আলোচিত গরুর গোশত ব্যবসায়ী খলিলকে হত্যার হুমকির ঘটনায় গত শনিবার রাতে আশুলিয়া থেকে দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। গ্রেপ্তাররা হলেন, নুরুল হক ও মোহাম্মদ ইমন। ডিস ও ইন্টারনেট ব্যবসায় প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতেই খলিলের কাছে চাঁদা দাবি করে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়। গতকাল রোববার কারওয়ান বাজারে র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান র‌্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।

তিনি জানান, কিছু মুনাফালোভী ব্যবসায়ী গরুর গোশতের মূল্যবৃদ্ধি করে বাজার অস্থিতিশীল সৃষ্টি করেছে। গত ১৯ নভেম্বর থেকে শাজাহানপুরের খলিল তার ‘খলিল গোস্ত বিতানে’ ৫৯৫ টাকা কেজিতে গরুর গোশত বিক্রি শুরু করলে অনেকেই ৬শ’ টাকায় বিক্রি করে আসছেন। পরে ভোক্তা অধিদপ্তর, গোশত ব্যবসায়ী সমিতি ও বাংলাদেশ ডেইরি ফার্মার্স অ্যাসোসিয়েশন সম্মিলিত বৈঠকে করে ৬৫০ টাকায় গরুর গোশত বিক্রির সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু মুনাফালোভী অসাধু ব্যবসায়ীরা তাদের বিভিন্নভাবে হুমকি দিতে থাকেন। এছাড়াও কিছুদিন আগে রাজশাহীর বাঘার আড়ানী হাটে ন্যায্যমূল্যে গরুর গোশত বিক্রি করায় এক ব্যবসায়ী খুন হন।

গত ১৮ জানুয়ারি খলিলের মোবাইলে ২৫ লাখ টাকা চাঁদা এবং কম দামে গোশত বিক্রি করলে তাকে ও তার ছেলেকে দুই দিনের মধ্যে গুলি করে হত্যার হুমকি আসে। খলিল ২০ জানুয়ারি শাহাজাহানপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। গ্রেপ্তার নুরুল আশুলিয়া পাথালিয়া ইউনিয়নের চারিগ্রাম এলাকায় ডিস ও ইন্টারনেট ব্যবসা করেন। এ ব্যবসাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ ছিল। পরে একজন তাকে খলিলের ব্যক্তিগত মোবাইল নম্বর দিয়ে তাকে মোবাইল ফোনে হত্যার হুমকি দিতে বলেন। ব্যবসায়িক সুবিধার লক্ষ্যে নুরুল হক গত ১৮ জানুয়ারি মাংস ব্যবসায়ী খলিলকে কল করে ২৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি এবং কম দামে মাংস বিক্রি করলে তাকে হত্যার হুমকি দেন। হুমকির সময় চাঁদা দাবির পাশাপাশি তার ব্যবসায়িক প্রতিপক্ষ সেলিমের নাম উল্লেখ করেন। একই দিনে নুরুল গ্রেপ্তার ইমনকে একটি ফোন কল ধরিয়ে দিয়ে মাংস ব্যবসায়ী খলিলকে গালাগালি করতে বলেন। ###