ময়মনসিংহে রেলক্রসিংগুলো ‘গলার কাঁটা’
২৪ নভেম্বর ২০২৩, ১২:১০ এএম | আপডেট: ২৪ নভেম্বর ২০২৩, ১২:১০ এএম
প্রতিবার ট্রেন পার হওয়ার সময় অন্তত পাঁচ মিনিট আগে সড়ক বন্ধ করে দেয়া হয়। সড়ক বন্ধ থাকায় দুই পাশে বিভিন্ন যানবাহন এলোমেলো দাঁড়িয়ে যায়। ব্যারিকেড খুললেও কমপক্ষে ১০ মিনিট যানবাহনের জট লেগে থাকে। এক হিসাবে প্রতিদিন ৪৭০ মিনিট সময় ব্যয় হয়, যা প্রায় ৮ ঘণ্টার সমান।
ময়মনসিংহ নগরীর কেওয়াটখালী থেকে গুমটি পর্যন্ত ১০টি রেলক্রসিং। প্রতিদিন সকাল ৭টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত ২৬টি ট্রেন ৪৭ বার এসব ক্রসিং দিয়ে চলাচল করে। শহরের ভেতর এত রেলক্রসিংয়ের কারণে প্রতিদিন যানজট সৃষ্টি হচ্ছে। বছরের পর বছর নগরবাসীসহ নাগরিক আন্দোলনের নেতারা রেললাইন শহরের বাইরে সরিয়ে নেয়ার দাবি তুলছেন। রেল কর্তৃপক্ষ বলছে, রেললাইন সরানো একটি দীর্ঘ প্রক্রিয়া। মন্ত্রণালয়ের হস্তক্ষেপ ছাড়া এটি সরানো সম্ভব না। জেলা ট্রাফিক বিভাগ সূত্র জানায়, প্রতিবার ট্রেন পার হওয়ার সময় অন্তত পাঁচ মিনিট আগে সড়ক বন্ধ করে দেয়া হয়। সড়ক বন্ধ থাকায় দুই পাশে বিভিন্ন যানবাহন এলোমেলো দাঁড়িয়ে যায়। ব্যারিকেড খুললেও কমপক্ষে ১০ মিনিট যানবাহনের জট লেগে থাকে। এক হিসাবে ১০টি রেলক্রসিংয়ে যানজটে পড়ে প্রতিদিন প্রায় ৮ ঘণ্টার সমান।
নগরবাসীর অভিযোগ, রেলক্রসিংয়ের কারণে সময়ের কাজ সময়ে করা যাচ্ছে না। দিনের বেশির ভাগ সময় লেগে থাকে যানজট। জনদুর্ভোগ লাঘবে রেললাইন শহরের বাইরে নেয়ার দাবি তোলেন তারা। নগরীর কেওয়াটখালী এলাকার রফিক নামে এক বক্তি বলেন, আমাদের দুর্ভোগের কথা কেউ চিন্তা করে না। সম্প্রতি কেওয়াটখালী হয়ে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে এক প্রসূতি নারীকে ভর্তির জন্য অটোরিকশা করে নিয়ে যাচ্ছিল তার পরিবার। কিন্তু এই রেলক্রসিং পর্যন্ত যেতেই ট্রেনের কারণে অন্তত ১৫ মিনিট অপেক্ষা করতে হয়। ট্রেন চলে যাওয়ার পর যানজটের কারণে ওই নারীর রক্তক্ষরণ শুরু হয়। যানজট কমলে দ্রুত তাকে হাসপাতালে নেয়া হয়।
জেলা নাগরিক আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক নূরুল আমীন কালাম বলেন, নগরের ভেতরে রেলক্রসিংয়ের কারণে তীব্র যানজটে মানুষ অতিষ্ঠ। আশা করছি রেল মন্ত্রণালয় ক্রসিংগুলো নগরের বাইরে স্থাপন করে জনগণের প্রত্যাশা পূরণ করবে। জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুল বলেন, গত কয়েকদিন আগে রামকৃষ্ণ মিশন রোডে যাচ্ছিলাম। নতুন বাজার রেলক্রসিংয়ের সামনে আসামাত্র ২০ মিনিট যানজটে আটকে যাই। এমন অবস্থা খুবই বিরক্তিকর। নগরীর ভেতর দিয়ে চলা রেললাইনটি নগীর দক্ষিণ দিকে ১০ থেকে ১৫ কিলোমিটার দূরে সরিয়ে নেয়া প্রয়োজন। তা না হলে এই ভোগান্তির কোনো সমাধান নেই।
ময়মনসিংহ ট্রাফিক বিভাগের ইনচার্জ সৈয়দ মাহবুবুর রহমান বলেন, নগরের ভেতরের সবগুলো সড়ক অপ্রশস্ত। এর মধ্যে রেলক্রসিং। ময়মনসিংহ বিভাগ ঘোষণার পর থেকেই মানুষের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। শুধু ট্রাফিক পুলিশ দিয়ে যানজট নিরসন করা যাচ্ছে না। এ জন্য অন্যত্র রেললাইন সরিয়ে নিতে হবে।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
ফিরেই গোলের দেখা পেলেন রোনালদো,নাসেরের সহজ জয়
কোহলি রিভিউ না নেওয়ার যে কারণ জানালেন সঞ্জয় মাঞ্জরেকার
মাঠের বাইরে নতুন পরিচয়ে মেসি
দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিহত করার আহ্বান উপদেষ্টা নাহিদের
মালয়েশিয়া আন্তর্জাতিক হালাল শোকেসের ২০তম আসরে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের জেলা প্রতিনিধি সম্মেলন অনুষ্ঠিত দেশকে অস্থিতিশীল করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে পরাজিত শক্তি
শ্রীলঙ্কায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন কাল
‘মব জাস্টিস’ বন্ধের আহ্বান বাংলাদেশ তরুণ কলাম লেখক ফোরামের
সাত দফা দাবিতে মানববন্ধন ও সমাবেশ
গৌরনদীর দই, একবার খাইলেও আর একবার খাই
নোয়াখালীতে জীবাশ্ম জ্বালানিতে বিনিয়োগ বন্ধের দাবি
স্বর্ণের দাম বেড়ে রেকর্ড ২,৬০৯ ডলার ছাড়িয়েছে
বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বন্ধ ও বিচার দাবিতে খুলনায় মানববন্ধন
গাজায় অব্যাহত ইসরাইলি গণহত্যা ওআইসির নেতারা চেয়ে চেয়ে দেখছেন
চাঁদপুর শহরে সড়ক সংস্কার কাজে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ
সেনা কর্মকর্তাদের ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেয়া প্রসঙ্গে
নোয়াখালীতে ৪৪ দিন পর লাশ উত্তোলন
ভারতের দোসর ও হাসিনামিডিয়ার প্রশ্নবিদ্ধ ভূমিকা
আশাশুনিতে হাজরাখালির নেটপাটায় পানিবন্দি ২শ’ পরিবার
জামায়াত ক্ষমতায় গেলে নারীদের অধিকার খর্ব হবে না: সেলিম উদ্দিন