ঢাকা   মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারি ২০২৫ | ৭ মাঘ ১৪৩১
সমাধান প্রধানমন্ত্রীর হাতে?

বিরোধী দলের সন্ধানে আ.লীগ

Daily Inqilab সাঈদ আহমেদ

১০ জানুয়ারি ২০২৪, ১২:০৩ এএম | আপডেট: ১০ জানুয়ারি ২০২৪, ১২:০৩ এএম

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ‘ভূমিধস’ বিজয় লাভের পর এখন সংসদের ‘বিরোধী দল’ খুঁজছে ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগ। বিরোধীদল ছাড়াও সংসদ গঠিত হওয়ার নজির আছে। কিন্তু সংসদীয় গণতন্ত্রে একটি ‘বিরোধী দল’ থাকতে হয়। সরকারের জবাবদিহিতার প্রয়োজনে রাখা হয় বিরোধী দল। একাদশ জাতীয় সংসদে বিরোধী দলে ছিলো জাতীয় পার্টি (জাপা)। দ্বিতীয় সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হওয়ায় জাপাকে সংসদে বিরোধী দলীয় আসনে বসানো হয়। কিন্তু গত ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে দ্বিতীয় সংখ্যা গরিষ্ঠতা লাভ করেছে স্বতন্ত্র প্রার্থীগণ। তৃতীয় সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন (১১টি) পেয়েছে জাপা। ফলে কারা হতে চলেছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদের বিরোধী দল- সেই প্রশ্নের জবাব মেলেনি এখনও।

গত ৮ জানুয়ারি বিকেলে গণভবনে দেশি-বিদেশি সাংবাদিকদের সৌজন্য সাক্ষাৎ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেখানে বিদেশি সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আপনি কি চান আমি একটি বিরোধী দল গঠন করি? আমি তা করতে পারি? আমি নিজেও বিরোধী দলে ছিলাম দীর্ঘ সময়। আমরা আমাদের দল গঠন করেছি। বিরোধীদেরও তা করতে হবে। আপনি যদি তা করতে ব্যর্থ হন, তাহলে তার জন্য কে দায়ী?’ বিদেশি সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখে প্রধানমন্ত্রী ‘বিরোধী দল’ প্রশ্নে সরাসরি কোনো উত্তর দেননি।

গতকাল মঙ্গলবার ২৯৮ নবনির্বাচিত এমপি’র গেজেট প্রকাশিত হয়েছে। আজ (বুধবার) এমপি হিসেবে নব নির্বাচিতদের শপথ গ্রহণের কথা রয়েছে। তবে ১১ আসনে জয়ী জাতীয় পার্টির এমপিগণ আজই শপথ নিচ্ছেন না বলে জানাগেছে। প্রকাশিত গেজেট অনুযায়ী, ক্ষমতাসীন ‘বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ’ পেয়েছে ২২২টি আসন। জাতীয় পার্টি-১১, জাসদ-১, ওয়ার্কার্স পার্টি-১, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি-১ এবং ৬২টিতে জিতেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী। পরবর্তী করণীয় হিসেবে শপথের পর গঠিত হবে নতুন সরকারের মন্ত্রিপরিষদ। মনোনীত হবেন দ্বাদশ জাতীয় সংসদের স্পিকার। পর্যায়ক্রমে এসব সম্পন্ন হবে দ্রুততার সঙ্গে। কিন্তু শূন্যতা থেকে যাবে বিরোধী দল প্রশ্নে। কাদেরকে বসানো হচ্ছে ওই আসনে? এ বিষয়ক আইন, বিধি-বিধান, চর্চা ও নজিরের আলোকে চলছে জল্পনা।

‘জাতীয় সংসদ সচিবালয় আইন,১৯৯৪’ এর ৪(২) উপ-ধারা (১) এর (জ), (ঙ) এবং (চ) তে ‘বিরোধী দল’র কার্যাবলীর কথা উল্লেখ রয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ‘স্পিকার, ডেপুটি স্পিকার, চীফ হুইপ, বিরোধী দলের নেতা, সংসদ উপ-নেতা, বিরোধী দলের উপ-নেতা, হুইপগণ ও সংসদ-সদস্যগণকে দেয় পারিশ্রমিক ও ভাতাদি সম্পর্কিত কার্যাবলী :’

আইনটির সংজ্ঞা (ঙ) তে বলা হয়েছে, ‘বিরোধী দলের উপ-নেতা’ অর্থ বিরোধী দলের নেতা কর্তৃক সংসদে বিরোধী দলের উপ-নেতারূপে মনোনীত কোনো সংসদ সদস্য।
সংজ্ঞার (চ) তে বলা হয়েছে, ‘বিরোধী দলের নেতা’ অর্থ স্পিকারের বিবেচনামতে যে সংসদ-সদস্য সাময়িকভাবে সংসদে সরকারের বিরোধিতাকারী সর্বোচ্চ সংখ্যক সদস্য লইয়া গঠিত ক্ষেত্রমত দল বা অধিসংঘের নেতা।’

এসব সংজ্ঞা এবং ধারা-উপধারা থেকে এমন নির্দেশনাই পাওয়া যায় যে, জাতীয় সংসদ পরিচালিত হয় আইনত: স্পিকারের রুলিং অনুযায়ী। স্পিকারই সাব্যস্ত করেন ‘বিরোধী দল’ এবং ‘বিরোধী দলীয় নেতা’। তবে স্পিকারের ‘রুলিং’এরও রয়েছে বিধি-বিধান। তার নির্দেশনাও হতে হবে সংসদীয় গণতন্ত্রের প্রথা অনুযায়ী। সংসদীয় আইনে ‘বিরোধী দল’র অস্তিত্ব স্বীকার করা হয়েছে। কিন্তু এর কোনো মানদণ্ড দেয়া নেই। ফলে ‘বিরোধী দল’ গঠন প্রশ্নে দ্বাদশ সংসদকে এগোতে হবে প্রথা অনুযায়ী।

রেকর্ড বিশ্লেষণে জানা যায়, ১৯৭৩ সালের ১২ এপ্রিল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ২৫ জন এমপি’র সমন্বয়ে বিরোধী দল গঠনের কথা বলেছেন। তবে কমপক্ষে ১০ জন এমপি থাকলে এটিকে ‘সংসদীয় অধিসংঘ’ বলা যাবে। ন্যূনতম কতজন এমপি হলে ‘বিরোধী দল’ বলা যাবে-এমন কোনো রুলিং গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের কোনো স্পিকার দেননি। সে সময় আতাউর রহমান খান ‘বিরোধী দলীয় নেতা’র স্বীকৃতি চেয়েছিলেন। সংরক্ষিত ১৫ নারী আসনসহ সেই সংসদে আওয়ামীলীগের মোট আসন ছিলো ৩০৭টি। কিন্তু কোনো ‘বিরোধী দল’ ছিলো না।

১৯৭২ সালের ৪ নভেম্বর গণপরিষদে খসড়া সংবিধান অনুমোদন উপলক্ষে বঙ্গববন্ধু একটি ভাষণ দেন। তাতে ‘বিরোধী দল’ প্রসঙ্গে তিনি বলেছিলেন, বিরোধী দলের নাম শুনতে পাই। দেশে এ রকম কোনো পার্টি আছে কি না জানি না। নির্বাচনের আগে এরকম কোনো পার্টি ছিল না। অনেকেই ভোট না পেয়ে পশ্চাদপসরণ করেছিল। ভবিষ্যৎ নির্বাচনে যদি তারা ভোট না পায় সে দোষ আমাদের হবে না। ভোট পেয়ে পরিষদে এসে বলুন, আমরা বিরোধী দল। যারা নির্বাচনে দাঁড়িয়ে ভোট পায়নি তারা বলে ‘আমরা বিরোধী দল’। ভবিষ্যতে ভোট নিয়ে এসে তারপর বলুক আমরা বিরোধী দল।

বঙ্গবন্ধুর এই বক্তব্যেও নানা ব্যাখ্যা থাকলেও এটি অন্তত: বোঝা যায়, ‘দল বিহীন’ কোনো বিরোধী দল হতে পারে না। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত ৬২ এমপি’রও কোনো দল নেই। বঙ্গবন্ধুর বক্তব্যের মর্মার্থ অনুসারে নির্বাচিত স্বতন্ত্র এমপিদের ‘বিরোধী দল’ বনে যাওয়ার সম্ভাবনা নাকচ হয়ে যায়।

জাতীয় সংসদের কর্যপ্রণালি বিধির ২(১)(ট)- তে উল্লেখ আছে, ‘বিরোধীদলীয় নেতা’ অর্থ স্পিকারের বিবেচনা মতে যে সংসদ সদস্য সংসদে সরকারি দলের বিরোধিতাকারী সর্বোচ্চ সংখ্যক সদস্য লইয়া গঠিত ক্ষেত্রমতে দল বা অধিসঙ্গের নেতা।’ তবে ‘বিরোধী দল’ প্রশ্নে এর আগেও এক ধরণের শূণ্যতা সৃষ্টি হয়েছিলো। সেই শূণ্যতা যেভাবে কাটিয়ে সংসদ সক্রিয় হয়েছে সেই পথও অনুসরণ করতে পারে দ্বাদশ সংসদ।

২০১৪ সালের সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী ১৬ জন স্বতন্ত্র প্রার্থী মিলে হাজী সেলিমের নেতৃত্বে একটি জোট তৈরি করতে দেখা যায়। সেই জোটকে আনুপাতিক হারে তিনজন সংরক্ষিত নারী সদস্যের কোটাও দেয়া হয়। সাড়ে ৩ বছর পরে অবশ্য সেই জোটের নেতা হাজী সেলিমসহ বেশিরভাগ স্বতন্ত্র এমপি ফের আওয়ামী লীগে ফিরে যান।
১৯৮৮ সালে বিতর্কিত চতুর্থ জাতীয় নির্বাচনের পরও একই চিত্র দেখা যায়। ওই নির্বাচনে ক্ষমতাসীন জাতীয় পার্টি এককভাবে ২৫১টি আসনে জয় পেয়েছিল। অন্যদিকে জাসদের নেতৃত্বে কম্বাইন্ড অপজিশন পার্টি পেয়েছিল ১৯টি আসন। আর স্বতন্ত্র প্রার্থীরা পেয়েছিল ২৫টি আসন। এছাড়া জাসদ তিনটি এবং ফ্রিডম পার্টি ২টি আসন পায়।

ওই নির্বাচনে জাতীয় পার্টি সরকার গঠন করে। ফ্রিডম পার্টি ও স্বতন্ত্র এমপিগণ সমর্থন নিয়ে আ স ম আব্দুর রব সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা নির্বাচিত হন। এ কারণে জাসদকে তখন ‘গৃহপালিত বিরোধী দল’ আখ্যা দেয়া হয়।
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক গতকাল ‘বিরোধী দল’ প্রশ্নে দিয়েছেন ভিন্ন ইঙ্গিত। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেছেন, দ্বাদশ জাতীঢ সংসদ নির্বাচনে জয়ী স্বতন্ত্র প্রার্থীরা কোনো দলে না গিয়ে যদি আলাদা থাকেন, তবে বিরোধী দল হিসেবে প্রাধান্য পাবে জাতীয় পার্টি। স্বতন্ত্ররা যদি মনে করেন তারা আলাদা থাকবেন, তাহলে জাতীয় পার্টি যেহেতু ১১টি আসন পেয়েছে সেহেতু জাতীয় পার্টি অবশ্যই (বিরোধী দল হিসেবে) প্রাধান্য পাবে। বিরোধী দল হতে হলে ১০ শতাংশ আসন থাকতে হয় বলে জানান আইনমন্ত্রী। স্বতন্ত্রদের অবস্থান সম্পর্কে পুরোপুরি নিশ্চিত হতে আরো কিছুটা সময় অপেক্ষা করতে হবে বলেও জানান তিনি।
স্বতন্ত্ররা কোনো মোর্চা গঠন করতে পারবেন কি না- এমন প্রশ্নে আইনমন্ত্রী বলেন, কেন পারবে না? স্বতন্ত্ররা যদি মনে করেন তারা সরকারের সঙ্গে না থেকে নিজস্ব একটা গ্রুপ করবেন, অবশ্যই তারা সেটা করতে পারেন। তখন কাকে ‘বিরোধী দল’ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হবে, সেটা নির্ধারিত হবে। নির্বাচিত স্বতন্ত্ররাও আওয়ামীলীগের বিভিন্ন পদে আছেন। স্বতন্ত্ররা বিরোধী দল হলে উভয়পক্ষইতো আওয়ামীলীগের হলো। সে ক্ষেত্রে বিষয়টি কিভাবে সংজ্ঞায়িত হবে? এ প্রশ্নের জবাবে আনিসুল হক বলেন, তারা যখন সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন তারা আওয়ামীলীগের প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত হননি। তারা স্বতন্ত্র হিসেবেই নির্বাচিত হয়েছেন। তাদের প্রতীকও ছিল ভিন্ন। ‘স্বতন্ত্ররাও আওয়ামীলীগের’ এটি হয়তো মুখের কথা হতে পারে। কিন্তু আইনের বাস্তবতা সেটি নয়।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদের ‘বিরোধী দল’ প্রশ্নে কথা বলেছেন বর্ষীয়ান আইনজীবী ও সাবেক আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ। তিনি বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী ৬২ জন হলেও তারা একা একা। সেজন্য তাদের বিরোধী দল হওয়ার সুযোগ নেই। সে ক্ষেত্রে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা যদি অন্য যে দলগুলো নির্বাচিত হয়েছে, তাদের মধ্যে যে কোনো দলকে সমর্থন দিতে পারে। যে দলের সমর্থন বেশি তারাই হবে বিরোধী দল। আর যদি স্বতন্ত্র এমপিগণ মিলে পৃথক কোয়ালিশন করতে পারে, তখন ওই কোয়ালিশন করাদের নিয়ে কতজন হবে, সে হিসেবে তারাও বিরোধী দল হতে পারে।

তরুণ আইনজ্ঞ ব্যারিস্টার তানজীব উল আলম বলেন, সংসদীয় প্রক্রিয়ায় বলা আছে যে, স্বতন্ত্র প্রার্থীরা মিলে একটি জোট গঠন করতে পারে। একে বলা হয় ‘ককাস’। এই ককাসের মাধ্যমে একটি জোট গঠন করে তারা একজন নেতা নির্বাচন করে স্পিকারের কাছে ‘বিরোধী জোট’ হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার কথা জানাতে পারে।

এক্ষেত্রে তারা দ্বিতীয় বৃহত্তম পার্টি হিসেবে তাদের মর্যাদা দিতে পারবে। তাদের নেতাকে বিরোধী দলীয় নেতা হিসেবে নিতে পারবে। এক্ষেত্রে সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ অর্থাৎ, সংসদে দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে ভোট দেয়া যেটি ফ্লোর ক্রসিং হিসেবে পরিচিত, সেটি এই স্বতন্ত্র প্রার্থীদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না। ফলে এই স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মধ্যে কেউ চাইলে আওয়ামী লীগ বা অন্য কোন দলেও যোগ দিতে পারেন। সেই সঙ্গে তারা আলাদাভাবে ছোট ছোট জোট গঠন করেও সংসদে থাকতে পারবে।

রাজনীতি বিশ্লেষক মহিউদ্দিন আহমদের মতে, নির্বাচন কমিশনের কাছে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা আওয়ামী লীগের প্রার্থী নন। তারা স্বতন্ত্র। এমতাবস্থায় স্বতন্ত্র প্রার্থীদের সামনে ২টি পথ খোলা আছে। একটি হচ্ছে, আওয়ামী লীগ যদি অনুমতি দেয় তাহলে তারা আওয়ামী লীগে আবার যুক্ত হতে পারে। এতে করে আওয়ামী লীগের আসন সংখ্যা আরো বাড়বে। দ্বিতীয়টি হচ্ছে, সংসদে আওয়ামী লীগের বিপরীতে একটি বিরোধী দল হিসেবে থেকে যাওয়া। স্ট্র্যাটেজিক কারণে যদি আওয়ামী লীগ চায় যে, একটা তথাকথিত অপজিশন থাকুক, তাহলে তারা স্বতন্ত্রদের বলবে যে, তোমরা অপজিশন বেঞ্চেই থাকো। এই বিরোধীদল সরকারের বিরোধিতা করবে, সেটি নয়। বরং তারা সরকারের ‘গঠনমূলক সমালোচনা’ করবে। এটি করার জন্য তো কিছু লোক থাকতে হবে। সে হিসেবে হয়তো তারা থাকবে। তারা হয়তো বা একটা গ্রুপ করে একজন নেতা নির্বাচন করবে। তিনি মন্ত্রীর পদমর্যাদা পাবেন। অনেক লবিং হবে।

এদিকে বিরোধী দল সংক্রান্ত জল্পনা-কল্পনার মধ্যেই স্বতন্ত্র হিসেবে নির্বাচিত কয়েকজন এমপি ‘বিরোধী দল’ গঠন করতে পারে-মর্মে গুঞ্জন রয়েছে। এর মধ্যে এমপি নির্বাচিত একজন ব্যবসায়ী নেতার নাম আলোচনায় আসে। তবে শেষ অবধি ‘বিরোধী দল’ ইস্যুর নিষ্পত্তি প্রধানমন্ত্রীর হস্তপেক্ষেই ঘটতে পাওে বলে মনে করেন কোনো কোনো বিশ্লেষক।

রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও নির্বাচন পর্যবেক্ষক ড.শারমিন মুরশিদ বলেন, স্বতন্ত্র প্রার্থীদের নিয়ে কী করা হবে তার সিদ্ধান্ত নেবে বিজয়ী দল আওয়ামী লীগ। বিজয়ী দল চাইলে ঘোষণা করে দিতে পারে এই ৬২ জন আমার বিরোধী দল। আবার তারা উল্টো পথেও হাঁটতে পারে। জাতীয় পার্টি বিরোধী দল হবে বলে যে কথা শোনা যাচ্ছিল, সেটিও হতে পারে। এ বিষয়ে শেষ সিদ্ধান্ত যে দলটি ক্ষমতায় বসতে চলেছে সেই দলের।


বিভাগ : জাতীয়


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

আরও পড়ুন

জোকোভিচ-আলকারাজ হাইভোল্টেজ লড়াই আজ

জোকোভিচ-আলকারাজ হাইভোল্টেজ লড়াই আজ

বড় জয়ে পয়েন্ট টেবিলে দুই নম্বরে চিটাগাং

বড় জয়ে পয়েন্ট টেবিলে দুই নম্বরে চিটাগাং

সুবর্ণ সুযোগ শুরুর ঘোষণা ট্রাম্পের

সুবর্ণ সুযোগ শুরুর ঘোষণা ট্রাম্পের

যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিলেন ট্রাম্প

যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিলেন ট্রাম্প

ভোটের অধিকার রক্ষায় জনপ্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে : সিইসি

ভোটের অধিকার রক্ষায় জনপ্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে : সিইসি

অস্ত্র মামলায় মামুন খালাস

অস্ত্র মামলায় মামুন খালাস

শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের জন্মদিন উপলক্ষে আলোচনা সভা

শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের জন্মদিন উপলক্ষে আলোচনা সভা

ইনু-মেনন-সালমান-আনিসদের রিমান্ড, নতুন করে গ্রেপ্তার মন্ত্রী-এমপিসহ ১৬ জন

ইনু-মেনন-সালমান-আনিসদের রিমান্ড, নতুন করে গ্রেপ্তার মন্ত্রী-এমপিসহ ১৬ জন

দলীয় নেতাদের একযোগে কাজ করার আহ্বান এবি পার্টির

দলীয় নেতাদের একযোগে কাজ করার আহ্বান এবি পার্টির

হত্যা মামলায় মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন ৫ দিনের রিমান্ডে

হত্যা মামলায় মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন ৫ দিনের রিমান্ডে

হজ ও ওমরাহ যাত্রীদের জন্য বিশেষ নির্দেশনা

হজ ও ওমরাহ যাত্রীদের জন্য বিশেষ নির্দেশনা

আমদানি মূল্য পরিশোধের সময় বাড়াল কেন্দ্রীয় ব্যাংক

আমদানি মূল্য পরিশোধের সময় বাড়াল কেন্দ্রীয় ব্যাংক

বকেয়া পরিশোধে জুন পর্যন্ত সময় বাড়লো আদানি

বকেয়া পরিশোধে জুন পর্যন্ত সময় বাড়লো আদানি

অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন প্রত্যাহার ব্রিটিশ এমপিদের

অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন প্রত্যাহার ব্রিটিশ এমপিদের

দিল্লি ফ্যাসিবাদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে পরিণত হয়েছে : রিজভী

দিল্লি ফ্যাসিবাদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে পরিণত হয়েছে : রিজভী

বেক্সিমকোর ১৬টি কারখানার ছাটাইকৃত শ্রমিকদের চাকরি ফিরে পাওয়ার সিদ্ধান্ত ২৭ জানুয়ারি

বেক্সিমকোর ১৬টি কারখানার ছাটাইকৃত শ্রমিকদের চাকরি ফিরে পাওয়ার সিদ্ধান্ত ২৭ জানুয়ারি

যুদ্ধবিরতির কয়েক মিনিট আগেও ইসরায়েলের হামলা গাজায় বিলম্বিত সময়ের মধ্যে নিহত ১৯

যুদ্ধবিরতির কয়েক মিনিট আগেও ইসরায়েলের হামলা গাজায় বিলম্বিত সময়ের মধ্যে নিহত ১৯

আমেরিকার স্বর্ণযুগ শুরু হচ্ছে

আমেরিকার স্বর্ণযুগ শুরু হচ্ছে

প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন, সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারের ৭২ ঘণ্টার আল্টিমেটাম

প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন, সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারের ৭২ ঘণ্টার আল্টিমেটাম

সুবিধাবঞ্চিত পথশিশুদের মাঝে ছাত্রদল নেতার শিক্ষা সামগ্রী বিতরণ

সুবিধাবঞ্চিত পথশিশুদের মাঝে ছাত্রদল নেতার শিক্ষা সামগ্রী বিতরণ