পাহাড়ে আর হত্যাকাণ্ড নয়
১৪ ডিসেম্বর ২০২৩, ১২:০১ এএম | আপডেট: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৩, ১২:০১ এএম
পার্বত্য চট্টগ্রামের হানাহানি-মারামারি বন্ধ করা দরকার। আমি চাই না আর কোনো মায়ের বুক খালি হোক। আমার একটাই চাওয়া, আমরা আজ ভাইকে হারিয়েছি, আর যেন কোনো বাবা-মা ছেলে না হারান। ঐক্যবদ্ধভাবে মিলেমিশে সবাইকে রাজনীতি করতে হবে। হাসপাতালের লাশঘরের সামনে বিষণ্ন মুখে দাঁড়িয়েছিলেন সুগতি চাকমা। গত সোমবার রাতে পানছড়িতে নিহত চার ইউপিডিএফ কর্মীর একজন লিটন চাকমার বড় ভাই তিনি। ভাইয়ের মৃত্যুতে শোকে মুহ্যমান সুগতির এ সব কথা বলেন। গতকাল বুধবার দুপুরে খাগড়াছড়ি হাসপাতালের লাশঘরের সামনে সুগতির সঙ্গে কথা হচ্ছিল। সেদিনকার ঘটনায় নিহত বিপুল চাকমার কাকা নিরুপম চাকমার দেখা মিলল সেখানে। তিনিও বললেন একই কথা। এমন সংঘাত কেউ চান না তারা। নিরুপম বলেন, বিপুলের মা ২০১৬ সালের ২৫ অক্টোবর ক্যানসারে মারা যান। এরপর তার বাবার ভরসা ছিল একমাত্র ছেলে বিপুল। বিপুল মারা যাওয়ার খবর শোনার পর থেকে তার বাবা, দাদা-দাদি পাগলপ্রায়। জানি না, তাঁদের কীভাবে সামলাব, কী বলে সান্ত্বনা দেব।
ওই দিন নিহত সুনীলের ছোট ভাই গণেশ্বর ত্রিপুরা আক্ষেপ করে বলেন, কী হবে এই খুনোখুনি দিয়ে। দিন শেষে কারও না কারও মায়ের বুকই খালি হয়। আর আমরা হারিয়ে ফেলি আমাদের প্রিয়জন।
লাশঘরের সামনে ২০ থেকে ২৫ জন নারীর জটলা দেখা যায়। তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তারা সবাই বিপুলের এলাকাবাসী। মূলত বিপুলকে ভালোবেসে একনজর দেখার জন্য পানছড়ি পুজগাং এবং লোগাং থেকে গাড়ি ভাড়া করে এসেছেন হাসপাতালে। নিহত রুহিন ত্রিপুরার বড় ভাই চন্দ্র জয় ত্রিপুরা ভাইয়ের লাশ গ্রহণ করার সময় ভাইয়ের হত্যার বিচার দাবি করেন। ঘটনার ৪০ ঘণ্টার পর বুধবার বেলা তিনটার দিকে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে পুলিশ।
এদিকে এই ঘটনায় নিহত বিপুল চাকমার কাকা নিরুপম চাকমা বাদী হয়ে অজ্ঞাতপরিচয়ের ১৫ থেকে ২০ জনকে আসামি করে আজ বিকেলে পানছড়ি থানায় একটি হত্যা মামলা করেছেন বলে জানিয়েছেন পানছড়ি থানার ওসি শফিউল আজম।
মামলার বাদী নিরুপম চাকমা বলেন, ঘটনার সময় যেহেতু আমি ঘটনাস্থলে ছিলাম না তাই অপরাধীদের দেখিনি। সে জন্য অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে মামলা করেছি। আসামিদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তার করা এখন পুলিশের কাজ। আমি এই হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি।
পানছড়ি থানার ওসি শফিউল আজম বলেন, এ ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে। লাশ জনপ্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। গত সোমবার রাত ১০টার দিকে পানছড়ি লোগাং ইউনিয়নের অনিলপাড়ায় ইউপিডিএফের চারজন নেতা-কর্মী নিহত হয়। নিহতরা হলেন ইউপিডিএফের গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের সাংগঠনিক সম্পাদক বিপুল চাকমা (৩২), গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের জেলা সহসভাপতি লিটন চাকমা (২৯), পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি সুনীল ত্রিপুরা (২৯) ও ইউপিডিএফের সদস্য রুহিন বিকাশ ত্রিপুরা (৪৯)।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
জুলাই বিপ্লবে আহত ১৪ জনকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানো হচ্ছে : পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
আইএমএফসহ আন্তর্জাতিক সংস্থার শীর্ষ পদে এখনো ভারতীয়রা
ভারতে নির্যাতনের ভিডিও বাংলাদেশের সা¤প্রতিক ঘটনা হিসেবে প্রচার
দাদাবাড়ি বেড়াতে এসে খুন হলো শিশু সাফওয়ান, আটক ২
নরসিংদীতে ভ্রাম্যমাণ আদালতকে লক্ষ্য করে বালুদস্যুদের গুলিবর্ষণ
নরসিংদীতে রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির মানববন্ধন
রাঙামাটিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ
আখাউড়ায় মর্টার সেল উদ্ধার
রাজবাড়ীতে আ.লীগ দুই নেতা কারাগারে
কমলগঞ্জে ৮২ শতক সরকারি খাস জমি উদ্ধার
প্রিমিয়ার ভার্সিটি ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান হলেন চসিক মেয়র
কুষ্টিয়ায় প্লাইউড বোর্ড কারখানায় আগুন
বিএনপি নেতা কায়কোবাদের দারুল উলূম হাটহাজারীসহ বিভিন্ন মাদরাসা পরিদর্শন
মাদারীপুরে পদ্মা-আড়িয়াল খাঁ নদীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন অব্যাহত
গফরগাঁও সাবেক এমপি বাবেল গোলন্দাজ দম্পতির বিরুদ্ধে দুদকের ২ মামলা
ময়মনসিংহে পুলিশ রেঞ্জ কমান্ড অ্যান্ড কন্ট্রোল সেন্টারের উদ্বোধন
নওফেল পরিবারের ২৫টি ব্যাংক হিসাব ফ্রিজ
নিজ বাড়িতে ক্ষতিগ্রস্ত বন্ধুদের থাকার ব্যবস্থা করেছেন অ্যাঞ্জেলিনা জোলি
যুবদল নেতার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচারের অভিযোগ
ট্রাভেল ব্যান্ড হ্যালির ধুমকেতুর দুই গান