ভোটের মাঠ থেকে সরে দাঁড়ালেন জাপার আরো ৯ প্রার্থী
০৪ জানুয়ারি ২০২৪, ১২:০১ এএম | আপডেট: ০৪ জানুয়ারি ২০২৪, ১২:০১ এএম
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের চারদিন আগে ভোটের মাঠ থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন জাতীয় পার্টির (জাপা) আরও ৬ জন প্রার্থী। তারা হলেন- সিলেট-৫ আসনের জাতীয় পার্টির প্রার্থী সাব্বির আহমদ, চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের অ্যাডভোকেট সোহরাব হোসেন ও চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের প্রার্থী অ্যাডভোকেট রবিউল ইসলাম, গাইবান্ধা-৫ (সাঘাটা-ফুলছড়ি) আসনের আতাউর রহমান সরকার, সুনামগঞ্জ-১ আসনের (তাহিরপুর, জামালগঞ্জ, ধর্মপাশা, মধ্যনগর) আবদুল মান্নান তালুকদার, হবিগঞ্জ-২ (বানিয়াচং-আজমিরীগঞ্জ) আসনের শংকর পাল, দিনাজপুর-২ (বিরল-বোচাগঞ্জ) আসনের মাহবুব আলম, টাঙ্গাইল-৭ (মির্জাপুর) আসনের জহিরুল ইসলাম ও গাজীপুর-৪ (কাপাসিয়া) আসনের প্রার্থী সামসুদ্দিন খান।
তাঁদের কেউ কেউ দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের অসহযোগিতা, নিরপেক্ষ নির্বাচন নিয়ে সন্দেহ এবং চাপ ও হুমকির কথা জানিয়েছেন। সিলেট-৫ আসনের জাতীয় পার্টির প্রার্থী সাব্বির আহমদ গতকাল এক জরুরি সংবাদ সম্মেলন করে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন। জাতীয় পার্টি কেন্দ্রীয়ভাবে এবার সিলেট-৫ আসনে প্রার্থী দিয়েছিলো সাব্বির আহমদকে। তিনি ভোটের প্রচারণায় ছিলেন। হঠাৎ করে গতকাল তিনি নির্বাচন না করার ঘোষণা দেন। এ সময় সাব্বির আহমদ জানিয়েছেন- নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ না থাকার কারণে তিনি নির্বাচন করছেন না। তিনি প্রশাসনের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বেরও অভিযোগ করেন। এর আগে হবিগঞ্জ-২ আসনের জাতীয় পার্টির প্রার্থী শঙ্কর পাল ও সুনামগঞ্জ-১ আসনের প্রার্থী নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন।
দলীয় সিদ্ধান্তহীনতার অভিযোগ এনে চুয়াডাঙ্গায় নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন লাঙলের দুই প্রার্থী। গতকাল জেলা আইনজীবী সমিতি কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে চুয়াডাঙ্গা-১ আসনে লাঙল প্রতীকের অ্যাডভোকেট সোহরাব হোসেন ও চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের প্রার্থী অ্যাডভোকেট রবিউল ইসলাম নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেন। এ দুই প্রার্থীর অভিযোগ, দলের চেয়ারম্যান জিএম কাদের ও মহাসচিব মজিবুল হক চুন্নু নির্বাচন সংক্রান্ত বিষয়ে একের পর এক সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করছেন। সেই সঙ্গে তারা প্রার্থীদের অসহযোগিতা করছেন। তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন না। তারা আমাদের বিপদে ফেলে সরকারের কাছ থেকে সুবিধা নিচ্ছেন। একই সঙ্গে অর্থনৈতিক দুরবস্থা ও কেন্দ্রীয় নেতাদের অসহযোগিতার কারণে বাধ্য হয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালাম।
এদিকে গাইবান্ধা-৫ (সাঘাটা-ফুলছড়ি) আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী আতাউর রহমান সরকার গতকাল নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন। আতাউর রহমান সরকার জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা ও সাঘাটা উপজেলা কমিটির আহ্বায়ক। তিনি গাইবান্ধা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন।
আতাউর রহমান বলেন, সরকারের একতরফা নির্বাচন, সামগ্রিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং ব্যক্তিগত কারণে সরে দাঁড়িয়েছি। আমার সরে দাঁড়ানোর বিষয়ে কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গেও কোনো আলোচনা হয়নি। মূলত আমি আর পারছি না। যে কারণে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছি।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
চৌদ্দগ্রামে সড়ক দুর্ঘটনায় সিএনজি চালকসহ নিহত ২
যুক্তরাষ্ট্রের একটি আদালত ভবনে বিচারককে গুলি করে হত্যা
ডিবির সাবেক ডিসি ৭ দিনের রিমান্ডে দলীয় বিবেচনায় শুদ্ধাচার পুরস্কার পান মশিউর
খাগড়াছড়ি-রাঙামাটিতে সংঘর্ষ: তিন জেলার মানুষকে শান্ত থাকার আহ্বান সরকারের
গরমে যেন শেষ সিলেট !
গল টেস্টে ঘুরে দাঁড়িয়েছে শ্রীলঙ্কা
প্রেতাত্মাদের উসকে দিয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছেন হাসিনা
ময়মনসিংহে অস্ত্রসহ ডাকাত দলের ছয় সদস্য গ্রেপ্তার
খাগড়াছড়িতে হামলা, প্রতিবাদে ইবির আদিবাসী শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন
সুনামগঞ্জে সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এম.এ মান্নানকে জেলহাজতে প্রেরণ
কালীগঞ্জে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আয়ূব হোসেন আটক
হাবিপ্রবিতে নিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষককে ভিসি নিয়োগের দাবিতে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন
ফ্যাসিবাদী দোসর মিডিয়া লীগে সংস্কার জরুরী
যৌথবাহিনীর হাতে সিলেট আটক বিপুল পরিমান ভারতীয় পণ্য
পরাজিত শক্তি এবং সুবিধাবাদীরা সমাজে নৈরাজ্য সৃষ্টিতে লিপ্ত- বিমানবন্দরে সংবর্ধনা কালে যুক্তরাজ্য বিএনপি নেতা মুশাহীদ
নোয়াখালীতে জামায়াতের কর্মী সমাবেশে নেতৃবৃন্দ ‘জুলুম-নির্যাতন করে আস্তাকুঁড়ে চলে গেছেন কাদের মির্জা’
পুলিশের সামনে হামলা বিএনপি ও যুবদল নেতা আহত
গাজীপুরে ছুটির দিনেও ২৫ শতাংশ কারখানা খোলা ছিল
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের বীরত্বগাথা জাতিসংঘে তুলে ধরবেন প্রধান উপদেষ্টা
তিন জেলাসহ সাত বিভাগের ওপর দিয়ে বইছে তাপপ্রবাহ