আওয়ামী লীগ সরকারের পতনে বিএনপি আবার মাঠে নামবে বলে জানিয়েছেন দলটির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক। তিনি বলেছেন, গণবিরোধী এই সরকার মানুষের সেবা করতে জানে না। এই সরকার জানে শুধু লুণ্ঠন করতে, টাকা চুরি করতে, ব্যাংক লুট করতে, শেয়ারবাজার লুট করতে। গতকাল শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত মানববন্ধনে অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন। স্বাধীনতা অধিকার আন্দোলন এই কর্মসূচির আয়োজন করে।

আওয়ামী লীগ সরকারকে কেউ বিশ্বাস করে না মন্তব্য করে জয়নুল আবেদিন ফারুক বলেন, এই সরকার যদি গণতন্ত্রে বিশ্বাস করতো, সুষ্ঠু নির্বাচনে বিশ্বাস করতো, তাহলে ২০১৪ সালে ১৫৪ জন এমপিকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করতো না। ২০১৮ সালে দিনের ভোট রাতে করতেন না, আর ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারির ভোটের কথা না-ই বা বললাম। নির্বাচন কমিশন আমার গরিবের দুই হাজার কোটি টাকা খরচ করে যে নির্বাচন উপহার দিয়েছে বাংলাদেশকে ভাইয়ে ভাইয়ের নির্বাচন, ডামি নির্বাচন, একদলের নির্বাচন; সেই নির্বাচনে (নির্বাচন কমিশনার) উনি ঘুমিয়ে ছিলেন। ঘুম থেকে উঠে উনি বলেন, ভোট তো ২৮ শতাংশ হয়েছে। ৫টার সময় কী করে সেই ভোট ৪২ শতাংশ হয়ে যায়? ৩০০ এমপির ভোট হয়, দেশের প্রধান নির্বাচন কমিশনার ঘুমিয়ে থাকে। হায়রে কপাল! হায়রে দেশে!

আওয়ামী লীগের উদ্দেশে বিএনপির এই নেতা বলেন, দাপটে কথা বলেন, লজ্জা হয় না? দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি রোধ করব। আর ভেতরে সিন্ডিকেট তৈরি করেন। যে সিন্ডিকেটের টাকায় আপনাদেরও শেয়ার আছে।
আওয়ামী লীগের নেতাদের বিএনপিকে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করার কড়া জবাব দিয়ে জয়নুল বলেন, নিজেদের পায়ের নিচের মাটি সরে যাচ্ছে; আমাদের দুর্বল বলবেন না। আমরা সবল আছি, আমরা সৎ আছি, আমরা সততার সঙ্গে অতীতে সরকার পরিচালনা করেছি।

বিএনপি নেতাকর্মীদের কষ্ট হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, মির্জা আব্বাস, মির্জা আলমগীর, আমীর খসরু আমরা ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি আপনাদের কাছে। আমরা পারি, জনগণ আমাদের সঙ্গে আছে কিন্তু পারি না রাষ্ট্রীয় যন্ত্রের কারণে।
অচিরেই আপনারা আসবেন, বাংলাদেশে আবার কর্মসূচি আসবে, একদলীয় সরকার পতনের আন্দোলনে বিএনপি আবার মাঠে নামবে। অক্ষরে অক্ষরে সব কিছু হিসাব নেওয়া হবে। বাংলাদেশ কারও একার নয়।