অবরোধের দ্বিতীয় দিনেও বিভিন্ন দলের বিক্ষোভ
০২ নভেম্বর ২০২৩, ১২:২৭ এএম | আপডেট: ০২ নভেম্বর ২০২৩, ১২:২৭ এএম
বিএনপির ডাকা তিন দিনের অবরোধ কর্মসূচির দ্বিতীয় দিনেও রাজধানীতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। গতকাল বুধবার পুরানা পল্টনে বিক্ষোভ মিছিল বের করে গণতন্ত্র মঞ্চ। গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা বলেছেন, জনগণ আর একতরফা নির্বাচন হতে দেবে না। যেকোনো মূল্যে সরকারের নীলনকশার নির্বাচন প্রতিহত করবে। মিছিলটি পল্টন মোড় হয়ে বিজয় নগর ঘুরে সচিবালয়ের সামনে দিয়ে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আসে। পরে মিছিলটি তোপখানা রোড দিয়ে আবার পল্টন মোড়ে এসে শেষ হয়। পল্টন মোড়ে মিছিল পরবর্তী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেন, সারা দেশের মানুষ বিরোধী দলের ডাকে সাড়া দিয়ে অবরোধ কর্মসূচি সফল করে তুলেছেন। গণআন্দোলনে ভীত হয়ে সরকার কূটকৌশল অবলম্বন করে তার পেটোয়া আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও তাদের দলের সন্ত্রাসীদের দিয়ে বিরোধী দলের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির ওপর হামলা চালিয়েছে। আর সেই হামলার দায় বিরোধী দলের ওপর চাপিয়ে দিচ্ছে। কিন্তু মানুষ তাদের এই হীন ষড়যন্ত্র জেনে গেছে। জনগণের ঐক্য ধরে রেখে আন্দোলন এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।
সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন নাগরিক ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল্লাহ কায়সার, ভাসানী অনুসারী পরিষদের নেতা হাবিবুর রহমান, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য আকবর খান, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের নেতা দিদারুল ভূইয়া। সঞ্চালনা করেন জেএসডির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কামাল উদ্দিন পাটোয়ারি, সভাপতিত্ব করেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ।
সমমনা জোট:
অবরোধের সমর্থনে পল্টনের আলরাজি কমপ্লেক্সের সামনে থেকে মিছিলটি শুরু হয়ে বিজয়নগর মোড় ঘুরে পল্টন পর্যন্ত প্রদক্ষিণ করে। মিছিলে নেতৃত্ব দেন সমমনা জোটের সমন্বয়ক ও ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ। এ সময় ড. ফরহাদ বলেন, এই সরকার পুলিশ দিয়ে মামলা-হামলা ও গ্রেফতার চালিয়ে বিরোধী দলকে কোনঠাসা করে আবারও ২০১৪ ও ২০১৮ সালের মতো নির্বাচন করতে চায়। কিন্তু জনগণ এবার আর কোনো প্রহসনের নির্বাচন মেনে নেবে না। তারা এই সরকারকে আর চায় না। এরই ধারাবাহিকতায় মানুষ হরতাল ও অবরোধকে সমর্থন জানিয়ে রাজপথে নেমে এসেছে।
কর্মসূচিতে আরও উপস্থিত ছিলেন- এনপিপির মহাসচিব মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা, জাগপার সভাপতি খন্দকার লুৎফর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক এস এম শাহাদাত, গণদলের চেয়ারম্যান এ.টি.এম. গোলাম মাওলা চৌধুরী ও মহাসচিব আবু সৈয়দ, বাংলাদেশ ন্যাপের চেয়ারম্যান এম.এন. শাওন সাদেকী ও মহাসচিব ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল বারিক, বাংলাদেশের সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ নূরুল ইসলাম ও পলিট ব্যুরোর সদস্য বাবু লাল মন্ডল, এনডিপির চেয়ারম্যান ক্বারী আবু তাহের ও মহাসচিব আব্দুল্লাহ আল হারুন সোহেল, ডেমোক্রেটিক লীগের (ডিএল) ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক খোকন চন্দ্র দাস প্রমুখ।
এবি পার্টি:
বুধবার রাজধানীর পল্টন ও বিজয়নগর সড়কে সকাল থেকে অবস্থান নেন এবি পার্টির নেতাকর্মীরা। অবরোধে সংহতি জানিয়ে এবি পার্টির একটি বিক্ষোভ মিছিল রাজধানীর প্রধান সড়কগুলো প্রদক্ষিণ করে। মিছিল শেষে জাতীয় রাজস্ব ভবন–সংলগ্ন রাস্তায় পথসভা করেন এবি পার্টির নেতাকর্মীরা।
পথসভায় এবি পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক মেজর (অব.) আবদুল ওহাব বলেন, এই সরকার জনগণের প্রতিপক্ষ হিসেবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে দাঁড় করিয়েছে। থানায় থানায় তালিকা করে বিরোধী রাজনীতিবিদদের আসামি করে নতুন নতুন মামলা দেওয়া হচ্ছে। এবার হামলা-মামলা করে এই আন্দোলন বন্ধ করা যাবে না।
কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন এবি পার্টির দপ্তর সম্পাদক আবদুল্লাহ আল মামুন, মহানগর দক্ষিণের সদস্যসচিব আনোয়ার সাদাত, যুব পার্টির আহ্বায়ক এ বি এম খালিদ হাসান প্রমুখ।
গণ অধিকার পরিষদ:
অবরোধের দ্বিতীয় দিনে মগবাজার মোড় এলাকায় মিছিল বের করে গণ অধিকার পরিষদ। মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে গণঅধিকার পরিষদের একাংশের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেন, যতক্ষণ পর্যন্ত আন্দোলন সফল না হবে, আমাদের রাজপথের আন্দোলন চলবে। প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে তিনি বলেন, অনতিবিলম্বে পদত্যাগ করে, সংসদ বিলুপ্ত করে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচনের উদ্যোগ নিন। দেশবাসীকে বলব, আন্দোলন সফল করার জন্য আপনারা রাজপথে নেমে আসুন। আমাদের অনেক ভাই আহত হয়ে হাসপাতালে, অনেকে জেলে, তারপরও আমরা রাজপথে আছি, আন্দোলন সফল না হওয়া পর্যন্ত ঘরে ফিরব না।
১২ দল:
১২ দলীয় জোট বিজয়নগর পানির ট্যাঙ্কি সংলগ্ন এলাকায় মিছিল করে। অবরোধের স্বপক্ষে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন ১২ দলীয় জোটের মুখপাত্র কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান ১২ দলীয় জোটের সমন্বয়ক এডভোকেট সৈয়দ এহসানুল হুদা, বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব মুফতি গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম, বাংলাদেশ মুসলিম লীগ (বিএমএল)-এর চেয়ারম্যান এডভোকেট শেখ জুলফিকার বুলবুল চৌধুরী, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) সিনিয়র সহসভাপতি রাশেদ প্রধান, ন্যাপ ভাসানীর চেয়ারম্যান এডভোকেট আজহারুল ইসলাম, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা) সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন প্রধান প্রমুখ। ###
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
টাকাটাই শেষ কথা বাকি সব বাতুলতা! শফিক রেহমান সম্পর্কে যা বললেন ডা: জাহেদ
উত্তরা পশ্চিম থানার জামায়াতের সহযোগী সদস্য সম্মেলন অনুষ্ঠিত
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় শীতার্তদের পাশে জামায়াত
সালথায় রাতের আঁধারে কৃষকের পুকুরে বিষ প্রয়োগ করে মাছ নিধন
রাণীশংকৈলে মারামারি ও ভাংচুরের মধ্য দিয়ে শেষ হলো জনপ্রিয় ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ইত্যাদির শুটিং
ওসি শাহ আলমকে কত টাকার বিনিময়ে ছেড়েছেন, প্রশ্ন হান্নান মাসউদের
দৌলতখানে ছাত্রদলের মাদক বিরোধী র্যালি ও আলোচনা সভা
৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষে লাকসামে বিএনপির জনসভা
এক ট্রলারেই ১৯৫ মণ ইলিশ, ৪০ লাখ টাকায় বিক্রি
শিবচরের পদ্মায় অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের দায়ে গ্রেপ্তার ২
গার পাহাড় সীমান্তে শাড়ি-লেহেঙ্গা, সানগ্লাসসহ ২ কোটি ৩২ লাখ টাকার ভারতীয় পণ্য জব্দ
ভারতের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে টপকে ওয়ার্ল্ড রেকর্ড করতে যাচ্ছে ইবনে তাইমিয়া স্কুল এন্ড কলেজ
নরসিংদীতে সাদপন্থীদের বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ
ঈশ্বরগঞ্জে শীতার্তদের মাঝে বিএনপি নেতার কম্বল বিতরণ
কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে মুচলেকা ও জরিমানার পরও বন্ধ হয়নি ইট ভাটা
ফরিদপুরের জেলার সকল অরক্ষিত রেল ক্রসিংয়ে গেট স্থাপনের দাবিতে ৭২ ঘণ্টার আল্টিমেটাম
কুষ্টিয়ার মাটির তৈরি হাঁড়ি পাতিল যাচ্ছে বিদেশে
রাণীনগর উপজেলা পরিদর্শনে এসে শীতার্তদের শীতবস্ত্র দিলেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আউয়াল
রাজশাহীর চারঘাটে আ.লীগ নেতাকে কুপিয়ে জখম
উন্নতির জন্য ক্রিকেটের বিকেন্দ্রীকরণ চান ফাহিম