সিলেটে মামলার পর ছাত্রলীগকর্মীকে কুপিয়ে হত্যা
২২ নভেম্বর ২০২৩, ১২:০২ এএম | আপডেট: ২২ নভেম্বর ২০২৩, ১২:০২ এএম
সিলেট নগরীর টিভি গেইট এলাকায় অভ্যন্তরীণ কোন্দলের জের ধরে আরিফ মিয়া নামে ছাত্রলীগ কর্মী হত্যার ঘটনায় দুজনকে আটক করেছে পুলিশ। নগরের পৃথক স্থান থেকে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। নিহত আরিফ মিয়া নগরীর শাহী ঈদগাহ টিবি গেইট এলাকার ফটিক মিয়ার ছেলে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ (এসএমপি) এর উপ-পুলিশ কমিশনার (উত্তর) আজবাহার আলী শেখ।
আটককৃতরা হলো- বাচ্চু মিয়ার ছেলে রনি ও কামাল মিয়ার ছেলে মামুন মজুমদার। তারা দুজনেই সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও সিলেট সিটি করপোরেশনের ৩৬ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর হিরন মাহমুদ নিপু গ্রুপের কর্মী।
জানা যায়, নিহত আরিফ সরকারি কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্র ছিলেন। রাজনীতিতে জড়ানোর পরই দেখা দেয় তার প্রতিপক্ষ। আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে নিজ দলের নেতাকর্মীরা তাকে ঘায়েল করার পরিকল্পনা করে। সে অনুযায়ী গত ১৫ নভেম্বর শাহপরাণ থানাধীন উত্তর বালুচর এলাকায় রাতে তার উপর হামলা করে ছাত্রলীগের একটি গ্রুপ। এ সময় তাকে বেধড়ক মারধরের পাশাপাশি ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে হামলাকারীরা। গুরুতর আহতাবস্থায় উদ্ধার করে নেওয়া হয় হাসপাতালে। গত রোববার সুস্থ হয়ে বাসায় আসলে ছেলের ওপর হামলার ঘটনায় মা আঁখি বেগম ছয় জনের নামে শাহপরাণ থানায় অভিযোগ দেন। অভিযুক্তরা হলো- বালুচর এলাকার জুনেদ, আনাছ মিয়া, কুদরত আলী, কালা মামুন, শরীফ, হেলাল ও সবুজ মিয়া। আরিফের মা উল্লেখ করেন, আসামিরা পরিকল্পিতভাবে আমার ছেলের ওপর হামলা চালায়। এ সময় হামলাকারীরা মারধরের পাশাপাশি তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়েও আঘাত করে। আসামি আনাছ মিয়ার ধারালো অস্ত্রের আঘাতে আমার ছেলের একটি আঙুল কেটে পড়ে যায়।
স্থানীয়রা জানান, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নাজমুল ইসলাম গ্রুপের সক্রিয় কর্মী ছিল সে। গত সোমবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে টিভি গেইট এলাকায় আবারো প্রতিপক্ষ গ্রুপের কর্মীরা আরিফের উপর হামলা চালায়। ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ও ছুরিকাঘাত করে রাস্তায় ফেলে যায়। স্থানীয়রা আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিলে আইসিইউতে ভর্তির পর রাত দেড়টার দিকে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এসময় তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্রের ২৩টি আঘাত রয়েছে।
আরিফের মা আখি বেগম জানান, আমার ছেলেকে যারা প্রথমে হত্যার উদ্দেশ্যে মেরেছে তাদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করায় তাকে প্রাণ দিতে হয়েছে। যদি ন্যায় বিচার পেতাম তাহলে আমার ছেলেকে প্রাণ দিতে হতো না।
পুলিশ জানায়, চার-পাঁচদিন আগে আরিফের ওপর একদল সন্ত্রাসী হামলা করেছিল। হামলার ঘটনায় নগরের শাহপরান থানায় একটি এজাহার দায়ের করেন। এর জের ধরে রাতে তার উপর হামলা চালানো হতে পারে।
সিলেট এয়ারপোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার মঈন উদ্দিন সিপন জানান, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। নিহতের লাশ ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। মামলা প্রক্রিয়াধীন। এঘটনায় দুইজনকে আটক করা হয়েছে। বাকিদের আটকের চেষ্টা চলছে।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিহত করার আহ্বান উপদেষ্টা নাহিদের
মালয়েশিয়া আন্তর্জাতিক হালাল শোকেসের ২০তম আসরে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের জেলা প্রতিনিধি সম্মেলন অনুষ্ঠিত দেশকে অস্থিতিশীল করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে পরাজিত শক্তি
শ্রীলঙ্কায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন কাল
‘মব জাস্টিস’ বন্ধের আহ্বান বাংলাদেশ তরুণ কলাম লেখক ফোরামের
সাত দফা দাবিতে মানববন্ধন ও সমাবেশ
গৌরনদীর দই, একবার খাইলেও আর একবার খাই
নোয়াখালীতে জীবাশ্ম জ্বালানিতে বিনিয়োগ বন্ধের দাবি
স্বর্ণের দাম বেড়ে রেকর্ড ২,৬০৯ ডলার ছাড়িয়েছে
বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বন্ধ ও বিচার দাবিতে খুলনায় মানববন্ধন
গাজায় অব্যাহত ইসরাইলি গণহত্যা ওআইসির নেতারা চেয়ে চেয়ে দেখছেন
চাঁদপুর শহরে সড়ক সংস্কার কাজে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ
সেনা কর্মকর্তাদের ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেয়া প্রসঙ্গে
নোয়াখালীতে ৪৪ দিন পর লাশ উত্তোলন
ভারতের দোসর ও হাসিনামিডিয়ার প্রশ্নবিদ্ধ ভূমিকা
আশাশুনিতে হাজরাখালির নেটপাটায় পানিবন্দি ২শ’ পরিবার
জামায়াত ক্ষমতায় গেলে নারীদের অধিকার খর্ব হবে না: সেলিম উদ্দিন
গাছে গাছে আফ্রিকান জায়ান্ট শামুক
ঈশ্বরগঞ্জে মহাসড়কে কাঁচাবাজার
উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অস্ত্রসহ আরসা সন্ত্রাসী গ্রেফতার