কাশ্মীরের পরিণতি হতে পারে মোদিবিরোধী রাজ্যগুলোর
১৪ ডিসেম্বর ২০২৩, ১২:০২ এএম | আপডেট: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৩, ১২:০২ এএম
১১ ডিসেম্বর ভারতের সুপ্রিম কোর্ট দেশটির সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিল করার জন্য সরকারের সিদ্বান্ত বহাল রাখার পক্ষে চুড়ান্ত রায় ঘোষণার কয়েক মিনিট আগে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এক্স (পূর্বে টুইটার) তে দেশের সুপ্রিম কোর্টের প্রতি উচ্ছসিত প্রশংসায় বলেছেন, ‘এর গভীর প্রজ্ঞা ঐক্যের সারমর্মকে শক্তিশালী করেছে, যা আমরা ভারতীয় হিসাবে সকল কিছুর উপরে ভালোবাসি এবং লালন করি।’
ভারতের সর্বোচ্চ আদালত এই রায়ের মাধ্যমে মোদির ২০১৯ সালে সিদ্ধান্তকে সমর্থন করে জম্মু ও কাশ্মীরের আধা-স্বায়ত্তশাসিত হওয়ার মর্যাদা বাতিল করেছে এবং তারপর ভারতের একমাত্র মুসলিম-সংখ্যাগরিষ্ঠ রাজ্যকে দুটি ভাগে ভেঙে দিয়েছে। এই রায়টি সংকেত দেয় যে, দেশটির সুপ্রিম কোর্ট হিন্দু জাতীয়তাবাদী মোদি সরকারকে প্রতিরোধ করার পূর্বের স্পৃহা হারিয়েছে এবং পূর্ণভাবে প্রভাবিত হয়ে পড়েছে।
সাংবিধানিকভাবে গৃহীত বিশেষ মর্যাদার অধীনে জম্মু ও কাশ্মীর ভারতীয় রাজ্যগুলির মধ্যে স্বতন্ত্রভাবে নিজস্ব সংবিধান এবং পতাকা ব্যবহার করত এবং বহিরাগতদের জমি কেনা থেকে বাধা দেওয়ার অধিকার রাখত। ভারতকে একটি হিন্দু রাষ্ট্রে পরিণত করার লক্ষ্যে কাশ্মীরের মর্যাদা কেড়ে নেওয়া মোদির হিন্দু-জাতীয়তাবাদী সরকারের কাছে একটি অগ্রাধিকার ছিল।
জম্মু ও কাশ্মীরের অধিকার ছিনিয়ে নেয়া আগে মোদির কেন্দ্রীয় সরকার প্রথমে অঞ্চলটির ফোন লাইন, টেলিভিশন ও ইন্টারনেট সিগন্যাল কেটে দেয়, এবং কাশ্মীরি রাজনৈতিক নেতা ও অন্যান্য জনসাধারণকে গৃহবন্দী করে রাখে। তারপরে তারা রাজ্যটিকে দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে বিভক্ত করে দেয়, যেগুলি সরাসরি দিল্লি থেকে শাসিত হয়।
জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিল করার মোদির অধিকারকে চ্যালেঞ্জ করে কাশ্মীরি আবেদনকারীরা যথাযথভাবে যুক্তি দিয়েছিল যে, ১৯৪৭ সালে ভারতে অন্তর্ভুক্ত অন্যান্য রাজ্যের মতোই জম্মু ও কাশ্মীরও বাস্তবিকভাবে সার্বভৌমত্ব ভোগ করতে পারেনি। কিন্তু আদালত তাদের কাছে চ্যালেঞ্জ নিয়ে আসার জন্য আবেদনকারীদের তিরস্কার করেছেন। এবং আগামী সেপ্টেম্বরের মধ্যে সেখানে আঞ্চলিক নির্বাচন দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
ভারতের সুপ্রিম কোর্টের এই রায় সম্ভবত কাশ্মীরিদের দীর্ঘস্থায়ী অসন্তোষকে আরও গভীর করে তুলবে। মোদির কেন্দ্রীকরণ প্রচেষ্টার বিরুদ্ধচারণকারী অন্যান্য রাজ্যগুলির জন্যও এটি অশুভ। উত্তর-পূর্ব ভারতের আটটি রাজ্য, যেগুলির মধ্যে কয়েকটি স্বায়ত্তশাসন উপভোগ করছে, তাদের চিন্তিত হওয়া উচিত। কারণ, পরের বছর একটি নির্বাচনের আগে, যার মাধ্যমে মোদি তৃতীয় মেয়াদে ক্ষমতাসীন থাকবেন বলে মনে করা হচ্ছে, তিনি ক্রমবর্ধমানভাবে কর্তৃত্ববাদী এবং বেপরোয়া হয়ে উঠছেন।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
জুলাই বিপ্লবে আহত ১৪ জনকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানো হচ্ছে : পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
আইএমএফসহ আন্তর্জাতিক সংস্থার শীর্ষ পদে এখনো ভারতীয়রা
ভারতে নির্যাতনের ভিডিও বাংলাদেশের সা¤প্রতিক ঘটনা হিসেবে প্রচার
দাদাবাড়ি বেড়াতে এসে খুন হলো শিশু সাফওয়ান, আটক ২
নরসিংদীতে ভ্রাম্যমাণ আদালতকে লক্ষ্য করে বালুদস্যুদের গুলিবর্ষণ
নরসিংদীতে রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির মানববন্ধন
রাঙামাটিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ
আখাউড়ায় মর্টার সেল উদ্ধার
রাজবাড়ীতে আ.লীগ দুই নেতা কারাগারে
কমলগঞ্জে ৮২ শতক সরকারি খাস জমি উদ্ধার
প্রিমিয়ার ভার্সিটি ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান হলেন চসিক মেয়র
কুষ্টিয়ায় প্লাইউড বোর্ড কারখানায় আগুন
বিএনপি নেতা কায়কোবাদের দারুল উলূম হাটহাজারীসহ বিভিন্ন মাদরাসা পরিদর্শন
মাদারীপুরে পদ্মা-আড়িয়াল খাঁ নদীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন অব্যাহত
গফরগাঁও সাবেক এমপি বাবেল গোলন্দাজ দম্পতির বিরুদ্ধে দুদকের ২ মামলা
ময়মনসিংহে পুলিশ রেঞ্জ কমান্ড অ্যান্ড কন্ট্রোল সেন্টারের উদ্বোধন
নওফেল পরিবারের ২৫টি ব্যাংক হিসাব ফ্রিজ
নিজ বাড়িতে ক্ষতিগ্রস্ত বন্ধুদের থাকার ব্যবস্থা করেছেন অ্যাঞ্জেলিনা জোলি
যুবদল নেতার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচারের অভিযোগ
ট্রাভেল ব্যান্ড হ্যালির ধুমকেতুর দুই গান