‘আরব বসন্তের’ মতো বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করা হতে পারে
২০ ডিসেম্বর ২০২৩, ১২:০২ এএম | আপডেট: ২০ ডিসেম্বর ২০২৩, ১২:০২ এএম
‘বাংলাদেশে আরব বসন্ত করতে পারে যুক্তরাষ্ট্র’ রাশিয়ার এমন আশঙ্কা উড়িয়ে দিয়েছেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক যোগাযোগ মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তারা বলেছেন, বাংলাদেশে ‘আরব বসন্ত’ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়নি। দুই মন্ত্রীর এমন বক্তব্যের দু’দিনের মাথায় ঢাকায় নিযুক্ত রুশ রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার ম্যানতিতস্কি ফের বাংলাদেশে ‘আরব বসন্তের’ মতো বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। গতকাল মঙ্গলবার রাশিয়ার দূতাবাসে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ আশঙ্কার কথা প্রকাশ করেন।
রুশ রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার ম্যানতিতস্কি বলেন, বাংলাদেশে প্রভাব বিস্তারের জন্য যুক্তরাষ্ট্র বা পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে রাশিয়া প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে না।
১৫ ডিসেম্বর রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা অভিযোগ করে বলেন, ‘আরব বসন্তের’ মতো বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করতে পারে যুক্তরাষ্ট্র। রুশ মুখপাত্র কেন এমন মন্তব্য করেছেন জানতে চাইলে রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার ম্যানতিতস্কি বলেন, ১৯৭২ থেকে ১৯৭৪ সালে তৎকালীন সোভিয়েত নৌবাহিনীর সদস্যরা চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরে মাইন অপসারণে সহায়তা করেছিলেন, সেটা তুলে ধরতেই এখানে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে। রাষ্ট্রদূত বলেন, তবু বলতে চাই, এখানে (বাংলাদেশ) প্রভাব বিস্তারের জন্য যুক্তরাষ্ট্র বা পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছি না। আমরা শুধু বলছি... দেখুন, এখানে পশ্চিমা দেশগুলো কী করেছে, কী করা হয়েছে এবং কী করছে। এ বিষয়ে আমি আগেও কথা বলেছি।
আলেকজান্ডার ম্যানতিতস্কি বলেন, রুশ মুখপাত্র তার ডিসেম্বরের বিবৃতিতে ১০ বছর আগে ইউক্রেনে যা ঘটেছিল, তার সঙ্গে ঢাকায় এখন যা ঘটছে, তার তুলনা করেছেন। তারা (ইউক্রেনে) নির্বাচিত সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করেছিল। এতে যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা ছিল। পরে তারা স্বীকার করেছে যে অভ্যুত্থান পরিচালনায় পাঁচ শ কোটি ডলার ব্যয় করা হয়েছিল।
রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে এবং যুদ্ধ পরবর্তী সময়ে রাশিয়া সহযোগিতা করতে পেরেছে বলে আমরা খুশি। বাংলাদেশের অগ্রযাত্রায় আমরা অংশীদার হতে পেরে আনন্দিত।
১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের পর চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরে মাইন অপসারণে সহায়তা করেছিল তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের নৌবাহিনী। সে সময় মাইন অপসারণে সহায়তাকারী নৌবাহিনীর সাবেক দুই সদস্য ভিটালি গুবেনকো ও আলেক্সান্ডার জালটস্কি সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় ভিটালি গুবেনকো চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরে মাইন অপসারণের স্মৃতিতচারণ করে বলেন, মাইন অপসারণের জন্য ১৯৭২ সালে আমি চট্টগ্রাম আসি। তখন কাজটি খুব কঠিন ছিল। দুই বছর অক্লান্ত চেষ্টায় মাইন অপসারণ করা হয়। পরে বন্দর দিয়ে জাহাজ চলাচলও শুরু হয়। তখন স্থানীয় জনগণ খুবই বন্ধুত্বপূর্ণ ছিলেন। তাদের কথা আমার স্মরণে আছে। তিনি বলেন, ৫০ বছর আগে এদেশের অবকাঠামোগত তোমন কোনো উন্নতি ছিল না। এখন বাংলাদেশের উন্নয়ন দেখে খুব ভালো লাগছে।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
খুশদীলের অলরাউন্ড নৈপুণ্যে রংপুরের আটে আট
বন্ধ হয়ে যাচ্ছে অনেক দেশের ভিসা
মেডিকেল কলেজে শিক্ষক বাড়ানোর কথা ভাবছে সরকার
ছাত্রদলের ‘মার্চ ফর জাস্টিস’ কর্মসূচি আজ
গাজার স্বাস্থ্য ব্যবস্থা পুনর্গঠনে ১০ বিলিয়ন ডলার প্রয়োজন
অন্তর্বর্তী সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলোর দিকে তাকিয়ে ইইউ
ভারতের উদ্বেগের মধ্যে হাসিনা পরবর্তী বাংলাদেশের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হচ্ছে পাকিস্তান
সান্ত¡না খুঁজে পাচ্ছেন না, দুই দেশে কলঙ্কিত টিউলিপ
দুর্নীতির মামলায় ইমরান খান ও বুশরা বিবির কারাদণ্ড
বিদেশে টাকা পাচারের রাজনীতি মানুষ চায় না : পীর সাহেব চরমোনাই
শেখ পরিবারের রক্তের জন্যই দুর্নীতিতে জড়িয়েছেন টিউলিপ -রিজভী
নামাজ মু’মিনের জন্য মেরাজস্বরূপ
ক্রেডিট কার্ডে বিদেশে বাংলাদেশিদের লেনদেন কমেছে
স্বনির্ভর অর্থনীতির পথে দেশ
বগুড়ার বিমানবন্দর দ্রুত চালুর দাবি
আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে বাংলাদেশকে মানবাধিকার লংঘন বন্ধ করতে হবে : হিউম্যান রাইটস ওয়াচ
হাজারীবাগের ট্যানারির গোডাউনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড
জুলাই বিপ্লব ঘোষণাপত্র দেওয়া জরুরি : নুরুল হক নুর
গণঅভ্যুত্থানের ইশতেহারে বিএনপির ভূমিকা লিখতে হবে : জয়নুল আবদিন
নির্বাচনে রাজনৈতিক নেতাদের পরিবেশ রক্ষায় প্রতিশ্রুতি দিতে হবে