাভাসে প্রায়ই ব্যর্থতা এবং ভুল পূর্বাভাসের ক্ষেত্রে বিএমডির সাম্প্রতিক বেশ কয়েকটি দুর্যোগ ও আবহাওয়া পূর্বাভাসের উদাহরণ উল্লেখযোগ্য। যেমনÑ গত মঙ্গলবার বঙ্গোপসাগর থেকে ধেয়ে আসা ঘূর্ণিঝড় ‘হামুন’কে আবহাওয়া বিভাগের বিশেষ বুলেটিনে এক পর্যায়ে ‘অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়’ হিসেবে উল্লেখ এবং চট্টগ্রাম ও পায়রা সমুদ্র বন্দরে ৭ নম্বর বিপদ সঙ্কেত, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরে ৫ নম্বর বিপদ সঙ্কেত দেয়া হয়। পরবর্তীতে চট্টগ্রাম-কক্সবাজারে ৭ নম্বর বিপদ সঙ্কেত দেয়া হয়। প্রথমে মেঘনা মোহনা হয়ে বরিশাল-ভোলা-চট্টগ্রাম উপকূল অতিক্রম করা আশঙ্কার কথা বলা হয়। উপকূলের জেলাগুলোতে স্বাভাবিক সামুদ্রিক জোয়ারের চেয়ে ৩ থেকে ৫ ফুট উচ্চতায় জলোচ্ছ্বাসের পূর্বাভাস দেয়া হয়। অতিক্রমের সম্ভাব্য সময়ও পরিবর্তন করা হয়।
অথচ শেষ পর্যন্ত ‘ঘূর্ণিঝড় হামুন’ দুর্বল হয়ে কুতুবদিয়া-মহেশখালী হয়ে কক্সবাজারের উপকূলই অতিক্রম করে গেছে। ‘হামুন’ ‘অতি প্রবল’ ঘূর্ণিঝড় তো নয়; বরং সাধারণ ঘূর্ণিঝড়ের পর্যায়ে এমনকি কক্সবাজার উপকূলে আছড়ে পড়াকালে গভীর নি¤œচাপ আকারে দুর্বল হয়ে পড়ে। গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৮০ কি.মি. পর্যন্ত। উপকূলের কোথাও তেমন জলোচ্ছ্বাসও ছিলনা। ভারতের আবহাওয়া বিভাগ (আইএমডি) ‘হামুন’কে তেমন গুরুত্বই দেয়নি। এমনকি পরদিন গতকালই চট্টগ্রাম-কক্সবাজারসহ ৪ সমুদ্র বন্দর অঞ্চলে ৭ নম্বর এবং ৫ নম্বর বিপদ সঙ্কেত পুরোপুরি প্রত্যাহার করে নেয়া হয়েছে। এখন কোন সঙ্কেতই নেই। তাহলে ১৫টি জেলার ১৫ লাখেরও বেশি উপকূলবাসীকে নিরাপদ আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে নেয়ার তোড়জোড় এবং কক্সবাজার ছাড়া অন্যান্য জেলায় ৭ বা ৫ নম্বর বিপদ সঙ্কেত কতটা যৌক্তিক এ নিয়ে জনমনে প্রশ্ন উঠেছে।

আবহাওয়া বিভাগের ৭২ ঘণ্টার জন্য প্রযোজ্য ভারী বর্ষণের সতর্কতামূলক পূর্বাভাসে গত সোমবার বলা হয়েছিল, ‘ঘূর্ণিঝড় হামুনে’র প্রভাবে ঢাকা, চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল ও সিলেট বিভাগে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাত এবং বৃহত্তর চট্টগ্রাম অঞ্চলে পাহাড়ধসের আশঙ্কা রয়েছে। বাস্তবে দেখা গেল (আবহাওয়া বিভাগের তথ্য-উপাত্ত অনুসারে), গতকাল বুধবার সকাল পর্যন্ত পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় (‘হামুন’ অতিক্রমকালে) ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, সিলেট ও বরিশালে তেমন বৃষ্টিপাতই হয়নি। তবে এ সময়ে চট্টগ্রামে ৫৯ মি.মি., কুতুবদিয়ায় ১২৪ মি.মি. (সর্বোচ্চ) সহ চট্টগ্রাম বিভাগে হালকা থেকে মাঝারি বর্ষণ, দুয়েক জায়গায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে। সেই ৭২ ঘণ্টায় ‘ভারী বর্ষণের সতর্কতা’ পূর্বাভাসের বিপরীতে গতকাল সারা দিনেও দেশে তেমন উল্লেখযোগ্য বৃষ্টিপাত হয়নি।
বিগত ১৪ মে ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ দেশের উপকূলে আঘাতের আশঙ্কায় আবহাওয়া বিভাগ ‘দশ নম্বর মহাবিপদ সঙ্কেত’ জারি এবং এমনকি ৮ থেকে ১২ ফুট উঁচু জলোচ্ছ্বাসের শঙ্কা প্রকাশ করে! ১৫ উপকূলীয় জেলার অন্তত ১৮ লাখ মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে নেয়া হয়। সরকারের তরফ থেকে ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ ‘সুপার সাইক্লোন’ হতে পারে মর্মে সতর্ক করা হয়। দুর্যোগ সাহায্যের বরাদ্দ হয় বড়সড়। শেষ পর্যন্ত ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ টেকনাফের পাশ দিয়ে মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশের একাংশে দুর্বল আঘাত করে গেছে। এরপরই তুলে নেয়া হয় ‘দশ নম্বর মহাবিপদ সঙ্কেত’। যা অনেকেরই ধারণা অদূরদর্শী ও অতিরঞ্জিত। এতে করে ‘বিপদ সঙ্কেত’ বা পূর্বাভাসের বিশ^াসযোগ্যতা হ্রাস ও ক্ষুণœ হয়।

শোচনীয় ব্যর্থতা দক্ষিণ চট্টগ্রামে ভয়াল বন্যা
সাম্প্রতিক সময়ে দেশে আবহাওয়া এবং বন্যা পূর্বাভাসের ক্ষেত্রে শোচনীয় ব্যর্থতার জ¦লন্ত নজির দক্ষিণ চট্টগ্রামে ইতিহাসের ভয়াল বন্যা, পাহাড়ি ঢল ও ভূমিধস। গত ৬ ও ৭ আগস্ট অতি বৃষ্টিপাতের ফলে হঠাৎ ও খুব দ্রুত পাহাড়ি ঢল নামে দক্ষিণ চট্টগ্রামে। পুরো আগস্ট মাসের পরিমাণের চেয়েও দ্বিগুণ বেশি (সাড়ে ৮শ’ মিলিমিটার) বৃষ্টিপাত হয় মাত্র তিন দিনে। এর ফলে ফুলে-ফুঁসে উঠে শংখ, মাতামুহুরী, ঢলুসহ দক্ষিণ চট্টগ্রামের সব নদ-নদী-খাল। সেই সাথে আকস্মিক পাহাড়ি ঢল নামে। পাহাড়ধস হয় ব্যাপক। পটিয়া-চন্দনাইশ-সাতকানিয়া থেকে শুরু করে কক্সবাজার ও বান্দরবান ভয়াবহতম বন্যা কবলিত হয়। অন্তত ২৫ জন মারা যায়। বান্দরবানে দোতলা সমান বাড়ি ডুবে যায়। দক্ষিণ চট্টগ্রামের প্রবীণরা বলেন, বিগত ৪০ বা ৫০ বছরেও এমন ভয়াবহতম ঢল-বন্যা তারা দেখেননি। অনেক স্বচ্ছল পরিবারও এ দুর্যোগে রাতারাতি পথে বসে। জরুরি ত্রাণ ও উদ্ধার কাজে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়। দোহাজারী-কক্সবাজার নবনির্মিত রেলপথ ঢল-বন্যায় বেঁকে ও ধসে যায়।

অন্যদিকে আবহাওয়া বিভাগ ও পাউবো এহেন ভয়াল দুর্যোগ সম্পর্কে বিশেষ করে অতি ভারী বৃষ্টিপাত, বন্যা ও পাহাড়ধসের সময়মতো সঠিক পূর্বাভাস দিতে চরমভাবে ব্যর্থ হয়। দক্ষিণ চট্টগ্রাম-কক্সবাজার-বান্দরবানে বিগত ৪০ বা ৫০ বছরের রেকর্ড ভয়াবহতম বন্যার সময়োচিত পূর্বাভাসে শোচনীয় ব্যর্থতার এবং খেসারত দিতে গিয়ে জনসাধারণের জানমাল, সম্পদহানির দায় কার!

দেশের আবহাওয়া পূর্বাভাস ব্যবস্থাকে যুগোপযোগী আধুনিকায়ন এবং জনগণের স্বার্থে তাদের দোরগোড়ায় নিয়ে যাওয়ার উপর গুরুত্বারোপ করেছেন রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয়ের (রুয়েট) ভিসি প্রফেসর ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম। তিনি গতকাল ইনকিলাবকে বলেন, উৎক্ষেপিত ‘বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১’ এর প্রযুক্তিগত সুবিধা কাজে লাগিয়ে সারা দেশে এমনকি প্রত্যন্ত ইউনিয়ন-ওয়ার্ড পর্যায়ে যথাসময়ে সঠিক পূর্বাভাস প্রদান করা সম্ভব। এর সুফল পাবেন দেশের কৃষক, খামারীসহ সর্বস্তরের মানুষ।


বিভাগ : জাতীয়


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

আরও পড়ুন

ইত্তিহাদেই সিটিকে রুখে দিল ইন্টার

ইত্তিহাদেই সিটিকে রুখে দিল ইন্টার

রোনালদোদের নতুন কোচ পিওলি

রোনালদোদের নতুন কোচ পিওলি

দক্ষিণ আফ্রিকাকে গুড়িয়ে আফগানদের ঐতিহাসিক জয়

দক্ষিণ আফ্রিকাকে গুড়িয়ে আফগানদের ঐতিহাসিক জয়

যেই গৌরব কেবল শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামের

যেই গৌরব কেবল শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামের

রিট করে ‘খেলাপি ঋণ স্থগিত’ বন্ধ চান ব্যাংক-মালিকরা

রিট করে ‘খেলাপি ঋণ স্থগিত’ বন্ধ চান ব্যাংক-মালিকরা

বিদেশি ঋণ ফের ১০০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে

বিদেশি ঋণ ফের ১০০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে

টাকা উদ্ধারের নামে ‘ঘুষ’ চাওয়ার অভিযোগ জিএম শাহজাহান চৌধুরীর’র বিরুদ্ধে

টাকা উদ্ধারের নামে ‘ঘুষ’ চাওয়ার অভিযোগ জিএম শাহজাহান চৌধুরীর’র বিরুদ্ধে

জাতীয় ঐক্য বিনষ্টকারী কর্মকান্ড থেকে বিরত থাকতে হবে

জাতীয় ঐক্য বিনষ্টকারী কর্মকান্ড থেকে বিরত থাকতে হবে

৬০ হাজার টন ইউরিয়া সার কিনবে সরকার, ব্যয় ২৩৬ কোটি টাকা

৬০ হাজার টন ইউরিয়া সার কিনবে সরকার, ব্যয় ২৩৬ কোটি টাকা

আইকনিক লিডার তারেক রহমান ও বাংলাদেশের রাজনীতি

আইকনিক লিডার তারেক রহমান ও বাংলাদেশের রাজনীতি

পতিত স্বৈরাচার ও ভারতের চক্রান্ত চলছেই

পতিত স্বৈরাচার ও ভারতের চক্রান্ত চলছেই

তারেক রহমানের রাষ্ট্রনায়কোচিত বক্তব্য ও দিকনির্দেশনা

তারেক রহমানের রাষ্ট্রনায়কোচিত বক্তব্য ও দিকনির্দেশনা

ইসরাইলের দখলদারিত্ব বন্ধের প্রস্তাব বিবেচনা জাতিসংঘের

ইসরাইলের দখলদারিত্ব বন্ধের প্রস্তাব বিবেচনা জাতিসংঘের

উত্তপ্ত মণিপুরে অত্যাধুনিক অস্ত্র দিয়ে নতুন করে গোলাগুলি

উত্তপ্ত মণিপুরে অত্যাধুনিক অস্ত্র দিয়ে নতুন করে গোলাগুলি

২৭ দেশে ছড়িয়ে পড়েছে করোনার নতুন ভ্যারিয়্যান্ট

২৭ দেশে ছড়িয়ে পড়েছে করোনার নতুন ভ্যারিয়্যান্ট

২০০ হাতি নিধনের সিদ্ধান্ত জিম্বাবুয়ের

২০০ হাতি নিধনের সিদ্ধান্ত জিম্বাবুয়ের

কলেরাসহ মারাত্মক রোগের ঝুঁকিতে সুদানের ৩৪ লাখ শিশু

কলেরাসহ মারাত্মক রোগের ঝুঁকিতে সুদানের ৩৪ লাখ শিশু

১১ হাজার ফিলিস্তিনি শিক্ষার্থীর প্রাণ গেছে

১১ হাজার ফিলিস্তিনি শিক্ষার্থীর প্রাণ গেছে

বেলারুশে হামলা হলে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হবে : লুকাশেঙ্কো

বেলারুশে হামলা হলে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হবে : লুকাশেঙ্কো

তাইওয়ান প্রণালীতে চীনের যুদ্ধবিমান

তাইওয়ান প্রণালীতে চীনের যুদ্ধবিমান