পরিধি বাড়ছে গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ চাষের
০৪ ডিসেম্বর ২০২৩, ১২:০১ এএম | আপডেট: ০৪ ডিসেম্বর ২০২৩, ১২:০১ এএম
ধীরে ধীরে চাষের পরিধি বাড়ছে বাংলাদেশি বিজ্ঞানীদের উদ্ভাবিত গ্রীষ্মকালীন (বারি-৫) পেঁয়াজের। ২০০৮ সালে মাঠ পর্যায়ে এর চাষাবাদ শুরু হয়েছিল মাত্র ৪ থেকে ৫ হেক্টর জমিতে। প্রতিবছরই একটু একটু করে এর পরিধি বেড়ে চলতি বছরে এর চাষ হয়েছে ৮০ হেক্টর জমিতে। প্রতি হেক্টরে ৪০ মে. টন ফলন ধরে ধারণা করা হচ্ছে এবং ফলন পাওয়া যাবে ৩২,০০০ হাজার মে. টন। এই পেঁয়াজের উদ্ভাবন প্রক্রিয়ায় জড়িতরা বলছেন, এই জাতের পেঁয়াজ চাষের পরিধি বাড়াতে পারলে প্রতিবছর বর্ষার পরপরই দেশি পেঁয়াজের সঙ্কট মোকাবেলায় ফি বছর জরুরি ভিত্তিতে ভারত থেকে পেঁয়াজের চালান আমদনিতে রিজার্ভের ডলার খরচ করতে হয় তার প্রয়োজন হবে না।
গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ (বারি-৫) এর উদ্ভাবন প্রক্রিয়ার সাথে জড়িত সিনিয়র বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা বগুড়াস্থ জাতীয় মশলা গবেষণা কেন্দ্রের সিনিয়র বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা এ প্রসঙ্গে জানান, পেঁয়াজ মূলত এদেশে শীতকালীন ফসল হিসেবে চাষ হয়ে আসছে। বাংলাদেশে রন্ধনশালার অপরিহার্য মশলা হিসেবে পেঁয়াজের বার্ষিক চাহিদা ৩৫ লাখ মেট্রিক টন। বর্তমানে গড় পেঁয়াজের ফলন পাওয়া যায় ৩২ লাখ মেট্রিক টন।
পেঁয়াজ বাণিজ্যের সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো থেকে জানা যায়, মার্চ এপ্রিলের দিকে যখন দেশি পেঁয়াজ এক সাথে বাজারে চলে আসে তখন সংরক্ষাণাগারের অভাবে পেঁয়াজের বাজার দাম একেবারে তলানিতে এসে নামে। ফলে মজুদদার ও মধ্যস্বত্ত্বভোগিরা কমদামে পেঁয়াজ কিনে বর্ষা মৌশুমে এসে পেঁয়াজের দাম বাড়িয়ে বিপুল অঙ্কের মুনাফা হাতিয়ে নেয়। একই সময়ে আদ্র আবহাওয়ার কারণে ৪ থেকে ৫ লাখ মেট্রিক টন পেঁয়াজ পঁচে নষ্ট হয়। ফলে বর্ষার পরপরই পাইকারি ও খুচরা বাজারে হাহাকার পড়ে যায়। ১৫ থেকে ২০ টাকা দরের পেঁয়াজ দফায় দফায় বেড়ে ডাবল হয়ে যায়। ফলে মিডিয়ার খবরাখবর ও জনমতের চাপে সরকারকে বিদেশ বিশেষ করে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দিতে হয়। এমন পরিস্থিতিতে ভারত রফতানি শুল্ক বাড়িয়ে পরিস্থিতির পুরো ফায়দা হাসিল করে। ফলে চাপ বাড়ে সরকারের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে।
মূলত এমন বাস্তবতার মধ্যে বগুড়াস্থ জাতীয় মশলা গবেষণা কেন্দ্রের বিজ্ঞানীরা ২০০৭ থেকে ০৮ সালে গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ (বারি-৫) উদ্ভাবন করেন। দেশি পেঁয়াজের হেক্টর প্রতি ফলন যেখানে গড়ে ১০ লাখ টন, সেখানে এর হেক্টর প্রতি গড় ফলন ৪০ লাখ মেট্রিক টন। তবে এর উদ্ভাবন ও উৎপাদন প্রক্রিয়ার সাথে জড়িত ড. নুর ই আলম চৌধুরী জানান, এই পেঁয়াজের ফলন বেশি হলেও এটি দেশি পেঁয়াজের মত দীর্ঘ মেয়াদে সংরক্ষণযোগ্য নয়। তবে সঙ্কটের সময় বাজারে এই পেঁয়াজের সরবরাহ থাকলে বাজার দাম স্থিতিশীল রাখতে সহায়ক হবে।
বর্তমানে পেঁয়াজ জোন বলে খ্যাত কুষ্টিয়া, মেহেরপুর, চুয়াডাঙ্গা, রাজশাহী ও পাবনাতে গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজের চাষ হচ্ছে বেশি। সারাদেশে এ বছর মোট ৮০ হেক্টর জমিতে চাষ হয়েছে বারি-৫ পেঁয়াজের। ধারণা করা হচ্ছে এ বছর ৩২,০০০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ উৎপাদন হবে। বাজারদাম নিয়ন্ত্রণে কিছুটা হলেও ভূমিকা রাখবে এই পেঁয়াজ।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
ভিনিসিউস-এমবাপ্পে ঝলকে রিয়ালের বড় জয়
ফের বিবর্ণ ইউনাইটেড হারাল পয়েন্ট
দিয়াজের জোড়া গোলে চূড়ায় অলরেডসরা
এবার বুন্দেসলীগায়ও বায়ার্নের গোল উৎসব
দিয়াজের জোড়া গোলে চূড়ায় অলরেডসরা
দ্বিতীয় ওয়ানডেতেও অজিদের অনায়স জয়
প্লটবঞ্চিত পূর্বাচলের আদিবাসিন্দাদের ৩শ’ ফুট সড়কে অবস্থান : বিক্ষোভ অব্যাহত
দেশে সংস্কার ও জবাবদিহি প্রতিষ্ঠার আহ্বান
ছাত্রলীগের হামলার শিকার শিক্ষার্থীদের মামলা করতে বললেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ
উম্মাহর কল্যাণে মুসলমানদের ঐক্যের বিকল্প নেই
বৈরুতে ইসরাইলি হামলায় হিজবুল্লাহর শীর্ষ কমান্ডারসহ নিহত ১৪
পুলিশের লুট হওয়া অস্ত্র অপরাধে ব্যবহারের আশঙ্কা
মস্কোয় হামলার উপযুক্ত ক্ষেপণাস্ত্র কিয়েভে পাঠাবে না জার্মানি
জিয়ার ভূমিকাকে অবহেলা করায় পাহাড়ে সমস্যা হচ্ছে : জামায়াত নেতা শাহজাহান চৌধুরী
মানুষের প্রত্যাশা পূরণ করতে ঐক্যবদ্ধ থাকার কোনো বিকল্প নেই: তারেক রহমান
বিচার বিভাগে দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা প্রধান বিচারপতির
একদিনে ৮৪৩ জনের ডেঙ্গু শনাক্ত, মৃত্যু ১
কুষ্টিয়ায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে সুগার মিলের নিরাপত্তা প্রহরীর মৃত্যু
সাজেক ভ্রমণে আটকা পড়েছেন ৮০০ পর্যটক
‘শুধু সংস্কারে থেমে থাকলেই চলবে না, অর্থনৈতিক মুক্তি অর্জন করতে হবে’ : তারেক রহমান