ঢাকা   শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ৫ আশ্বিন ১৪৩১
৩০ জানুয়ারি সারাদেশে ফের কালো পতাকা মিছিল

রাজপথের আন্দোলনেই সরকারের বিদায় হবে : বিএনপি

Daily Inqilab স্টাফ রিপোর্টার

২৮ জানুয়ারি ২০২৪, ১২:০৪ এএম | আপডেট: ২৮ জানুয়ারি ২০২৪, ১২:০৪ এএম

অবৈধ ডামি সংসদ বাতিল ও নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দাবিতে আগামী ৩০ জানুয়ারি কালো পতাকা মিছিল কর্মসূচি পালন করবে বিএনপি। দেশের সব মহানগর, জেলা, উপজেলা, থানা ও পৌরসভায় এই কর্মসূচি পালন করবে দলটি। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের পর রাজধানীসহ সারাদেশে গতকাল প্রথমবারের মতো কর্মসূচি পালন করছে বিএনপি। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদ, দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন বাতিল, গ্রেফতারকৃত নেতা-কর্মীদের মুক্তিসহ এক দফা দাবিতে এই কালো পতাকা মিছিলের আয়োজন করে বিএনপি। রাজধানীর নয়াপল্টনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ ও কালো পতাকা মিছিল কর্মসূচি পালন করে বিএনপি। মিছিল-পূর্ব সংক্ষিপ্ত সমাবেশে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন। সমাবেশ শেষে বেলা সাড়ে তিনটার দিকে কালো পতাকা মিছিল শুরু হয়। নয়াপল্টন থেকে শুরু হওয়া এ মিছিল নাইটিঙ্গেল মোড় হয়ে ফকিরাপুল-আরামবাগ মোড় ঘুরে নয়াপল্টনে শেষ হয়। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদের দাবির সঙ্গে আগের দাবিগুলোও উল্লেখ করেছে বিএনপি।

কালো পতাকা মিছিল-পূর্ব সমাবেশে দলের নেতারা বলেন, আজকে শুধু আমাদের ভোটের লড়াই নয়, এর সাথে আছে ভাতের লড়াই, আছে স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার লড়াই। জনপ্রতিনিধিত্বহীন সরকারের বিদায়ঘণ্টা বাজাতে রাজপথে এসেছি। রাজপথে থেকেই সরকারের বিদায়ঘণ্টা বাজানো হবে।

দলীয় কার্যালয়ের সামনে কালো পতাকা মিছিলের আগে অনুষ্ঠিত সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, এই সরকার জনগণের সরকার নয়। এই সরকার চীন, ভারত, রাশিয়ার সরকার। প্রধানমন্ত্রী বিদেশিদের সার্টিফিকেট জোগাড় করেছেন। দেশের মানুষ যদি সার্টিফিকেট না দেয়, বিদেশি সার্টিফিকেট দিয়ে আপনাকে বৈধ সরকার প্রমাণ করার কোনো সুযোগ নেই।

তিনি বলেন, আগামী ৩০ জানুয়ারি দেশের মহানগর, জেলা, থানায় কালো পতাকা মিছিল করবে বিএনপি। এই সরকার ডামি সরকার নয়, এই সরকার সমকামী সরকার। এই সরকার জনগণের সরকার নয়, এই সরকার ভারত, চীন, রাশিয়ার সরকার। তাই আমরা এই সরকারকে মানতে বাধ্য নই।

গয়েশ্বর চন্দ্র বলেন, ৭ জানুয়ারি মানুষ ভোটকেন্দ্রে যায় নাই। ৭ শতাংশের বেশি মানুষ ভোট দেয়নি। শেখ হাসিনা দেশের ৭ ভাগ মানুষের প্রতিনিধিত্ব করছেন। আর তারেক রহমান ৯৩ শতাংশ মানুষের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। এই সরকার জনগণের নয়, সুতরাং এই সরকারকে ক্ষমতা থেকে বিদায় করতেই হবে। এই সরকারকে আমরা মানতে বাধ্য নই। এটা আমাদের ভোটের লড়াই, গণতন্ত্রের লড়াই এবং দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার লড়াই। সুতরাং প্রতিরোধের আগেই মানে মানে কেটে পড়ুন।

তিনি বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণ প্রক্রিয়ায় গণতান্ত্রিক আন্দোলনের মাধ্যমে এই সরকারের পতন ঘটাতে চাই। আজকে জিনিসপত্রের দাম অতিমাত্রায় বৃদ্ধি। দেশের মানুষ দিশেহারা। ঘরে ঘরে অভাব। দিনমজুর মানুষ আগের মতো পেট ভরে দু’বেলা খেতে পারে না। দেশটাকে অর্থনৈতিকভাবে পঙ্গু করে দেয়া হয়েছে। আর তারা নাকি সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা রক্ষার জন্য নির্বাচন করেছে। আসলে এই ধারাবাহিকতা তাদের লুটপাট ও মহাদুর্নীতির কারণে। দশ লক্ষ কোটি টাকা পাচার করা হয়েছে। যারা পাচার করেছেন তারা কিন্তু অস্বীকারও করে না। যার নেতৃত্ব দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, আজকে ৬শ’র বেশি সংসদ সদস্য। এর মধ্যে তারা নতুন সরকার গঠন করেছে। এটা তো আইনের লঙ্ঘন। আবার ওবায়দুল কাদের বলছেন বিরোধী দল কারা হবে?
গয়েশ্বর বলেন, নির্বাচন ঘোষণা দিয়ে গণভবনে ঘন ঘন বৈঠক করেছে। তৃণমূল দল করলো। কিন্তু সেটাও ছাগলে খেয়ে ফেললো। আজকে ৭ শতাংশ মানুষ ভোট দিতে যায়নি। আবার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের আইডি কার্ড নিয়ে নিজেরা নিজেরা ভোট দিয়েছে। সরকারের বিশেষ সুবিধাপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের কার্ড নিয়ে জোর করে ভোট দিতে বাধ্য করেছে। কিন্তু ভোট কেন্দ্রে শিয়াল-কুকুর ছাড়া কিছুই খুঁজে পাওয়া যায়নি।

তিনি বলেন, সেদিন একজন বিজিবি সদস্যকে হত্যা করেছে। কেন কীসের অধিকারে তারা এটা করছে? কেন একটা প্রতিবাদ নেই? আজকে দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব বিপন্ন। কারণ অন্য কেউ যখন দেশের সিদ্ধান্ত নেয় তখন তো আমার সার্বভৌমত্ব থাকে না।

গয়েশ্বর আরও বলেন, আমরা রাজপথে আছি এবং রাজপথেই থাকবো। সত্য প্রতিষ্ঠার জন্য যদি মৃত্যু হয় হবে। শিয়াল-কুকুরের মতো বাঁচতে চাই না। সিংহের মতো বাঁচতে চাই। আমাদের কত মারতে পারবেন মারেন না! তারপরও আপনার ধ্বংস অনিবার্য। সংখ্যালঘুদের বাড়িঘরে হামলা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিএনপির কি দায় পড়েছে যে হিন্দু বাড়িতে লুটপাট করবে?

তিনি বলেন, আমাদের বিজয় হবেই ইনশাআল্লাহ। আমাদের নেতা তারেক রহমান। যিনি ৭ জানুয়ারি দেশের ১৮ কোটি মানুষের নেতা নির্বাচিত হয়েছেন। আগামী ৩০ জানুয়ারি অবৈধ সংসদের প্রথম অধিবেশনের দিন রাজপথে আবারও কালো পতাকা মিছিল হবে। বিএনপির শীর্ষ এই নেতা বলেন, আজকে প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার জন্য আমাদের বিরুদ্ধে মামলা দিলেন! আর যেদিন সাবেক প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহাকে দেশছাড়া করলেন তখন কি হয়েছিল? তাহলে প্রধান বিচারপতির পদটা কতটা কলঙ্কিত করলেন?

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান বলেন, আমরা অবৈধ অগণতান্ত্রিক সরকারের পদত্যাগ ঘটাতে রাজপথে নেমেছি। সরকার কালো পতাকার কালো চিহ্নে নিশ্চিহ্ন হয়ে বিদায় নিতে বাধ্য হবে। গত ৭ জানুয়ারি দেশের জনগণ এই সরকারকে সম্পূর্ণ প্রত্যাখ্যান করেছে। সেদিন সরকারের নৈতিক পরাজয় হয়েছে। তারা সেদিন পুলিশ দিয়ে গায়ের জোরে রাষ্ট্রীয় শক্তি ব্যবহার করে নির্বাচন করেছে। সরকার যত শতাংশ ভোট দেখাতে চেয়েছিলে সেই মোতাবেক নির্বাচন কমিশন ভোট কাস্টিং দেখিয়েছে। সুতরাং কত শতাংশ ভোট পড়েছে সেটি কথা নয়। সেদিন কোনো ভোট হয়নি। তিনি বলেন, বিএনপি জনগণের জন্য রাজনীতি করে। বিএনপি ক্ষমতার জন্য রাজনীতি করে না। বিএনপি দেশের জনগণকে সঙ্গে নিয়ে দেশের শাসনব্যবস্থার পরিবর্তন চায়। কারণ এই দেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ হয়েছিল দেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করতে। জনগণ কখনোই বাকশালী শাসন মানেনি এবং মানবে না।

মঈন খান বলেন, বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছিল কারো কাছে মাথা নত করতে নয়। দিল্লির শাসন দিয়ে কোনোদিন বাংলাদেশ চলেনি, আজকেও দেশের জনগণ আওয়ামী লীগকে প্রত্যাখ্যান করেছে। আওয়ামী লীগ ঔপনিবেশিক প্রক্রিয়ায় দেশ শাসন করছে। তারা দেশে বিভাজন তৈরি করেছে। তিনি বলেন, আমরা গণতান্ত্রিক ও শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে বিশ্বাসী। আওয়ামী লীগের সুমতি ফিরে আসুক যে তারা বাকশাল থেকে পিছু হটবে। আমরা তারেক রহমানের নেতৃত্বে রাজপথে ছিলাম এখনো আছি এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।

সমাবেশে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান বলেন, ৭ জানুয়ারির ভোটে প্রমাণ হয়েছে মানুষ এই সরকারকে চায় না এটা জনপ্রতিনিধিত্বহীন পার্লামেন্ট। দলের নেতা-কর্মীরা ঠিকমতো দায়িত্ব পালন করলে অল্প দিনের মধ্যেই এই সংসদ ভেঙে সরকার নতুন নির্বাচন দিতে বাধ্য হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

সংক্ষিপ্ত সমাবেশে দলের আরেক ভাইস চেয়ারম্যান এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেন, আমি আর ডামির ভোট ৭ জানুয়ারি। ৯০ ভাগ মানুষ ভোট প্রত্যাখ্যান করেছে। সংবিধানকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে তারা দেশ শাসন করে যাচ্ছে বলে অভিযোগ করেন। দলের ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই রায় চৌধুরী বলেন, দেশে লুটপাট করে একটা সরকার টিকে থাকতে পারে না। তাদের পতন না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে বলে জানিয়েছেন। মিছিল-পূর্ব সংক্ষিপ্ত সমাবেশ পরিচালনা করেন দলের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ।

মিছিলে বিএনপির কেন্দ্রীয়, মহানগর ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, শিরিন সুলতানা, মীর নেওয়াজ আলী নেওয়াজ, তাইফুল ইসলাম টিপু, বজলুল করিম চৌধুরী আবেদ, আমিরুজ্জামান খান শিমুল, কাদের গণি চৌধুরী, রফিক শিকদার, ঢাকা জেলা বিএনপির খন্দকার আবু আশফাক, নিপুন রায় চৌধুরী, স্বেচ্ছাসেবক দলের এস এম জিলানী, সাইফুল ইসলাম ফিরোজ, নাজমুল হাসান, মৎস্যজীবী দলের মো. আবদুর রহিম, ওলামা দলের শাহ মো. নেছারুল হক, প্রকৌশলী রিয়াজুল ইসলাম রিজু, অধ্যাপক ড. এ বি এম ওবায়দুল ইসলাম, প্রকৌশলী রিয়াজুল ইসলাম রিজু, অধ্যাপক ড. এ বি এম ওবায়দুল ইসলাম, কাজী মো. সেলিম রেজা, ছাত্রদলের আবু আফসান মোহাম্মদ ইয়াহিয়া, পেশাজীবী নেতাদের মধ্যে প্রকৌশলী মো. মোস্তাফা-ই জামান সেলিম, প্রকৌশলী আসাদুজ্জামান চুন্নু, প্রকৌশলী মাহবুব আলম, ছাত্রদল, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, কৃষক দল, শ্রমিক দল, তাঁতি দল, মৎস্যজীবী দল ও জাসাসের নেতা-কর্মীরা।

চট্টগ্রাম ব্যুরো জানায়, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, আগে বলা হতো বিনা ভোটের সরকার। কারণ ৩শ’ আসনের মধ্যে ১৫৩টি আসনে কোনো প্রার্থী ছিল না। ২০১৮ সালে হলো নিশি রাতের নির্বাচন। কারণ রাত্রিবেলা ব্যালট বাক্স ভর্তি। এবার সরকারকে সারা দুনিয়া বলছে, এটা ডামি সরকার। কেউ বলে, আমি, ডামি ও স্বামী। স্বামী বলে কেন বলে জানেন তো। আমাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রী বলছিল, আমাদের দেশের সাথে ভারতের সঙ্গে স্বামী স্ত্রীর সম্পর্ক। ডামি সরকার কী আসল সরকার হয়? এই সরকার টিকতে পারে না। এই সরকারের টিকা উচিত নয়। কারণ এই সরকারকে জনগণ ভোট দেয়নি। তাই আমি ডামি ও স্বামীর সংসদ বাতিল করতে হবে। গতকাল শনিবার বিকেলে নগরীর কাজীর দেউরী নুর আহমদ সড়কে বিএনপির কালো পতাকা মিছিল পূর্ববর্তী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

দ্রব্যমূল্যের সীমাহীন ঊর্ধ্বগতি, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াসহ সব রাজবন্দীর মুক্তি ও অবৈধ সংসদ বাতিলের এক দফা দাবিতে চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা বিএনপি যৌথভাবে কেন্দ্র ঘোষিত এই কর্মসূচির আয়োজন করে।

নজরুল ইসলাম খানের নেতৃত্বে বিএনপির নেতাকর্মীরা মুখে কালো কাপড় বেধে, হাতে কালো পতাকা নিয়ে নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে শুরু করে লাভ লেইন, এনায়েত বাজার, জুবিলি রোড় হয়ে তিন পুলের মাথায় গিয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে মিছিল শেষ করে।

মহানগর বিএনপির আহবায়ক ডা. শাহাদাত হোসেনের সভাপতিত্বে ও যুগ্ম আহবায়ক ইয়াছিন চৌধুরী লিটনের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় বিএনপির শ্রম সম্পাদক এ এম নাজিম উদ্দীন, মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর, কেন্দ্রীয় সহ সাংগঠনিক সম্পাদক জালাল উদ্দিন মজুমদার, দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক আবু সুফিয়ান, কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য সাথী উদয় কুসুম বড়ুয়া, ব্যারিস্টার মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন।

নজরুল ইসলাম খান বলেন, এই তথাকথিত নির্বাচনী খেলার আগে অল্প কিছুদিনের মধ্যে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের অন্তত ১৫শর বেশি নেতাকর্মীকে সাজা দেওয়া হয়েছে। অন্যায়ভাবে তাদেরকে দণ্ড দেওয়া হয়েছে। আইনমন্ত্রী বলেন, এটা নাকি কাকতালীয়। ওনারা ইচ্ছে করে করেন নাই। এতোদিন হয় না সাজা, ঠিক নির্বাচনের আগে দিয়ে রাতে পর্যন্ত আদালত বসিয়ে শত শত নেতাকর্মীদের সাজা দেওয়া হয়েছে। এটি কাকতালীয় মনে হয় আপনাদের? এটি আপনাকে আমাকে ভয় দেখানোর জন্য করা হয়েছে। আমরা ভয় পাইনি। ওঠাতো ছোট জেল, এই সরকার গোটা বাংলাদেশকে কারাগার বানিয়ে রেখেছে। বিএনপির কোনো কর্মী ওই ছোট কারগারকে ভয় পায় না।

তিনি বলেন, প্রধান নির্বাচন কমিশনার বেলা পাঁচটায় সংবাদ সম্মেলন করে বলেন, ভোট পড়েছে ২৮ শতাংশ। পাশে থেকে একজন বললেন, না স্যার ৪০ শতাংশ। পরে তিনি বললেন, ৪০ শতাংশ। প্রতিনিধিরা জিজ্ঞেস করলেন, আপনি একবার বললেন ২৮ আবার বললেন ৪০, ব্যাপারটা কী? তখন বলেন যে আমিতো ২টার দিকে ঘুমিয়ে পড়েছিলাম, বুঝতে পারি নাই; পরে সহকর্মীরা মনে করিয়ে দিয়েছে। ভাবেন একবার, দেশে একটা জাতীয় নির্বাচন হচ্ছে আর প্রধান নির্বাচন কমিশনার ঘুমাচ্ছে। এটা স্বাভাবিক। ফলাফল তো ঠিক করাই আছে, কত কেন্দ্রে কে কত ভোট পাবে, বিরোধীদল নির্বাচন করে নাই, নির্বাচন কমিশনার ঘুমাইতে পারে।

তিনি বলেন, ভোট ডাকাত আওয়ামী লীগ সরকারের কাছে জনগণের কোন মূল্য নেই। তাই তারা জনগণের স্বার্থের কথা চিন্তা করছে না। নিজেদের আখের গোছানোর জন্য সিন্ডিকেটের মাধ্যমে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধি করে জনগণকে বিভীষিকাময় পরিস্থিতির দিকে ঠেলে দিয়েছে। সাধারণ মানুষ আজ পরিবার পরিজন নিয়ে দিশেহারা। জনগণের কোন মূল্য আওয়ামী লীগের কাছে নেই, কারণ তারা ভোট ডাকাতি করে ক্ষমতায় এসেছে। নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার দাবি যেন আদায় করতে না পারি তার জন্য আজকে মিথ্যা বানোয়াট একটি মামলায় আপোষহীন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে দীর্ঘদিন ধরে গৃহবন্দি করে রাখা হয়েছে। কারণ আওয়ামী লীগ জানে, বেগম খালেদা জিয়ার জনপ্রিয়তার কাছে তাদের অন্যায় অত্যাচার টিকবে না। কারণ জিয়া পরিবারের জনপ্রিয়তাকে তারা ভয় পায়।

প্রধান বক্তা মাহবুবের রহমান শামীম বলেন, আওয়ামী লীগ জনগণের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছে। এই অনির্বাচিত সরকার ১৪ সালে একতরফা নির্বাচন, ১৮ সালে দিনের ভোট রাতে আর ২৪ সালে প্রহসনের ডামি নির্বাচন করেছে। দেশের ৯৫ ভাগ মানুষ এই ভোট বর্জন করেছে। এই নির্বাচন বাংলাদেশের মানুষ মানে না। তাই বর্তমান অবৈধ সংসদ বাতিল করতে হবে। জনগণের ভোটের অধিকার আদায়ের জন্য বিএনপি তারেক রহমানের নেতৃত্বে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে রাজপথে আন্দোলন করছে। উন্নয়নের নামে দুর্নীতি আর দুর্বৃত্তায়নের হোতা আওয়ামী লীগের কবল থেকে দেশ মুক্ত করে জনগণের লুণ্ঠিত ভোটের অধিকার আদায় না হওয়া পর্যন্ত বিএনপির আন্দোলন চলবে।

সভাপতির বক্তব্যে ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে জনগণ ভোট দিতে যায়নি, শিশুরা ভোট দিয়েছে। আগের নির্বাচনে কুকুর দেখা গিয়েছিল, এবারের নির্বাচনে বানর দেখা গেছে। ঐ যে বানরের পিটা ভাগাভাগি নির্বাচন। পিঠার ভাগ নেওয়ার জন্য বানর কেন্দ্রে উপস্থিত হয়েছিল। আওয়ামী লীগের এই নির্বাচন ৯৫ ভাগ মানুষ বয়কট করেছে। এই নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা ৬০ সেকেন্ডে ৬০টি ভোট দিয়ে বিশ্ব রেকর্ড করেছে। তাই আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকতে পারবেনা। তারেক রহমানের নেতৃত্বে রাজপথে আছি, আন্দোলন চলতে থাকবে। আন্দোলনের মধ্য দিয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, মির্জা আব্বাস ও আসলাম চৌধুরীকে মুক্ত করে আনবো।

আবুল হাশেম বক্কর বলেন, ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে প্রশাসনের কিছু কর্মকর্তা বাইরের দেশের এজেন্ট হয়ে রাতের অন্ধকারে জিমনেসিয়াম ও থানায় বসে ব্যালট বাক্স ভর্তি করেছে। ভোট ডাকাতি করে গণতন্ত্রকে কবর দিয়েছেন, এর জবাব দিতে হবে। আন্দোলন চলবে, হয়তো একটু সময় লাগছে। কিন্তু বিদায় নিতে হবেই।

জালাল উদ্দীন মজুমদার বলেন, আওয়ামী লীগ স্বাধীনতার পর থেকেই একটা অত্যাচারী রাজনৈতিক দল হয়ে ওঠেছে। তারা সিন্ডিকেট করে সব কিছুর দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। প্রতারণার ডামি নির্বাচনের পরেই সরকার নতুন কারসাজি করে শেয়ার বাজারে ধস নামিয়েছে।

আবু সুফিয়ান বলেন, পাঁচ ভাগ মানুষের ভোট নিয়ে এই সরকার ক্ষমতায় থাকতে পারবে না। আওয়ামী লীগের এই স্বপ্ন দুঃস্বপ্নে পরিণত হবে। আন্দোলনের মাধ্যমে অচিরেই বিদায় নিতে হবে। মানুষের সম্পদ চুরি করে বাইরে নেওয়ার হিসাব আগামী দিনে অবশ্যই দিতে হবে।

সমাবেশে বক্তব্য রাখেন উত্তর জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক এম এ হালিম, দক্ষিণ জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক এনামুল হক এনাম, মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক মোহাম্মদ মিয়া ভোলা, অ্যাড. আবদুস সাত্তার, এস এম সাইফুল আলম, এস কে খোদা তোতন, নাজিমুর রহমান, শফিকুর রহমান স্বপন, কাজী বেলাল উদ্দিন, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, মো. শাহ আলম, ইসকান্দর মির্জা, আবদুল মান্নান প্রমুখ।

রাজশাহী ব্যুরো জানায়, প্রহসনের দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন বিএনপির ডাকে বাংলাদেশের মানুষ প্রত্যাখান করেছে। এই অবৈধ সরকারের কোনো জনপ্রিয়তা নাই। তার প্রমাণ সদ্য নির্বাচনে ৭ভাগ ভোটারও ভোট কেন্দ্রে যায়নি। এ থেকেই প্রমাণিত হয় যে এই সরকার আর জনগণ চায়না। গতকাল শনিবার বিকেলে রাজশাহী জেলা ও মহানগর বিএনপির আয়োজনে কালো পতাকা মিছিলপূর্ব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা, সাবেক মেয়র ও সংসদ সদস্য মিজানুর রহমান মিনু এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ডাকে বাংলার মানুষ মুক্তিযুদ্ধে ঝাপিয়ে পরেছিলেন। এছাড়াও তিনি প্রত্যক্ষ মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। শুধু তাই নয় তিনি সেক্টর কমান্ডারও ছিলেন। অথচ সে সময়ে আওয়ামী লীগের নেতারা ভারতে গিয়ে বসে ছিলেন। কিন্তু আজ এই আওয়ামী লীগ প্রভুদের তেল মেরে এবং দেশের প্রশাসন এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ব্যবহার করে ডামি নির্বাচন করে আবারো ক্ষমতায় থাকার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। এই গণতন্ত্র হত্যাকারী বাকশালী সরকারকে একদফা আন্দোলনের মাধ্যমে বিতারিত করে দেশে গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা করা হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি। সেইসাথে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ সকল রাজবন্দীর মুক্তি দাবি করেন মিনু।

মিছিল ও সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন রাজশাহী মহানগর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক নজরুল হুদা। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক, রাজশাহী মহানগর বিএনপি সাবেক সভাপতি ও রাসিক সাবেক মেয়র মোহাম্মদ মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল, বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির রাজশাহী বিভাগীয় সহ সাংগঠনিক সম্পাদক ওবায়দুর রহমান চন্দন, বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও রাজশাহী জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম মার্শাল, মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব মামুন অর রশিদ মামুন ও জেলা বিএনপির সদস্য ও সাবেক এমপি জাহান পান্না প্রমুখ।

ফরিদপুর জেলা সংবাদদাতা জানান, ফরিদপুরে বিএনপি ও তার অঙ্গ সংগঠনের উদ্যোগে গতকাল ফরিদপুর শহরে এক বিশাল কালো পতাকা মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। ফরিদপুর মহানগর বিএনপি ও এর অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের যৌথ উদ্যোগে মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক এবি সিদ্দীকি মিতুলের সভাপতিত্বে শহরের সিভিল সার্জন সড়ক থেকে মিছিলটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে ফরিদপুর প্রেসক্লাব চত্বরে এসে সংক্ষিপ্ত পথ সভার মাধ্যমে শেষ হয়।

এ সময় ফরিদপুর মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব গোলাম মোস্তফা মিরাজ, যুগ্ম আহবায়ক এম টি আখতার টুটুল, যুগ্ম আহবায়ক মিজানুর রহমান মিনাল, মহানগর যুবদলের সভাপতি বেনজির আহম্মেদ তাবরিজ, এম এম ইউসুফ মহানগর ছাএদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মনিরুল হাসান সোহাগ, ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক সাব্বির হোসেন সাদ্দাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

সিলেট : অবৈধ সরকার মানুষের ঘাড়ে চেপে বসেছে। এরা বেশি দিন থাকলে বাংলাদেশ স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব হুমকিতে পড়বে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টু। গতকাল বিকেল সাড়ে ৩টায় সিলেট নগরীর রেজিস্ট্রারি মাঠে সিলেট জেলা ও মহানগর বিএনপি আয়োজিত কালো পতাকা মিছিল আগে অনুষ্ঠিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ব্যাংক লুট থেকে শুরু করে সরকারের অপকর্মে কথা বলে শেষ হবে না। যখন একটি দেশে অবৈধ সরকার থাকে, এই সরকার যখন দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়ে তখন জনগণের দায়িত্ব হচ্ছে আন্দোলনের মাধ্যমে তাদের বিতাড়িত করা। তিনি আরো বলেন, বিএনপি একটি শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক আন্দোলন করছে। প্রশাসনের উচিত অবৈধ সরকারের সঙ্গ না দিয়ে জনগণের সাথে থাকা। এই সরকারকে আমরা বিতাড়িত করতে সক্ষম হবো।

মিন্টু বলেন, আমাদের সব নেতাকে নির্বাচনে নেওয়ার জন্য ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। কিন্তু তারা সফল হয়নি। আমাদের নেতা তারেক রহমানের আহ্বানে সাড়া দিয়ে দেশের অন্তত ৯৫ শতাংশ মানুষ ভোটে যায়নি। এটিই হচ্ছে বিএনপির সফলতা। জনগণ এই অবৈধ সরকারকে মেনে নেবে না। এখন দেশের বিরুদ্ধে দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র চলছে। তারা অবৈধ সরকারকে টিকিয়ে রাখতে পারবে না। সরকার দেশ থেকে পালিয়ে যাবে। আমরা এই সরকারকে বিদায় করেই ঘরে ফিরব ইন শা আল্লাহ।

সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. এমরান আহমদ চৌধুরীর সঞ্চালনায় সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আরিফুল হক চৌধুরী, ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টির চেয়ারম্যান কারী আবু তাহের, বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. সাখাওয়াত হাসান জীবন। সভায় স্বাগত বক্তব্য দেন সিলেট মহানগর বিএনপির সভাপতি নাসিম হোসাইন।

কুমিল্লা : বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবেদীন ফারুক বলেছেন, ৭ জানুয়ারির নির্বাচন জনগণ মেনে নেয়নি। বিশ্বের গণতান্ত্রিক দেশগুলোও নির্বাচন মেনে নেয়নি। গতকাল শনিবার দুপুরে কুমিল্লা নগরীর কান্দিরপাড়ে দলীয় কার্যালয়ের সামনে কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির কালো পতাকা মিছিল পূর্ব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

জয়নুল আবেদীন ফারুক বলেন, ২০১৪ সালে অটোপাস করেছে। ২০১৮ সালে নিশিরাতে নির্বাচন করেছে। ২০২৪ সালে ভাইয়ে ভাইয়ে নির্বাচন করে আবারো বাংলাদেশের মানুষকে লুটেপুটে খাবে। আবারো বিএনপি নেতাদের ওপর হামলা করবে, মামলা করে জেলে দেবে। এটা সহ্য করা হবে না। তাই ৩০ তারিখ যে সংসদ শুরু হবে বাংলাদেশের জনগণকে নিয়ে তা প্রতিহত করা হবে। তিনি আরো বলেন, ২০১৮ সালের নিশিরাতের নির্বাচনের পর কত লাখ কোটি টাকা রুজি করেছেন তা এমপিদের হলফনামায় ও পত্রিকায় লেখা হয়েছে। তাহলে দুদক শুধু কি বিএনপির জন্য? দুদক শুধু কি তারেক রহমানের জন্য? জেলখানা কি শুধু বিএনপি নেতাকর্মীদের জন্য?

নির্বাচন কমিশনের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনি জনগণের ২ হাজার কোটি টাকা নষ্ট করেছেন। নির্বাচন হয়েছে? বাংলাদেশের ইতিহাসে এই প্রথম শুনলাম ৬০০ জন এমপি। ৩০০ জন ১০ জানুয়ারি শপথ নিয়েছে। আর ৩০০ জন নাকি ৩০ তারিখ পর্যন্ত বলবৎ আছে। ২০১৪ ও ১৮ সালের নির্বাচনে মৃত ব্যক্তির ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন। ২০২৪ সালে নির্বাচিত হয়েছেন নাবালক শিশুর ভোটে।

বিএনপির কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক হাজী আমিনুর রশিদ ইয়াছিনের সভাপতিত্বে সমাবেশে কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা ও মহানগর বিএনপির নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

খুলনা : কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ও বিএনপির বিশেষ সম্পাদক ড. আসাদুজ্জামান রিপন বলেছেন, একদলীয় সরকারের অধীনে সাজানো ‘ডামি’ নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসার পর থেকে দেশে ভয়াবহ হাহাকার চলছে। ঘরে ঘরে ক্ষুধার আর্তনাদ বাতাসে ভেসে আসছে। জনগণ এ সরকারকে আর ক্ষমতায় দেখতে চায় না। গতকাল বিকেলে মহানগরী কেডি ঘোষ রোডস্থ বিএনপি কার্যালয়ের সামনে অনুষ্ঠিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) অনিন্দ্য ইসলাম অমিত ও সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক জয়ন্ত কুমার কুন্ডু। মহানগর বিএনপি যুগ্ম আহ্বায়ক শেখ সাদী পরিচালনা করে।


বিভাগ : জাতীয়


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

আরও পড়ুন

ইয়ামালের মাইলফলকের রাতে হারের তেতো স্বাদ বার্সার

ইয়ামালের মাইলফলকের রাতে হারের তেতো স্বাদ বার্সার

আর্সেনালের স্বস্তির ড্র,অ্যাটলেটিকোর দারুণ জয়

আর্সেনালের স্বস্তির ড্র,অ্যাটলেটিকোর দারুণ জয়

হেডের বিধংসী শতকে লন্ডভন্ড  ইংল্যান্ড

হেডের বিধংসী শতকে লন্ডভন্ড  ইংল্যান্ড

পয়েন্ট হারিয়েও শীর্ষে আর্জেন্টিনা,অবনতি বাংলাদেশের

পয়েন্ট হারিয়েও শীর্ষে আর্জেন্টিনা,অবনতি বাংলাদেশের

বিদেশে সাবেক ভুমিমন্ত্রীর আট হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি

বিদেশে সাবেক ভুমিমন্ত্রীর আট হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি

ইউনূস গুড উইলের প্রতিফলন দেখতে চায় জনগণ: রিজভী

ইউনূস গুড উইলের প্রতিফলন দেখতে চায় জনগণ: রিজভী

সময় থাকতে হাসিনাকে ফেরত পাঠান : ভারতকে দুদু

সময় থাকতে হাসিনাকে ফেরত পাঠান : ভারতকে দুদু

রুশ সেনা কুরস্কের দুটি শহরের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে

রুশ সেনা কুরস্কের দুটি শহরের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে

বিমানবন্দর এলাকা হবে শব্দদূষণ মুক্ত

বিমানবন্দর এলাকা হবে শব্দদূষণ মুক্ত

যাত্রাবাড়ী থানার সাবেক ওসি আবুল হাসান ৭ দিনের রিমান্ডে

যাত্রাবাড়ী থানার সাবেক ওসি আবুল হাসান ৭ দিনের রিমান্ডে

বিচার শুরু হলে হাসিনাকে ফেরত চাওয়া হবে : আইন উপদেষ্টা

বিচার শুরু হলে হাসিনাকে ফেরত চাওয়া হবে : আইন উপদেষ্টা

লোহাগড়ায় দিনে-দুপুরে বসতবাড়ি পুড়ে ছাই

লোহাগড়ায় দিনে-দুপুরে বসতবাড়ি পুড়ে ছাই

রাষ্ট্রীয় কল্যাণে অবদান রাখার সুযোগ দিন আলেমদেরকে

রাষ্ট্রীয় কল্যাণে অবদান রাখার সুযোগ দিন আলেমদেরকে

দুই মেডিকেল টেকনোলজিস্টের ওপর হামলার ঘটনায় বিএমটিএর নিন্দা

দুই মেডিকেল টেকনোলজিস্টের ওপর হামলার ঘটনায় বিএমটিএর নিন্দা

জিএম কাদের ও মজিবুল হক চুন্নুকে অবিলম্বে আটক করতে হবে : আবু হানিফ

জিএম কাদের ও মজিবুল হক চুন্নুকে অবিলম্বে আটক করতে হবে : আবু হানিফ

উপদেষ্টাদের আয় ও সম্পদ বিবরণী  প্রকাশের নীতিমালা অনুমোদন

উপদেষ্টাদের আয় ও সম্পদ বিবরণী প্রকাশের নীতিমালা অনুমোদন

সাবেক মন্ত্রী শ ম রেজাউল-এমপি হেনরিসহ ৩ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

সাবেক মন্ত্রী শ ম রেজাউল-এমপি হেনরিসহ ৩ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

পটুয়াখালী মেডিক্যাল কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতিকে একবছর ,সাধারন সম্পাদককে দুই বছর একাডেমীক কার্যক্রম থেকে বহিস্কারসহ উভয়কে হোস্টেল থেকে আজীবন বহিস্কার।

পটুয়াখালী মেডিক্যাল কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতিকে একবছর ,সাধারন সম্পাদককে দুই বছর একাডেমীক কার্যক্রম থেকে বহিস্কারসহ উভয়কে হোস্টেল থেকে আজীবন বহিস্কার।

ঢাবিতে যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে ৫ শিক্ষার্থী গ্রেফতার

ঢাবিতে যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে ৫ শিক্ষার্থী গ্রেফতার

রাজউক চেয়ারম্যানের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিল

রাজউক চেয়ারম্যানের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিল