বিএনপির আর রেহাই নেই। তাদের ছাড় দেওয়া হবে না, প্রতিহত করা হবে এমন বক্তব্য দিয়েছেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা। দলটির নেতারা এও বলেছেন, বিএনপি নেতাদের আইনের আত্ত্বতায় এনে শাস্তি নিশ্চিত করা হবে। গতকাল রোববার বঙ্গবন্ধু এ্যাভিনিউয়ের দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশে এমন মন্তব্য করেন দলটির কেন্দ্রীয় নেতারা। অপর দিকে বিএনপি-জামায়াতের ডাকা হরতালের প্রতিবাদে গতকাল রোববার দিনভর রাজধানীর ওয়ার্ডে ও থানায় থানায় সতর্ক প্রহরায় ছিল আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা।

গতকাল পূর্ব ঘোষণা অনুসারে সারা দেশের আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশের অংশ হিসেবে ঢাকায় ছিল বঙ্গবন্ধু এ্যাভিনিউয়ের দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে। ওই সমাবেশে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন মায়া বীর বিক্রম, এ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ, বন ও পরিবেশ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন আওয়ামী লীগের ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহম্মেদ মন্নাফী। এ সময় ঢাকার বিভিন্ন স্তরের নেতা-কর্মীরা ওই সমাবেশে অংশ নেন।

সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য মোফাজ্জাল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রম বলেন, গত শনিবার শান্তিপূর্ণ সমাবেশের নামে প্রধান বিচারপ্রতির বাসভবনে হামলা এবং আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর (পুলিশে) ওপর হামলা চালিয়ে বিএনপি-জামায়াত দেশে যে অরাজকতা, অগ্নিসংসন্ত্রাস ও নৈরাজ্য সৃষ্টি করেছে তা নজিরবিহীন। তাদের সন্ত্রাসী ও নাশকতামূলক কর্মকান্ড প্রমাণ করেছে এরা পাকিস্তানকে ভুলতে পারেনি। এরা পশু; মানবতার শত্রু। এদের প্রতিহত করতে হবে। এদের কোনো রেহায় নেই।

দলের নেতা-কর্মীদের রাজপথে থাকার আহ্বান জানিয়ে মায়া বলেন, ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারির মধ্যে নির্বাচন। আমাদের সবাইকে রাজপথে ঐক্যবদ্ধভাবে প্রস্তুত থাকতে হবে। যদি বিএনপি-জামায়াত আবারও রাজপথে নৈরাজ্য সৃষ্টির পায়তারা করে তাহলে তাদের সমুচিত জবাব দিতে হবে। তাদের রেহায় নাই। দৌড়ানি দিতে হবে। তাদের জন্য দৌড়ানি অপেক্ষা করছে। আমরা যদি হত্যাকারী (বিএনপি) কে রাজনৈতিকভাবে বিতারিত করতে না পারি তাহলে দেশে শান্তি আসবে না।

বিএনপির ডাকা হরতাল প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিএনপি একটি ভুয়া দল, তাদের আন্দোলন ভুয়া। হরতাল দিয়ে ঘরে ঢুকে পড়েছে। কোথাও তারা নেই। গত শনিবার এদের মাজা ভেঙে গেছে, এরা আর সোজা হয়ে দাঁড়াতে পারবে না। এই মূহুর্তে যদি দৌড়ের অলিম্পিক হতো তাহলে বিএনপির নেতা-কর্মীরা চ্যাম্পিয়ন হতে পারতো দৌড়ের ওপর।

দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, শনিবার আমরা শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করেছি। আমাদের নেতা-কর্মীরা শান্তি সমাবেশে ছিল তারা কোনো নাশকতার সঙ্গে জড়িত নয়; তারা কোথাও যায়নি। আমরা ধৈর্য্য ধরেছি। তারপরও বিএনপি জামায়াত আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর সমাবেশে আসার পথে হামলা চালিয়েছে। অথচ মির্জা ফখরুল বলেছেন তাদের একজন যুবদল নেতাও নাকি মৃত্যুবরণ করেছে। কিন্তু যিনি মারা যান তার পরিবার বলছেন সে যুবদল করতো না। আর হাসপাতাল বলছে, হৃদযন্ত্র বন্ধ হয়ে মারা গেছেন। তার শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন ছিল না। পুলিশ বাহিনী অনেক ধৈর্য্যর পরীক্ষা দিয়েছে তারা যদি ধৈর্য্য না দেখাতে তাহলে তাদের এতো সদস্য আহত হতো না, একজনকে হত্যা করতে পারতো না এবং বিএনপির অনেকে আহত হত। এখন শুনতে পাচ্ছি বিএনপির নাকি অনেকে আহত হয়েছেন। হয়তো আজকালের মধ্যে একটি মনগড়া তথ্যও দেবে। আসল কথা হলো প্রথম দৌড় দিয়েছেন মির্জা ফখরুল তারপর কর্মীরা নেতাকে অনুসরণ করে দৌড় দিয়েছে। দৌড় দিতে গিয়ে আহত হয়ে থাকবে নতুবা নিজেদের ছুড়ে মারা ককটেল বিস্ফোরণে আহত হয়ে থাকবে। তাদের ঈমানের জোর এতো কম। এদেরকে আর রাজপথে থাকতে দেব না।রাষ্ট্র ও সরকার বসে থাকতে পারে না। আমরাও সরকারি দল হিসেবে বসে থাকতে পারি না। সমুচিত জবাব দেব।

দলীয় নেতা-কর্মীদের প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা শুধু ধৈর্য্য ধরব না, আমরা এবার প্রতিরোধ করবো। সন্ত্রাসীরা যাতে আর ঢাকা ঢুকতে না পারে সেই ব্যবস্থা নিতে হবে। এরা আমেরিকার সঙ্গেও জালিয়াতি করেছে; শনিবার বিএনপির অফিসে যে ব্যক্তিকে তারা আমেরিকার প্রেসিডেন্ট এর উপদেষ্ঠা বলে প্রচার করেছে সেটার জবাব আমেরিকার দূতাবাস থেকে বিবৃতি দিতে হয়েছে। আসলে ওই ব্যক্তি আমেরিকার নন, উনি ইসরায়েল এর এলোক, এজেন্ট। বিএনপি জামায়াত যেহেতু ইসরায়েলদের সঙ্গে সখ্যতা গড়েছে তাদের নাশকতা দেখতে উনি এসেছেন।

বিএনপির হরতাল ও নৈরাজ্যের সমালোচনা করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, নৈরাজ্যের দায় বিএনপির সিনিয়র নেতাদের নিতে হবে। তারা দায় এড়াতে পারেন না। মির্জা ফখরুলকে আটক করা হয়েছে, আরও অনেকে আটক হবেন। হরতাল দেশের জনগণ প্রত্যাখ্যান করে তাদের চপেটাঘাত করেছে। এখন তো দেখছি গর্তের মতো ঢুকে পড়েছে কাউকে বাসায় পাওয়া যায় না। তাদের যারা বাতাস দিত তারাও আর বাতাস দিবে না কারণ বুঝে গেছে এদের বাতাস দিয়ে কোনো লাভ নেই। কোথাও হরতাল হচ্ছে না।

আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য এ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেন, আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা আগামী নির্বাচন পর্যন্ত সজাগ থাকবে। বিএনপিকে আমরা প্রতিহন করবোই। আমরা পাড়া মহল্লা থেকে সব ক্ষেত্রে আমরা তাদের প্রতিহত করবো। আমরা এই বিএনপি নামক অপশক্তিকে প্রতিহত করার জন্য আমরা মাঠে থাতবো এবং নির্বাচনেরও প্রস্তুতি আমরা গ্রহন করবো। তিনি আরো বলেন, বিএনপি একটি সন্ত্রাসী দল তার প্রমাণ আমরা পেয়েছি। তারা কি চায়, তারা দেশে নির্বাচন চায় না। তারা গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা চায় না।

শান্তি সমাবেশে বিএনপিকে ছাড় দেওয়া হবে না উল্লেখ করেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ। বিএনপিকে আইনের আওতায় এনে শাস্তি নিশ্চিত করা হবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

হানিফ অভিযোগ করে বলেন, বিএনপি নিজেরা অপকর্ম করে তার দায় অন্যের ওপর চাপানোর চেষ্টা করছে। এবার আর রক্ষা হবে না। এই অপকর্মের দায় মির্জা ফখরুল সাহেবদের বহন করতে, এদেরকে আর ছাড় দেয়া হবে না। আগুন সন্ত্রাসীদের কাউকে রেহাই দেয়া হবে না। কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। এদেরকে আইনের আওতায় এনে শাস্তি নিশ্চিত করা হবে।

পূর্ব ঘোষণা অনুসারে ঢাকার মোড়ে মোড়ে ছিল আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের অবস্থান। এদের মধ্যে ঢাকার মহানগর আওয়ামী লীগ ছাড়াও যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, ছাত্রলীগ, মৎসজীবি লীগ নেতা-কর্মীরা ছিলেন। সকাল থেকেই আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় সতর্ক অবস্থানে ছিল দলটির আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী সংগঠনের নেতারা। সকাল ১০টায় পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী বিএনপির হরতালের প্রতিবাদে রাজধানীর গুলিস্তানের ২৩ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউর আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেওয়া শুরু করে আওয়ামী লীগের সর্বস্তরের নেতা-কর্মীরা। অপর দিকে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের বিভিন্ন ওয়ার্ডেও সতর্ক প্রহরায় দিয়ে ও মোটরসাইলে শো ডাউন দিয়েছে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা এমন দৃশ্য দেখা গেছে।

বঙ্গবন্ধু এ্যাভিনিউয়ে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ সহযোগী সংগঠন কৃষক ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের শীর্ষ নেতারা অবস্থান করেন। এই তিন সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতাদের পাশাপাশি মহানগরে নেতা-কর্মীরাও উপস্থিত রয়েছেন। সকাল থেকেই সেখানে বিএনপির হরতালের প্রতিবাদে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের খণ্ড খণ্ড মিছিল করতে দেখা গেছে। নেতা-কর্মীদের এমন স্লোগানে মুখরিত হয় রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউ। এ সময় অবৈধ হরতাল মানি না, মানব না। যে হাতে গাড়ি পোড়ায়, সেই হাত পুড়িয়ে দাও, শেখ হাসিনা সংসদে আমরা আছি রাজপথে। যে হাতে পুলিশ মারে সেই হাত ভেঙে দাও, যে হাতে সাংবাদিক পিটায় সে হাত ভেঙে দাও। এমন সব স্লোগান দিয়েছেন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা। এ সময় ২৩ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ের সামনে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য হাবিবুর রহমান সিরাজ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন আহমেদ মহি, মিরাজ হোসেন, প্রচার সম্পাদক সাইফুন নবীন সাগর, সদস্য শহিদুল ইসলাম মিলন, মৎস্যজীবী লীগের প্রচার সম্পাদক শফিউল আলম শফিক উপস্থিত ছিলেন। অন্যদিকে কৃষক লীগের সভাপতি কৃষিবিদ সমীর চন্দের নেতৃত্বে সতর্ক অবস্থানে ছিল সংগঠনটি। এ সময় কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক উম্মে কুলসুম স্মৃতি, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বিশ্বনাথ সরকার বিটু, সাংগঠনিক সম্পাদক হাবিব মোল্লা উপস্থিত ছিলেন। ২৩ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের উদ্যোগে সতর্ক অবস্থান ছিলেন নেতাকর্মীরা। এ দিকে বিএনপির হরতালের প্রতিবাদে ঢাকা উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান কচির নেতৃত্বে বিক্ষোভ মিছিল ও পথসভা হয় রাজধানীর মিরপুরে। সকালে শাহআলী মাজারের সামনে এই কর্মসূচি শুরু হয়েছে।

হরতাল বিরোধী মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে। যাত্রাবাড়ী থানার সামনে ওই মিছিলে নেতৃত্ব দিয়েছেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি কামরুল হাসান রিপন। এসময় উপস্থিত ছিলেন যাত্রাবাড়ী থানা আওয়ামী লীগের নেতা এম এ মান্নান, ডেমরা থানা আওয়ামী লীগের নেতা সিফাত সাদেকীন চপল, কদমতলী থানা আওয়ামী লীগ নেত্রী শারমিন রহমান কাকলি, ৫০ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মাসুম মোল্লা সহ বিভিন্ন ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা।

এ দিকে ময়মনসিংহ ব্যুরো জানায়, শান্তি সমাবেশ করেছে ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগ। গতকাল দুপুরে নগরীর টাউন হল অডিটরিয়াম সংলগ্ন ভাষা সৈনিক শামসুল হক মঞ্চে এ কর্মসূচি পালন করেন তারা। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এহতেশামুল আলম।

এ সময় জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুলের সঞ্চালনায় আরো বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক, মমতাজ উদ্দিন মন্তা, প্রিন্সিপাল গোলাম সরওয়ার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এম.এ কুদ্দুস প্রমুখ।

স্টাফ রিপোর্টার, সাভার থেকে জানান, গতকাল সকাল থেকে দুপুর পযর্ন্ত সাভার-আশুলিয়ার সব সড়কেই মোটরসাইকেল শোডাউন দিতে দেখা যায় আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের। হরতাল চলাকালে সড়কে কিছু গণপরিবহন ও ব্যাটারী চালিত অটোরিকশার দেখা গেলেও মোটরসাইকেল মহড়ায় আতঙ্কিত হয়ে মহুর্তেই সড়ক ফাঁকা হয়ে যায়।

সাভার হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ আবুল হাসান বলেন, সাভারের মহাসড়কে কোনো ধরণের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। এখন পর্যন্ত সবকিছু স্বাভাবিক রয়েছে।

স্টাফ রিপোর্টার, মাদারীপুর থেকে জানান, জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে শান্তি সমাবেে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আজাদ মুন্সি, সাধারণ সম্পাদক কাজল কৃষ্ণ দে, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও পৌরসভার মেয়র মো. খালিদ হোসেন ইয়াদ প্রমুখ।

বরগুনা জেলা সংবাদদাতা জানান, গতকাল রোববার আওয়ামী লীলের দলীয় কার্যালয় থেকে জেলা আওয়ামী লীলের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর কবিরের নেতৃত্বে বিক্ষোভ শেষে প্রেসক্লাব চত্তরে শান্তি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

শান্তি সমাবেশে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগ নেতা ও পৌর মেয়র অ্যাড. কামরুল মহারাজ, আব্বাস হোসেন মন্টু, অ্যাড. শাহজাহান, সিদ্দিকুর রহমান, রইসুল আলম রিপন, যুবলীগ সভাপতি রেজাউল উল করিম এটম প্রমুখ।

টাঙ্গাইল জেলা সংবাদদাতা জানান, টাঙ্গাইল পৌর শহরের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অনুষ্ঠিত শান্তি সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সংসদ সদস্য জোয়াহেরুল ইসলাম, সংসদ সদস্য ছোট মনিরসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

নাটোর জেলা সংবাদদাতা জানান, নাটোর পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মোস্তাক আলী মুকুলের সভাপতিত্বে শান্তি সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাড. সিরাজুল ইসলাম। প্রধান বক্তা ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক শরিফুল ইসলাম রমজান।
পটুয়াখালী জেলা সংবাদদাতা জানান, পটুয়াখালীতে জেলা শাখার উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল ও শান্তি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী আলমগীরের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা ভিপি আব্দুল মান্নান।

রাজবাড়ী জেলা সংবাদদাতা জানান, রাজবাড়ী জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি, রাজবাড়ী-১ আসনের সংসদ সদস্য ও সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী আলহাজ্ব কাজী কেরামত আলীর সভাপতিত্বে বক্তৃতা করেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী ইরাদত আলী, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য সালমা চৌধুরী রুমা প্রমুখ।

হিলি সংবাদদাতা জানান, হিলি বাজারস্থ দলীয় কার্যালয়ে শান্তি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এসময় বক্তব্য রাখেন হাকিমপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হারুন-উর-রশিদ হারুন, সহ-সভাপতি আব্দুল লতিফ মাস্টার, সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান লিটন, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি জামিল হোসেন চলন্ত, সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহম্মেদ টুকু প্রমুখ অংগ্রহণ করেন।

ইবি সংবাদদাতা জানান, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) শাখা ছাত্রলীগ গতকাল বেলা সাড়ে ১১ টায় মিছিল বের করে সংগঠনের নেতাকর্মীরা। এসময় উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সভাপতি ফয়সাল সিদ্দিকী আরাফাত ও সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ জয়।

ধামরাই (ঢাকা) উপজেলা সংবাদদাতা জানান, ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে ঢাকার ধামরাইয়ে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের মোটরসাইকেল নিয়ে শো-ডাউন দিতে দেখা গেছে। গতকাল সকালের দিকে উপজেলা আওয়ামী সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র আলহাজ্ব গোলাম কবির মোল্লার নেতৃত্বে এবং বিকেলের দিকে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক এমপি এম এ মালেক এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাদ্দেস হোসেনের নেতৃত্বে অপরদিকে একই সময়ে গাঙ্গুটিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কাদের মোল্লা ও আওয়ামী লীগ নেতা আমজাদ মোল্লার নেতৃত্বে ঢাকা আরিচা মহাসড়কে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা মোটরসাইকেল শো-ডাউনে অংশ গ্রহণ করেন।

বড়াইগ্রাম (নাটোর) উপজেলা সংবাদদাতা জানান, গতকাল বিকালে বনপাড়া পৌর গেটে বিক্ষোভ মিছিল পরবর্তী সমাবেশে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল কুদ্দুস মিয়াজীর সভাপতিত্বে বনপাড়া পৌর মেয়র কেএম জাকির হোসেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান, উপজেলা চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) আতাউর রহমান আতা, বড়াইগ্রাম পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক সরকার প্রমখ বক্তব্য রাখেন।
বুড়িচং ও দাউদকান্দি (কুমিল্লা) উপজেলা সংবাদদাতা জানান, বুড়িচং উপজেলা আওয়ামী লীগের উদ্দ্যোগে আলোচনা ও প্রতিবাদ সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন কুমিল্লা-৫ (বুড়িচং-ব্রাহ্মণপাড়া) আসনের এমপি ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা অ্যাড. আবুল হাসেম খান। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক অ্যাড. রেজাউল করিম খোকন প্রমুখ।

অপরদিকে দাউদকান্দি উপজেলার গৌরীপুরে আওয়ামী লীগের উদ্যোগে শান্তি মিছিলে উপস্থিত ছিলেন দাউদকান্দি উপজেলা চেয়ারম্যান মেজর মোহাম্মদ আলী ও ইউপি চেয়ারম্যান নোমান মিয়া সরকার। অপর দিকে উপজেলার টোলপ্লাজায় কুমিল্লা উত্তর জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি রকিব উদ্দিন, কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ ও দাউদকান্দি পৌর মেয়র নাঈম ইউসুফ সেইন ও দাউদকান্দি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাড আহসান হাবীব চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।

দৌলতখান (ভোলা) উপজেলা সংবাদদাতা জানান, ভোলার দৌলতখানে উপজেলা আওয়ামী লীগের উদ্যাগে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মনজুর আলম খানের নেতৃত্বে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন জাহাঙ্গীর, পৌর মেয়র জাকির হোসেন তালুকদার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

গোয়ালন্দ (রাজবাড়ী) উপজেলা সংবাদদাতা জানান, রাজবাড়ির গোয়ালন্দে উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সকল সহযোগী সংগঠনের শান্তি সমাবেশে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মো. মোস্তফা মুন্সি সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিপ্লব ঘোষ, গোয়ালন্দ পৌরসভার মেয়র মো. নজরুল ইসলাম মন্ডল, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

হোসেনপুর (কিশোরগঞ্জ) উপজেলা সংবাদদাতা জানান, কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. জহিরুল ইসলাম নুরু মিয়ার সভাপতিত্বে শান্তি সমাবেশে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ হালিম, পৌর সভাপতি মো. মুস্তাফিজুর রহমান মুবারিছ, চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান কাঞ্চন প্রমুখ।
কলাপাড়া (পটুয়াখালী) উপজেলা সংবাদদাতা জানান, উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে সকালে শান্তিসমাবেশে উপস্থিত ছিলেন কলাপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারন সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল মোতালেব তালুকদার, উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা এস এম রাকিবুল আহসান, পৌর আওয়ামী লীগ সভাপতি মেয়র বিপুল চন্দ্র হাওলাদার প্রমুখ।

কলারোয়া (সাতক্ষীরা) উপজেলা সংবাদদাতা জানান, কলারোয়া উপজেলা আ.লীগের পৃথক হরতাল বিরোধী মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। কলারোয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম লালটু অন্যদিকে কলারোয়া উপজেলা আ.লীগের সভাপতি ফিরোজ আহম্মদ স্বপন নেতৃত্ব দেন।

কোটালীপাড়া (গোপালগঞ্জ) উপজেলা সংবাদদাতা জানান, গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় উপজেলা আওয়ামীলীগ ও সহযোগী সংগঠনের আয়োজনে শান্তি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ভবেন্দ্র নাথ বিশ্বাসের সভাপতিত্বে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আয়নাল হোসেন শেখ, সহ সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান হাওলাদার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

গফরগাঁও (ময়মনসিংহ) উপজেলা সংবাদদাতা জানান, গফরগাঁও উপজেলা শাখার উদ্যোগে শান্তি সমাবেশে বক্তব্য রাখেন উপজেলা চেয়ারম্যান মো. আশরাফ উদ্দিন (বাদল), উপজেলা শাখা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক ইউপি চেয়ারম্যান মো. আবুল কাশেম প্রমুখ।

মতলব (চাঁদপুর) উপজেলা সংবাদদাতা জানান, চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মিজানুর রহমানের (এসি মিজান) উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল করেন।

নগরকান্দা (ফরিদপুর) উপজেলা সংবাদদাতা জানান, নগরকান্দা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট জামাল হোসেন মিয়ার সমর্থকেরা শান্তি সমাবেশ ও মিছিল করে। উপজেলা তালমা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান কামাল হোসেন মিয়ার নেতৃত্বে উপস্থিত ছিলেন পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোস্তাক হোসেন।