ঢাকা   বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ৪ আশ্বিন ১৪৩১
কে পাবেন মৃত ব্যক্তির অর্থ?

নমিনি-ওয়ারিশ বিরোধ

Daily Inqilab সাঈদ আহমেদ

২১ জানুয়ারি ২০২৪, ১২:০৩ এএম | আপডেট: ২১ জানুয়ারি ২০২৪, ১২:০৩ এএম

নাগরিকের অর্থ-সম্পদ অর্জনের অধিকার সাংবিধানিক। অর্জিত অর্থ-সম্পদ সুরক্ষার জন্য মানুষ ব্যাংকে গচ্ছিত রাখে। এটি হতে পারে নগদ অর্থ, এফডিআর কিংবা মূল্যবান ধাতব। ব্যাংকে আমানতদারের ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে এসব জমা থাকে। ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলার সময় অ্যাকাউন্ট হোল্ডার ‘নমিনি’ হিসেবে একজনের নাম উল্লেখ করেন। আমানতদারের অবর্তমানে কিংবা তার মৃত্যুর পর গচ্ছিত অর্থ-সম্পদ ব্যাংক থেকে উত্তোলনের সুবিধার্থে নমিনি করে রাখা হয়। এই নমিনি হতে পারেন পরিবারের সদস্য, নিকটাত্মীয়, স্ত্রী, স্বামী, ভাই-বোনসহ বিশ্বস্ত যে কেউ। এই বিধান অনুসরণ করেই ব্যাংকিং আইনানুসারে প্রতিটি ব্যাংক অ্যাকাউন্টেরই একজন ‘নমিনি’ থাকেন। অ্যাকাউন্ট খোলার সময় আনুষ্ঠানিকতা হিসিবে আমানতদার নমিনি হিসেবে যে কারো নাম প্রস্তাব করে থাকেন। এ সময় অনেকেই ‘নমিনি’ বিষয়টির গুরুত্ব অনুধাবন করেন না। কিংবা ব্যাংক কর্তৃপক্ষও অনেক সময় ‘নমিনি’র গুরুত্ব সম্পর্কে গ্রাহককে পর্যন্ত ধারণা দেন না। ফলে বিপত্তি ঘটে অ্যাকাউন্টধারী ব্যক্তির মৃত্যুর পর। অনেকে ব্যাংক অর্থ-বিত্ত রেখে ইন্তেকাল করেন। সে ক্ষেত্রে তার গচ্ছিত অর্থ-সম্পদ উত্তোলনে জটিলতা সৃষ্টি হয়। কারণ, অ্যাকাউন্ট হোল্ডারের মৃত্যুর পর সমুদয় সম্পদের মালিকানা লাভ করেন তার ওয়ারিশগণ। এর মধ্যে স্থাবর, অস্থাবর সম্পত্তির মধ্যে ব্যাংকে গচ্ছিত অর্থসম্পদও রয়েছে। অনেক সময় নমিনি ওই মৃত ব্যক্তির টাকা বা মূল্যবান জিনিস ব্যাংক থেকে উত্তোলন করে নিজেই আত্মসাৎ করেন। কারণ অনেকে নমিনি করেন ওয়ারিশের বাইরের ব্যক্তিদের। সে ক্ষেত্রে নমিটি তার ওয়ারিশদের বঞ্চিত করে নিজেই মৃত ব্যক্তির অর্থ-সম্পদ উত্তোলনের মাধ্যমে আত্মসাৎ করেন। ফলে নমিনি যদি উত্তরাধিকারীদের কেউ হন তাহলে তিনিই কি সব টাকা পাবেন? নাকি মৃত ব্যক্তির আরও উত্তরাধিকারী যদি থাকে তারাও সেই টাকার অংশ পাবেন? এ নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে চলছে বিতর্ক। ওয়ারিশের সঙ্গে নমিনির সঙ্গে বিরোধ-সংঘাত, খুন-খারাপি পর্যন্ত হচ্ছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে উচ্চ আদালত রায় প্রদানের মাধ্যমে বিষয়টিকে স্পষ্ট করেছেন।

সুপ্রিম কোর্টের অ্যাডভোকেট ব্যারিস্টার খান মোহাম্মদ শামীম আজিজের মতে, আইন অনুযায়ী নমিনিই মৃত ব্যক্তির ব্যাংক হিসাবে থাকা টাকা পাবেন। তবে এ কারণে উত্তরাধিকারীরা ওই অর্থ থেকে যে বঞ্চিত হবেন-এমনটি নয়। কেউ মারা গেলে তার সঞ্চিত অর্থ বা তার অ্যাকাউন্টে থাকা অর্থ নমিনিকে দিয়ে এ সম্পর্কিত প্রক্রিয়া থেকে মুক্ত হবে ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান।

এরপর বিষয়টি হচ্ছে নমিনি ও উত্তরাধিকারীদের। আইনে বলা আছে- নমিনিকে দেয়া মানে উত্তরাধিকারীদের অধিকার ক্ষুণ্ন হওয়া নয়। অর্থাৎ নমিনি যদি উত্তরাধিকারীদের সেই টাকা না দেন, তাহলে তারা আদালতে যেতে পারবেন। অর্থাৎ প্রচলিত আইন অনুযায়ী ব্যাংক তার দায়িত্ব পালন শেষ করবে নমিনির হাতে অর্থ তুলে দিয়ে। কিন্তু তিনি যদি সেই অর্থ উত্তরাধিকারীদের মধ্যে বিতরণ না করেন তাহলে তারা আদালতে যেতে পারবেন। অর্থাৎ, ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে টাকা পাওয়ার পর নমিনির কাজ হবে ওই ব্যক্তির আইনগত উত্তরাধিকারীদের সেটি বুঝিয়ে দেয়া।

তবে সুপ্রিম কোর্টের আরেক আইনজীবী অ্যাডভোকেট নাজনীন নাহারের মতে, যে নমিনি ওই ব্যাংক অ্যাকাউন্টের ট্রাস্টির ভূমিকা পালন করেন। তিনি ওই অ্যাকাউন্টের ম্যানেজার মাত্র।

আইন অনুযায়ী ম্যানেজার হিসেবে তিনি ওই অর্থ মৃত ব্যক্তির উত্তরাধিকারীদের হাতে তুলে দেবেন। যদিও তা না করে অনেক ক্ষেত্রে নমিনি টাকা নিজে রেখে দিচ্ছেন বলে দেখা যাচ্ছে- যা আইনের লঙ্ঘন। নমিনি ওই অর্থ উত্তোলনের অধিকারী হবেন ও উত্তরাধিকার আইন অনুসারে মৃত ব্যক্তির সাকসেসরদের (উত্তরাধিকারী) মধ্যে তা বণ্টন করবেন। তা না হলে উত্তরাধিকারীরা আদালতে গেলে প্রতিকার পাবেন। এ ধরনের একটি মামলায় আইনজীবী হিসেবে কাজ করেছেন।

তাতে তিনি দেখেন, ২০১৪ সালে বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন কর্মকর্তা তার দ্বিতীয় স্ত্রীকে নমিনি করে সঞ্চয়পত্র গচ্ছিত রেখেছিলেন। তিনি ইন্তেকাল করলে তার দ্বিতীয় স্ত্রী ওই সঞ্চয়পত্রের বিপরীতে পুরো টাকা একাই ভোগ করতে চান। এতে আইনের আশ্রয় নেন প্রথমপক্ষের সন্তানরা।

এ মামলায় প্রথম বিচারিক আদালত এই মর্মে রায় দিয়েছিলেন যে, নমিনিই সেই টাকা উত্তোলন করতে পারবেন। এ রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আসেন প্রথমপক্ষের সন্তানরা। হাইকোর্ট তার রায়ে বলেন যে- ওই টাকা পাবেন মৃত ব্যক্তির উত্তরাধিকারীরাই। এরপর হাইকোর্টের এ রায় আপিল বিভাগের চেম্বার কোর্ট স্থগিত করেন।

প্রচলিত আইন বলছে, কোনো ব্যক্তি ইন্তেকাল করলে ব্যাংকে তার রেখে যাওয়া অর্থ নমিনিই (মনোনীত ব্যক্তি) পাবেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ীও, মৃত ব্যক্তির রেখে যাওয়া ব্যাংক হিসাবের টাকা তার নমিনি বা নমিনির অনুপস্থিতিতে রেখে যাওয়া নির্দিষ্ট ব্যক্তি পাবেন। কিন্তু ২০১৬ সালের ৩ এপ্রিল এক মামলায় ভিন্ন মত দেন হাইকোর্ট। একটি সিভিল রিভিশন পিটিশনের প্রেক্ষিতে বিচারপতি নাঈমা হায়দার এবং বিচারপতি খিজির আহমেদ চৌধুরীর তৎকালীন ডিভিশন বেঞ্চ এই মর্মে রায় দেন যে, সঞ্চয়পত্রের অ্যাকাউন্টধারী ব্যক্তি মারা গেলে ওই সঞ্চয়ের টাকা নমিনির (মনোনীত ব্যক্তির) পরিবর্তে অ্যাকাউন্টধারীর উত্তরাধিকারী পাবেন। আবেদনের পক্ষে শুনানি করেছিলেন, অ্যাডভোকেট এম আই ফারুকী, সাদেকুর রহমান ও নাজনীন নাহার। এ বিষয়ে নাজনীন নাহার বলেন, আমাদের বিচার্য বিষয় ছিল টাকাটা নমিনি পাবেন নাকি উত্তরাধিকারীরা পাবেন। এ বিষয়ে হাইকোর্টের রায় হচ্ছে, নমিনি হবেন একজন ট্রাস্টি মাত্র। উত্তরাধিকার আইন অনুযায়ী নমিনি টাকা উত্তোলন করে উত্তরাধিকারীদের মধ্যে বণ্টন করে দেবেন। তবে কোন বিষয়ে একাধিক আইন থাকলে বা আইনগত জটিলতা দেখা দিলে এ বিষয়ে সর্বশেষ যে আইন হয়েছে সেটাই অনুসরণ করার বিধান। এ বিষয়ে ব্যাংক কোম্পানি আইন ১৯৯১ হলো সর্বশেষ আইন। অন্য আইনে যাই থাকুক এটিই আসলে এ বিষয়ে কার্যকর হবে-মর্মে বলছে বিদ্যমান আইন। এ আইন অনুযায়ী ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান নমিনির কাছেই মৃত ব্যক্তির অ্যাকাউন্টে থাকা টাকা হস্তান্তর করবে। এর ভিত্তিতে ২০১৭ সালের আগস্টে বাংলাদেশ ব্যাংকও সব বাণিজ্যিক ব্যাংককে নির্দেশ দিয়েছিলো যে কেউ মারা গেলে তার ব্যাংকে রাখা টাকা নমিনিই পাবে। কিন্তু নমিনি যদি সেই টাকা উত্তরাধিকারীদের মধ্যে তুলে না দেন তাহলে তাকে জবাবদিহিতার আওতায় আনার একমাত্র উপায় হলো আদালতের দ্বারস্থ হওয়া।

এদিকে ইসলামী ব্যাংকিং কার্যক্রমে যুক্ত একটি বেসরকারি ব্যাংকের দায়িত্বশীল কর্মকর্তা বলেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বিষয়টি নিয়ে উভয় সঙ্কটে রয়েছি। অপেক্ষায় আছি, আদালতের চূড়ান্ত আদেশের।

এদিকে শরীয়ত অ্যাপ্লিকেশন অ্যাক্ট ১৯৩৭-এর ২ ধারায় বলা হয়েছে, বাংলাদেশে মুসলমানদের জন্য উত্তরাধিকার বণ্টনের ক্ষেত্রে মুসলিম শরিয়া আইন প্রযোজ্য হবে। অপরদিকে ব্যাংকিং কোম্পানিজ আইন, ১৯৯১-এর ১০৩ ধারায় বলা হয়েছে, প্রচলিত অন্য কোন আইনে কিংবা কোন উইলে বা সম্পত্তি বিলি বণ্টনের ব্যবস্থা সম্বলিত অন্য কোনো প্রকারের দলিলে যাই থাকুক না কেন, আমানতকারী কোন ব্যক্তিকে নমিনি হিসেবে মনোনীত করলে আমানতকারীর মৃত্যুর পর উক্ত আমানতের ব্যাপারে মনোনীত ব্যক্তিই আমানতকারীর যাবতীয় অধিকার লাভ করবেন এবং অন্য যে কোনো ব্যক্তি উক্ত অধিকার থকে বঞ্চিত হবেন

বিভ্রান্তি দেখা দিয়েছে, শরীয়ত অ্যাপ্লিকেশান অ্যাক্ট ১৯৩৭ এবং ব্যাংকিং কোম্পানিজ আইন, ১৯৯১, এই দুটি বিশেষ আইনের মধ্যে। এক্ষেত্রে কোন আইনটি প্রযোজ্য হবে? জানতে চাইলে সিনিয়র অ্যাডভোকেট মাহবুবুর রহমান বলেন, দু’টি বিশেষ আইনের মধ্যে দ্বন্দ্ব দেখা দিলে সর্বশেষ আইনটি প্রাধান্য পাবে। পারিবারিক আইন বিশেষজ্ঞ অ্যাডভোকেট সালমা আলী বলেন, দু’টিই যেহেতু বিশেষ আইন, সেক্ষেত্রে- সর্বশেষ আইনটি প্রয়োগ করা হবে’।

প্রসঙ্গত, ব্যাংকিং কোম্পানিজ আইন ১৯৯১, আইনটি সর্বশেষ পাস হয়েছে। সেক্ষেত্রে এই আইনটিই প্রয়োগ করা হবে। সুতরাং এখনও পর্যন্ত মৃত ব্যক্তির রেখে যাওয়া ব্যাংক অ্যাকাউন্টের টাকা নমিনিই পাবেন, যতক্ষণ না পর্যন্ত আপিল বিভাগ থেকে ভিন্ন কোনো রায় না আসে।


বিভাগ : জাতীয়


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

আরও পড়ুন

ইত্তিহাদেই সিটিকে রুখে দিল ইন্টার

ইত্তিহাদেই সিটিকে রুখে দিল ইন্টার

রোনালদোদের নতুন কোচ পিওলি

রোনালদোদের নতুন কোচ পিওলি

দক্ষিণ আফ্রিকাকে গুড়িয়ে আফগানদের ঐতিহাসিক জয়

দক্ষিণ আফ্রিকাকে গুড়িয়ে আফগানদের ঐতিহাসিক জয়

যেই গৌরব কেবল শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামের

যেই গৌরব কেবল শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামের

রিট করে ‘খেলাপি ঋণ স্থগিত’ বন্ধ চান ব্যাংক-মালিকরা

রিট করে ‘খেলাপি ঋণ স্থগিত’ বন্ধ চান ব্যাংক-মালিকরা

বিদেশি ঋণ ফের ১০০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে

বিদেশি ঋণ ফের ১০০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে

টাকা উদ্ধারের নামে ‘ঘুষ’ চাওয়ার অভিযোগ জিএম শাহজাহান চৌধুরীর’র বিরুদ্ধে

টাকা উদ্ধারের নামে ‘ঘুষ’ চাওয়ার অভিযোগ জিএম শাহজাহান চৌধুরীর’র বিরুদ্ধে

জাতীয় ঐক্য বিনষ্টকারী কর্মকান্ড থেকে বিরত থাকতে হবে

জাতীয় ঐক্য বিনষ্টকারী কর্মকান্ড থেকে বিরত থাকতে হবে

৬০ হাজার টন ইউরিয়া সার কিনবে সরকার, ব্যয় ২৩৬ কোটি টাকা

৬০ হাজার টন ইউরিয়া সার কিনবে সরকার, ব্যয় ২৩৬ কোটি টাকা

আইকনিক লিডার তারেক রহমান ও বাংলাদেশের রাজনীতি

আইকনিক লিডার তারেক রহমান ও বাংলাদেশের রাজনীতি

পতিত স্বৈরাচার ও ভারতের চক্রান্ত চলছেই

পতিত স্বৈরাচার ও ভারতের চক্রান্ত চলছেই

তারেক রহমানের রাষ্ট্রনায়কোচিত বক্তব্য ও দিকনির্দেশনা

তারেক রহমানের রাষ্ট্রনায়কোচিত বক্তব্য ও দিকনির্দেশনা

ইসরাইলের দখলদারিত্ব বন্ধের প্রস্তাব বিবেচনা জাতিসংঘের

ইসরাইলের দখলদারিত্ব বন্ধের প্রস্তাব বিবেচনা জাতিসংঘের

উত্তপ্ত মণিপুরে অত্যাধুনিক অস্ত্র দিয়ে নতুন করে গোলাগুলি

উত্তপ্ত মণিপুরে অত্যাধুনিক অস্ত্র দিয়ে নতুন করে গোলাগুলি

২৭ দেশে ছড়িয়ে পড়েছে করোনার নতুন ভ্যারিয়্যান্ট

২৭ দেশে ছড়িয়ে পড়েছে করোনার নতুন ভ্যারিয়্যান্ট

২০০ হাতি নিধনের সিদ্ধান্ত জিম্বাবুয়ের

২০০ হাতি নিধনের সিদ্ধান্ত জিম্বাবুয়ের

কলেরাসহ মারাত্মক রোগের ঝুঁকিতে সুদানের ৩৪ লাখ শিশু

কলেরাসহ মারাত্মক রোগের ঝুঁকিতে সুদানের ৩৪ লাখ শিশু

১১ হাজার ফিলিস্তিনি শিক্ষার্থীর প্রাণ গেছে

১১ হাজার ফিলিস্তিনি শিক্ষার্থীর প্রাণ গেছে

বেলারুশে হামলা হলে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হবে : লুকাশেঙ্কো

বেলারুশে হামলা হলে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হবে : লুকাশেঙ্কো

তাইওয়ান প্রণালীতে চীনের যুদ্ধবিমান

তাইওয়ান প্রণালীতে চীনের যুদ্ধবিমান