পশ্চিমা বিশ্বের অসন্তোষ, নাখোশ
১০ জানুয়ারি ২০২৪, ১২:০৩ এএম | আপডেট: ১০ জানুয়ারি ২০২৪, ১২:০৩ এএম
ভারত, চীন, রাশিয়া, ভুটানসহ কয়েকটি দেশ বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র দামোদর মোদি ফোন করে শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন এবং কুশল বিনিময় করেছেন। কিন্তু জাতিসংঘ, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা বিএনপির বর্জন করা ডামি নির্বাচনকে ভালোভাবে নেয়নি। পশ্চিমের প্রভাবশালী দেশগুলো অসন্তোষ প্রকাশ করেছে। জাতিসংঘ ও ওই প্রভাবশালী তিন দেশের কঠোর বক্তব্যে পরিষ্কার, আন্তর্জাতিক মহলে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন গ্রহণযোগ্যতা পাচ্ছে না। এতে করে নতুন সরকারকে কঠোর পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে পারে। এছাড়াও ওআইসি’র হয়ে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করতে আসা ফিলিস্তিনের নাগরিকের (ওআইসির নির্বাচন ইউনিটের প্রধান শেখ মোহাম্মদ বন্দর) বক্তব্য নিয়ে বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে ব্যাপক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। সুশীল সমাজ, বুদ্ধিজীবী, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সাধারণ মানুষের বক্তব্য ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরাইলি হামলার প্রতিবাদে বাংলাদেশের লাখ লাখ মানুষ প্রতিবাদী কণ্ঠস্বর। অথচ বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া তথা জনগণের ভোটের অধিকারের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে ফিলিস্তিনি নাগরিক ডামি নির্বাচনের পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা ও জাতিসংঘের নির্বাচন নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া নিয়ে কোনো বক্তব্য দেবে না নির্বাচন কমিশন। গতকাল নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেন, এ নিয়ে আমাদের কোনো বক্তব্য নেই। যেটা বলার তা প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) দিয়েছেন।
জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেজ বাংলাদেশে বিএনপির হাজার হাজার নেতাকে বন্দি রেখে অনুুষ্ঠিত নির্বাচন সৃষ্ট পরিস্থিতির ওপর কড়া নজর রাখছেন এবং বিষয়টি আমলে নিয়েছেন বলে জানানো হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র মন্তব্য করেছে এই বলে যে, বাংলাদেশের এ নির্বাচন গণতান্ত্রিক হয়নি। নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়নি। নির্বাচনে সব দল অংশ না নেয়ায় আমরা হতাশ। যুক্তরাজ্য বলেছে, নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও গণতান্ত্রিক হয়নি। গণতান্ত্রিক নির্বাচন নির্ভর করে গ্রহণযোগ্যতা, অবাধ ও সুষ্ঠু প্রতিদ্বন্দ্বিতার ওপর। সেটা এ নির্বাচনে হয়নি। শুধু তাই নয়, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য থেকে নির্বাচনী পর্যবেক্ষক দলের ‘নির্বাচন নিরপেক্ষ হয়েছে’ বলে যে মন্তব্য প্রকাশ করা হয়েছে তার প্রতিবাদ করে দেশ দুটি জানিয়েছে তারা কোনো পর্যবেক্ষক পাঠায়নি। একই সঙ্গে কানাডার নাগরিক একজন নির্বাচন পর্যবেক্ষকের নামে যে ‘নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে’ সার্টিফিকেট দেয়ার তথ্য প্রচার করা হয়েছে কানাডা তার প্রতিবাদ করেছে। কানাডা হাইকমিশন এক এক্স (সাবেক টুইটার) বার্তায় জানিয়েছে, কানাডা সরকারিভাবে কাউকে বাংলাদেশের নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করতে পাঠায়নি।
বাংলাদেশের নির্বাচন ইস্যুতে জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেজের বক্তব্য তুলে ধরতে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন তার মুখপাত্র ফ্লোরেন্সিয়া সোটো নিনো। সোমবার আয়োজিত এ সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, বাংলাদেশে কী ঘটছে অব্যাহতভাবে তা অনুসরণ (ফলো) করছেন জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেজ। বিরোধী দলের নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত, ভিন্ন মতাবলম্বীদের এবং সমালোচকদের কণ্ঠরোধ, বিরোধী নেতাকর্মীদের গ্রেফতারের বিষয়টি তিনি আমলে নিয়েছেন।
ফ্লোরেন্সিয়া সোটো নিনো বলেন, আমি বুঝাতে চাইছি ভিন্ন মতাবলম্বী, সমালোচকদের কণ্ঠরোধ এবং বিরোধী নেতাকর্মীদের গ্রেফতারের সব অভিযোগের বিষয় আমলে নিয়েছেন মহাসচিব। তিনি সব পক্ষকে সব রকম সহিংসতা পরিহার করার আহ্বান জানিয়েছেন। একজন সাংবাদিক তার কাছে জানতে চান- বাংলাদেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। হাজার হাজার মানুষ এবং বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের গ্রেফতারের মতো পরিবেশ থাকা সত্ত্বেও এ নির্বাচনে শেখ হাসিনা বিজয় দাবি করেছেন। জাতিসংঘ কি বিশ্বাস করে এ নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়েছে? এ প্রশ্নের জবাবে সোটো নিনো ওইসব কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, নিশ্চিত করতে হবে যে, মানবাধিকার এবং আইনের শাসনকে পূর্ণাঙ্গভাবে সম্মান করা হচ্ছে। গণতন্ত্রকে সুসংহত এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির জন্য এটা অপরিহার্য।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে সোটো নিনো বলেন, সেখানে (বাংলাদেশে) গণতান্ত্রিক পরিবেশ লালন করা অপরিহার্য। সব রকম সহিংসতাকে পরিহার করতে হবে। সম্মান জানাতে হবে এবং সুস্পষ্টভাবে নিশ্চিত করতে হবে যে, মানবাধিকারকে সম্মান করা হচ্ছে।
বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়নি মন্তব্য করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, নির্বাচনে সব দল অংশ না নেয়ায় আমরা হতাশ। ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার জো বাইডেন সরকারের প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে। তাতে আরো বলা হয়েছে- বাংলাদেশের জনগণ, গণতন্ত্রের প্রতি তাদের উচ্চাকাক্সক্ষা, শান্তিপূর্ণ সমাবেশের স্বাধীনতা এবং মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে সমর্থন করে যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্র লক্ষ্য করেছে যে, ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠ আসনে বিজয়ী হয়েছে আওয়ামী লীগ। বিরোধী হাজার হাজার রাজনৈতিক নেতাকর্মীকে গ্রেফতার এবং নির্বাচনের দিন অনিয়মের খবরে যুক্তরাষ্ট্র উদ্বিগ্ন। অন্য পর্যবেক্ষকদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র তার দৃষ্টিভঙ্গিতে একমত যে, এ নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়নি। এ নির্বাচনে সব দল অংশগ্রহণ করেনি বলে আমরা হতাশ।
বিবৃতিতে আরো বলা হয়, নির্বাচনের সময়, নির্বাচনের আগের মাসগুলোতে যে সহিংসতা হয়েছে তার নিন্দা জানায় যুক্তরাষ্ট্র। এতে আরো বলা হয়, সহিংসতার বিশ্বাসযোগ্য তদন্ত এবং এর হোতাদের জবাবদিহিতায় আনতে বাংলাদেশ সরকারকে আমরা উৎসাহিত করি। সব রাজনৈতিক দলের প্রতি আমরা সহিংসতা এড়ানোর আহ্বান জানাই। বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশের সঙ্গে একটি অবাধ ও মুক্ত ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল প্রতিষ্ঠার অভিন্ন লক্ষ্যে কাজ করা, বাংলাদেশে মানবাধিকার সুরক্ষা ও নাগরিক সমাজের প্রতি সমর্থন অব্যাহত রাখা এবং দুই দেশের জনগণের মধ্যে এবং অর্থনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়নে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ যুক্তরাষ্ট্র।
নির্বাচনে আমন্ত্রিত পর্যবেক্ষক হিসেবে সোনারগাঁও হোটেলে সংবাদ সম্মেলনে অংশ নেন মার্কিন কংগ্রেসের সাবেক সদস্য জিম বেটস, যুক্তরাষ্ট্রের আরেক পর্যবেক্ষক এবং আমেরিকান গ্লোবাল স্ট্র্যাটেজিসের প্রধান নির্বাহী আলেক্সান্ডার গ্রে। তাদের যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেয়ায় যুক্তরাষ্ট্র প্রতিবাদ করেছে। দেশটির ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের মুখপাত্র জানান, যুক্তরাষ্ট্র এ নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করেনি। যুক্তরাষ্ট্রের কয়েকজন নাগরিক ব্যক্তিগতভাবে বাংলাদেশের নির্বাচন দেখতে এসেছিলেন। তারা নিজেদের কিংবা তাদের সংগঠনের হয়ে কথা বলেছেন। তাদের বক্তব্যের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের কোনো সম্পর্ক নেই।
যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের গত সোমবার দেয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়নি, গণতান্ত্রিক হয়নি। গণতান্ত্রিক নির্বাচন নির্ভর করে গ্রহণযোগ্যতা, অবাধ ও সুষ্ঠু প্রতিদ্বন্দ্বিতার ওপর। মানবাধিকার, আইনের শাসন ও যথাযথ প্রক্রিয়ার প্রতি শ্রদ্ধা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার অপরিহার্য উপাদান। নির্বাচনের সময় ধারাবাহিকভাবে মেনে চলা হয়নি এসব মানদণ্ড। নির্বাচন অনুষ্ঠানের আগে বিরোধী দলের উল্লেখযোগ্য নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এতে আমরা উদ্বিগ্ন।
বিবৃতিতে আরো বলা হয়, নির্বাচনের আগে, নির্বাচনী প্রচার চলাকালে সহিংসতা ও ভয়ভীতি প্রদর্শনের নিন্দা জানাই আমরা। রাজনীতিতে এ ধরনের কর্মকাণ্ডের কোনো স্থান নেই। এতে আরো বলা হয়, বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত এ নির্বাচনে অংশ নেয়নি সব রাজনৈতিক দল। এ কারণে বাংলাদেশের মানুষের কাছে ভোট দেয়ার যথেষ্ট বিকল্প ছিল না। যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশের ঐতিহাসিক ও গভীর বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। একটি টেকসই রাজনৈতিক সমঝোতা ও সক্রিয়া নাগরিক সমাজের জন্য অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি হলে দীর্ঘ মেয়াদে দেশের প্রবৃদ্ধি অর্জন সম্ভব হবে। বাংলাদেশের সব রাজনৈতিক দলের প্রতি মতভিন্নতা দূর করে জনগণের স্বার্থে সামনে এগিয়ে যাওয়ার অভিন্ন পথ বের করার আহ্বান জানায় যুক্তরাজ্য। এ প্রক্রিয়ায় সমর্থন অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছে দেশটি।
ঢাকায় যুক্তরাজ্য হাইকমিশনের মুখপাত্র জানান, যুক্তরাজ্যের কয়েকজন নাগরিক ব্যক্তিগত উদ্যোগে বাংলাদেশে এসেছেন। যুক্তরাজ্য সরকার নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য কোনো মিশন বাংলাদেশে পাঠায়নি। অন্য যে নির্বাচনী পর্যবেক্ষণ মিশন বাংলাদেশে এসেছে, তারা স্বাধীন এবং তাদের সঙ্গে যুক্তরাজ্য সরকারের কোনো সম্পর্ক নেই।
এদিকে কানাডার পার্লামেন্ট সদস্য চন্দ্রকান্ত আর্য ও সিনেটর ভিক্টর ওহ নির্বাচন পর্যবেক্ষক ‘নির্বাচন নিরপেক্ষ হয়েছে’ গণমাধ্যমে এ খবর প্রচার করায় প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে কানাডা। দেশটি বলেছে, কানাডা সরকারিভাবে কাউকে বাংলাদেশের নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করতে পাঠায়নি। কানাডার কয়েকজন নাগরিক ব্যক্তিগত উদ্যোগে বাংলাদেশে এসেছেন। কানাডা হাইকমিশন এক এক্স (সাবেক টুইটার) বার্তায় লিখেছে, নির্বাচন পর্যবেক্ষক হিসেবে কানাডার যে দুই নাগরিকের কথা বিভিন্ন মাধ্যমে বলা হচ্ছে, তারা স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করেছেন। তাই নির্বাচনের বিষয়ে তাদের (দুই পর্যবেক্ষক) মতামতের সঙ্গে কানাডা সরকারের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই।
এদিকে নির্বাচনের দিন ভোটগ্রহণের সময় শেষে রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে সংবাদ সম্মেলনে ওআইসির নির্বাচন ইউনিটের প্রধান শেখ মোহাম্মদ বন্দর (ফিলিস্তিনি নাগরিক) বলেন, পর্যবেক্ষক হিসেবে সহিংসতার কোনো চিহ্ন আমাদের চোখে পড়েনি। আমি অবাক হয়েছি, দোকান-পাট বন্ধ কেন! সড়কে কোনো মানুষ দেখা যায়নি। শহর ছিল শান্ত। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমাকে দুইবার প্রশ্ন করা হয়েছে, আপনি এমন একটি দেশ থেকে এসেছেন যেখানে যুদ্ধ চলছে। বাংলাদেশে আসা কি গুরুত্বপূর্ণ? বাংলাদেশে আসার জন্য আপনার ওপর কোনো ধরনের চাপ ছিল? বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে কোনো ধরনের চাপ ছিল কি না? জবাবে তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের সঙ্গে আমাদের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। আমরা আমন্ত্রণ পেয়েছিলাম। তিন মাস আগে আমি যখন জিম্বাবুয়েতে ছিলাম, তখন আমন্ত্রণপত্র পাই। আমি ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীর থেকে এসেছি, গাজার মতো সেখানে যুদ্ধ চলছে না।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নির্বাচনে ১৫ বা ১৬ শতাংশ ভোট পড়লে সেটা নির্বাচন আয়োজকদের জন্য বার্তা। এ নিয়ে কয়েকজন রাজনীতিক এবং বিশিষ্টজন তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেন, ফিলিস্তিনি নাগরিকের পক্ষে বাংলাদেশের নাগরিকরা সব সময় প্রতিবাদ করে থাকেন। অথচ সে দেশের নাগরিক বাংলাদেশের জনগণের বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে পাতানো নির্বাচনে সার্টিফিকেট দেয়া কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। তার বক্তব্য শুনে মনে হচ্ছে, তিনি ভাড়াটে পর্যবেক্ষক হিসেবে এসেছেন। এটা বাংলাদেশের মানুষের জন্য কাক্সিক্ষত নয়।
এদিকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন বলেছেন, নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের মন্তব্য নিয়ে চিন্তিত নয় সরকার। এগুলো নিয়ে আমাদের চিন্তা নেই। জনগণ রায় দিয়েছে এবং অন্যান্য দেশ আমাদের স্বপক্ষে যারা এসেছে তারা সবাই বলেছে অবাধ, সুষ্ঠু, স্বচ্ছ ও সংঘাতবিহীন নির্বাচন হয়েছে। নির্বাচন কমিশনকে সবাই ধন্যবাদও দিয়েছে।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
জোকোভিচ-আলকারাজ হাইভোল্টেজ লড়াই আজ
বড় জয়ে পয়েন্ট টেবিলে দুই নম্বরে চিটাগাং
সুবর্ণ সুযোগ শুরুর ঘোষণা ট্রাম্পের
যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিলেন ট্রাম্প
ভোটের অধিকার রক্ষায় জনপ্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে : সিইসি
অস্ত্র মামলায় মামুন খালাস
শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের জন্মদিন উপলক্ষে আলোচনা সভা
ইনু-মেনন-সালমান-আনিসদের রিমান্ড, নতুন করে গ্রেপ্তার মন্ত্রী-এমপিসহ ১৬ জন
দলীয় নেতাদের একযোগে কাজ করার আহ্বান এবি পার্টির
হত্যা মামলায় মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন ৫ দিনের রিমান্ডে
হজ ও ওমরাহ যাত্রীদের জন্য বিশেষ নির্দেশনা
আমদানি মূল্য পরিশোধের সময় বাড়াল কেন্দ্রীয় ব্যাংক
বকেয়া পরিশোধে জুন পর্যন্ত সময় বাড়লো আদানি
অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন প্রত্যাহার ব্রিটিশ এমপিদের
দিল্লি ফ্যাসিবাদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে পরিণত হয়েছে : রিজভী
বেক্সিমকোর ১৬টি কারখানার ছাটাইকৃত শ্রমিকদের চাকরি ফিরে পাওয়ার সিদ্ধান্ত ২৭ জানুয়ারি
যুদ্ধবিরতির কয়েক মিনিট আগেও ইসরায়েলের হামলা গাজায় বিলম্বিত সময়ের মধ্যে নিহত ১৯
আমেরিকার স্বর্ণযুগ শুরু হচ্ছে
প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন, সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারের ৭২ ঘণ্টার আল্টিমেটাম
সুবিধাবঞ্চিত পথশিশুদের মাঝে ছাত্রদল নেতার শিক্ষা সামগ্রী বিতরণ