ঢাকা   শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ৫ আশ্বিন ১৪৩১

বাংলাদেশ : যে নির্বাচন পরিণত হয়েছে এক নারীর শোতে

Daily Inqilab ইনকিলাব ডেস্ক :

০২ জানুয়ারি ২০২৪, ১২:০৩ এএম | আপডেট: ০২ জানুয়ারি ২০২৪, ১২:০৩ এএম

বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে বিশ্লেষণধর্মী প্রতিবেদন তৈরি করেছে বিবিসি নিউজ। আনবারাসান ইথিাজনের বিশ্লেষণ ইনকিলাব পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হ’লঃ
বাংলাদেশে ৭ জানুয়ারি সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে এবং ফলাফল ইতোমধ্যেই অনিবার্য বলে মনে হচ্ছে। প্রধান বিরোধী দলগুলো নির্বাচন বর্জন করায় এবং তাদের বেশ কয়েকজন নেতা কারারুদ্ধ থাকায় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ টানা চতুর্থ সংসদীয় মেয়াদে পুনরায় নির্বাচিত হতে যাচ্ছে। বিরোধী দলগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বড় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল এবং তার মিত্ররা বলছে, তারা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বিশ্বাস করে না। তারা তাকে পদত্যাগ এবং একটি নিরপেক্ষ অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি করেছিল, তবে তা তিনি প্রত্যাখ্যান করেন। তাই ব্যালটে নাম থাকা প্রার্থীদের সবাই আওয়ামী লীগের, তার সহযোগী দলের বা স্বতন্ত্র।

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের সিনিয়র নেতা আব্দুল মঈন খান বিবিসিকে বলেছেন : ‘বাংলাদেশে গণতন্ত্রের মৃত্যু ঘটেছে। জানুয়ারিতে আমরা দেখব ভুয়া নির্বাচন’।
এটি বৃহত্তর উদ্বেগের প্রতিধ্বনি করে যে, শেখ হাসিনা কয়েক বছর ধরে ক্রমশ স্বৈরাচারী হয়ে উঠেছেন। সমালোচকরা ভাবছেন, কেন আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় তার প্রশাসনকে জবাবদিহি করতে আরো কিছু করছে না। তার সরকার অগণতান্ত্রিক হওয়ার অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে।
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বিবিসিকে বলেছেন, ‘জনগণের ভোটে অংশগ্রহণের মাধ্যমে নির্বাচন নির্ধারিত হয়। বিএনপি বাদে অনেক রাজনৈতিক দলই এ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে’।

প্রবৃদ্ধির মূল্য : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধীনে বাংলাদেশ একটি বিপরীত চিত্র প্রদর্শন করে। এক সময় বাংলাদেশ ছিল বিশ্বের সবচেয়ে গরিব দেশগুলোর অন্যতম। ২০০৯ সাল থেকে তার নেতৃত্বে মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশটি বিশ্বাসযোগ্য অর্থনৈতিক সাফল্য অর্জন করেছে। বর্তমানে এ অঞ্চলে এটি একটি দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতির দেশ। এমনকি প্রতিবেশী বিশাল দেশ ভারতকেও ছাড়িয়ে গেছে। গত এক দশকে মাথাপিছু আয় তিনগুণ হয়েছে। বিশ্বব্যাংক বলেছে, গত ২০ বছরে কমপক্ষে আড়াই কোটি মানুষকে দারিদ্র্য থেকে টেনে তোলা হয়েছে। দেশের নিজস্ব তহবিল, ঋণ এবং উন্নয়ন সহায়তা ব্যবহার করে শেখ হাসিনার সরকার মেগা অবকাঠামো প্রকল্প হাতে নিয়েছে। এর মধ্যে আছে ২৯০ কোটি ডলার খরচে পদ্মা নদীর ওপর নির্মিত পদ্মাসেতু। শুধু এ সেতুই জিডিপি শতকরা ১.২৩ ভাগ বৃদ্ধি করেছে বলে আশা করা হচ্ছে।

কিন্তু করোনা মহামারির সময় থেকে বাংলাদেশ ক্রমবর্ধমান জীবনধারণের ব্যয় বৃদ্ধি নিয়ে লড়াই করছে। নভেম্বরে মুদ্রাস্ফীতি ছিল শতকরা প্রায় ৯.৫ ভাগ। ২০২১ সালের আগস্টে রেকর্ড ৪৮ বিলিয়ন বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল। কিন্তু তা কমে এখন দাঁড়িয়েছে ২০ বিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি। এ অর্থ তিন মাসের আমদানি খরচের জন্য যথেষ্ট নয়। ২০১৬ সাল থেকে বৈদেশিক ঋণ দ্বিগুণ হয়েছে। সমালোচকরা বলেন, গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের মূল্যে অর্থনৈতিক সফলতা এসেছে। তারা অভিযোগ করেন, শেখ হাসিনার শাসন রাজনৈতিক বিরোধী, সমালোচনাকারী ও মিডিয়ার বিরুদ্ধে কর্তৃত্ববাদী নিষ্পেষণমূলক পদক্ষেপ নেয়ার মাধ্যমে চিহ্নিত হয়েছে। শান্তিতে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে অব্যাহতভাবে বিচার বিভাগীয় হয়রানি বন্ধের আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আগস্টে চিঠি লেখেন বিশ্বের কমপক্ষে ১৭০ জন প্রথম সারির ব্যক্তিত্ব। এর মধ্যে আছেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা, ভার্জিন গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা রিচার্ড ব্রানসন, ইউটু-এর লিড গায়ক বোনো। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে বিএনপির বহু সিনিয়র নেতাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সরকারবিরোধী প্রতিবাদ বিক্ষোভের পর গ্রেফতার করা হয়েছে কয়েক হাজার সমর্থককে।

বিএনপির হাতেগোণা যেসব সিনিয়র নেতাকে গ্রেফতার করা হয়নি, তাদের অন্যতম মঈন খান। তিনি অভিযোগ করেন, কমপক্ষে ২০ হাজার দলীয় নেতাকর্মীকে কাল্পনিক ও বানোয়াট অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে। দলীয় লাখ লাখ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। তবে এ অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে সরকার। জেলে থাকা নেতাকর্মীর যে সংখ্যা দাবি করে বিএনপি, সেদিকে ইঙ্গিত করে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, আমি চেক করে দেখেছি, এ সংখ্যা এর অর্ধেক। এর মধ্যে কিছু মামলা আছে ২০০১ ও ২০১৪ সালের নির্বাচনের সময় সংঘটিত সহিংস ঘটনার।

পরিসংখ্যান বলছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধীনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত গ্রেফতার, গুম, হত্যাকাণ্ড ও অন্যান্য নিয়ম লঙ্ঘন বৃদ্ধি পেয়েছে। সম্প্রতি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার বিষয়ক সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বিরোধী দলীয় নেতাকর্মীদের গ্রেফতারকে সরকারের সহিংস স্বৈরতান্ত্রিক দমনপীড়ন হিসেবে আখ্যায়িত করেছে। একসময় বহুদলীয় গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করেছেন এমন একজন নেতার জন্য এটি একটি উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন। জেনারেল হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের শাসনামলে রাজপথে গণতন্ত্রপন্থি প্রতিবাদবিক্ষোভ করতে ১৯৮০-এর দশকে তিক্ত প্রতিপক্ষ (সাবেক প্রধানমন্ত্রী) বেগম খালেদা জিয়াসহ বিরোধী নেতাদের সঙ্গে হাত মিলিয়েছিলেন শেখ হাসিনা। তিনি বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা শেখ মুজিবুর রহমানের বড় কন্যা। তিনি বহুদলীয় নির্বাচনের মাধ্যমে ১৯৯৬ সালে প্রথম ক্ষমতায় আসেন। তারপর ২০০১ সালের নির্বাচনে তিনি খালেদা জিয়ার নেতৃত্বাধীন বিএনপির কাছে পরাজিত হন। এ দুই নারীকে স্থানীয়ভাবে ‘ব্যাটলিং বেগমস’ হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। মুসলিম নারীদের উচ্চ পদ বোঝাতে বেগম শব্দটি ব্যবহার করা হয়।

দুর্নীতির অভিযোগে কার্যত এখন গৃহবন্দি বেগম জিয়া। তার শারীরিক অবস্থা জটিল। এ অবস্থায় মাঠে নেতৃত্বের সংকট দেখা দিয়েছে বিএনপিতে। বিরোধী দলীয় নেতা ও কর্মীদের পর্যায়ক্রমিকভাবে গ্রেফতার ও অভিযুক্ত করার মাধ্যমে তা আরো জটিল হয়েছে। অনেকেই যুক্তি দেন যে, নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপিকে পঙ্গু করে দেয়ার জন্য ইচ্ছাকৃতভাবে এসব করেছে আওয়ামী লীগ।

সৈয়দ মিয়ার মতো বিএনপির বহু নেতাকর্মী বিচার থেকে রক্ষা পেতে আত্মগোপনে চলে গিয়েছেন। নিরাপত্তার জন্য ২৮ বছর বয়সী এ ব্যক্তিকে নাম বদলে সৈয়দ মিয়া হিসেবে পরিচয় দেয়া হয়েছে। তিনি রাজনৈতিক এক প্রতিবাদ বিক্ষোভে অংশ নেয়ার কারণে সেপ্টেম্বরে এক মাস জেল খেটেছেন। তিনি এখন একটি জঙ্গলে দলীয় তিনজন সহকর্মীর সঙ্গে একটি তাঁবু টানিয়ে সেখানে অবস্থান করছেন। সমাবেশ করার সময় অগ্নিসংযোগ ও সহিংসতার অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়েছে তাদের সবাইকে। এ জন্য তাদের বিরুদ্ধে পরোয়ানা আছে। সৈয়দ মিয়া বলেন, এক মাসের বেশি আমরা এভাবে পালিয়ে আছি। আমাদেরকে অবস্থান পরিবর্তন করতে হয়। আমাদের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ আনা হয়েছে তা মিথ্যা।

অবনতিশীল মানবাধিকার পরিস্থিতিতে উদ্বেগ জানিয়েছে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন এজেন্সি, সংস্থা। জেনেভায় জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের অফিসের এশিয়া-প্যাসিফিক বিষয়ক প্রধান রোরি মুঙ্গোভেন বলেন, বর্তমান প্রেক্ষাপট দেখে মনে হয় যে, ব্যাপক বিস্তৃত অথবা একটি বৈষম্যমূলক পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে বিরোধী দলীয় হাজার হাজার নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে। কখনো তা একই ঘটনার সঙ্গে সম্পর্কিত করা হয়। যেকোনো সহিংসতার জবাবে টার্গেটেড প্রতিক্রিয়ার পরিবর্তে এটা দেখে মনে হচ্ছে বিরোধীদের ওপর বিস্তৃত দমনপীড়ন। নভেম্বরে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘের স্পেশাল র‌্যাপোর্টিউরের একটি গ্রুপ। তারা বলেছেন সাংবাদিক, মানবাধিকারকর্মী এবং নাগরিক সমাজের নেতাদের বিরুদ্ধে আক্রমণে বিচার বিভাগকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করার মাধ্যমে বিচার বিভাগের স্বাধীনতাকে খর্ব করছে সরকার এবং নষ্ট হচ্ছে মৌলিক মানবাধিকার। কিন্তু আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, আদালতের বিষয়ে কিছুই করার নেই সরকারের। তিনি বলেন, দেশে বিচার বিভাগ পুরোপুরি স্বাধীন।

শুধু বিপুলসংখ্যক গ্রেফতার এবং তাদেরকে অভিযুক্ত করার কারণেই অধিকার বিষয়ক গ্রুপগুলো উদ্বিগ্ন নয়। তারা বলেছে, ২০০৯ সাল থেকে জোরপূর্বক গুম এবং বিচারবহির্ভূত হত্যকাণ্ডের কয়েক শত ঘটনাকে প্রামাণ্য দলিল হিসেবে উপস্থাপন করেছে। এসব অনিয়মের নেপথ্যে থাকার অভিযোগ সরাসরি অস্বীকার করেছে সরকার। এসব অভিযোগ তদন্তের জন্য যেসব বিদেশি সাংবাদিক বাংলাদেশ সফরে আসতে চেয়েছেন তাদের ক্ষেত্রে কঠোর বিধিনিষেধ দেয়া হয়েছে। নিজেদের নিরাপত্তা নিয়ে আতঙ্কে স্থানীয় সাংবাদিকদের বেশিরভাগই এসব মামলা নাড়াচাড়া করা বন্ধ করে দিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্র র‌্যাব ও এর সাতজন বর্তমান ও সাবেক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দেয়ার পর ২০১১ সাল থেকে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে কমে এসেছে। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের সীমিত এ নিষেধাজ্ঞা বাংলাদেশের সামগ্রিক মানবাধিকার পরিস্থিতির উন্নতি করেনি। এ জন্য কিছু রাজনীতিক পশ্চিমা দেশগুলোর কাছ থেকে কঠোর পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানাচ্ছেন।

সমতার কূটনীতি
ইউরোপিয়ান পার্লামেন্টের একজন সদস্য কিরেন মেলচোইর বলেন, গণতান্ত্রিক পরিস্থিতির জন্য বাংলাদেশকে জবাবদিহিতা করানো উচিত ইউরোপিয়ান কমিশনের। বাংলাদেশি পণ্যে দেয়া শুল্কমুক্ত সুবিধা তুলে নেয়ার কথা বিবেচনা করা উচিত। উল্লেখ্য, চীনের পর বাংলাদেশ হলো বিশ্বের দ্বিতীয় সর্ববৃহৎ তৈরি পোশাকের রফতানিকারক। গত বছর কমপক্ষে ৪৫ বিলিয়ন ডলার মূল্যের তৈরি পোশাক বিদেশে পাঠিয়েছে বাংলাদেশ। এর বেশির ভাগই গেছে ইউরোপে এবং যুক্তরাষ্ট্রে। শেখ হাসিনা যখন পর্যায়ক্রমিকভাবে গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে ভেঙে ফেলছেন, তখন অনেকে প্রশ্ন করেন, পশ্চিমা দেশগুলো, যাদের এত বিশাল অর্থনৈতিক প্রভাব রয়েছে তারা কেন তাকে দায়মুক্তির সঙ্গে কাজ করতে দিচ্ছে। সমস্যার কারণ হলো ভারত। তারা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যেকোনো জবরদস্তিমূলক পদক্ষেপের বিরোধী। বাংলাদেশের ভিতর দিয়ে উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় সাতটি রাজ্যের সঙ্গে সড়ক ও নৌপথে চলাচলের সুবিধা চায় দিল্লি। ‘চিকেন নেক’ বলে পরিচিত ২০ কিলোমিটারের স্থল করিডোর নিয়ে ভারত উদ্বিগ্ন। এই পথটি নেপাল, বাংলাদেশ এবং ভুটানের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত। এই পথটি ভারতের বাকি অংশের সঙ্গে উত্তর-পূর্বাঞ্চলকে সংযুক্ত করেছে। যদি ভারতের প্রতিপক্ষ চীনের সঙ্গে কোনো রকম বড় সংঘাত সৃষ্টি হয় তাহলে এটা কৌশলগতভাবে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়বে বলে শঙ্কিত দিল্লির কর্মকর্তারা।

২০০৯ সালে ক্ষমতায় ফেরার পর পরই ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় জাতিগত বিদ্রোহী গ্রুপগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার পর দিল্লির প্রিয়পাত্রী হয়ে ওঠেন শেখ হাসিনা। এসব গ্রুপের অনেকে সীমান্ত অঞ্চল থেকে তাদের কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছিল। উদ্বেগ রয়েছে যে, যেকোনোভাবে অবস্থার অতিরিক্ত পরিবর্তন করলে ঢাকাকে চীনের দিকে ঠেলে দেয়া হবে। ভারতের সঙ্গে আঞ্চলিক আধিপত্য প্রতিষ্ঠা নিয়ে এরই মধ্যে চীন লড়াই করছে। তার মধ্যে বাংলাদেশে অবস্থান বাড়াতে উদগ্রীব বেইজিং। আপাতত শেখ হাসিনার ক্ষমতায় যাওয়ার পথ পরিষ্কার বলেই মনে হচ্ছে। কিন্তু অন্য মহল থেকে খুব শিগগিরই তার কর্তৃত্বকে চ্যালেঞ্জ করা হতে পারে।

পেমেন্টের ভারসাম্য সঙ্কট এড়াতে ঢাকা ইতোমধ্যেই আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের কাছে ৪৭০ কোটি মার্কিন ডলারের ঋণ চেয়েছে। তাই নির্বাচনের পর অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে সরকারকে কিছু কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। তার বিরোধীরা হয়তো প্রতিযোগিতায় টিকতে পারবে না, কিন্তু কঠোরতা নীতির কারণে জনঅসন্তোষ শেখ হাসিনা এবং আওয়ামী লীগের জন্য প্রাথমিক চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াতে পারে।


বিভাগ : জাতীয়


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

আরও পড়ুন

ইয়ামালের মাইলফলকের রাতে হারের তেতো স্বাদ বার্সার

ইয়ামালের মাইলফলকের রাতে হারের তেতো স্বাদ বার্সার

আর্সেনালের স্বস্তির ড্র,অ্যাটলেটিকোর দারুণ জয়

আর্সেনালের স্বস্তির ড্র,অ্যাটলেটিকোর দারুণ জয়

হেডের বিধংসী শতকে লন্ডভন্ড  ইংল্যান্ড

হেডের বিধংসী শতকে লন্ডভন্ড  ইংল্যান্ড

পয়েন্ট হারিয়েও শীর্ষে আর্জেন্টিনা,অবনতি বাংলাদেশের

পয়েন্ট হারিয়েও শীর্ষে আর্জেন্টিনা,অবনতি বাংলাদেশের

বিদেশে সাবেক ভুমিমন্ত্রীর আট হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি

বিদেশে সাবেক ভুমিমন্ত্রীর আট হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি

ইউনূস গুড উইলের প্রতিফলন দেখতে চায় জনগণ: রিজভী

ইউনূস গুড উইলের প্রতিফলন দেখতে চায় জনগণ: রিজভী

সময় থাকতে হাসিনাকে ফেরত পাঠান : ভারতকে দুদু

সময় থাকতে হাসিনাকে ফেরত পাঠান : ভারতকে দুদু

রুশ সেনা কুরস্কের দুটি শহরের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে

রুশ সেনা কুরস্কের দুটি শহরের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে

বিমানবন্দর এলাকা হবে শব্দদূষণ মুক্ত

বিমানবন্দর এলাকা হবে শব্দদূষণ মুক্ত

যাত্রাবাড়ী থানার সাবেক ওসি আবুল হাসান ৭ দিনের রিমান্ডে

যাত্রাবাড়ী থানার সাবেক ওসি আবুল হাসান ৭ দিনের রিমান্ডে

বিচার শুরু হলে হাসিনাকে ফেরত চাওয়া হবে : আইন উপদেষ্টা

বিচার শুরু হলে হাসিনাকে ফেরত চাওয়া হবে : আইন উপদেষ্টা

লোহাগড়ায় দিনে-দুপুরে বসতবাড়ি পুড়ে ছাই

লোহাগড়ায় দিনে-দুপুরে বসতবাড়ি পুড়ে ছাই

রাষ্ট্রীয় কল্যাণে অবদান রাখার সুযোগ দিন আলেমদেরকে

রাষ্ট্রীয় কল্যাণে অবদান রাখার সুযোগ দিন আলেমদেরকে

দুই মেডিকেল টেকনোলজিস্টের ওপর হামলার ঘটনায় বিএমটিএর নিন্দা

দুই মেডিকেল টেকনোলজিস্টের ওপর হামলার ঘটনায় বিএমটিএর নিন্দা

জিএম কাদের ও মজিবুল হক চুন্নুকে অবিলম্বে আটক করতে হবে : আবু হানিফ

জিএম কাদের ও মজিবুল হক চুন্নুকে অবিলম্বে আটক করতে হবে : আবু হানিফ

উপদেষ্টাদের আয় ও সম্পদ বিবরণী  প্রকাশের নীতিমালা অনুমোদন

উপদেষ্টাদের আয় ও সম্পদ বিবরণী প্রকাশের নীতিমালা অনুমোদন

সাবেক মন্ত্রী শ ম রেজাউল-এমপি হেনরিসহ ৩ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

সাবেক মন্ত্রী শ ম রেজাউল-এমপি হেনরিসহ ৩ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

পটুয়াখালী মেডিক্যাল কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতিকে একবছর ,সাধারন সম্পাদককে দুই বছর একাডেমীক কার্যক্রম থেকে বহিস্কারসহ উভয়কে হোস্টেল থেকে আজীবন বহিস্কার।

পটুয়াখালী মেডিক্যাল কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতিকে একবছর ,সাধারন সম্পাদককে দুই বছর একাডেমীক কার্যক্রম থেকে বহিস্কারসহ উভয়কে হোস্টেল থেকে আজীবন বহিস্কার।

ঢাবিতে যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে ৫ শিক্ষার্থী গ্রেফতার

ঢাবিতে যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে ৫ শিক্ষার্থী গ্রেফতার

রাজউক চেয়ারম্যানের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিল

রাজউক চেয়ারম্যানের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিল