ড. মুহাম্মদ ইউনূসের পক্ষে পরবর্তী যুক্তি ৩০ নভেম্বর
২৮ নভেম্বর ২০২৩, ১২:০৩ এএম | আপডেট: ২৮ নভেম্বর ২০২৩, ১২:০৩ এএম
শ্রম আইনের মামলায় নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ৪ জনের বিষয়ে যুক্তি উপস্থাপনের পরবর্তী তারিখ ৩০ নভেম্বর। গতকাল সোমবার ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদারতের বিচারক বেগম শেখ মেরিনা সুলতানার আদালত এ তারিখ ধার্য করেন।
আদালতে বাদীপক্ষে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের আইনজীবী মো: খুরশীদ আলম খান ও অ্যাডভোকেট সৈয়দ হায়দার আলী যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন। ড. ইউনূসসহ চারজনের পক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ আল মামুন।
যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের বিষয়ে ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, এ মামলা মিথ্যা। সাক্ষীও মিথ্যা। সাক্ষীদের একজনের সঙ্গে আরেকজনের মিল নেই। তিনি বলেন, এ মামলার প্রথম সাক্ষী বলেছে চেকলিস্টে তারা তিনজন স্বাক্ষর করেছে। আর চতুর্থ সাক্ষী বলেছে তারা পাঁচজন স্বাক্ষর করেছে। আমাদের সত্যায়িত অনুলিপিতে এটা আছে। তবে আদালত বলেছেন প্রথম সাক্ষীর স্থানে পাঁচজনের স্বাক্ষরের কথা আছে। এটি এমন হওয়ার কথা নয় জানালে, আদালত বিষয়টি দেখবেন বলে জানিয়েছেন।
ব্যারিস্টার মামুন অভিযোগ তুলে বলেন, গত ২১-২২ তারিখে বংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে জাতিসংঘে একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে। সেই চিঠিতে বলা হয়েছে, ড. ইউনূসের ব্যক্তিগত মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের শ্রমিকদের দেনা-পাওনা নিয়ে মামলা আছে। অথচ আপনারা জানেন ড. ইউনূসের ব্যক্তিগত কোনো সম্পত্তি নেই। তিনি সব দেশের জন্য দান করেছেন। সামাজিক ব্যবসায় উনি বিনা বেতনে, বিনা পারিশ্রমিকে ২৫টি সামাজিক ব্যবসা গড়ে তুলেছেন। যেখানে মামলা চলছে। কিছু দিন পর রায় হবে। সেখানে সরকারের পক্ষ থেকে এ ধরণের কথা জাতিসংঘে জানানো হয়। তা হলে সেটা অত্যান্ত বিভ্রান্তিকর এবং আদালতকে প্রভাবিত করার আশঙ্কা থাকে। এই জিনিসটা আমাদের শঙ্কিত করেছে। গতকাল ড. মুহাম্মদ ইউনূস পঞ্চম বারের মতো শ্রম আদালতে হাজির হন।
প্রসঙ্গত: ২০২১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের শ্রম পরিদর্শক আরিফুজ্জামান বাদী হয়ে ড. ইউনূসসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলায় শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনে নির্দিষ্ট লভ্যাংশ জমা না দেয়া, শ্রমিকদের চাকরি স্থায়ী না করা, গণছুটি নগদায়ন না করায় শ্রম আইনের ৪-এর ৭, ৮, ১১৭ ও ২৩৪ ধারায় অভিযোগ আনা হয়। এ মামলায় ড. ইউনূস ছাড়াও গ্রামীণ টেলিকমের এমডি মো: আশরাফুল হাসান, পরিচালক নূরজাহান বেগম ও মো: শাহজাহানকে বিবাদী করা হয়।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
ব্যাংকিং সেবা খাতে এখনো ভারতীয় আধিপত্য
পরিষ্কার বার্তা চায় জনগণ
অবশেষে টিউলিপ সিদ্দিকের পদত্যাগ
কারাগারে এস কে সুর
‘গ্রিনল্যান্ডকে সামরিক এলাকা বানাতে চান ট্রাম্প’
ছাত্রলীগ নেত্রী নিশি দুই দিনের রিমান্ডে
অভি খালাস! তাহলে খুনী কে?
জল্পনা উড়াল চীনা সংস্থা টিকটক কিনছেন না মাস্ক
ধামরাইয়ে খাদ্যদ্রব্য তৈরির কারখানায় ফের আবার ডাকাতির চেষ্টা
রাজউক জোনাল অফিস স্থানান্তর আদেশের প্রতিবাদে মানববন্ধন
দ্বিতীয় দিনের মতো অনশনে অব্যাহতি পাওয়া এসআইরা
বন্ধ বেক্সিমকো খুলে দেয়ার দাবিতে শ্রমিকদের মানববন্ধন
আধুনিক ডেটা ওয়্যারহাউজ স্থাপন করবে বিবিএস
পরিবারসহ জ্যাকব ও ছেলেসহ সাবেক মন্ত্রী শাহাব উদ্দিনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
প্রিন্স মামুনের বিরুদ্ধে চার্জগঠন শুনানির নতুন তারিখ
সামাজিক ও আচরণ পরিবর্তনের বিষয় পাঠ্যক্রমে অন্তর্ভুক্তির আহ্বান ইউজিসি’র
চুক্তিতে নিয়োগের দৌড়ে নওফেলের জালাল উদ্দিন চৌধুরী
পুলিশের চাকরি হারিয়ে ছিনতাইয়ে নামেন হাকিম
ভোটার তালিকা হালনাগাদে সহায়তা করবে ইউএনডিপি
সাকরাইনে মেতেছে পুরান ঢাকা