সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে অপ্রয়োজনে প্রবেশ না করার অনুরোধ
২১ নভেম্বর ২০২৩, ১২:০২ এএম | আপডেট: ২১ নভেম্বর ২০২৩, ১২:০২ এএম
ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালত চত্বরে ককটেল বিস্ফোরণের পর সুপ্রিম কোর্টের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। বিনা প্রয়োজনে কাউকে সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে প্রবেশ না করার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে। গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় হাইকোর্ট বিভাগের রেজিস্ট্রার মুন্সী মো: মশিয়ার রহমান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ অনুরোধ জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে তিনি বলেন, নির্দেশিত হয়ে সকলের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, বিনা প্রয়োজনে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে প্রবেশ না করার জন্য বলা হলো। জরুরী প্রয়োজনে কেউ প্রবেশ করলে স্ব স্ব জাতীয় পরিচয়পত্র অথবা পাসপোর্ট সাথে রাখার জন্য বলা গেলো। বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি কর্তৃক সরবরাহকৃত নির্ধারিত স্টিকার ছাড়া গাড়ি প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হলো। অন্যথায় অনুপ্রবেশকারী গণ্যে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এদিকে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ সাইফুর রহমান ইনকিলাবকে বলেন, শুধু সুপ্রিম কোর্টই নয়। প্রধান বিচারপতির সম্মতিক্রমে আমরা এরই মধ্যে দেশের সকল আদালতে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার নির্দেশনা দিয়েছি। জেলা আদালতের বিচারকগণ স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত করবেন। এছাড়া নিরাপত্তাজনিত কোনো সমস্যা দেখা দিলে তাৎক্ষণিকভাবে সুপ্রিম কোর্ট কর্তৃপক্ষকে অবহিত করারও অনুরোধ জানানো হয়েছে।
এর আগে গতকাল বিকেল ৪টায় ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালত প্রাঙ্গণে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। যুগ্ম মহানগর দায়রা জজ-২ আদালতের সামনে ও মহানগর আদালতের হাজতখানার সামনে এ ককটেল বিস্ফোরিত হয়। এতে কেউ হতাহত হন নি। তবে পুরো আদালত অঙ্গণের লোকজন আতঙ্কিত হয়ে পড়েন।
ককটেল বিস্ফোরণস্থলের কিছু দূরেই জুতা সেলাইয়ের কাজ করছিলেন শ্রীবাস দাস। তিনি বলেন, আমি পাশেই জুতা কালির কাজ করছিলাম। হঠাৎ করে পাশে এই বিস্ফোরণ। আমি অনেক ভয় পেয়ে যাই। তবে কে বা কারা ফেলেছে সেটি দেখিনি।
বিস্ফোরণের সময় আদালত প্রাঙ্গণে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর তাপস কুমার পাল। তিনি বলেন, এর আগে কখনো এমন ঘটনা ঘটেনি। মির্জা ফখরুলের জামিন শুনানির পেছানোর পরই এমন ঘটনা ঘটলো। হয়তো রাষ্ট্রপক্ষ কিংবা সরকারকে ভয় দেখাতে এই বিস্ফোরণ। কিন্তু ভয় দেখিয়ে কোনো লাভ হবে না। আদালত প্রাঙ্গণে এমন ঘটনা কাম্য নয়। এখানে কেউ হতাহত হতে পারতো।
এ বিষয়ে রাজধানীর কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহিনুর রহমান বলেন, আদালতের সামনে কে বা কারা ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে। আমরা বিষয়টি তদন্ত করছি।
এদিকে সিসিটিভি ফুটেজ দেখে পুলিশ জানিয়েছে, পবারকা পরিহিত এক নারী ও এক পুরুষ মহানগর দায়রা জজ আদালতের চারতলা থেকে ককটেল নিচে ফেলেন। এরপর তারা দ্রুত আদালত চত্বর থেকে চলে যান।
এদিকে এ ঘটনায় জড়িত দুজনকে শনাক্ত করেছে পুলিশ। তাদের গ্রেফতারে চলছে বিশেষ অভিযান। এ বিষয়ে লালবাগ জোনের ডিসি জাফর হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, আদালতে দুটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। যারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে তাদের শনাক্ত করা গেছে। তাদের গ্রেফতার প্রক্রিয়া চলমান।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাটি পরিকল্পিত নাশকতা: ইসলামী আইনজীবী পরিষদ
গাজীপুরে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতাকে ছাড়িয়ে আনতে থানায় বিএনপি নেতাদের ভিড়
মাদ্রাসার ছাদ থেকে পাইপ বেয়ে নামার সময় পড়ে গিয়ে শিশুর মৃত্যু
জকিগঞ্জে প্রাক্সিসের ৭ দিনব্যাপী ইংলিশ স্পিকিং চ্যালেঞ্জ কম্পিটিশনের পুরস্কার বিতরণী
লামায় ১৭টি ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের বসতঘর পুড়ে ছাই হওয়ার ঘটনায় ৪জন গ্রেপ্তার
বিজয় দিবস টেনিস শুক্রবার শুরু
আশুলিয়ায় ভাড়াটিয়া তাড়িয়ে জোরপূর্বক জমি দখলের অভিযোগ
আজানের জবাব দেওয়া প্রসঙ্গে।
লক্ষ্মীপুরে চুরির অপবাদে নাকে খত দেওয়ার ঘটনায় মামলা
শরীয়তপুরে শ্রমিক দলের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ
হেঁটে টেকনাফ গেলেন নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রাসেদুল
বিদেশি অপারেটরের সঙ্গে সম্পাদিত গোপন চুক্তি বাতিল চেয়ে আইনি নোটিশ!
বাগেরহাটে জেলা একীভূত চক্ষু সেবা কর্মসূচির এডভোকেসি সভা অনুষ্ঠিত
সাতক্ষীরায় বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল
অল্পতেই শেষ পাকিস্তানের ইনিংস
খেপুপাড়া সরকারী মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রথম পুনর্মিলনী ২৮ ডিসেম্বর
হামলা-নাশকতা প্রতিরোধে কাজ করছে সেনাবাহিনী
তাবলিগ জামাতের দু'পক্ষকেই বিশেষ নির্দেশনা দিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
পেকুয়ায় আগামীকাল বৃহত্তর ঐতিহাসিক তাফসির মাহফিল
‘সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় সেনাবাহিনী দিয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করুন’